সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য : বিভিন্ন নৃগোষ্ঠির সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে বলে বাংলার জনমানুষের আকারে, অবয়বে, চেহারায় যেমন বৈচিত্র্য তেমনি নানা ভাষাজাতির সহাবস্থানের কারণে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেও বৈচিত্র্য দেখা যায়।
তবে গ্রাম ও কৃষিপ্রধান এই দেশে গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপাদানই বেশি চোখে পড়ে। প্রচুর নদী ও জলাভূমি এ দেশকে জালের মতো ঘিরে আছে বলে এদেশের মানুষের সংস্কৃতি নদীকেন্দ্রিক ও ঋতু বৈচিত্র্যের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। এ দেশের মানুষের সংস্কৃতি বুঝতে তার এই বৈচিত্র্যময় পটভূমি লক্ষ রাখা দরকার।
সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
মানুষের ব্যক্তি ও সমাজজীবনে ধর্ম খুবই বড়ো ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে আবহমানকাল থেকে বাস করে নানা ধর্মের মানুষ। মানুষের সামাজিক আচার-আচরণে তাই ধর্মের প্রভাব লক্ষণীয়।
ইসলাম এদেশে আসে সুফিসাধকদের মাধ্যমে। মধ্যযুগে তুরস্ক, ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়া থেকে আগত মানুষের মাধ্যমে বাংলায় মুসলিম সমাজের প্রসার ঘটেছে। দীর্ঘকালের পরিক্রমায় এদেশে বিশাল এক মুসলিম জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। মুসলমানদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি।
তাদের রয়েছে দুটি ঈদ উৎসব-ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহা। তবে প্রাচীন কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী মানুষেরা এদেশে পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করে আসছে। বাংলার সংস্কৃতিতে পুঁথিপাঠ, বাউল মুর্শিদি গানসহ বিভিন্ন লোকগানে আর নকশিকাঁথাসহ অধিকাংশ লোকশিল্পে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অবদান রয়েছে।
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় আবহমানকাল থেকে নানা পূজা-পার্বণ ও দেবদেবীর ভজনা করে আসছে। হিন্দুদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা, কালীপূজা, সরস্বতী পূজা, জন্মাষ্টমী ইত্যাদি।
দেবতার প্রতিমা তৈরি ও এর সাজসজ্জা, অলংকরণ, পট নির্মাণ ইত্যাদি চারুকলার চর্চা যেমন রয়েছে তেমনি আরাধনা, আরতি মিলে ভক্তিমূলক নৃত্য, গীতের চর্চাও প্রচলিত রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাহাড়ের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর তেমন রয়েছে পানি উৎসব বা অন্যান্য পূজার আয়োজন আর তাদের বড়ো উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা।
বাংলাদেশে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টধর্মের লোকও রয়েছে। বৌদ্ধরা গৌতম বুদ্ধের অনুসারী। তাঁরা বুদ্ধ পূর্ণিমায় উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নিজেদের নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পার্বণ উদযাপন করে থাকে।
বড়দিন বা যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিনে অবশ্য বড়ো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও আমন্ত্রিত হয়। দেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষের আছে নানা ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। নববর্ষে, বসন্তে, বিয়েতে আনন্দময় উৎসবের আয়োজন করে তারা।
ধর্মীয় রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান পালনে পার্থক্য থাকলেও সব ধর্মের মূল শিক্ষা শান্তি ও সম্প্রীতি। বাংলার সাধারণ মানুষ আজীবন সেই ধারাই অনুসরণ করে আসছে।
ভাষা বিচারে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বললেও কিছু সংখ্যক অধিবাসী আছেন যাদের মাতৃভাষা বাংলা নয়। যেমন- চাকমা, মারমা, গারো, খাসিয়া, মণিপুরি, সাঁওতাল ইত্যাদি। এভাবে ভাষার দিক থেকেও এদেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেখা যায়।
এদেশের মানুষের প্রধান ভাষা বাংলা হলেও এই ভাষার মধ্যে দিনে দিনে অনেক ভাষার মিশ্রণ ঘটেছে। হাজার বছর ধরে নানা জাতির মানুষ এসেছে বাংলাদেশে। তাদের ভাষার প্রভাব পড়েছে বাংলা ভাষায়। তাই বাংলা ভাষায় খোঁজ করলে পাওয়া যায় অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, সংস্কৃত, পালি, আরবি, ফার্সি, পর্তুগিজসহ অনেক বিদেশি ভাষার মিশ্রণ।
সম্প্রদায় বিচারে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
ধর্ম এবং ভাষার মতো সম্প্রদায়ের দিক থেকেও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেখা যায় বাংলাদেশে। এদেশের ধর্ম সম্প্রদায়গুলো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রত্যেকের আলাদা সামাজিক জীবনযাপন পদ্ধতি আছে। সামাজিক আচার অনুষ্ঠান ও প্রথা পালনে এক এক সম্প্রদায়ের এক এক ধরনের রীতি রয়েছে।
সম্প্রদায়সমূহের প্রত্যেকের মধ্যে খাওয়া দাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ, বিয়ের অনুষ্ঠান, সম্পত্তিতে অধিকার, জন্ম ও মৃতদেহ সৎকারের নিয়মকানুন পালনে রয়েছে ভিন্নতা। এদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জীবনাচরণের মধ্যে নানান সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়।
বিচিত্র সাংস্কৃতিক মিশ্রণ
বাংলাদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনসম্প্রদায়গুলোর বহুবছরের সহাবস্থানের ফলে বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের সংস্কৃ-ি তর মধ্যে আদান প্রদান মিথস্ক্রিয়া চলমান আছে। ফলে এক সংস্কৃতি আরেক সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে। এভাবে বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহাবস্থান ও মিশ্রণ ঘটতে থাকে।
এই মিশ্রণ ঘটে ভাষা, খাবার দাবার, পোশাক পরিচ্ছদ, নানা উৎসব অনুষ্ঠান, আচার ও প্রথায়। এমনি করে বিভিন্ন সংস্কৃতির সহাবস্থান ও মিশ্রণের মধ্যদিয়ে এদেশে যে সংস্কৃতি লক্ষ্য করি তাকেই একবাক্যে বলতে পারি ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি’।
বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতি | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
গ্রাম ও শহর দুটোই রয়েছে বাংলাদেশে। এক সময় বাংলাদেশকে বলা হতো একটি বড়ো গ্রাম। তখন এ দেশের অর্থনীতির প্রধান উৎস ছিল কৃষি। গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে নানা ফসল ফলাতো। কালের পরিক্রমায় এ দেশে শহর গড়ে উঠলেও তাতে গ্রামের প্রভাবই থেকে গিয়েছিল।
পরে এক পর্যায়ে পরিবর্তন আসতে থাকে। গড়ে উঠতে থাকে বড়ো বড়ো শহর। জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। শিল্পায়নের ফলে তৈরি হয় নানা শিল্প প্রতিষ্ঠান। উৎপাদন হতে থাকে হরেক রকম পণ্য সামগ্রী। শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে এসে অনেকে শহরে বসবাস শুরু করে।
শহরকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যবসা বাণিজ্য। চাকরির সুবাদে গ্রাম থেকে শহরে আসে অনেকে। এভাবে গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরে বাস করা মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটা আলাদা হয়ে যায়। তবে একে অপরের সংস্কৃতি থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি
মানুষ যা করে, যা ভাবে, যা কিছু সে ব্যবহার করে এমন সকল কিছুই তার সংস্কৃতি। কাজেই গ্রামের মানুষ যে নানা ধরনের পেশার সাথে যুক্ত থাকে, ফলে সে যে আচরণ করে, যা সৃষ্টি করে বা যে ভূমিকা রাখে তার একত্রিত রূপই গ্রামীণ সংস্কৃতি।
যে সব পেশাজীবী গ্রামে বাস করে তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে কৃষক, জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার, মাঝি, দর্জি, কবিরাজ, ডাক্তার, ওঝা, বৈদ্য, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত প্রভৃতি। এদের সবার সংস্কৃতিই গ্রামীণ সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের সংস্কৃতিকে আমরা দুইভাগে বিশ্লেষণ করতে পারি। ক. সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনভিত্তিক এবং খ. উৎসব ও বিনোদনভিত্তিক।
সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনভিত্তিক | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
গ্রামীণ জীবন প্রধানত কৃষির সাথে জড়িত। কোনো কোনো মানুষের নিজের জমি আছে। জমির উৎপাদিত ফসলে তারা জীবন নির্বাহ করে। আবার যাদের জমি নেই তারা অন্যের জমিতে কাজ করে জীবনযাপন করে। তাদের জীবন কৃষির সাথে জড়িয়ে আছে। আগে কৃষক লাঙল গরু দিয়ে জমি চাষ করত।
নিজে জমিতে সেচ দিত। এখন লাঙল গরুর পাশাপাশি অনেক জায়গায় ট্রাক্টর বা কলের লাঙল দিয়ে কৃষক জমি চাষ করছে। জল সেচ করছে শ্যালো বা ডিপ মেশিন দিয়ে। এসব করতে গিয়ে শহুরে জীবনের সাথে তাদের অনেকের যোগাযোগ হচ্ছে। ধীরে ধীরে গ্রামে শহুরে সংস্কৃতির প্রভাব পড়ছে।
‘মাছ ভাতে বাঙালি’ কথাটা কিছুকাল আগেও গ্রামের মানুষের জন্য প্রযোজ্য ছিল। কৃষকের গোলায় থাকত ধান। শ্রমের বিনিময়ে মজুরেরাও তার ভাগ পেতো। নদী নালা খাল বিলে থাকত প্রচুর মাছ। জাল ফেলে মাছ সংগ্রহ করা যেত। এখন অনেক নদী নালা ভরাট হয়ে গেছে।
জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করায় এসবের নির্যাস পানিতে পড়ছে। এর প্রভাবে ছোটো ছোটো মাছ আর মাছের ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আগের মতো গ্রামে মাছ সহজলভ্য নয়। তবুও গ্রামের মানুষ সাধ্যমতো মাছ, ভাত, শাকসবজি, ডাল ইত্যাদি খায়। নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। গ্রামের অনেকে শাকসবজি ফলিয়ে নিজেদের খাবারের চাহিদা মিটিয়েও বিক্রি করে থাকে।
একসময় গ্রামের মানুষ সাধারণ পোশাক পরতেন। পুরুষেরা লুঙ্গি পরে খালি গায়ে অথবা গেঞ্জি বা ফতুয়া পরে কৃষিকাজ করতেন। কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে তারা পাজামা পাঞ্জাবি বা জামা পরতেন। মেয়েরা সাধারণত সুতির শাড়ি পরত। এখন কিছুটা শহুরে প্রভাব পড়েছে। কিশোর তরুণ ছেলেরা লুঙ্গি-শার্টের পাশাপাশি প্যান্ট শার্ট পরছে। মেয়েরা ফ্রক, সালোয়ার কামিজ আর শাড়ি পরছে।
আগে অঞ্চল ভেদে গ্রামের মানুষ মাটির ঘর, বাঁশ, কাঠ ও ছনের ছাউনি দেওয়া ঘরে বসবাস করত। এখন এসব ঘরের পাশাপাশি টিনের দোচালা, চৌচালা ঘর এবং ইটের দালানও তৈরি হচ্ছে।
গ্রামের মানুষ এক সময় পায়ে হেঁটেই চলাফেরা করত। কোনো কোনো অঞ্চলে গরুর গাড়ির ব্যবহার ছিল। বর্ষায় যাতায়াতের বাহন ছিল নৌকা। এখন রাস্তাঘাটের উন্নতি হওয়ায় রিক্সা ও মোটর গাড়িতে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বৈঠা বাওয়া নৌকার বদলে এখন অনেক ক্ষেত্রে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগ মুসলমান। এরপরেই হিন্দু ধর্মের মানুষের অবস্থান। সংখ্যায় কম হলেও এদেশে বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। গ্রামীণ জীবনে সকলেই শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করে থাকে।
উৎসব ও বিনোদনভিত্তিক
গ্রামের মানুষ যুগ যুগ ধরে নানা ধরনের আনন্দ উৎসব উদ্যাপন করে থাকে। এর কোনোটি সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে করে আবার কোনোটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব।
বৈশাখী মেলা, নবান্ন উৎসব, ব্যবসায়ীদের হালখাতা উৎসব, নৌকাবাইচ, বিয়ে অনুষ্ঠান প্রভৃতি সকল ধর্মের মানুষ একসাথে উদযাপন করে থাকে। আগে গ্রামে বিনোদনের উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে রাতভর যাত্রা, পালাগান, কবিগানের আসর বসতো। এখন এসব হারিয়ে না গেলেও পরিবেশনা অনেক কমে গেছে।
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহা। এছাড়া শবেবরাত, ঈদ-এ-মিলাদুননবী এবং ওয়াজ মাহফিলেও কিছুটা উৎসবের আমে থাকে।
হিন্দু ধর্মের মানুষ নানা পূজা উৎসব উদযাপন করে। যেমন- দুর্গা পূজা, লক্ষ্মী পূজা, কালী পূজা, সরস্বতী পূজা, দোল পূর্ণিমা, রাস ও রথযাত্রা উৎসব ইত্যাদি। পূজা ছাড়াও আরও অনেক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থাকে হিন্দু সমাজে।
বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ বুদ্ধপূর্ণিমাসহ নানা ধর্মীয় উৎসব পালন করে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও ক্রিসমাস ডে বা বড়দিনসহ আরো অনেক ধর্মীয় উৎসব পালন করে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন
১. বাংলা প্রথম মাসের প্রথম দিন। ফারিবা, রাইসা, রূপন্তি, প্রিয়তি সকলে মিলে ঠিক করে তারা রমনা বটমূলে যাবে। সকলে লাল-সাদা রঙের শাড়ি পরবে। সেখানে মেলায় গান ও কবিতা শুনবে। প্রতি বছরই এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তারা মুখোশ পরে, গান গায়, অনেকে আবার মুখে বিভিন্ন ছবি আঁকে। সারাদিন আনন্দ উচ্ছ্বাসে কাটায়।
ক. বাংলা প্রথম মাসের নাম কী?
খ. বাংলাদেশের কৃষি প্রধানত কীসের উপর নির্ভরশীল? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বাংলার কোন মেলার কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিকাশে উদ্দীপকের বর্ণিত মেলার ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
২. শান্তা ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি ভিন্ন নৃগোষ্ঠী পরিবারের সন্তান। অন্তরা শান্তার সাথে ময়মনসিংহে তার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে দেখলো শান্তার বাবা শান্তার মায়ের বাড়িতে বসবাস করে। শান্তা অন্তরাকে জানাল যে সে পরিবারের ছোটো কন্যা হওয়াতে বিয়ের পরও এ বাড়িতে থাকবে এবং সমুদয় সম্পত্তির মালিক হবে।
শান্তারা এক সময় গাছপালা, সমুদ্র, পাহাড় ইত্যাদির পূজা করত। এখন তারা টিভি দেখে। তাদের এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। তাদের নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা এখন ব্যাপকভাবে লেখাপড়া শিখছে ফলে তাদের খাওয়া-দাওয়া পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদিরও পরিবর্তন এসেছে।
ক. ‘গোপী নাচ’ কোন নৃগোষ্ঠীর উৎসব?
খ. ‘বৈসাবি’ বলতে কী বোঝায়?
গ. শান্তা কোন নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “শাস্তার মতো অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে” বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
◉ আরও দেখুন: সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আলোচনা করা হয়েছে। এই বইয়ের যে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো রয়েছে, তার উত্তরও তোমরা কোর্সটিকায় পেয়ে যাবে। সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপরের ‘সৃজনশীল সমাধান’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post