সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ২য় অধ্যায় : সংস্কৃতি মানুষের জীবনধারার প্রতিফলন। আমাদের আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, রীতিনীতি, রুচি, ব্যবহার্য বস্তুগত উপাদানসমূহ ইত্যাদিই সংস্কৃতি। সমাজের মানুষ হিসেবে আমরা প্রতিনিয়তই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের মধ্যে বেড়ে উঠি।
সাধারণ অর্থে সংস্কৃতি বলতে কৃষ্টি, সংস্কার, বিশ্বাস ইত্যাদিকে বোঝানো হলেও সমাজবিজ্ঞানে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সমাজবিজ্ঞানে সংস্কৃতি পূর্ণাঙ্গ জীবন ধারাকে বোঝায়। সংস্কৃতির কারণেই মানুষের ব্যক্তি জীবন এবং সমাজজীবন অন্যদের থেকে স্বতন্ত্রতা পায়।
সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ২য় অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : রবিন ছোটবেলা থেকেই শহরে বসবাস করছে। বাবার সাথে গ্রামে দাদার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সে দেখল, গ্রামের মানুষেরা সহজ সরল, মিতব্যয়ী, আন্তরিক, বিনোদনপ্রিয়, শান্তিপ্রিয় ও ধার্মিক। অথচ শহরের মানুষের মধ্যে এর ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
ক. সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Culture’ শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
খ. সাংস্কৃতিক ব্যবধান বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির ধরন ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “নগর সংস্কৃতি গ্রামীণ বিশ্লেষণ করো। সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন” উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ Culture শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ব্রিটিশ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন।
খ. বিশিষ্ট আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম এফ অগবার্ন তার ‘Social Change’ গ্রন্থে সংস্কৃতির পশ্চাৎপদতা সম্পর্কিত যে তত্ত্ব বা ব্যাখ্যা প্রদান করেন তাই মূলত ‘সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্ব’ হিসেবে পরিচিত। সাংস্কৃতিক ব্যবধান বলতে সাধারণত সংস্কৃতির দুটি অংশের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্যকে বোঝায়। অর্থাৎ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতির ফলে বস্তুগত সংস্কৃতি (Material Culture) দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, যার সাথে অবস্তুগত সংস্কৃতি (Non-material Culture) খাপ খাইয়ে বা তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা বা পিছিয়ে পড়া। সংক্ষেপে এটাই হলো সাংস্কৃতিক ব্যবধান।
গ. সংস্কৃতি হলো একটি জাতি বা সমাজের জীবনধারণ পদ্ধতি। আর বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৭৬ ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। সুতরাং বাংলাদেশের সংস্কৃতি বলতে প্রধানত গ্রামীণ সংস্কৃতিকেই বোঝায়। এ সংস্কৃতির ধরন নিচে ব্যাখ্যা করা হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ মূলত সনাতন জীবনধারায় পরিচালিত হয়। অর্থাৎ- গ্রামীণ সমাজে বসবাসকারী মানুষ সুদীর্ঘকাল যাবত কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই একই ধরনের জীবন যাপন করে।
গ্রামীণ অর্থনীতির মূলভিত্তি হলো কৃষি। অধিকাংশ গ্রামবাসী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে অধিকাংশরাই এখনও গরু ও লাঙলের সাহায্যে কৃষিকাজ করে। তবে ইদানিং পাওয়ার টিলার এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি যন্ত্রের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামের মানুষেরা সাধারণত সহজ-সরল হয়ে থাকে। তাদের পোশাক-পরিচ্ছদও সাধারণ। ভাত, মাছ, ডাল শাক-সবজি গ্রামের মানুষের প্রধান খাদ্য হলেও বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে পিঠা, পোলাও, মাংস ও পায়েসের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
গ্রামীণ সমাজ জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, শহরাঞ্চল থেকে পৃথক প্রকৃতির ঘরবাড়ির ধরন। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে বাঁশ ও বেতের তৈরি বেড়া, বাঁশের খুটি এবং ছন বা খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘরের আধিক্য লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজজীবনে বিভিন্ন ধর্মের প্রভাব বহুলাংশে বিদ্যমান। আবহমানকাল ধরেই গ্রামে বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা একত্রে শান্তিতে বসবাস করছে, যা ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তিপ্রিয়তার সাক্ষ্য বহন করে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, রবিন তার বাবার সাথে গ্রামে দাদার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গ্রামের মানুষের সহজ-সরলতা, মিতব্যয়ীতা, আন্তরিকতা, বিনোদনপ্রিয়তা, শান্তিপ্রিয়তা ও ধার্মিকতা পর্যবেক্ষণ করলো, পূর্বোক্ত আলোচনা অনুযায়ী যা গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রকৃতিকে তুলে ধরে। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি একইসাথে সনাতন এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করছে। যা পরিলক্ষিত হয় গ্রামবাসীদের জীবন-জীবিকার সকল ক্ষেত্রে।
ঘ. “নগর সংস্কৃতি গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন”- উক্তিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যথার্থ। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বলতে প্রধানত গ্রামীণ ও নগর সংস্কৃতিকে বোঝায়, যা পরস্পর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন- নগরে বাড়ি-ঘর নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার করা হয়। পক্ষান্তরে, গ্রামের বাড়ি ঘরগুলো মূলত টিন, বাঁশ, ছন, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে নির্মিত হয়। বাংলাদেশের নগর সংস্কৃতির পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জা বিচিত্র ও বৈচিত্র্যময়।
শার্ট, প্যান্ট, কোট, টাই, পাঞ্জাবি, কটি, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ইত্যাদি বৈচিত্র্যময় পোশাক নগরবাসীদের গ্রামবাসীদের থেকে আলাদা করে। নগরের বাসিন্দারা শিল্প ও সাহিত্যে গ্রামের মানুষের চেয়ে অনেকটা পারদর্শী। নগর সংস্কৃতির একটি স্বতন্ত্র ধরন হলো, জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং তার নিয়মিত চর্চা, যা কিনা গ্রামীণ সংস্কৃতিতে অনুপস্থিত। আবার গ্রামের মানুষের চেয়ে নগরের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা খুব কম থাকে। নাগরিক জীবনের অর্থনীতি পুরোটাই শিল্প, বাণিজ্য ও চাকরির ওপর নির্ভর করে।
পক্ষান্তরে, গ্রামীণ অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। এছাড়া বাংলাদেশের গ্রাম্য রাজনীতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ কেন্দ্রিক। অন্যদিকে নগরের রাজনীতি মূলত রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এর পাশাপাশি নগরের মানুষের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গ্রামের মানুষের মধ্যে ধর্মভীরুতা লক্ষণীয়। তাছাড়া নগরে মর্যাদা অর্জিত, আর গ্রামে মর্যাদা আরোপিত। অর্থাৎ- নগরে বংশানুক্রমে মর্যাদার চেয়ে শিক্ষা, সম্পত্তি কিংবা রাজনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদার গুরুত্ব অনেক বেশি। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে একথা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ধারণাগত দিক থেকে নগর ও গ্রামীণ সংস্কৃতি এক হলেও বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে উভয় সংস্কৃতির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রতনপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষই অশিক্ষিত। চিকিৎসার জন্য এখানকার মানুষ ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ-কবজের উপরই বেশি নির্ভরশীল। সরকার তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু গ্রামের মানুষের বেশিরভাগই “আগের চিকিৎসা ব্যবস্থাতেই ভালো হয়”- এই বিশ্বাসে অটল। হাসপাতালের ডাক্তাররা বোঝাতে চাইলেও তারা পুরোনো বিশ্বাস বদলাতে চায় না।
ক. সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
খ. সংস্কৃতি সর্বত্র বিরাজমান— ব্যাখ্যা করো।
গ. গ্রামের মানুষের বদলাতে না চাওয়া বিষয়টি কোন ধরনের সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের রতনপুর গ্রামের চিত্র যেন অপবার্নের তত্ত্বেরই বাস্তব প্রতিচ্ছবি। তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : হামিদুল স্যার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ দিতে গিয়ে শুধুমাত্র ‘বই’ এর কথা উল্লেখ করলেন। তিনি আরও বললেন যে, ‘সভ্যতা মূলত সংস্কৃতিরই একটি বিশেষ রূপ।”
ক. লেখা আবিষ্কার হয় কোন প্রত্নতাত্ত্বিক যুগে?
খ. ‘শহুরে মানুষেরা আত্মকেন্দ্রিক’— ব্যাখ্যা করো।
গ. তুমি কি মনে কর উদ্দীপকে উল্লিখিত উদাহরণ দিয়ে সংস্কৃতির দুটি প্রকরণকেই বোঝানো যাবে? যুক্তি দাও।
ঘ. উদ্দীপকে হামিদুল স্যার সংস্কৃতির সাথে সভ্যতার যে সম্পর্কের কথা বলেছেন তার সঠিকতা প্রমাণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : ডা. ফয়সাল গত বছর পাস করে নিজ থানায় মানুষের সেবাযত্নের উদ্দেশ্যে থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তিনি দেখেন, এখানকার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগ নির্ধারণের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও তা ব্যবহারের দক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের খুব অভাব। তাছাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক থাকা সত্ত্বেও এলাকাবাসীর চিন্তাধারায় এখনও তেমন পরিবর্তন আসে নাই। এখনও ঝাড়ফুঁক, ওঁঝা, কবিরাজ, তাবিজ-কবজে বিশ্বাস করে তার মাধ্যমেই আরোগ্য লাভের চেষ্টা করে। তিনি বুঝতে পারেন, কেবলমাত্র আধুনিক সুবিধা সংবলিত স্বাস্থ্যসেবাই নয় বরং এর সফলতার জন্য প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।
ক. সংস্কৃতি কি?
ক. সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে সংস্কৃতির ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি সংস্কৃতি সম্পর্কিত কোন তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ডাক্তারের ভাবনার সাথে তুমি কি একমত? বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : সিফাত কলেজের শীতকালীন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেল। রৌদ্রস্নাত শীতের সকালে নাস্তা করার জন্য তার সামনে খেজুরের রস ও ভাপা পিঠা পরিবেশন করা হলো। গ্রামের পথে হাঁটতে গিয়ে সে দেখতে পেল, নতুন ফসল ফলানোর আনন্দে কৃষকরা আনন্দিত। এসব দেখে সে মনে মনে ভাবতে থাকে, ইট-কংক্রিটে আবদ্ধ জটিল নাগরিক জীবনে সংস্কৃতির ভিন্নরূপ লক্ষ করা যায়।
ক. মানুষের সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাসের মূল কারণ কী?
খ. রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের বর্ণনায় বাংলাদেশের সংস্কৃতির যে ধরনটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উদ্দীপকের আলোচনায় বাংলাদেশে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক ব্যবধানের স্বরূপ প্রতিফলিত হয়েছে? যুক্তিসহ মতামত উপস্থাপন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : রায়হান আয়ারল্যান্ডের মেয়ে রেবেকাকে বিয়ে করে দেশে বেড়াতে এলো। এ দেশে এসে রেবেকা লক্ষ করলো, এখানকার মানুষ উৎসবপ্রিয় ও আন্তরিক। তারা বিভিন্ন ধর্মানুসারী হলেও যে যার মতো ধর্মানুষ্ঠান পালন করে। শুধু তাই নয়, সকল ধর্মাবলম্বীরা একত্রিত হয়ে পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি ইত্যাদি দিবসও পালন করে।
ক. বাংলাদেশের নাগরিক জীবনের অর্থনীতি কীসের ওপর নির্ভর করে?
খ. বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ব্যবধানের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাসমূহ সমাজবিজ্ঞানের কোন মৌল প্রত্যয়কে নির্দেশ করে? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাসমূহের ভিন্নতা গ্রাম ও নগর সমাজের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রহিম ও করিম ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু। রহিম গ্রাম থেকে এসেছে। আর করিম ছোটবেলা থেকেই শহরে বসবাস করছে। রহিম করিমকে বলে, “গ্রামের জনগণ সকল চিন্তা ও কাজে শহরের মানুষকে অনুসরণ করলেও গ্রামের মানুষের মধ্যে যে আন্তরিকতা লক্ষ করা যায় তা শহরের মানুষের মধ্যে দেখা যায় না।” এর জবাব দিতে গিয়ে করিম “শহরে দেশ-বিদেশের নানা চিন্তা বলে, ভাবনার মানুষের সমাবেশ ঘটায়, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক স্থায়ী ও আন্তরিকতাপূর্ণ হয় না।”
ক. লোকসাহিত্য কী?
খ. ‘সংস্কৃতি হচ্ছে শিক্ষালব্ধ বিষয়’-ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির কোন কোন ধরনের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধরনগুলো ছাড়া বাংলাদেশে সংস্কৃতির অন্য কোনো ধরন লক্ষ করা যায় কি? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : নিলয় তার আমেরিকান বন্ধু রবার্টকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিয়ে যায়। অনুষ্ঠানে গিয়ে রবার্ট নিলয়কে জিজ্ঞেস করে, এগুলো কেন করা হয়? উত্তরে নিলয় বলে, এ অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা বাঙালি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য। অনুষ্ঠান উপভোগ করার পর রবার্ট নিলয়কে আমেরিকার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানায়। নিলয় তখন উপলব্ধি করে যে, তার বন্ধু শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, ভাষাসহ অনেক ক্ষেত্রেই তার চেয়ে এগিয়ে।
ক. ‘মানবসৃষ্ট সবকিছুর সমষ্টিই হলো সংস্কৃতি’- উক্তিটি কার?
খ. বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির ধরন ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরো।
ঘ. নিলয় ও রবার্টের সংস্কৃতির মধ্যকার পার্থক্যকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পর্যালোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের একটি প্রত্যয়কে মনীষীগণ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন। প্রত্যয়টি সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভারের উক্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে প্রত্যয়টির বহুল উদ্ধৃত সংজ্ঞাটি দিয়েছেন ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানী ই বি টেইলর। অধ্যাপক এ কে নাজমুল করিম প্রত্যয়টিকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
ক. সংস্কৃতি কী?
খ. গ্রামীণ সংস্কৃতিতে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রাধান্য বিদ্যমান- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞানের কোন প্রত্যয়ের পরিচয় ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশের সমাজজীবনে উক্ত প্রত্যয়ের প্রভাব বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : রাতুল সাহেব গ্রামের ছেলে হলেও বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন এবং পেশায় প্রকৌশলী। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামে একটি স্কুল করবেন। স্কুল ভবনের জন্য তিনি নিজেই নকশা তৈরি করে স্কুল ঘরটি নিজ খরচে তৈরি করে দেন। কিন্তু স্কুলে ভালো শিক্ষক না থাকায় লেখাপড়ার মান নিম্নমুখী।
ক. বস্তুগত সংস্কৃতি কী?
খ. সমাজ বলতে কী বোঝায়?
গ. রাতুল সাহেবের স্কুলের নকশা কোন সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. রাতুল সাহেবের প্রতিষ্ঠিত স্কুলের নিম্নমান সংস্কৃতির কোন তত্ত্ব দ্বারা প্রমাণ করা যায়? বিশ্লেষণ করো।
শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পেতে উপরের বাটনে ক্লিক করো। কোর্সটিকায় রয়েছে এইচএসসি সকল বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর। যা তোমরা পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। তাই নিয়মিত আমাদের শীট ও সাজেশনগুলাের আপডেট পেতে কোর্সটিকার YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post