সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম : ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান ছিল পশ্চিম ও পূর্ব এই দুই ভাগে বিভক্ত, যা একে অপরের থেকে বহুদূরে অবস্থিত ছিল। পূর্ব পাকিস্তান ছিল মূলত বাঙালি মুসলমান ও হিন্দুদের আবাস।
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালিরা শোষণ, অত্যাচার ও বৈষম্যের শিকার হয়। এর বিরুদ্ধে তাঁরা ধারাবাহিকভাবে সংগ্রাম ও আন্দোলন শুরু করে। এর মধ্যে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন অন্যতম।
এছাড়া ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাঙালির জাতীয় জাগরণের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম
এসব আন্দোলন ও ঘটনার মধ্য দিয়েই পাকিস্তানবিরোধী চেতনা বেগবান হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে মানুষ। ফলে ১৯৭১ সালে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এই রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এ অধ্যায়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলন ও সংগ্রামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করা হলো।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পর রাষ্ট্রের নীতি, আদর্শ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এ অবস্থাকে বলা যায় সংহতির বা একাত্মতার সংকট। হিন্দু ও মুসলিম দুই পৃথক জাতি, এই দাবি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রধান যুক্তি।
দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নিজে পাকিস্তানের স্বাধীনতার কয়েকদিন পরেই গণপরিষদে বললেন, ‘মুসলিম-হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ কিংবা পাঞ্জাবি-বাঙালি-সিন্ধি-পাখতুন পরিচয় ভুলে সকলকেই এখন এক পাকিস্তানি হতে হবে।’
কিন্তু সেই পাকিস্তানের ঐক্যসূত্র তৈরি করতে গিয়ে পাকিস্তানের নেতারা ইসলাম ও উর্দুভাষার উপর জোর দেন আর অন্যান্য ধর্ম ও ভাষা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এমনকি বাংলাভাষার সমৃদ্ধ সাহিত্য, রবীন্দ্রনাথ-মাইকেল-বঙ্কিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের প্রতি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বৈরী অবস্থান গ্রহণ করে।
বহু ভাষাবিদ পণ্ডিত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ এদেশের অগ্রণী বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিকরা বাংলাভাষা, বাংলা সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
এ সময়ে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একটি ভাষণে বলেছিলেন- ‘আমরা হিন্দু বা মুসলিম যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোনো আদর্শের কথা নয়, এটি একটি বাস্তব কথা। প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙালিত্বের এমন ছাপ দিয়েছেন যে, তা মালা-তিলক-টিকিতে কিংবা টুপি-লুঙ্গি-দাড়িতে ঢাকবার জো-টি নেই’।
পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রভাষা কী হবে? এ প্রশ্ন দেখা দিলে পূর্ব পাকিস্তানের সচেতন ও শিক্ষিত জনগণ তাদের মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার দাবি করে। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ছাত্র-শিক্ষকদের সমাবেশে পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন, ‘পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু’। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা ‘না না না’ ধ্বনিতে এর প্রতিবাদ জানায়।
দেশের শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অবস্থান নেন। পাকিস্তান গণপরিষদে বাঙালি সদস্য একাত্তরের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। মুসলিম লীগের অনেক বাঙালি সদস্যও এই বিরোধিতায় যোগ দিয়েছিলেন। অথচ বাংলা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হওয়া ছিল যুক্তিযুক্ত। পাকিস্তানের তৎকালীন মোট জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৯০ লক্ষ। এর মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ বাঙালি। বাকি আড়াই কোটি মানুষের মাতৃভাষাও উর্দু ছিল না।
দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভাষাকে সংখ্যাগুরু বাঙালির উপর চাপিযে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। বাঙালিরা কেবল বাংলা ভাষাকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেনি, তারা উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি চেয়েছিল।
মাতৃভাষার অধিকারের জন্যে এদেশে একাধিক উদ্যোগের কথা জানা যায়। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমন্বয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনে তরুণদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব, শওকত আলী, গাজীউল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, শেখ মুজিবর রহমান, অলি আহাদ, আবদুল মতিন প্রমুখ।
১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ ভাষাব, দাবিতে সমগ্র দেশে ধর্মঘট ডাকা হলে শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ, কাজী গোলাম মাহবুবসহ অধিকাংশ নেতা গ্রেফতার হন। পুলিশের দমন-পীড়নে বহু ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। এতেও ভাষার জন্য আন্দোলন কিন্তু বন্ধ হয় নি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করা হয়। আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৫২ সালে ঢাকায় প্রাদেশিক-পরিষদের অধিবেশন বসলে ছাত্ররা গণপরিষদ ঘেরাও করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিনটি ছিল ২১শে ফেব্রুয়ারি।
পূর্ব-পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মুসলিম লীগ সরকার ছাত্রদের বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। অর্থাৎ চারজনের বেশি একজোট হয়ে রাস্তায় মিছিল করতে পারবে না। কিন্তু সংগ্রামী ছাত্ররা তা মানেনি। তারা মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় আপসহীন সাহসী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত হয়। ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে সভা করে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেদিন আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে পুলিশ অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। প্রথমে তারা লাঠিচার্জ করল ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল। তাতেও দমাতে পারল না বিক্ষোভকারীদের। মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আবদুল মতিন ও গাজীউল হক। এবার গুলি চালাল পুলিশ।
গুলিতে শহিদ হলেন রফিক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার এবং আবুল বরকত। আহতের সংখ্যা ছিল অনেক। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আবদুস সালাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২২শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে শফিউর রহমানসহ নয় বছরের কিশোর ওলিউল্লাহও পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিল। এছাড়া নাম না জানা আরও অনেকে ২১শে ও ২২শে ফেব্রুয়ারিতে নিহত হয়েছিল। তাঁরা সবাই ভাষাশহিদ।
যেখানে পুলিশের গুলিতে তাঁরা শহিদ হয়েছিলেন সেই স্থানে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তৈরি করে একটি শহিদ মিনার। ১৯৬৩ সালে এই অস্থায়ী মিনারটির স্থলে বড়ো করে শহিদ মিনার তৈরি করা হয়। এটিই ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে গড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।
ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য | সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম
বাঙালি বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার সম্মান রক্ষা করতে পেরেছিল। শেষ পর্যন্ত পূর্ববাংলার আইনসভা বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে। অবশেষে বাঙালি জাতির বিজয় অর্জিত হয়। বাংলা এবং উর্দু দুই ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে মাতৃভাষার স্বীকৃতির ন্যায্য দাবি আদায়ে সফল হয়ে বাঙালির মনে জাতীয় চেতনা জোরদার হয়। বাংলাভাষা, বাংলা সাহিত্য এবং বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করার সাথে সাথে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় বাঙালিরা।
ভাষার জন্য বাঙালির এই মহান আন্দোলনকে শ্রদ্ধা জানায় বিশ্ববাসী। ১৯৯৯ সালে আমাদের ভাষা আন্দোলন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তাই এখন প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিতে পৃথিবীর সকল জাতি নিজ নিজ মাতৃভাষাকে বিশেষ সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। সেই সাথে স্মরণ করে ভাষার জন্য বাঙালির আতত্মত্যাগের কথা।
যুক্তফ্রন্ট
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই শাসকদের ষড়যন্ত্রে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। আত্মরক্ষা ও আত্মবিকাশের প্রশ্নে নানা মতের মানুষ এক হতে থাকে। ক্ষমতাসীন দল মুসলিম লীগ যেন ষড়যন্ত্র আর শোষণের প্রতীক হয়ে ওঠে।
ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাজিত করে বাঙালি অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দ মিলে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৫৪ সালে একটি জোট গঠন করেন। এ জোটই যুক্তফ্রন্ট নামে পরিচিত।
এ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টে যোগ দেয় আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফতে রব্বানী পার্টি। যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালের নির্বাচন ও পূর্ববাংলার মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন
১. কাশিমপুর অঞ্চলের মানুষ তাদের চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তিনি তার কাছের দুই একজন ছাড়া অন্যদের কোনো সুযোগ সুবিধাই দিতেন না।
অন্যরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান পেশিশক্তি প্রদর্শন, রক্তপাত ঘটিয়েও আন্দোলন স্তিমিত করতে পারেন নি। জনগণের ঐক্য, সংগ্রামী চেতনা, আত্মত্যাগের কাছে তাঁর ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উক্ত চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ক. ১৯৫৮ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন কে?
খ. ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগ কেন পরাজিত হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. কাশিমপুরের মানুষের আন্দোলনে পূর্ব-পাকিস্তানের কোন আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কাশিমপুরের চেয়ারম্যানের পরিণতি যেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পরিণতিরই প্রতিচ্ছবি’- উক্তিটির যথার্থতা পরীক্ষা কর।
২. ঘটনা-১: ‘ক’ দেশে বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকের বাস ছিল। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী একটি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের জন্য নির্ধারণ করে। এতে অন্য ভাষাভাষীরা আন্দোলন করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শাসকগণ সব ভাষাকেই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
ঘটনা-২: দাদা তার নাতি তৌহিদুলকে বললেন ‘তাঁর বাবা আনসারি সাহেব পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁর দল জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করেন।’
ক. কতজনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) দায়ের করা হয়?
খ. ছয় দফাকে বাংলার মানুষের মুক্তির দলিল বলা হয় কেন?
গ. ঘটনা-১: তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের কোন ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ঘটনা-২: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার প্রতিচ্ছবি। মূল্যায়ন কর।
◉ আরও দেখুন: সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম আলোচনা করা হয়েছে। এই বইয়ের যে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো রয়েছে, তার উত্তরও তোমরা কোর্সটিকায় পেয়ে যাবে। সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপরের ‘সৃজনশীল সমাধান’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post