সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি : বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। আর কৃষিই তাদের জীবিকার প্রধান উৎস।
তবে শহরাঞ্চলের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ও বাণিজ্যের ভূমিকাও আমাদের অর্থনীতিতে ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একটি আধুনিক রাষ্ট্রে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো খাতের গুরুত্ব অন্য খাত থেকে কম নয়।
দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সবল ও গতিশীল করে তুলতে হবে। তার জন্য কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সকলক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতে হবে। বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে এর কোনো বিকল্প নেই।
সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
অর্থনৈতিক মূল্য রয়েছে এমন যে-কোনো কাজ, সেবা বা বিনিময়কে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলা হয়। আর যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যেসব কাজের জন্য পূর্ব মজুরি নির্ধারিত নয়, করের আওতায় আনাও কঠিন এবং যেসব অর্থনৈতিক কার্যক্রম সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নয়, সংক্ষেপে অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম বলতে সেগুলোকেই বোঝায়। যেমন: নিজের জমি, দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ, গৃহস্থালি কর্ম, হকারি, দিনমজুরি প্রভৃতি।
অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের বেশির ভাগ অর্থনৈতিক কার্যক্রম এই অনানুষ্ঠানিক খাতের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। অতীতকাল থেকে চলে আসছে বলে অনেকে এসব কাজকে অর্থনীতির প্রথাগত খাতও বলে থাকেন।
গ্রামাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যাবলী
বিশ্বের অন্য যেকোনো উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনানুষ্ঠানিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গ্রামের একজন চাষি ও তার পরিবারের সদস্যরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে কাজ করেন। নিজেদের জমিতে কাজ করার জন্য তারা কোনো মজুরি পান না বা নেন না।
কিন্তু তাদের সে কাজ বা পরিশ্রমের ফলে কেবল তাদের পরিবারই নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রও উপকৃত হচ্ছে। দেশের মোট খাদ্য চাহিদার বড়ো অংশটা তারাই উৎপাদন করছে। এভাবে আমাদের কৃষকরা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কামার-কুমোরের কাজ, গ্রামের কুটির শিল্প, দোকান ও অন্যান্য ছোটখাটো ব্যবসাও অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এসব কাজও মূল্যবান ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিককালে কৃষিসহ গ্রামীণ অর্থনীতিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ করা গেলেও প্রথাগত বা অনানুষ্ঠানিক খাতটি এখনও প্রধান ভূমিকায় রয়েছে। জাতীয় অর্থনীতির দিক থেকে বিবেচনা করলেও এই খাতটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
শহরাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যাবলী | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশের শহরগুলোতে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীন সকল শ্রেণির মানুষই বাস করে। বিত্তহীনদের মধ্যে অনেকে আবার ভাসমান বা অস্থায়ী। অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বা স্থায়ী বাসাবাড়ি নেই। তারা বস্তি, ফুটপাত, পার্ক, রেলস্টেশন ইত্যাদি স্থানে বাস করে।
উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা সাধারণত আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ যেমন সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদিতে নিয়োজিত। নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীনরা ছোটোখাটো দোকান, ফুটপাতে হকারি, ফেরিওয়ালা, রিকশা বা ঠেলাগাড়ি চালক, মুটে, মিস্ত্রি, জোগালি, কিংবা বাসাবাড়ির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এগুলোকে শহর অঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ বলে গণ্য করা হয়।
অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক খাতের অবদান
গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে ও শ্রমে ধান-পাট, রবিশস্য, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন, মাছ ধরা, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন, কুটিরশিল্প, হাটবাজারে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে তাদের জীবিকার সংস্থানই করছে।
শুধু তাই নয়, তারা দেশের অর্থনৈতিক জীবনকে সচল রাখার ক্ষেত্রেও প্রধান ভূমিকা পালন করছে। একইভাবে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী স্বল্প ও মাঝারি এমন কি উচ্চ আয়ের অনেক মানুষও অনানুষ্ঠানিক খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।
এভাবে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি অনানুষ্ঠানিক খাতের উপর বেশি নির্ভরশীল। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক খাতের ভূমিকা বৃদ্ধি ও তা জোরদার হওয়ার পরও আমাদের অর্থনীতিতে প্রথাগত বা অনানুষ্ঠানিক খাতের গুরুত্ব কমেনি।
বাংলাদেশের শিল্প | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হলেও ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানে কিছু কিছু শিল্প বা কলকারখানা গড়ে উঠতে থাকে। তার মধ্যে পাট, সুতা ও কাপড়ের কলই ছিল প্রধান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ববাংলার নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজি জুট মিলস্।
পাকিস্তানি আমলে শিল্প বা কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলটি শাসকদের বৈষম্য বা বঞ্চনার শিকার হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে।
এক সময় আমাদের দেশের পাটশিল্পই ছিল প্রধান, সেই সঙ্গে ছিল চা, চিনি, সিমেন্ট, সার, চামড়া, রেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা। বর্তমানে গার্মেন্টস ও ঔষধ শিল্পেও বাংলাদেশ বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। মূলধন, উৎপাদনের পরিমাণ, কর্মী বা শ্রমিকের সংখ্যা ইত্যাদি বিচারে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
বৃহৎ শিল্প
পাট, বস্ত্র, চিনি, সিমেন্ট, সার, রেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিদ্যুৎ প্রভৃতি বৃহৎ শিল্প। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রচুর মূলধন, দক্ষ শ্রমিক ও কারিগর, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপকের প্রয়োজন হয়। এসব শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক বেশি। দেশের চাহিদা মিটিয়েও উৎপাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে এ ধরনের বৃহৎ শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছে এই শিল্পগুলো।
মাঝারি শিল্প
যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে দেড় কোটি টাকার অধিক মূলধন খাটে সেগুলোকে সাধারণত মাঝারি শিল্প বলে গণ্য করা হয়। যেমন হাল্কা ইঞ্জিনিয়ারিং, সিল্ক, সিরামিক, কোল্ডস্টোরেজ বা হিমাগার প্রভৃতি। দেশের চাহিদা পূরণ ও অনেক লোকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ ধরনের শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্ষুদ্র শিল্প
দেড় কোটি টাকার কম মূলধন খাটে যে কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে তাকে ক্ষুদ্র শিল্প ধরা হয়। চাল কল, ছোটো ছোট জুতা বা প্লাস্টিক কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প এর উদাহরণ।
কুটিরশিল্প
এই শিল্পে উৎপাদন ও বিপণনের কাজটি প্রধানত মালিক নিজে বা তার পরিবারের সদস্যরাই করে থাকেন। আমাদের দেশে তাঁতবস্ত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, বাঁশ, বেত ও কাঠের কাজ, শাড়ি বা মিষ্টির প্যাকেট, আগরবাতি ইত্যাদি কুটিরশিল্পের কয়েকটি উদাহরণ। বাংলাদেশের মতো বৃহৎ জনসংখ্যার ও শিল্পে অনগ্রসর একটি দেশে অসংখ্য মানুষের। কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে। কুটিরশিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান
নগরের বিস্তার ও মানুষের জীবনমান বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিল্পের ভূমিকা ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধের মতো জিনিসগুলো তো বটেই; জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গৃহনির্মাণ সামগ্রী ছাড়া আমাদের জীবন আজ অচল। আর এগুলো আমরা কোনো না কোনো শিল্প থেকে পেয়ে থাকি।
কৃষির পর দেশের বিরাটসংখ্যক মানুষের জীবিকার সংস্থানও হচ্ছে এই শিল্পখাত থেকেই। এর অভাবে দেশের বেকারত্বের হার আরও বেড়ে যেত। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের প্রসার লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশেষ করে নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
এটি দেশের সামাজিক অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখছে। শিল্পখাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ মানুষকে শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমাদের বিশ্বনাগরিক হিসেবে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছে। তাই বিভিন্ন শিল্প কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার সংহত করা যেমন এই শিল্পগুলোর উন্নয়নে জরুরি তেমন শিল্পের প্রভাবে পরিবেশ দূষিত করা বন্ধ করতে সরকারের নজরদারী চালু থাকা অত্যাবশক। না হলে শিল্পায়নের সুফল পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে শিল্পের সম্ভাবনা | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশ একটি শিল্প সম্ভাবনাময় দেশ। এর রয়েছে বিশাল জনসম্পদ। এখানে অপেক্ষাকৃত কম মজুরিতে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায়। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশে শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন। গার্মেন্টস শিল্প এর একটি বড়ো উদাহরণ।
বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে এককভাবে ও যৌথ অংশীদারিত্বে গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন করেছে। এদেশে তৈরিপোশাক আজ বিশ্বের বাজারে সমাদৃত হচ্ছে। গার্মেন্টস ছাড়াও অন্যান্য শিল্পেও বিদেশিরা পুঁজি বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সরকার দেশে কয়েকটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রতিষ্ঠা করেছে। তাছাড়া বন্দর ও পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার মাধ্যমেও সরকার শিল্পখাতে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
এসব পদক্ষেপের ফলে আগামীতে দেশে নানা ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইদানীং বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদেরও অনেকে তাদের অর্জিত অর্থ দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
এভাবে বাংলাদেশের একটি শিল্পসমৃদ্ধ মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। এর ফলে শুধু যে দেশে দারিদ্র্য হ্রাস ও বেকার সমস্যারই সমাধান হবে তাই নয়, সাধারণভাবে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং জাতীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি অধ্যায়ের সৃজনশীল
১. তমিজ উদ্দিন তার তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে তার জমিতে ধান, গম, সরিষা, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করে। তার স্ত্রী ও পুত্রবধূরাও ফসল তোলার কাজে সহায়তা করে। অবসর সময়ে সে বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান চালায়। কিন্তু এসব কাজের জন্য কেউ তাকে কোনো বেতন দেয় না। তাতে সে মনে কষ্ট না পেয়ে বরং গর্ববোধ করে।
ক. SAFTA এর পুরো নাম কী?
খ. মাঝারি শিল্প বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. তমিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের কাজ কোন ধরনের অর্থনৈতিক কাজের আওতাভুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তমিজ উদ্দিনের মতো মানুষের কাজ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে-মূল্যায়ন কর।
২. জরিনা বেগম গ্রামের একজন গরিব বিধবা মহিলা। সে একদিন বাজার থেকে বাঁশ ও বেত কিনে নিয়ে আসে। দুই মেয়েকে নিয়ে ডালা, কুলা ও ফুলদানি তৈরি করে। তার ছেলে তামজিদ এগুলো বাজারে বিক্রি করে। এতে তাদের যে লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চলে। দিনে দিনে তাদের তৈরিকৃত দ্রব্যের চাহিদা বাড়তে থাকে।
পরবর্তীতে তামজিদ তার বাবার এক বন্ধুর সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। সে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানা স্থাপন করে। তামজিদ তার কারখানায় খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে প্রচুর লাভ করে।
ক. রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী?
খ. অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. তামজিদের স্থাপিত কারখানাটি কোন শিল্পের অন্তর্গত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জরিনা বেগমের কাজের অবদান মূল্যায়ন কর।
◉ আরও দেখুন: সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি আলোচনা করা হয়েছে। এই বইয়ের যে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো রয়েছে, তার উত্তরও তোমরা কোর্সটিকায় পেয়ে যাবে। সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপরের ‘সৃজনশীল সমাধান’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post