ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি : বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। কৃষির পাশাপাশি শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার লাভ করেছে। দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় কিছু শিল্প কারখানা, রেল ও সড়ক ব্যবস্থা প্রভৃতি রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্প বিকাশ লাভ করেছে, যা অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
শ্রমজীবী মানুষের জীবনে অসমতা না ঘুচলেও তাদের জীবনেও কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অর্থনৈতিক উন্নতি ছাড়া কোনো দেশ ও জাতি টিকে থাকতে পারে না। দেশ থেকে বেকারত্ব, দারিদ্র্য দূর করতে পারলে দেশের জনগণও উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে। এই অধ্যায়ের পাঠগুলোতে আমরা সেই বিষয়ে জানতে পারব।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
কোনো সমাজ বা জনগোষ্ঠী সাধারণত যে ধরনের অর্থনৈতিক কাজ করে জীবনধারণ করে তাকেই ঐ সমাজ বা জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক জীবনধারা বলে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। জমিতে চাষ করে তারা শস্য উৎপাদন করে। তা দিয়ে নিজেদের খাদ্যের চাহিদা মেটায়।
উৎপাদিত ফসলের একটা অংশ তারা বাজারে বিক্রি করে সেই অর্থে সংসারের অন্যান্য প্রয়োজন মেটায়। বাড়তি শস্য উৎপাদন করে তারা দেশবাসীর খাদ্যের জোগান দেয়। এভাবে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। একইভাবে শহরাঞ্চলের শ্রমিক, শিল্পপতি, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক জীবনধারাও শিল্প কিংবা ব্যবসাকেন্দ্রিক।
বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামের অধিকাংশ লোক কৃষিজীবী। কৃষিই তাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন। এমনকি যাদের নিজস্ব জমি নেই তারাও অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অর্থাৎ দেশের কয়েক কোটি মানুষ তাদের জীবিকার জন্য সরাসরি কৃষির উপর নির্ভরশীল। সে কারণে বাংলাদেশকে কৃষিনির্ভর দেশ বলা হয়।
কৃষিকাজ ছাড়াও গ্রামের মানুষের একটা অংশ জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার, ছুতার, মুদি হিসেবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিছু কিছু লোক গ্রামের হাট-বাজার বা কাছাকাছি শহরে-গঞ্জে ছোটোখাটো ব্যবসা করে। এদের সবাইকে নিয়েই বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রয়েছে।
বর্তমানে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং সার, কীটনাশক ও উচ্চফলনশীল বীজের প্রয়োগ হচ্ছে। এর ফলে ফসলের উৎপাদনই শুধু বাড়েনি, গ্রামীণ অর্থনীতির জন্যও তা নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। সাথে তৈরি করেছে পরিবেশ ঝুঁকি, গ্রামের মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক জীবনযাত্রার উপর এর প্রভাব পড়েছে।
গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্ব
আমাদের দেশের মোট খাদ্য চাহিদার বড়ো অংশ আসে কৃষি থেকে। আর গ্রামের মানুষই এর উৎপাদক। দেশে শিল্পের কাঁচামালের অন্যতম উৎসও হচ্ছে গ্রামীণ কৃষিখাত। অর্থাৎ দেশের শিল্প-বাণিজ্য ও জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়টি অনেকাংশে গ্রামীণ অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল। এভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি এখনও আমাদের জাতীয় অর্থনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশের শহুরে অর্থনীতি | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ত্রিশ শতাংশ শহরাঞ্চলে বাস করে। রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জ ও খুলনায় বাস করে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
এসব শহর ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে বসবাসকারী মানুষ সাধারণত অফিস-আদালত ও শিল্প-কারখানায় চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, যানবাহন চালনা, নানা ধরনের দিনমজুরি ও বাসাবাড়িতে সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
শহুরে জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা ধনী তারা নগরীর অভিজাত এলাকায় বাস করে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজস্ব বা ভাড়া বাসায় থাকে। এছাড়া বিশালসংখ্যক মানুষ বস্তি এলাকায় বাস করে। বড় বড় শহরগুলোতে ভাসমান মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
তারা অস্থায়ীভাবে ফুটপাত, পার্ক, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ইত্যাদিতে রাত কাটায়। বেঁচে থাকার জন্য তাদেরকেও কোনো না কোনো জীবিকা অবলম্বন করতে হয়। শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমিক, দিনমজুর, বস্তিবাসী সবাই মিলেই শহরের অর্থনৈতিক জীবনকে সচল রাখে।
শহুরে অর্থনীতির গুরুত্ব
শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে আজ বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের মানুষের জীবনধারার পার্থক্য কিছুটা কমে আসছে। বাড়ছে গ্রাম ও শহরের একে অপরের উপর নির্ভরশীলতা। লেখাপড়া, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, ইত্যাদির জন্য গ্রামের মানুষ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি শহরের উপর নির্ভরশীল।
নগর জীবনের বিস্তার, শিল্পায়ন ও কাজের খোঁজে গ্রাম থেকে প্রতিদিন বহুলোক শহরে আসে। তাছাড়া উঠতি বড়লোকরা সবাই শহরেই থাকে ফলে মোট উৎপাদনে শহরে অর্থনীতির ভূমিকা অনেক। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে শহুরে জনগণের ভূমিকা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির খাতসমূহ | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
পৃথিবীর অনেক দেশের মতো আমাদের অর্থনীতিরও প্রধান খাতগুলো হলো কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবাখাত। তবে এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ একটা বড়ো ভূমিকা রাখে।
কৃষি: প্রাচীনকাল থেকেই এদেশের অর্থনীতিতে কৃষি মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানেও। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ জীবিকার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। ধান, পাট, চা, ডাল, রবিশস্য, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন। বনজ সম্পদ, পশুপালন ও মৎস্যচাষকে কৃষিখাতের মধ্যে ধরা হয়। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান প্রায় ২০ শতাংশ।
শিল্প: কারখানায় উৎপাদিত সামগ্রী, বিদ্যুৎ, গ্যাস, খনিজসম্পদ, দালানকোঠা বা অবকাঠামো নির্মাণ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য শিল্পসামগ্রী হলো পাট ও চামড়াজাত দ্রব্য, সুতা ও কাপড়। এছাড়া রয়েছে কাগজের কল, তৈরি পোশাক শিল্প, আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, চিনি কল ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাতকৃত খাদ্যশিল্প, পেট্রোল ও রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন শিল্প, ঔষধ শিল্প ইত্যাদি।
ব্যবসা-বাণিজ্য: অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যও আমাদের অর্থনীতির একটি প্রধান খাত। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলতে দেশের ভিতরে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে জিনিসপত্র কেনাবেচাকে বোঝায়। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এই অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমরা যেমন কিছু পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করি, তেমনি যেসব পণ্য আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় তার একটি অংশ বিদেশে রপ্তানিও করি। এভাবে রপ্তানিকৃত পণ্য থেকে অর্জিত। বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে।
সেবাখাত: যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে সেবাখাত একটি বড়ো ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পরিবহন বা যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যাংক-বিমা, জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এগুলো হলো সেবাখাতের উদাহরণ। সরকারি ও বেসরকারি উভয় উদ্যোগেই এই খাতটি পরিচালিত হয়। যে দেশ যত উন্নত এবং জনগণের কল্যাণকে যত বেশি গুরুত্ব দেয়, সেখানে এই সেবাখাতটি ততই শক্তিশালী।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ বিরাট ভূমিকা রাখে। তবে তাদের জন্য সরকারী সুযোগ-সুবিধা ততটা না থাকলেও তারা দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। আধুনিক রাষ্ট্রে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা ও সেবা এই খাতগুলোর কোনোটির গুরুত্ব অ অন্যটির চেয়ে চেয়ে কম নয়।
কৃষিখাত দেশের মানুষের খাদ্য-চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি শিল্পের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করে। শিল্পখাত খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ, আবাসন প্রভৃতির চাহিদা মেটানো ছাড়াও নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্যবসা খাত অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য-সামন্ত্রীকে সহজলভ্য করার পাশাপাশি বিদেশ থেকে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে। সেবাখাত দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নতির জন্য কাজ করে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। স্বাধীনতার পর অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট উন্নতি করেছি। কিন্তু পথিবীর অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেরও উন্নয়নের পথে কতগুলো বাধা বা সমস্যা রয়েছে। যেমন- সুশাসন ও গণতন্ত্রের অভাব, দুর্নীতি, দারিদ্রদ্র্য ও শিক্ষার অভাব।
অন্যদিকে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের চমৎকার সম্ভাবনাও আছে। যার মধ্যে প্রধান হলো আমাদের বিরাট জনশক্তি ও উর্বর ভূমি। আমাদের সমস্যাগুলোকে ঠিকভাবে চিনে তা সমাধান করতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।
আমরা অনেক ভাগ্যবান যে আমাদের মাটি, পানি ও বিরাট জনশক্তি উন্নয়নের পথে একটি বড়ো সহায়। আমাদের দেশের মানুষ পরিশ্রমী। আমাদের দেশের প্রবাসী শ্রমিকেরা বিদেশের মাটিতে তার প্রমাণ দিচ্ছে। গার্মেন্টস বা পোশাক-শিল্পে বাংলাদেশ যে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে তাও উন্নয়নের পথে আমাদের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে তুলে ধরছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে তার জন্য দরকার শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। বিশাল জনসংখ্যার দেশ আমাদের বাংলাদেশ। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের শিক্ষার হার কম। শিক্ষায় সরকারের বরাদ্দও অপ্রতুল। শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের অনেক মানুষ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম।
দেশের মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে আমরা তাদের জীবনমান বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নয়নের ব্যাপারে আগ্রহী ও সচেতন করে তুলতে পারি। সেই সঙ্গে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের বিরাট জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারি।
কৃষির উন্নতি
গ্রামপ্রধান বাংলাদেশে কৃষি এখনও উন্নয়নের প্রধান খাত। আধুনিক যন্ত্রপাতি, বীজ, সার ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার, প্রাকৃতিক কৃষি এবং সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের দ্বারা আমরা আমাদের কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়াতে পারি। এতে আমাদের গ্রামের মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে, পরিবেশ দূষণ কমবে ও গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার
গ্যাস, তেল প্রভৃতি যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ এখনও অব্যবহৃত রয়েছে সেগুলো মধ্যে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বিকল্পভাবে সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। কয়লা উত্তোলন করে বায়ু ও সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শিল্প না টেকসই উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে যা আগামীর জন্য দরকারী।
বাংলাদেশের অর্থনীতি অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন
১. আশরাফ আলী তার কারখানায় পশুর চামড়া দিয়ে ব্যাগ তৈরি করেন। প্রথম বছরে ইংল্যান্ডে তার তৈরি ব্যাগ স্বল্প পরিমাণে বিক্রি হলেও তিন বছর শেষে ইউরোপের কয়েকটি দেশে তার পণ্যের ব্যাপক চাহিদা পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে তার স্ত্রী মিসেস জমিলা প্রতিদিন বাড়ির আঙ্গিনার হাঁস ও মুরগির খামার থেকে প্রায় শতাধিক ডিম বাজারে বিক্রি করেন। দুজনের যৌথ প্রচেষ্টায় তাদের সুখের সংসার।
ক. বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কত অংশ শহরাঞ্চলে বাস করে?
খ. বাংলাদেশকে কৃষিপ্রধান দেশ বলা হয় কেন?
গ. মিসেস জমিলার কাজটি অর্থনীতির কোন খাতের বৈশিষ্ট্যের সাথে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আশরাফ আলী ও মিসেস জমিলার কাজের মধ্যে কোনটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক সহায়ক বলে তুমি মনে কর? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
২. মধ্যবিত্ত লোকমান সাহেবের চার ছেলের সবাই বেকার। বড়ো ছেলে আরমানকে ধার দেনা করে সৌদি আরব পাঠানোর পর সে একটি খেজুর বাগানে কাজ পেল। সেখানে মরুভূমির অনুর্বর জমিতে মেধা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ দেখে সে অনুপ্রাণিত হয়।
নিজ দেশের অনুন্নত কৃষির কথা চিন্তা করে পরের বছরই সে দেশে ফিরে এসে তিন ভাইকে নিয়ে খামার করার সিদ্ধান্ত নেয়। বেকার তিন ভাইকে হর্টিকালচার সেন্টার থেকে কৃষি উৎপাদন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ দিয়ে চার ভাই একত্রে একটি খামার তৈরি করে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
ক. আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান কত শতাংশ?
খ. সেবাখাত বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. জনাব আরমান সৌদি আরব থেকে ফিরে কোন অর্থনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ “জনাব লোকমানের বেকার চার পুত্রই এখন মানবসম্পদ” মূল্যায়ন কর।
◉ আরও দেখুন: ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি আলোচনা করা হয়েছে। এই বইয়ের যে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো রয়েছে, তার উত্তরও তোমরা কোর্সটিকায় পেয়ে যাবে। সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপরের ‘সৃজনশীল সমাধান’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post