ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় সমাজ বিবর্তনের ইতিহাস : আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তা জুড়ে রয়েছে মানুষ, আর নানা প্রজাতির গাছপালা, জীবজন্তু ও সামুদ্রিক প্রাণী। আদিমকালে জীবজন্তুর আক্রমণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা বিপদের সামনে মানুষ ছিল অসহায়।
অস্তিত্ব রক্ষা আর জীবনযাপনের চাহিদা পূরণের জন্য তারা একে অন্যকে সহযোগিতা করার প্রয়োজন অনুভব করে। এভাবে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে গিয়ে মানুষ গড়ে তুলেছে সমাজ।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় সমাজ বিবর্তনের ইতিহাস
শুধু মানুষই নয়, পশুপাখি এবং কীটপতঙ্গের মাঝেও আমরা দলবদ্ধ জীবনধারা লক্ষ করি। যেমন- হাতি দল বেঁধে একসঙ্গে চলাফেরা করতে ভালোবাসে। কোনো কাক বিপদে পড়লে দল বেঁধে সব কাক তাকে বাঁচাতে ছুটে আসে।
মৌমাছিরা মৌচাক এবং উইপোকা ঢিপি তৈরি করে তার মাঝে সবাই মিলেমিশে থাকে। বাংলাদেশের সমাজ ও সভ্যতার ধারাকে বুঝতে সমাজ কী ও কীভাবে তা গড়ে উঠেছে- এ অধ্যায়ের পাঠগুলোতে আমরা সে সম্পর্কে জানব।
সমাজের ধারণা
মানুষ একাকী বাস করতে চায় না। নিরাপদে ও শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য সবাই দলবদ্ধভাবে বাস করে। যার ফলে মানুষে মানুষে আত্মীয়তা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে সাহায্য-সহযোগিতা, সহানুভূতি, দ্বন্ধ ও পারস্পরিক নির্ভরতার মতো বিভিন্ন সম্পর্ক। এসবই হচ্ছে সামাজিক সম্পর্ক। মিলেমিশে থাকা একতাবদ্ধ মানবগোষ্ঠীকে বলা হয় সমাজ।
সমাজের মধ্যে ছোটো ছোটো প্রতিষ্ঠান ও সংঘ থাকে। যেমন- পরিবার, গোত্র, ক্লাব, সমিতি ইত্যাদি। আমরা কোনো না কোনো পরিবারে বাস করি। মা-বাবা তাদের এক বা একাধিক সন্তান নিয়ে একসাথে বসবাস করে যা এক রকমের পরিবার।
কোনো কোনো পরিবারে বাবা-মা ও তাদের সন্তান ছাড়াও তাদের ভাই-বোন অথবা মা-বাবা, ভাই-বোন, চাচা-চাচি, দাদা-দাদিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের বন্ধন ও কার্যকলাপের সমন্বয়ে পরিবার গড়ে ওঠে। সমাজ গঠনের প্রথম ধাপ হচ্ছে পরিবার।
প্রাচীন কালে সমাজ গঠনের আগে পরিবার বলতে কিছু ছিল না। মানুষকে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে বাঁচতে হতো। তাই খাদ্য সংগ্রহ ও হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এভাবেই মানুষ সমাজ গড়ে তোলে। পরিবার থেকে গোত্র, সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীতে ছড়িয়ে পড়েছে মানুষ। এভাবে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সমাজের উদ্ভব হয়েছে।
সাধারণভাবে সমাজের দুটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এর প্রথমটি হচ্ছে, বহুলোকের সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সংঘবদ্ধতার পিছনে কোনো উদ্দেশ্য থাকা। সুতরাং সমাজ বলতে আমরা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ককে বুঝি, যার ভিত্তিতে মানুষ বিশেষ উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনে সমবেতভাবে বাস করে।
সমাজ জীবনে প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব
মানুষের জীবন প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত। জীবনধারণের জন্য মানুষ যেমন পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করে, আবার অনেকক্ষেত্রে পরিবেশই তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য মানব সমাজের প্রকৃতি, আচার-আচরণ ও সংস্কৃতির উপর পরিবেশের প্রভাব স্পষ্ট।
নদী মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দেয়। পৃথিবীর প্রধান সভ্যতাগুলো ছিল নদীভিত্তিক। যেমন- সিন্ধু নদের তীরে সিন্ধু সভ্যতা, নীল নদের তীরে মিশরীয় সভ্যতা, টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা গঙ্গা অববাহিকায় বিকাশ লাভ করেছে।
আবার কোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর সেই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর পেশা নির্ভর করে। যেমন- খনি অঞ্চলে খনি-শ্রমিক ও শিল্প এলাকায় শিল্প-শ্রমিক বাস করে। নদীমাতৃক দেশ বলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের যানবাহন হচ্ছে নৌকা, লঞ্চ ও স্টিমার। আবার কোনো কোনো এলাকার যানবাহন রেলগাড়ি, বাস, রিকশা ও গরুর গাড়ি ইত্যাদি।
কুটিরশিল্প বিকাশেও ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব রয়েছে। নদীবহুল এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ঢাকার ডেমরায় তাঁতিরা বাস করে এবং এখানেই বিখ্যাত ঢাকাই শাড়ি বোনা হয়। রাজশাহীতে রেশমি শাড়ি তৈরির জন্য বস্ত্রশিল্প গড়ে উঠেছে। কারণ এ অঞ্চলে তুঁতগাছ জন্যে এবং তুঁতগাছে রেশম কীট বাসা বাঁধে।
ফরিদপুরের খেজুরগুড়, মুক্তাগাছার মন্ডা, টাঙ্গাইলের শাড়ি, সুন্দরবনের মধু, সিলেটের শীতল পাটি প্রভৃতি ঐ সব এলাকার ভৌগোলিক পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত। সোনারগাঁও এর বিখ্যাত মসলিন শিল্পও এ অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও কাঁচামালের সহজলভ্যতার জন্যই বিকাশ লাভ করেছিল।
পোশাক-পরিচ্ছদ ও ঘরবাড়ির বৈশিষ্ট্যও ভৌগোলিক পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত। শীতপ্রধান অঞ্চলের মানুষ গরম পশমি কাপড় পরে আর গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার মানুষ পরে হালকা সুতি কাপড়। যেসব অঞ্চলে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় সেখানকার মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করতে কাঠ বেশি ব্যবহার করে।
যেসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত সেখানে সহজেই শিল্পায়ন ঘটে এবং নগর গড়ে ওঠে। নৌ-যোগাযোগ ভালো বলে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অনেক আগে থেকেই শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
সমাজ বিকাশের বিভিন্ন স্তর: শিকার ও সংগ্রহ, উদ্যানকৃষি ও পশুপালন সমাজ
সমাজ পরিবর্তনশীল। আজকের দিনে আমরা বাংলাদেশের যে সমাজকে দেখছি, আগের দিনের সমাজ কিন্তু এরকম ছিল না। আজকের সমাজ দীর্ঘকালের বিকাশধারায় ফল। কালে কালে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে পুরানো সমাজ পরিবর্তন হয়ে একালের আধুনিক সমাজ গঠিত হয়েছে।
ভবিষ্যতে সমাজ আরও পরিবর্তন হবে। কালের সুদীর্ঘ যাত্রাপথে সমাজের পরিবর্তনকে ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হচ্ছে। (১) শিকার ও সংগ্রহভিত্তিক সমাজ (২) উদ্যান কৃষিভিত্তিক সমাজ (৩) পশুপালন সমাজ (৪) কৃষিভিত্তিক সমাজ (৫) শিল্পভিত্তিক সমাজ (৬) শিল্পবিপ্লব পরবর্তী সমাজ।
শিকার ও খাদ্য সংগ্রহভিত্তিক সমাজ | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় সমাজ বিবর্তনের ইতিহাস
শিকার ও খাদ্য সংগ্রহভিত্তিক সমাজ হচ্ছে মানব সমাজের আদিমতম রূপ। তখন স্থায়ী কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। মানুষ গুহায় ও বনজঙ্গলে বাস করত। প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল প্রচুর। কিন্তু এ সম্পদকে ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করতে শেখেনি। বনজঙ্গল থেকে তারা খাবার খুঁজে নিত আর শিকার করত। খাবারের খোঁজে তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াত।
ফলমূলসংগ্রহ, পশুপাখি ও মৎস্য শিকার ছিল আদিম সমাজের প্রধান কাজ। যখন শিকার মিলত তখন তারা খেতো, শিকার না মিললে উপোস থাকতে হতো। মেয়েরা ফলমূল সংগ্রহ করত আর পুরুষেরা শিকার করত। সেসময় পাথরই ছিল একমাত্র হাতিয়ার। এ কারণে এ সমাজকে প্রাগৈতিহাসিক বা প্রস্তরযুগের সমাজও বলা হয়।
এ সমাজের উল্লেখযোগ্য হাতিয়ারগুলো হচ্ছে-খাঁজকাটা বল্লম, মাছ ধরার হারপুন এবং হাড়ের সুই ইত্যাদি। শীত ও রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ গাছের ছাল ও লতাপাতা এবং পশুর চামড়া ব্যবহার করত। এ সমাজের মানুষ কোনো শক্তিশালী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেনি। মানুষকে তখন খাবারের সন্ধানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে বেড়াতে হতো।
উদ্যান কৃষিভিত্তিক সমাজ
এ সমাজে খাদ্য সংগ্রহকারী মানুষ খাদ্য উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন, মেয়েরাই কৃষিকাজের উদ্ভাবন করেছে। আদিম সমাজে পুরুষেরা যেত শিকারের সন্ধানে, ফলমূল আহরণের ভার ছিল। মেয়েদের উপর। ফলমূল সংগ্রহ করতে গিয়ে কখনো তারা নিয়ে আসত বুনো গম ও বার্লি, মেটে আলু, কচুর মূল ও কন্দ।
আস্তানার আশপাশে গম ও বার্লির যেসব দানা পড়ত তা থেকে গজিয়ে উঠত চারা গাছ। চারা গাছে পরে দেখা দিত শিষ ও দানা। এ ধরনের ঘটনা থেকে বীজ ছিটিয়ে খাওয়ার উপযোগী শস্য পাওয়ার ধারণা সৃষ্টি হয়। কৃষিকাজের এ পর্যায়কে বলা হয় উদ্যান চাষ।
এক্ষেত্রে প্রথমে মেয়েরা তাদের বসবাসের আশপাশে পতিত জমিতে একটি লম্বা লাঠি বা পশুর শিং দিয়ে মাটি চিরে গর্তে বীজ ফেলে ফসল ও ফলমূল উৎপাদন করত। ফসল পাকলে পশুর চোয়ালের হাড় দিয়ে ফসল কাটত। তবে প্রয়োজনের বেশি ফসল তারা উৎপাদন করেনি। এক জায়গায় বারবার এমন ফসল ফলানো যেতো না বলে তাদের জীবন ছিল যাযাবর প্রকৃতির।
পশুপালন সমাজ
সমাজ বিকাশের ধারায় পশুপালন শুরু হলে সমাজ আরও এগিয়ে যায়। এ সমাজের মানুষ খাদ্য সংগ্রহের পাশাপাশি পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করত। শিকারি মানুষ প্রথমে কুকুরকে পোষ মানিয়ে গৃহপালিত পশুতে পরিণত করে। কুকুর ছিল বিশ্বস্ত প্রহরী ও শিকারের সঙ্গী।
অনেক সময় বুনো ষাঁড়, ভেড়া, ছাগল, ঘোড়া, গাধা প্রভৃতি পশু মানুষের হাতে ধরা পড়ত। সেগুলোকে তারা ধরে এনে বেঁধে রাখত। এগুলো ছিল তাদের জীবন্ত খাদ্যভান্ডার। শিকার না মিললে এগুলোকে বধ করে আহার করত।
মানুষ ক্রমে বুঝতে পারে গরু, ছাগল ভেড়াকে না মেরে এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখলে বেশি লাভজনক হবে। যেমন- প্রতিদিন দুধ ও বছর। বছর বাচ্চা পাওয়া যাবে, চামড়া ও পশমকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। এভাবে সমাজে গৃহপালিত পশুর সংখ্যা বেড়ে তা মানুষের সম্পদে পরিণত হয়।
এ সমাজে মুদ্রার প্রচলন হয়নি। তবে দ্রব্য বিনিময় প্রথার উদ্ভব ঘটে। একজনের পণ্যের সঙ্গে অন্য পশু কিংবা অন্য কিছু বদল করা হতো। তবে আদিম সমাজের মতো এ সমাজের মানুষও যাযাবর জীবনযাপন করত পাঠ-৫ ও ৬: সমাজ বিকাশের বিভিন্ন স্তর: কৃষি, শিল্প ও শিল্পবিপ্লব পরবর্তী সমাজ
কৃষিভিত্তিক সমাজ | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় সমাজ বিবর্তনের ইতিহাস
কৃষিকাজের সূচনা মেয়েরা করলেও লাঙল আবিষ্কারের পর পুরুষেরা জমি চাষের দায়িত্ব নেয়। প্রথমে তারা নিজের কাঁধে জোয়াল নিয়ে জমি চাষ শুরু করে। কালক্রমে হালের বলদের ব্যবহার শুরু হয়। লাঙল ও হালের বলদ ব্যবহার করে চাষ শুরু হলে উৎপাদন বাড়তে থাকে।
যেসব অঞ্চলে বন্যা হতো এবং জমিতে পলি পড়ত মানুষ সেসব জমিতে গম ও বার্লির বীজ ছিটিয়ে দিত। এসব অঞ্চল ছিল টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদীর অববাহিকা, নীল নদের তীর ও সিন্ধু উপত্যকা।
সে যুগে পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রচুর বৃষ্টি হতো। তাই কৃষিকাজ এসব অঞ্চলে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। পরে আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার অন্যান্য জায়গায় কৃষিকাজ ছড়িয়ে পড়ে। কৃষিকাজ প্রসারের সাথে সাথে পশুপালনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়।
কৃষিকাজের মধ্য দিয়ে সমাজজীবন ও সভ্যতার উন্নতি হতে থাকে। কৃষিকাজের উপযোগী স্থানে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। মানুষ স্থায়ীভাবে এক স্থানে বসবাস শুরু করে। কৃষিকাজ মানুষের খাদ্যের সংস্থান আরও নিশ্চিত করে।
এ সমাজের উদ্বৃত্ত ফসল অবসর জীবনযাপনকারী শ্রেণির উদ্ভব করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে এবং নগর জীবনের বিকাশে ভূমিকা রাখে। কৃষির উদ্বৃত্ত ফসল সভ্যতার সূচনা করে। এ কারণে বলা হয়, সভ্যতা হচ্ছে কৃষির অবদান।
শিল্পভিত্তিক সমাজ
ইউরোপে মধ্যযুগের শেষ দিকে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ঘটে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়ে যায়। ইউরোপের মানুষ আবিষ্কার করে প্রাচীন গ্রিস এবং রোমের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঐতিহ্য। এটি ইউরোপের নবজাগৃতি বা রেনেসাঁ নামে পরিচিত। এই সময়ে ইউরোপের মানুষ বেরিয়ে পড়ে অজানাকে জানতে, পৃথিবীকে আবিষ্কার করতে। ১৪৯২ সালে কলম্বাস পৌঁছে গেলেন আমেরিকায়।
সমাজ বিবর্তনের ইতিহাস অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন
চিত্রভিত্তিক উদ্দীপক
ক. পোড়াবাড়ি কিসের জন্য বিখ্যাত?
খ. আদিম মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বাস করত কেন?
গ. উদ্দীপকে ১নং চিত্রটি কোন সমাজের ইঙ্গিত বহন করছে, ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ২ নং চিত্রে ইঙ্গিতকারী সমাজের উদ্ভাবক মেয়েরাই-বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
◉ আরও দেখুন: ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় সমাজ বিবর্তনের ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে। এই বইয়ের যে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো রয়েছে, তার উত্তরও তোমরা কোর্সটিকায় পেয়ে যাবে। সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপরের ‘সৃজনশীল সমাধান’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post