সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় : সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতির এক প্রাচীন জনপদ হচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা বাক পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দরিদ্র দেশটি আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। সনাতন কৃষি অর্থনীতির পরিবর্তে নগরকেন্দ্রিক শিল্প ও সেবাভিত্তিক অর্থনীতি বিকশিত হওয়ায় এদেশের সমাজ কাঠামো এবং সামাজিক সম্পর্ক ভীষণভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। এ
প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল সমাজ সম্পর্কে অধ্যয়নের অপরিহার্য শাস্ত্র হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান। ভারতীয় দার্শনিক কৌটিল্য (খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০-২৭৫ অব্দ) বিক্ষিপ্তভাবে সমাজবিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থে তৎকালীন ভারত বর্ষের আইন, রাষ্ট্র, রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি, কৃষি, শিল্প, সমাজনীতি ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করেন। যুগে যুগে অনেক পর্যটক, পরিব্রাজক, যোদ্ধা, ধর্ম প্রচারক, দার্শনিক, ইতিহাসবেত্তা এই বঙ্গভূমিতে এসেছেন।
যেমন- হিউয়েন সাং, আবুল ফজল, আলবেরুনি, ইবনে বতুতা প্রমুখ এর গ্রন্থে তৎকালীন বাংলার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও জীবনধারার বিশেষ করে উৎপাদন ব্যবস্থার বর্ণনা পাওয়া যায়। এদেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি, কৃষি, শিল্প, সমাজ কাঠামো, পরিবার, বিবাহ, জ্ঞাতি সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা ও বিশ্লেষণ করেছেন।
সামাজিক জীব হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের বিভিনড়ব অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবহারিক বিষয়াদি নিয়ে সমাজবিজ্ঞান আলোচনা করে বিধায় বাংলাদেশে এর পাঠের গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে জীবন-যাপন করে, তাদের আচার-আচরণ, রীতি-নীতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করার প্রয়োজন রয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন, সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে জানার জন্য সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিষয়ে ভর্তি হয় রুনা। বিষয়টির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগের নীতিশাস্ত্রের সাথে সমাজবিজ্ঞানের কিছু বিষয়বস্তু পড়ানোর মাধ্যমে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাথেও বিষয়টি পড়ানো হয়। ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র একটি বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন একজন ফরাসি নৃবিজ্ঞানী।
ক. সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?
খ. বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞান বিকাশে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করো।
গ. উদ্দীপকে রুনা যে বিষয়টি অধ্যয়ন করার জন্য ভর্তি হয়েছে তার বিকাশধারা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত বিষয়টি অধ্যয়ন করে কী কী জ্ঞান অর্জন করা যাবে বলে তুমি মনে কর? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ।
খ. বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞান বিকাশে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য পাঁচজন হলেন— ১. ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্লদ লেভি স্ট্রস, ২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিম, ৩. ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞ ও ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী ড. পেরি বেসাইনি, ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অজিত কুমার সেন এবং ৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক রংগলাল সেন।
গ. উদ্দীপকে রুনা যে বিষয়টি অধ্যয়ন করার জন্য ভর্তি হয়েছে তা হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান। কারণ আমরা জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগের নীতিশাস্ত্রের সাথে সমাজবিজ্ঞানের কিছু বিষয়বস্তু পড়ানোর মাধ্যমে। পরবর্তীতে ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে সমাজবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ বিভাগের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী ড. পেরি বেসাইনি। আর এ তথ্যগুলো উদ্দীপকের রুনা যে বিষয়ে ভর্তি হয়েছে তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান বিষয়টি বিকাশের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বৃহৎ বঙ্গে সমাজবিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সে সময় স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে নয়, বরং অর্থনীতি বিভাগের এম.এ কোর্সের একটি পত্র হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের পথ চলা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে বর্তমান বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে দর্শন বিভাগে এম.এ কোর্সের পাঠ্যসূচি হিসেবে Ethics and Sociology ‘নামে সমাজবিজ্ঞানের পঠন পাঠন শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৩৯-৪০ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের আওতায় Elements of Sociology “শিরোনামে সমাজবিজ্ঞান-এর কিছু বিষয় পড়ানো হতো। পরবর্তীতে ইউনেস্কো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান সর্বপ্রথম একটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে তার যাত্রা শুরু করে।
উল্লেখ্য, সমাজবিজ্ঞানকে স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার ক্ষেত্রে অধ্যাপক অজিত কুমার সেন ও ড. এ. কে. নাজমুল করিমের অবদান অপরিসীম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাজবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে নাজমুল করিমের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। উপর্যুক্ত আলোচনার পরিসমাপ্তিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব হঠাৎ করেই হয়নি, বরং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের একান্ত প্রচেষ্টায় শাস্ত্রটি বাংলাদেশে তার বিকাশ ঘটিয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয় তথা সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত সকল ধরনের জ্ঞান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে সমাজকাঠামো তথা ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভূমিকা, কার্যাবলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন শ্রেণি, তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক, উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে তাদের সম্পর্ক, ভূমিকা ও অবদান সম্পর্কে জ্ঞানও সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে লাভ করা যাবে। সমাজবিজ্ঞান সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও সামাজিক সমস্যা দূরীকরণের উপায়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বিদ্যমান অন্তরায় ও তা সমাধানের উপায় প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে।
এর পাশাপাশি সমাজজীবনে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের প্রভাব এবং বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা কীভাবে, কতটা ফলপ্রসূ করা যাবে সমাজবিজ্ঞান পাঠ করে সে সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করা যায়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্য, কৃষি কাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভের মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে বিদ্যমান সমস্যা দূরীকরণের সঠিক পথ নির্দেশনাও সমাজবিজ্ঞান পাঠ করে জানা যায়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে নিশ্চিতরূপে বলা যায় যে, সমাজবিজ্ঞান বিষয়টি অধ্যয়নের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত সকল ধরনের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সমাজসচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠা সম্ভব।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : সুমন যে বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিল সেখানে সমাজের সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোচনা ছিল, যেমন— পরিবার, বিবাহ, রাষ্ট্র, ক্ষমতা, সামাজিক রীতিনীতি, সামাজিক সমস্যা ইত্যাদি। তাই সুমন তার অর্জিত জ্ঞান গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য গ্রামে গেলো। কিন্তু কাজের শুরুতেই সমাজের মানুষের অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অসচেতনতা এবং ক্ষমতার দম্ভ তাকে বাধাগ্রস্ত করল। তবু দমে না গিয়ে সে তার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে যুবকদের সচেতন করে তুলল। কারণ সে ভেবেছে, ঐ জ্ঞানই মানুষকে সচেতন করে তুলবে এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে তা কার্যকর হবে।
ক. কত সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে সমাজবিজ্ঞান আত্মপ্রকাশ করে?
খ. “সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞান”– বুঝিয়ে লেখ।
গ. সুমনের পঠিত বিষয়টির বাংলাদেশে গোড়াপত্তনের ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর ভূমিকা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সুমনের ভাবনা বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বকেই তুলে ধরে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : ‘রায়পুর ডিগ্রি কলেজ’-এ সম্প্রতি অনার্স, মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। কলেজটিতে দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সহায়ক কোর্স হিসেবে একটি বিষয় পাঠ দান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয়টি থাকলেও স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে এর অস্তিত্ব এই কলেজে নেই। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে কর্তৃপক্ষ উক্ত বিষয়ে অনার্স পর্যায়ে আলাদা একটি বিভাগ খোলেন। সম্পূর্ণ ঘটনাটি উক্ত বিষয়ের কোর্স শিক্ষক জনাব তাওহীদুর রহমানকে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, “নিজ দেশের সমাজ-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানার জন্য এই বিষয়ের অধ্যয়ন প্রয়োজন।
ক. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের অগ্রপথিক কে?
খ. সামাজিক স্তরবিন্যাস সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি বাংলাদেশে কোন বিষয়ের সূচনার কথা মনে করিয়ে দেয়? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের তাওহীদ স্যারের মন্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. ওসমান গণি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি। তার নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালে স্থাপিত হয় ‘মৃত্তিকা বিজ্ঞান’ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ। ড. গনি এ বিভাগের উন্নয়নে অনেক সহযোগিতা করেন। তার প্রচেষ্টায় এ বিভাগটি যোগ্যতাসম্পন্ন মৃত্তিকা গবেষক তৈরি করতে পেরেছিল। যে ধারা আজও সফল গতিতে প্রবাহমান।
ক. সমাজবিজ্ঞান সমীক্ষণ’ বইয়ের লেখক কে?
খ. সমাজ গবেষণায় নিরপেক্ষতা আবশ্যক-ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ড. গণির সাথে ড. নাজমুল করিমের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ন্যায় মানুষগুলো নবদিগন্তে আলোর দিশারী বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের বিবর্তনের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : রোমেল উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিল। গত বছর এইচ এস সি পাস করে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একটি বিভাগে ভর্তি হয়েছে, যা তার পছন্দের বিষয় ছিল না। কিন্তু কিছুদিন ক্লাস করার পরই তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা গেল। সে দেখল, ক্লাসে তার চারপাশের বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনাকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এমনকি . শিক্ষক তার গ্রামের সমাজের অনেক কিছু ক্লাসে আলোচনা করছেন। এসব আলোচনার মধ্যে সে তার দেখা অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেল, এর ফলে সে পড়াশোনায় আনন্দ পেতে শুরু করল।
ক. ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজচিন্তার ইতিহাস কত বছরের পুরোনো?
খ. সামাজিক বিজ্ঞানের জন্ম ইতিহাস বর্ণনা করো।
গ. রোমেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয়ে ভর্তি হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক দ্বারা নির্দেশকৃত বিষয়ের জ্ঞান বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে– তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ভারতের ছত্তিশগড় অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী মাওবাদী গ্রুপ অপতৎপরতায় লিপ্ত। তারা নিজেদের মতামতকে অস্ত্রের জোরে সমাজ বা রাষ্ট্রের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। তারা সমাজের উৎপাদন যন্ত্রের সাথে তাদের সম্পর্ক, সমাজে তাদের ভূমিকা, অবদান এবং অধিকার সম্পর্কে কোনো জ্ঞানই রাখে না। অথচ সমাজের এসব মৌলিক বিষয় সম্পর্কে যদি তাদের (মাওবাদী) ধারণা থাকত, তাহলে ভারতের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক দেশে তারা এই ধরনের অপতৎপরতা শুরু করত না।
ক. কত সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়?
খ. প্লেটো ও এরিস্টটলকে সামাজিক বিজ্ঞান চর্চার অগ্রনায়ক বলা হয় কেন?
গ. ছত্তিশগড়ের মাওবাদীদের কোন ধরনের বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার অভাব রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশে এই ধরনের মানবিক ও যৌক্তিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শাস্ত্র পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম- বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা অপাকে খুব পীড়া দেয়। তাই সে এসব সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায়। বিষয়টি অর্পা তার বাবার সাথে আলোচনা করলে তার বাবা বলেন, এ কাজের জন্য একটি বিষয় পাঠের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
ক. ‘আইবিএস’-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. অধ্যাপক নাজমুল করিমকে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন?
গ. অর্পার বাবার বক্তব্যে কোন বিষয়টি পাঠের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত বিষয়টি কি কেবল সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের জন্যই পাঠ করা প্রয়োজন? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : ফাহিম যে বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করে তা মানুষের একত্রে বসবাসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে। বিষয়টি মূল্যবোধ নিরপেক্ষভাবে যৌথ জীবন, কার্যাবলি এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে। বিষয়টি পাঠের মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতন হওয়া যায়।
ক. কত সাল থেকে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাজবিজ্ঞানের পড়াশোনা শুরু হয়?
খ. মানুষের গোষ্ঠী জীবন বা যৌথ জীবন গবেষণায় নিরপেক্ষতার প্রয়োজন— ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।
গ. ফাহিম কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজেও উক্ত বিষয়টির অধ্যয়ন গুরুত্বপূর্ণ? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : জনাব রায়হান ও ফেরদৌস সহকর্মী। তারা উভয়ে একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে একই পদে কর্মরত। রায়হান সাহেব সময়মতো অফিসে আসেন এবং নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করেন। অন্যদিকে ফেরদৌস সাহেব প্রায়ই দেরি করেন এবং নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না।
ক. ‘সিয়ারুল মোতাখখেরিন’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
খ. টেকসই উন্নয়ন করার জন্য সমাজবিজ্ঞান পাঠ প্রয়োজনীয় কেন?
গ. সমাজবিজ্ঞান পাঠ কীভাবে জনাব ফেরদৌসকে দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সজাগ করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর জনাব রায়হান ও ফেরদৌস সাহেব সমাজবিজ্ঞান শাস্ত্র পাঠ করলে তাদের কর্মরত প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : রিয়া এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিলেবাস পর্যালোচনা করে সে দেখলো যে জ্ঞানের একটি শাখা সমাজের শ্রেণিবিন্যাস, শ্রেণিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। বাংলাদেশেও শ্রেণিবৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রিয়া সিদ্ধান্ত নিল এইচএসসিতে সে এ বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করবে।
ক. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের অগ্রপথিক কে?
খ. বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের জ্ঞানের যে শাখাটি নিয়ে রিয়া পড়াশোনা করতে চায় সেটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশে উন্নয়ন পরিকল্পনায় উক্ত জ্ঞানের শাখাটির ভূমিকা মূল্যায়ন করো।
শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পেতে উপরের বাটনে ক্লিক করো। কোর্সটিকায় রয়েছে এইচএসসি সকল বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর। যা তোমরা পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। তাই নিয়মিত আমাদের শীট ও সাজেশনগুলাের আপডেট পেতে কোর্সটিকার YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post