সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ২য় অধ্যায় : সমাজবিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞানের একটি অপরিহার্য শাখা। সমাজকে কেন্দ্র করেই সমাজবিজ্ঞান আবর্তিত। সমাজ অধ্যয়নের মূলে রয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। অর্থাৎ নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে সমাজ অধ্যয়ন এ শাস্ত্রকে বৈজ্ঞিানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে।
বস্তুত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অধ্যয়ন ও অনুসন্ধান ব্যতীত সমাজবিজ্ঞান আজকের এ জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারত না। সামাজিক বিজ্ঞানের শাখা হিসেবে গবেষণা, তথ্যানুসন্ধান, ব্যাখা, বিশ্লষণ, তত্ত্ব গঠন, সাধারণীকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে। এসব বৈশিষ্ট্যের আলোকেই সমাজবিজ্ঞান বিজ্ঞানের মর্যাদা অর্জন করেছে।
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ২য় অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : এইচএসসি পাস করে মৌনিতা ও আশু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে বিজ্ঞান বিভাগ এবং মানবিক বিভাগের দুটি বিষয়ে ভর্তি হয়েছে। একদিন ক্লাসের ফাঁকে তারা তাদের পাঠ্যবিষয় নিয়ে আলাপ করছিল। মৌনিতা বলল, আমাদের পড়ার চাপ খুব বেশি, তোমাদের তো কোনো চাপ নেই শুধু মুখস্ত করলেই হয়। জবাবে আশু বলল, সৃজনশীল পদ্ধতিতে মুখস্ত করার কোনো দাম নেই, আর আমরাও এমন বিষয় পড়ি যা পদ্ধতিগত দিক থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদা পেয়েছে। যে সমাজে আমরা বেড়ে উঠছি তার গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে হলে পদার্থবিজ্ঞান না পড়লেও চলবে কিন্তু এ বিষয়টা অবশ্যই পড়তে হবে।
ক. হার্বাট স্পেন্সার তার ‘The Principles of Sociology’ গ্রন্থে কয় ধরনের সমাজের কথা উল্লেখ করেছেন?
খ. শিশুর সামাজিকীকরণে গণমাধ্যম অন্যতম শক্তিশালী একটি বাহন— ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের আশুর পঠিত বিষয়ের সাথে বিজ্ঞানের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আশুর বক্তব্যের আলোকে বিষয়টি পাঠের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রেহান ও সুফল খুবই ভালো বন্ধু। তারা দুজন এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করেছে। রেহানের পঠিত বিষয়ের মূল আলোচনা হলো সমাজ ও সমাজ সম্পর্কিত সব বিষয়। পক্ষান্তরে, সুফলের পঠিত বিষয় মূলত রাষ্ট্র ও ক্ষমতা সম্পর্কে আলোচনা করে।
ক. বিজ্ঞান শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
খ. একেশ্বরবাদ বলতে কী বোঝায়?
গ. রেহান ও সুফলের পঠিত বিষয় দুটির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উল্লিখিত রেহানের পঠিত বিষয়টিকে ‘প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বলা হয়’ তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : সমাজবিজ্ঞানকে জনাব আলমগীর হোসেন ‘DURC’ নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তিনি সমাজের অতীত ঘটনাবলী সম্পর্কে ধারাবাহিক গবেষণা করেন। এ ধরনের গবেষণা কাজের জন্য তিনি বিভিন্ন গ্রন্থ, সাময়িকী, পত্র-পত্রিকা, গবেষণা রিপোর্ট, দলিল দস্তাবেজ ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে তাঁর বন্ধু সোহেল খান ‘আগামীর স্বপ্ন’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে সমাজ গবেষণায় ভিন্ন ধরনের পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে থাকেন। তাঁর পদ্ধতির ধরন হলো মাঠ পর্যায়ে প্রশ্নমালা, সাক্ষাৎকার ইত্যাদির মাধ্যমে উপাত্ত (Data) সংগ্রহ।
ক. পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
খ. জৈবিক সাদৃশ্যের তত্ত্বটি কার? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব আলমগীর হোসেন ও তার বন্ধু সমাজ গবেষণায় কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত গবেষণার পদ্ধতিগুলোর গুরুত্ব তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা “ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহের প্রতি কমলগঞ্জ গ্রামের মানুষের মনোভাব” এই বিষয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিল। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একটি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে, সমস্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করে তারা গবেষণা শেষ করল।
ক. অগাস্ট কোঁতের ক্রয়স্তর সূত্রের প্রথম স্তরটির নাম কী?
খ. ‘আসাবিয়া’ কী? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের শিক্ষার্থীরা গবেষণার ক্ষেত্রে কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষার্থীরা গবেষণা কার্যে যে পর্যায়গুলো প্রয়োগ করেছে তা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : ড: রফিক সাহেবের তত্ত্বাবধানে সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে একটি গবেষণায় কয়েকজন শিক্ষার্থী একমত হলেন যে, তাদের গবেষণার জন্য এমন একটি পদ্ধতি বেছে নিবেন যেটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সমাধান করা যেতে পারে। রফিক সাহেব শিক্ষার্থীদের এ পদ্ধতিকে বস্তুনিষ্ঠ, সূক্ষ্ম বিশ্লেষণধর্মী ও তাত্ত্বিক বলে উল্লেখ করেন।
ক. The Republic গ্রন্থের রচয়িতা কে?
খ. সমাজ গবেষণার চতুর্থ স্তরটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে শিক্ষার্থীগণ সমাজ গবেষণার কোন পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সমাজ গবেষণার উক্ত পদ্ধতির প্রধান স্তরসমূহ বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ইভার স্বপ্ন সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কিন্তু অভাবের দায়ে পরিবারের ভরণপোষণ করতেই তার বাবা হিমশিম খাচ্ছে। তাই ইভার বাবা ঠিক করলেন তার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিবেন। উল্লেখ্য যে, ইভার মতো এমন আরও অনেক মেয়ে আছে যারা এরূপ ভাগ্য মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সমাজতাত্ত্বিক গবেষণা।
ক. কখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়?
খ. কীভাবে অনুসিদ্ধান্ত যাচাই করা হয়?
গ. ইভার সমস্যাটি নিয়ে গবেষণা করলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কোন স্তরটিকে তুমি প্রথমেই অধিক গুরুত্ব দিবে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের উক্ত সমস্যা সম্পর্কে গবেষণায় তুমি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির স্তরগুলো কীভাবে কার্যকর করবে তা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : সানজিদা মেধাবী ছাত্রী। সে ছোটবেলা থেকেই সৃজনীশক্তি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে জটিল এবং তাত্ত্বিক বিষয়গুলোর সুশৃঙ্খল বিশ্লেষণের চেষ্টা করে। সে যে কোনো জ্ঞানগত আলোচনায় বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে সমস্যার যৌক্তিক সমাধান করে থাকে।
ক. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বিতীয় স্তর কী?
খ. বিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সানজিদার স্বভাবের ক্ষেত্রে সামাজিক গবেষণার কোন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘সমস্যা নির্ধারণ করাই উদ্দীপক দ্বারা ইঙ্গিতকৃত পদ্ধতির একমাত্র কাজ’ – এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? যুক্তি প্রদান করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : ‘ক’ কোম্পানি ভালো চা উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে তাদের চায়ের চাহিদা কমে গেছে। এজন্য কোম্পানির মালিক কাশেম সাহেব তার কিছু কর্মকর্তাকে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য মার্কেটে পাঠান। তারা নির্বাচিত ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে প্রশ্নমালার সাহায্যে সংগৃহীত উপাত্ত কাশেম সাহেবকে দেন। তিনি তা পর্যালোচনা করে দেখেন যে, সুদৃশ্য মোড়কজাতকরণের অভাবে তার কোম্পানির চায়ের চাহিদা কমে গেছে।
ক. সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ কোনটি?
খ. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যার কারণ অনুসন্ধানে সামাজিক গবেষণার কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উদ্দীপকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে তার বিকল্প কৌশল ব্যবহার করা যেত? যুক্তিসহ মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র রোহান মনোগ্রাফ তৈরির জন্য ‘সমাজে ধর্মের ভূমিকা’ শীর্ষক বিষয় নির্ধারণ করে। তথ্য সংগ্রহের জন্য সে মসজিদ, মন্দির ও চার্চ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার জনগোষ্ঠীর নিকট থেকে প্রশ্নমালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। তার প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, সন্তান লাভ, রোগ মুক্তি, বিয়ে না হওয়া ইত্যাদির জন্য মানুষ ধর্মের দ্বারস্থ হয়।
ক. সমাজ গবেষণার দ্বিতীয় ধাপ কোনটি?
খ. সমাজ গবেষণায় দার্শনিক পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
গ. রোহান গবেষণার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. রোহানের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল তার গবেষণার বিষয়বস্তুকে প্রতিষ্ঠিত করেছে- মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : তামিম তার চাচাকে বললেন, গ্রামীণ এলাকায় কিশোর অপরাধী বেশি। তখন চাচা বললেন, এটা তোমার ধারণাগত বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় তোমার এ ধারণা পাল্টে যেতেও পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তোমার এ কৌতূহল যথার্থ করতে হলে ধারাবাহিকভাবে কতকগুলো পর্যায় অতিক্রম করে ভবিষ্যদ্বাণী করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম কাজ হবে গবেষণার বিষয় বা সমস্যা নির্বাচন।
ক. গবেষণা কী?
খ. কোন অর্থে সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানরূপে অভিহিত করা যায়?
গ. উদ্দীপকে চাচা গবেষণার ক্ষেত্রে সমস্যা নির্বাচনের কথা বলেছেন কেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ভবিষ্যদ্বাণী কীভাবে করা হয় তা বিশ্লেষণ করো।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. কখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: জ্ঞান আহরণের উপায় হিসেবে যখন বিজ্ঞানকে বিবেচনায় আনা হয় তখন ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
২. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বিতীয় স্তর কী?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বিতীয় স্তর হলো সমস্যার সংজ্ঞায়ন।
৩. সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ কোনটি?
উত্তর: সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ হচ্ছে, গবেষণাকৃত বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।
৪. সমাজ গবেষণার দ্বিতীয় ধাপ কোনটি?
উত্তর: সমাজ গবেষণার দ্বিতীয় ধাপ হলো সমস্যার সংজ্ঞায়ন।
৫. গবেষণা কী?
উত্তর: গবেষণা হলো এক প্রকারের জ্ঞান অন্বেষণ, যা বিশেষ যুক্তিপূর্ণ নীতিমালার দ্বারা পরিচালিত হয়।
৬. হার্বাট স্পেন্সার তার ‘The Principles of Sociology’ গ্রন্থে কয় ধরনের সমাজের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: হার্বার্ট স্পেন্সার তার The Principles of Sociology’ গ্রন্থে চার ধরনের সমাজের কথা উল্লেখ করেছেন।
৭. বিজ্ঞান শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর: বিজ্ঞান শব্দের আভিধানিক অর্থ বিশেষ জ্ঞান।
৮. পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ Method
৯. অগাস্ট কোঁতের ক্রয়স্তর সূত্রের প্রথম স্তরটির নাম কী?
উত্তর: ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ-এর ত্রয়স্তর সূত্রের প্রথম স্তরটির নাম হলো ধর্মতাত্ত্বিক স্তর (Theological Stage).
১০. The Republic গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: The Republic গ্রন্থের রচয়িতা গ্রিক দার্শনিক প্লেটো।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. শিশুর সামাজিকীকরণে গণমাধ্যম অন্যতম শক্তিশালী একটি বাহন— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গণমাধ্যম আধুনিককালে ব্যক্তির সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন নিয়ন্ত্রণের এক শক্তিশালী মাধ্যম।
গণমাধ্যম বলতে বোঝানো হয় সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইত্যাদিকে। এসব মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ, বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান শিশুদেরকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে শিশু-কিশোররা নিজেদেরকে সমাজ-সংস্কৃতির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে শেখে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকশিত হয়।
২. একেশ্বরবাদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যুক্তি বিকাশের ধারাবাহিকতায় মানুষের অগ্রসর চিন্তার ফসল হচ্ছে একেশ্বরবাদ।
যুক্তির ধারাবাহিকতায় বহু ঈশ্বরের ক্ষমতা একজন ঈশ্বরের ওপর আরোপ করা হয়। এখানে মনে করা হয়, সকল প্রাকৃতিক ও সামাজিক ঘটনার সর্বোচ্চ এবং সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে সর্বশক্তিমান একক সত্তা।
৩. জৈবিক সাদৃশ্যের তত্ত্বটি কার? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জৈবিক সাদৃশ্যের তত্ত্বটি বিবর্তনবাদী মতবাদের প্রবক্তা ও বিশিষ্ট ব্রিটিশ দার্শনিক হার্বার্ট স্পেন্সার-এর। জৈবিক সাদৃশ্য তত্ত্বের মূলকথা হলো সমাজের বিবর্তন হয় জীব জগতের বিবর্তনের মতোই। হার্বার্ট স্পেন্সার জীবদেহের সাথে সমাজসত্ত্বার অনেক সাদৃশ্য খুঁজে পান এবং তিনি মনে করেন প্রত্যেকটি সমাজ হলো এক একটি জীব দেহের মতো।
স্পেন্সারের মতে, এক কোষবিশিষ্ট অত্যন্ত সাধারণ একরকম প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের জীবজগতের বিকাশ ঘটেছে, তেমনি মানবসমাজেও বিবর্তন ঘটছে। সমাজ আদিম অবস্থা থেকে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান স্তরে পৌঁছেছে। আর এটিই হলো স্পেন্সারের জৈবিক সাদৃশ্য তত্ত্ব।
৪. ‘আসাবিয়া’ কী? বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ‘আসাবিয়া’ হলো ত্রয়োদশ শতকের বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ইবনে খালদুনের সমাজ সম্পর্কিত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আসাবিয়া হলো একটি আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ সামাজিক সংহতি (Social Solidarity)। ইবনে খালদুন (Ibn Khaldun) তার ‘আল মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ে যাযাবর ও বেদুঈন সমাজ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আসাবিয়া বা সামাজিক সংহতি প্রত্যয়টি ব্যবহার করেন।
সাধারণত আসাবিয়া বা সামাজিক সংহতি বলতে মানসিক ঐক্যকে বোঝানো হয় যার দ্বারা মানুষ পরস্পরের সাথে একাত্মতা পোষণ করে, এমনকি সাধারণ বিপদ-আপদ এবং ভাগ্যের হেরফেরও তারা একই সাথে মোকাবিলা করে। ইবনে খালদুনের মতে, রক্ত, ধর্ম, জাতীয়তা প্রভৃতির মাধ্যমে এ সামাজিক সংহতি গড়ে ওঠে যার বিভিন্নতার কারণে সমাজ ও রাজনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্রে পরিবর্তন সংঘটিত হতে পারে।
৫. সমাজ গবেষণার চতুর্থ স্তরটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সমাজ গবেষণার চতুর্থ স্তরটি হলো কল্পনা প্রণয়ন। গবেষণা সমস্যার মধ্যকার ধারণাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের একটি আনুমানিক বিবৃতিই অনুসিদ্ধান্ত বা কল্পনা। মূলত, গবেষণার সমস্যা বা বিষয়বস্তু নির্বাচনের পরই পর্যবেক্ষণ বা তথ্যসংগ্রহ করার পূর্বেই কল্পনা প্রণয়ন করা সম্ভব। তথ্য দ্বারা সমর্থিত না হলে সে কল্পনা বাতিল বলে গণ্য হতে পারে। সাধারণত গবেষকের ব্যক্তিগত ধারণা, প্রজ্ঞা ও অনুমানলব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে কল্পনা প্রণয়ন হয়।
শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পেতে উপরের বাটনে ক্লিক করো। কোর্সটিকায় রয়েছে এইচএসসি সকল বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর। যা তোমরা পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। তাই নিয়মিত আমাদের শীট ও সাজেশনগুলাের আপডেট পেতে কোর্সটিকার YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post