সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৪র্থ অধ্যায় : নৃগোষ্ঠী বলতে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত কতকগুলো সাধারণ দৈহিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সৃষ্ট মানবপ্রজাতির উপবিভাগকে বুঝায়। এক্ষেত্রে বিবেচ্য দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলো হলো মাথার চুল, মাথার আকৃতি, নাকের ধরন, চোখের গঠন ও চোখের মণির রঙ, মুখমন্ডলের গঠন, ঠোঁটের প্রকৃতি, গায়ের রঙ, দৈহিক উচ্চতা ইত্যাদি। এছাড়া কখনও কখনও চোখের ভ্রু, কানের প্রকৃতি, কপালের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়গুলোও বিবেচিত হয়ে থাকে।
সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৪র্থ অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বার্ষিক বনভোজনে কুয়াকাটা যায় রাইসা। সেখানে সে একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণকে দেখতে পায়, যারা পটুয়াখালী জেলায় অধিক সংখ্যায় বাস করছে। তাদের সমাজব্যবস্থা পূর্ণ গণতান্ত্রিক। তাদের নেতা নির্বাচিত হয় পুরুষদের ভোটের মাধ্যমে। নির্বাচনে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারে না।
ক. নৃগোষ্ঠী কী?
খ. জুম চাষ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে রাইসা কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণকে দেখতে পায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত নৃগোষ্ঠীর বিবাহ ব্যবস্থার সাথে কী আধুনিক সমাজের বিবাহ ব্যবস্থার সাদৃশ্য বিদ্যমান রয়েছে? বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নৃগোষ্ঠী হচ্ছে এমন একটি মানব সম্প্রদায় যারা বংশ পরম্পরায় কিছু সাধারণ ও অভিন্ন দৈহিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে থাকে।
খ. জুম চাষ হচ্ছে পাহাড়ি এলাকায় প্রচলিত এক ধরনের বিশেষ চাষ পদ্ধতি। সাধারণত পাহাড়ের ঢালে গাছপালা কেটে, শুকিয়ে ও পুড়িয়ে ফেলার পর মাটিতে গর্ত করে একসাথে কয়েক ধরনের বীজ বপন করা হয়। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কয়েক ধরনের ফসল সংগ্রহ করা হয়। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করাকেই জুম চাষ বলে। ভারতে জুম চাষ পোড়ু, বীরা, পোনম প্রভৃতি নামে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্যানুসারে রাইসা রাখাইন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণকে দেখতে পায়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হচ্ছে রাখাইন। রাখাইনদের আদিনিবাস ছিল বর্তমান মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্ত আরাকান রাজ্যে। অষ্টাদশ শতকে (আনুমানিক ১৭৪০-১৭৯৯ সাল) আরাকান রাজ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাখাইনদের অনেকেই স্বদেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে (যেমন- বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, কক্সবাজার) বসতি স্থাপন করে।
ঐতিহ্যবাহী ও স্বকীয় জীবনধারার অধিকারী রাখাইনদের জীবনপ্রণালি বৈচিত্র্যপূর্ণ। রাখাইনরা প্রধানত মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীভুক্ত। তাদের পরিবার ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক এবং অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। রাখাইনদের সমাজব্যবস্থা পূর্ণ গণতান্ত্রিক। তারা তাদের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সদস্যদের ভোটে রাখাইনদের নেতা নির্বাচিত হন। তবে এক্ষেত্রে মহিলারা ভোট দিতে পারেন না।
উদ্দীপকের রাইসা বনভোজনে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা গিয়ে যে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে তা উপরে আলোচিত রাখাইন নৃগোষ্ঠীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুতরাং এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, রাইসা রাখাইন নামক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণকে দেখতে পেয়েছে।
ঘ. হ্যা, আমি মনে করি, উদ্দীপক দ্বারা নির্দেশকৃত নৃগোষ্ঠী তথা রাখাইন এবং আধুনিক সমাজ বা বাঙালিদের বিবাহ ব্যবস্থার মধ্যে সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদৃশ্য বিদ্যমান। রাখাইনদের মতে, বিয়ে হচ্ছে ধর্ম পালনের অনিবার্য শর্ত। রাখাইনদের মধ্যে চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো ভাই-বোনের বিয়ে নিষিদ্ধ হলেও মামাতো ভাই-বোনের বিয়ে বৈধ। তবে সাধারণত এ ধরনের বিয়ে করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়।
অতীতে রাখাইন ছেলে-মেয়েরা পরিবারের পছন্দের পাত্রী বা পাত্রকেই বিবাহ করত। কিন্তু ইদানিং শিক্ষার প্রসার এবং যুগের দাবির প্রেক্ষিতে বয়ঃপ্রাপ্ত রাখাইন ছেলে মেয়েরা অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে নিজেদের পছন্দমতো পাত্র বা পাত্রীকে বিয়ে করছে। রাখাইন সমাজে সাধারণত মেয়ের বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিয়ের আগে বর ও কনের বাড়িতে বিয়েকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় পিঠা ও মজাদার খাবার। বর আসার পথে সুন্দর করে গেট সাজানো হয়। বসার জন্য প্যান্ডেল নির্মিত হয়ে থাকে। দূর থেকে আত্মীয়-পরিজনের আগমনে আনন্দঘন হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ।
বর আসার পর বরের কাছ থেকে দক্ষিণা আদায়সহ বিভিন্ন রীতি-রেওয়াজ পালন করা হয়। আহার পর্ব শেষে কনেকে সাজিয়ে আনা হয়। এরপর একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু বা ঠাকুর বর-কমনর সুখী জীবন কামনা করে ‘মঙ্গলসূত্র’ পাঠ করেন। সবশেষে একজন বয়স্ক মহিলা বর ও কনের হাতে হাত মিলিয়ে দেন। অন্যদিকে বাঙালি মুসলিম বা হিন্দু সমাজে পিতৃসূত্রীয় কিংবা মাতৃসূত্রীয় কাজিনদের সাথে বিবাহে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, যেমনটা রাখাইন সমাজে দেখা যায়। বর্তমানে আধুনিক বা বাঙালি সমাজেও ছেলে-মেয়েরা অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে নিজেদের পছন্দমতো পাত্রী বা পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বাঙালিদের বিবাহ অনুষ্ঠানও কনের বাড়িতেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে বাঙালিদের মতো রাখাইন সমাজে বিবাহ পরবর্তী ভোজের আয়োজন করা হয় না। এ ধরনের দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বিবাহের প্রস্তাব, বিয়ের বাড়ি সজ্জিতকরণ, বরের আগমন প্রভৃতি ক্ষেত্রে আধুনিক সমাজে যে ধরনের আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়, তার সাথে রাখাইনদের বিবাহব্যবস্থার অনেকাংশেই মিল পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মৌরিন একজন পেশাদার খ্যাতিমান নত্যশিল্পী। তার প্রিয় নাচের মধ্যে অন্যতম হলো “লাই-হারা-উরা।” কিছুদিন পূর্বে সে ‘নোংগক্রেম’ নামে নতুন একটি নাচ শিখেছে, যা সে সিলেটে গিয়ে “বেহদিয়েং খৃলাম” নামক একটি উৎসবে নেচেছিল।
ক. নৃগোষ্ঠী কী?
খ. গারোদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কেমন? বুঝিয়ে বলো।
গ. উদ্দীপকের মৌরিনের নতুন করে শেখা নাচটি বাংলাদেশের কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মৌরিনের প্রিয় নাচটি বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে। যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পার্থিবের নতুন বন্ধুটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য। এদের সমাজ আদাম, মৌজা, সার্কেল এরূপ স্তরে বিভক্ত। প্রত্যেক স্তরে একজন প্রধান ব্যক্তি কর্তৃত্ব করেন। রাজা এই সমাজের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। কলেজে পার্থিবের আরেকজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বন্ধু ছিল, যাদের বসবাস বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এদের সমাজ মায়ের কর্তৃত্বে পরিচালিত। বিয়ের পর ছেলে স্ত্রীর বাড়িতে বসবাস করে।
ক. ‘আদাম’ কাকে বলে?
খ. জুম চাষকে সরকার নিরুৎসাহিত করার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকে পার্থিবের কলেজের বন্ধুটি কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর? বুঝিয়ে লিখো।
ঘ. উদ্দীপকের পার্থিবের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুটির সামাজিক সংগঠনের সাথে বাঙালি সমাজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : বাংলাদেশের অন্যতম একটি নৃগোষ্ঠীর বসবাস সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। ‘খালাছাই’ ও ‘মৈতৈ’ নামক দুইটি গোত্রে বিভক্ত এ নৃগোষ্ঠীর লোকেরা বিশ্বাস করে যে, নৃত্য সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করে এবং ফলশ্রুতিতে তাদের জন্য সাফল্য বয়ে আনে। এ নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের তৈরি তাঁতজাত বস্ত্র খুবই বিখ্যাত।
ক. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে জাতিসংঘের কোন প্রতিষ্ঠানের অবদান রয়েছে?
খ. প্রত্নতত্ত্ব বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে কোন নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য চিত্রিত হয়েছে এবং তাদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে যে নৃগোষ্ঠীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাদের বিবাহ রীতির সাথে বাঙালিদের বিবাহ রীতির কী মিল বা অমিল খুঁজে পাও? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : মাথিন চাকমা তার বান্ধবী শুভ্রার নানাবাড়ি ময়মনসিংহে বেড়াতে গেল। সেখানে সে লক্ষ করল, পরিবারের সকল বিষয়ে শুভ্রার মায়ের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এতে সে একটু অবাক হয়ে শুভ্রাদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় আচার-আচরণ, জীবিকা নির্বাহ প্রভৃতি বিষয় খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করল।
ক. ‘মারমা’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে কোন শব্দ
খ. ‘সাংগ্রাই’ কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. মাথিনের অবাক হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক দ্বারা ইঙ্গিতকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদ্বয়ের অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনামূলক আলোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : আব্দুল মতিন সিলেটের তামাবিল সীমান্তের বিজিবি-তে সিপাহি হিসেবে চাকরি করেন। এক ছুটির দিনে তিনি ও তার দুই সহকর্মী স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তারা ‘লাইহারাউরা’ নামক নৃত্য উপভোগ করেন এবং লক্ষ করেন, সেখানকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পুরুষরা ‘ধুতি’ ও মেয়েরা ‘নাগ’ নামক পোশাক পরে আছেন। হিন্দু বৈষ্ণবীয় মতবাদে বিশ্বাসী এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বাস করে যে, নৃত্যের কারণে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে।
ক. বাংলাদেশের কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীতে পরিবার প্রধান হিসেবে মাতা দায়িত্ব পালন করেন?
খ. সাঁওতালদের নৃগোষ্ঠীগত পরিচয় বর্ণনা করো।
গ. উদ্দীপকে যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে তার জাতিগত পরিচয় প্রদান করো।
ঘ. উদ্দীপক দ্বারা ইঙ্গিতকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমাজ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়ে রায়হান লক্ষ করে যে, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের গায়ের রং ফর্সা, মুখাকৃতি লম্বা, নাক উন্নত ও চিকন এবং ঠোঁট পাতলা। অন্যদিকে নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়দের গায়ের রং কালো, নাক অনুন্নত বা বোঁচা এবং দেহের গঠন শক্ত ও বলিষ্ঠ।
ক. কোচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা কোন ধর্মাবলম্বী?
খ. মণিপুরিদের ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের সাথে কোন নরগোষ্ঠীর মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, নরগোষ্ঠীগত দিক থেকে উদ্দীপকের ইংল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে? যুক্তি সহকারে মতামত উপস্থাপন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : বরেন্দ্র অঞ্চলে সিহাবদের অনেক কৃষিজমি আছে। সেসব জমিতে মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা বেশিরভাগ শ্রমিকই একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য। তাদের গায়ের রং কালো এবং নাকের গড়ন নিগ্রোদের মতো বোঁচা। এরা একটি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী হলেও বিশ শতকের প্রথম ভাগে তাদের দ্বারা সংঘটিত বিদ্রোহ বাংলার ইতিহাসে একটি আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনা।
ক. ঝুমুর গান কোন সমাজে প্রচলিত?
খ. মণিপুরি নৃত্যের বর্ণনা দাও।
গ. উদ্দীপক দ্বারা ইঙ্গিতকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসস্থান উল্লেখপূর্বক বিবাহ ও পরিবার ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক দ্বারা নির্দেশকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : অপুর বাবা একটি সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক। অপু তার বাবার কাছ থেকে জানতে পারে যে, বাংলাদেশে বসবাসরত একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার কোনো লিখিত বর্ণমালা নেই। ফলে তাদের শিশুরা বাংলা ভাষাতেই লেখাপড়া করে। এছাড়া তাদের ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে রয়েছে- “মনসা পূজা’, ‘পিশাচ পূজা’, ‘লঙ্কাচারিয়া পূজা’ ইত্যাদি।
ক. কোন শতাব্দীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের আগমন ঘটে?
খ. সাঁওতালদের পোশাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা দাও।
গ. উদ্দীপক দ্বারা কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক দ্বারা ইঙ্গিতকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামো বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : পাহাড়, অরণ্য ও হ্রদের জেলা রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান তামিম ও তার বন্ধুরা। সেখানে লেকের ওপর ঝুলন্ত সেতুটি পার হওয়ার সময় তামিম বলেন, এখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে চীনা মঙ্গোলীয়দের যথেষ্ট মিল রয়েছে। উচ্চতা মাঝারি থেকে বেঁটে। গড়নেও এরা বেশ শক্তিশালী। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতেই এরা বেশি বাস করে। বিকালে বনভান্তের বিহারে গিয়ে দেখেন বুদ্ধ মূর্তিকে প্রদীপ জ্বেলে, ফুল দিয়ে এবং খাদ্য দিয়ে পূজা করছে সেই স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা।
ক. সাঁওতালদের মধ্যে কয় প্রকারের বিবাহরীতি প্রচলিত রয়েছে?
খ. মণিপুরিদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে লিখ।
গ. উদ্দীপকে তামিমের দেখা স্থানীয় নৃগোষ্ঠী কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নির্দেশ করছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বর্তমানে উক্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমাজে যেসব পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে তা আলোচনা করো।
শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পেতে উপরের বাটনে ক্লিক করো। কোর্সটিকায় রয়েছে এইচএসসি সকল বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর। যা তোমরা পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। তাই নিয়মিত আমাদের শীট ও সাজেশনগুলাের আপডেট পেতে কোর্সটিকার YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post