ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫ম অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক : মানুষ অনেক আগে জন্ম নিলেও প্রাচীন পৃথিবীতে কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না। ছিল না কোনো নাগরিকত্বের ধারণা।
সময়ের পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার বছর আগে নদী ও সমুদ্রের তীরে প্রাচীন কিছু নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠে। নগররাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে প্রাচীনকালে রাষ্ট্রের ধারণার উৎপত্তি ঘটেছে। ধীরে ধীরে আধুনিক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় আট শ’কোটি।
এ বিপুল জনসংখ্যার সবাই কোনো না কোনো রাষ্ট্রের অধিবাসী বা নাগরিক। যেমন, আমরা সবাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অধিবাসী এবং নাগরিক। রাষ্ট্র বলতে কী বোঝায়, কীভাবে একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়, নাগরিক বলতে কী বোঝায়, কীভাবে একটি দেশের নাগরিকত্ব লাভ করা যায়-এ অধ্যায় পাঠে এ সম্পর্কে আমরা জানব।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫ম অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
রাষ্ট্র হলো এমন একটি সংগঠন যার একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, জনসমষ্টি, সরকার ૬ সার্বভৌম ক্ষমতা আছে। তাহলে বলা যায়, রাষ্ট্র গঠনে চারটি উপাদান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- জনসমষ্টি, ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। যে কোনো একটি উপাদানের অভাবে রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না।
১. জনসমষ্টি: রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান হলো জনসমষ্টি। জনগণ হলো রাষ্ট্রের প্রাণ। জনসমষ্টি ছাড়া রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না। তবে রাষ্ট্রের জনসংখ্যা কত হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। রাষ্ট্রের জনসংখ্যা কমও হতে পারে আবার বেশিও হতে পারে। যেমন- চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৭ লক্ষ ১০ হাজার। অন্যদিকে সান ম্যারিনা নামের একটি ছোটো দেশের জনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৮শত ৬০ মাত্র।
২. ভূখণ্ড: রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান হলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ড। ভূখণ্ড বলতে জল, স্থল ও তার উপরিস্থিত আকাশসীমাকে বোঝায়। তবে ভূখণ্ডের আয়তন কতটুকু হবে তার কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। অর্থাৎ একটি রাষ্ট্রের ভূখণ্ড আয়তনে অনেক বড়ো হতে পারে।
আবার অনেক ছোটোও হতে পারে। যেমন- ভারতের আয়তন প্রায় ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিলোমিটার। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ও ভ্যাটিকান সিটির আয়তন যথাক্রমে প্রায় ৬৯৩ বর্গকিলোমিটার ও ০.১৮ বর্গকিলোমিটার। সিঙ্গাপুর ও ভ্যাটিকান নগরকেন্দ্রিক রাষ্ট্র।
৩. সরকার: রাষ্ট্র গঠনের আরেকটি অন্যতম উপাদান হলো সরকার। সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল কাজ পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকার আইন প্রণয়ন করে এবং আইন অনুযায়ী জনগণকে পরিচালনা করে। জনগণ সরকারের সকল বৈধ আদেশ মেনে চলে এবং সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।
৪. সার্বভৌমত্ব: রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সার্বভৌমত্ব। এ ক্ষমতাবলে রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরে যে কাউকে যেকোনো নির্দেশ দিতে পারে। তাকে সে আদেশ পালনে বাধ্য করতে পারে। সার্বভৌমত্বের কারণে রাষ্ট্র অন্য কোনো দেশ বা শক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকে।
রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একটি রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব উপাদান দরকার তার সবগুলোই বাংলাদেশের রয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উপাদানগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আমরা জেনে নিই।
জনগোষ্ঠী: বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল। এর সংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৯শ ১১ জন (২০২২ এর আদমশুমারি অনুযায়ী)। বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ শিশু। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল রাষ্ট্র।
ভূখণ্ড: বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে আমরা এ ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছি। উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভারত ও মিয়ানমার, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিস্তৃত। অসংখ্য নদ-নদী, হাওর-বিল, পাহাড়-পর্বত, বনভূমি ও বিস্তৃত সমভূমি নিয়ে এ ভূখণ্ড গঠিত। এর আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
সরকার: বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত। এর নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’। এটি একটি গণতান্ত্রিক সরকার। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত। সরকারের সকল নিয়ম-কানুন ও আদেশ-নিষেধ জনগণ মেনে চলে।
সার্বভৌমত্ব: বাংলাদেশ রাষ্ট্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। এ ক্ষমতাবলে রাষ্ট্র দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ ও অন্য দেশের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত থেকে দেশ শাসন করে। এ কারণেই অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
উপরের আলোচনায় আমরা জেনেছি, রাষ্ট্রের সব বৈশিষ্ট্যই বাংলাদেশের রয়েছে। এর রয়েছে বিশাল জনসংখ্যা, সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ড, গণতান্ত্রিক সরকার ও সার্বভৌম ক্ষমতা।
নাগরিক ও নাগরিকত্বের ধারণা | ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫ম অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অধিবাসীকে বলা হয় নাগরিক। পূর্বে নগরে বসবাসকারীকে নাগরিক বলা হতো। তখন ছোটো ছোটো নগরকে কেন্দ্র করে গঠিত হতো রাষ্ট্র। এ নগররাষ্ট্রের অধিবাসীরাই নাগরিক বলে গণ্য হতেন
কিন্তু বর্তমানে নাগরিক ও নাগরিকত্বের ধারণাও বদলে গেছে। এখন রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে যে কোনো ব্যক্তিই নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। নাগরিক রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হবে, রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে, রাষ্ট্রের কল্যাণ চিন্তা করবে এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করবে।
অর্থাৎ, রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের একদিকে যেমন রয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার অন্যদিকে তেমনি রয়েছে রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
একজন নাগরিক রাষ্ট্রের পরিচয়েই নাগরিকত্ব পায়। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের নাগরিকত্বের পরিচয় বাংলাদেশি। আমাদের রাষ্ট্র বাংলাদেশ। তাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক।
নাগরিক ও বিদেশি
একটি রাষ্ট্রে নিজ দেশের অধিবাসী ছাড়া ভিন্ন দেশের অনেক লোকও বাস করে। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি ইত্যাদি নানা কারণে তারা অবস্থান করে। এরা বিদেশি হিসেবে পরিচিত। তবে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করে না। বিদেশিরা যে রাষ্ট্রে বসবাস করে সে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে না।
কেবল বসবাসকারী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সামাজিক অধিকার ভোগ করে, কিন্তু তারা বিদেশে বসবাসকারী দেশের সরকারের কিংবা রাষ্ট্রের কোনো রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। তাই বিদেশিরা রাষ্ট্রের নাগরিক নয়।
নাগরিকত্ব লাভের নিয়ম
নাগরিকত্ব হলো রাষ্ট্রের অধিবাসী বা ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়। রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে ব্যক্তি এ পরিচয় লাভ করে। নাগরিকত্ব লাভের দুটি প্রধান উপায় হলো:
১. জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভ
২. অনুমোদনসূত্রে নাগরিকত্ব লাভ
যারা জন্মসূত্রে রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করে তারা জন্মসূত্রে নাগরিক। আর যারা আবেদনের মাধ্যমে কোনো দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে তারা অনুমোদনসূত্রে নাগরিক। তবে অনুমোদনসূত্রে যারা নাগরিকত্ব লাভ করে তাদেরকে রাষ্ট্রের আরোপিত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে দুটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো:
১. জন্মসূত্র নীতি ও
২. জন্মস্থান নীতি
জন্মসূত্র নীতি
এ নীতি অনুযায়ী মা-বাবা যে রাষ্ট্রের নাগরিক, সন্তান সে রাষ্ট্রের নাগরিক হবে। কোনো মা-বাবার সন্তান বিদেশে জন্মগ্রহণ করলেও সে সন্তান মা-বাবার দেশের নাগরিক হবে। পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশ এ নীতি অনুসরণ করে থাকে।
এ নীতি অনুযায়ী, কোনো জাপানি বা ফরাসি মা-বাবার সন্তান বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করলেও তারা জাপান বা ফ্রান্সের নাগরিক হবে। এভাবে বাংলাদেশি বা ভারতীয় কোনো মা-বাবার সন্তান ঐসব দেশে জন্মগ্রহণ করলে তারা বাংলাদেশ বা ভারতের নাগরিক হবে। বাংলাদেশ, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি প্রভৃতি রাষ্ট্র এ নীতি মেনে চলে।
জন্মস্থান নীতি
এ নীতি অনুযায়ী, মা-বাবা যে দেশেরই হোক না কেন সন্তান যে দেশে জন্মগ্রহণ করবে সন্তান সে দেশের নাগরিক হবে। এ নীতি জন্মস্থানের উপর নির্ভর করে।
আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করলে সে আমেরিকার নাগরিক হবে এবং সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করবে। শুধু তা-ই নয়, এ নীতি অনুসরণকারী দেশের জাহাজ বা দুতাবাসে কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করলেও সে সেই দেশের নাগরিক হবে। তবে বিশ্বের খুব কম সংখ্যক রাষ্ট্র এ নীতি অনুসরণ করে। যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। এখন এক রাষ্ট্রের নাগরিক সহজেই অন্য একটি বা একাধিক রাষ্ট্রের নাগরিক হচ্ছে। অনুমোদনসূত্রে নাগরিকত্ব লাভ করার ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও নানা কারণে এক দেশের নাগরিককে অন্য দেশে বসবাস করতে হয়।
এরূপ বসবাসকারী ব্যক্তির ঐ দেশের নাগরিকত্বের প্রয়োজন হয়। তখন রাষ্ট্রের কাছে ঐ ব্যক্তি আবেদন করে। আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্র শর্তসাপেক্ষে স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করে। নাগরিকত্ব লাভের পর ঐ ব্যক্তি সে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে। অনুমোদনসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের কিছু শর্ত আছে। কোনো ব্যক্তি অনুমোদনসূত্রে কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করবে যদি সে-
১. ঐ রাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে বিয়ে করে,
২. ঐ রাষ্ট্রের সম্পত্তি ক্রয় করে,
৩. ঐ রাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে,
৪. ঐ রাষ্ট্রে চাকরিরত থাকে,
৫. ঐ রাষ্ট্রের ভাষা জানে,
৬. ঐ রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে চাকরি গ্রহণ করে,
৭. ভালো চরিত্রের অধিকারী হয়,
৮. উন্নততর দক্ষতার অধিকারী হয়,
৯. রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন
১. জাকির সাহেব ও আফরিন দম্পতি ঢাকরি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছরের অধিক সময় ধরে। বসবাস করছেন। সেখানে তাদের ছেলে স্বননের জন্ম হয়। তারা সেখানে নিজেদের আয় থেকে একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান জন্য করেন। সরকারকে নিয়মিত আয়কর দেন। দেশের আইনকানুন মেনে চলেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি তহবিল পরিচালনা করেন। এই দম্পতি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ক. নাগরিক কিসের পরিচয়ে নাগরিকত্ব লাভ করে?
খ. রাষ্ট্রে বসবাসকারী সকলেই নাগরিক নয় কেন?
গ. জাকির সাহেবের নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
খ. জাকির সাহেব ও স্বননের নাগরিকতার পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
২. বাংলাদেশের অধিবাসী সজীব সিঙ্গাপুরে মেরিন সার্ভিসে কর্মরত অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান মেয়েকে তিন বছর হয় বিয়ে করেছেন। সিঙ্গাপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকার একটি জাহাজে করে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পূর্বেই জাহাজে তাদের মেয়ে মারিয়ার জন্ম হয়। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসা সজীবের ছোটো ভাই সাগর গত নির্বাচনে সেখানে। ভোট দিতে পারেনি।
ক. বাংলাদেশের প্রথম সরকার কখন গঠিত হয়?
খ. দ্বৈত-নাগরিকত্ব বলতে কী বোঝায়?
গ. মারিয়া কোন দেশের নাগরিকত্ব লাভ করবে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সজীব বা সাগরের নাগরিক অধিকার ভিন্ন’- উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
◉ আরও দেখুন: ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫ম অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক আলোচনা করা হয়েছে। এই বইয়ের যে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো রয়েছে, তার উত্তরও তোমরা কোর্সটিকায় পেয়ে যাবে। সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপরের ‘সৃজনশীল সমাধান’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post