সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর : শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসতে না পারলে কেউ লেখকদের উপদেশ মানবে না- প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা প্রাবন্ধিক এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। লেখকের মতে, সাহিত্যের উচ্চস্থানে বসতে না পারলে কেউ তাঁকে মান্য করবে না। মানুষ সবসময় শ্রেষ্ঠত্বকে গুরুত্ব দেয়। যে সমাজ বা দেশের উচ্চস্থানে আছে মানুষ তাকেই গুরুত্ব দেয়। অযোগ্য মানুষও যদি বক্তব্যের জন্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে যায়, মানুষ তাকেও গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে। সমাজ শুধু উচ্চস্থানের মানুষকেই কদর করে। গুণী মানুষকে খুব কমই মূল্যায়ন করে। গুণী মানুষ যদি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে না পারে তাহলে সে মানুষের কাছে অজানাই থেকে যায়। তাই কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘যখন তখন হাতে কাদা, নিয়ে তা আঙুলের টিপে মাটির পুতুল ত’য়ের করে থাকেন।’—কথাটি কার সম্পর্কে এবং কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটি বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর রোদ্যাঁর শিল্পচর্চার পন্থা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে বলা হয়েছে।
মূলত শিল্পীর খেলার মাধ্যমেই শিল্পরাজ্যের সব অক্ষয় সৃষ্টির জন্ম। শিল্প সৃষ্টিতে শিল্পীর মনের স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দেরই প্রকাশ ঘটে। শিল্প সৃষ্টির উপাদান নিয়ে শিল্পী খেলায় মেতে থাকেন। আর এই খেলার ফলেই তাঁর সৃষ্টি-কর্ম নানা অবয়ব পায়। ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী ফরাসি ভাস্কর রোদ্যাঁর শিল্প সৃষ্টির উদাহরণ টেনেছেন কাদামাটি নিয়ে। মনের আনন্দে খেলাচ্ছলে তিনি বহু বিখ্যাত সৃষ্টির জন্ম দিয়েছেন।
২. ‘পৃথিবীর শিল্পী মাত্রেই এই শিল্পের খেলা খেলে থাকেন।’—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পৃথিবীর সকল শিল্পীরই শিল্প সৃষ্টির প্রয়াসকে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের লেখক খেলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
লেখক মত প্রকাশ করেছেন যে, শিল্পী যা কিছু সৃষ্টি করেন সেটি শিল্পীর কাছে একরকম খেলারই নামান্তর। বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর রোদ্যাঁর সৃষ্টিকর্মকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। মাটি নিয়ে পুতুল গড়ার খেলা খেলেই পৃথিবী জোড়া খ্যাতি পেয়েছেন রোদ্যাঁ। ঠিক তেমনই পৃথিবীর সকল শিল্পীই খেলার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অভিনব সব সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
৩. ‘বেদীতে না বসলে আমাদের উপদেশ কেউ মানে না।’—বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসতে না পারলে কেউ লেখকদের উপদেশ মানবে না- প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা প্রাবন্ধিক এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। লেখকের মতে, সাহিত্যের উচ্চস্থানে বসতে না পারলে কেউ তাঁকে মান্য করবে না। মানুষ সবসময় শ্রেষ্ঠত্বকে গুরুত্ব দেয়। যে সমাজ বা দেশের উচ্চস্থানে আছে মানুষ তাকেই গুরুত্ব দেয়। অযোগ্য মানুষও যদি বক্তব্যের জন্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে যায়, মানুষ তাকেও গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে। সমাজ শুধু উচ্চস্থানের মানুষকেই কদর করে। গুণী মানুষকে খুব কমই মূল্যায়ন করে। গুণী মানুষ যদি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে না পারে তাহলে সে মানুষের কাছে অজানাই থেকে যায়। তাই কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
৪. অনেকের পক্ষে উচ্চস্থানে ওঠার চেষ্টা মহাপতনের কারণ হয় কেন?
উত্তর: সীমিত প্রতিভার কারণে নিজেদের আয়ত্তের বহির্ভূত স্থানে উঠবার চেষ্টা অনেকের মহাপতনের কারণ হয়।
মানুষের কাছে নিজের প্রভাব ও গুরুত্ব প্রমাণের চেষ্টা মানুষের স্বভাবগত। সাধারণ অন্যান্য সকলের চেয়ে উঁচু অবস্থানে না পৌঁছাতে পারলে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব হয় না। তাই আমরাও নিরন্তর সেই চেষ্টাই করে যাই। এই উঁচুতে ওঠার চেষ্টা সবার জন্য সমান সাফল্য বয়ে আনে না। আয়ত্তের বাইরে কাজ করতে গেলে বরং হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দদান করা, কারো মনোরঞ্জন করা নয়।’—কেন?
উত্তর: মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে।
বস্তুত সাহিত্যের প্রধান উদ্দেশ্য মানুষকে আনন্দ দেওয়া, খেলায় মানুষ যেরূপে আনন্দ পেয়ে থাকে। মনোরঞ্জন করার মধ্যে কোনো একটা কৃত্রিম প্রয়াস বা বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে। কিন্তু আনন্দ দেওয়ার ব্যাপারটিতে, কোনো উদ্দেশ্য বা স্বার্থচিন্তা থাকে না, তা স্বতঃস্ফূর্ত। সাহিত্য যদি কারো মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে রচিত হয়, তবে তা হয়ে পড়ে স্বধর্মচ্যুত। পক্ষান্তরে আনন্দের সন্ধান মেলে স্বতঃস্ফূর্ত খেলার ভিতর দিয়ে। তাই সাহিত্যের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে অনুরূপ উক্তি করা হয়েছে।
৬. ‘কাব্যজগতে যার নাম আনন্দ, তারই নাম বেদনা।’—কারণ কী?
উত্তর: সাহিত্য হলো মানবজীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ- বেদনা ইত্যাদি আবেগ ও অনুভূতির শৈল্পিক প্রকাশ, যা থেকে আনন্দ নামক অভিন্ন রসের খোরাক মেটে।
সাহিত্যে অনেক সময় মানবজীবনের ট্র্যাজিক বেদনার রূপ প্রতিফলিত হয়। তা আস্বাদনে সবাই একধরনের আনন্দলাভ করে। যদিও তার মূলে রয়েছে বেদনাময় আখ্যান। পাঠক সমাজকে আনন্দ দিতে গেলে কবিরা অনেক সময় বেদনা বোধ করে থাকেন। তাই কাব্যজগতে যা আনন্দ রসের আধার, তার অন্য নাম বেদনা।
৭. কীভাবে সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত হয়?
উত্তর: সমাজের মনোরঞ্জন করা সাহিত্যের কাজ নয় আর তা করতে গেলেই সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে।
সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে আনন্দ দেওয়া। সাহিত্যরাজ্যে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলা করার মতো সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সাহিত্যরাজ্যে খেলনা সৃষ্টি করা হলে তা ক্ষণস্থায়ীভাবে পাঠকের মনতুষ্টি করতে পারবে কিন্তু তা পুরোনো হলেই সময়ের গর্ভে হারিয়ে যাবে। অন্যদিকে, যে সাহিত্য থেকে মানুষ আনন্দ আহরণে সক্ষম হয় সেই সাহিত্যই হয় কালজয়ী। অর্থাৎ মানুষের মনোরঞ্জন করার উদ্দেশ্যে সাহিত্য রচনা করা হলেই সাহিত্য তার স্বধর্ম হারায়।
সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর,
৮. সাহিত্যে পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করতে কেন নিষেধ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত ও মানহীন হতে পারে বলে সাহিত্যে পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সাহিত্য কারো মনোরঞ্জনের লক্ষ্যে সৃষ্টি হয় না। সকলকে আনন্দ দান করাই সাহিত্যের উদ্দেশ্য। তাছাড়া এ যুগের পাঠক সমাজ হলো সর্ব- স্তরের জনসাধারণ। গড়পরতা তাদের পাঠাভ্যাসের মানও খুব উঁচু নয়। ফলে বর্তমানের এই পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সম্ভা মানের সাহিত্য নির্মাণ আবশ্যক হয়ে পড়বে। তাই সাহিত্যে আর যাই হোক, এ যুগের পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
৯. শিক্ষার উদ্দেশ্য ও সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখকের অভিমত ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দদান করা এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষকে জ্ঞানদান করা।
শিক্ষা মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও গলাধঃকরণ করতে বাধ্য হয়। পক্ষান্তরে সাহিত্যের রসাস্বাদন করে মানুষ স্বেচ্ছায় ও আনন্দে। তা মানুষের মনের দরজা খুলে দেয়। সাহিত্য ও শিক্ষার উদ্দেশ্যের পার্থক্য এখানেই। লেখকের মতে সাহিত্যের উদ্দেশ্য আনন্দদান করা, শিক্ষাদান করা নয়। উভয়ের উদ্দেশ্য এক নয়।
১০. সাহিত্য রচনাকে খেলা করার সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর: সাহিত্যের কাজ হলো মানুষকে আনন্দ দেওয়া আর পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মল আনন্দের উপায় হলো খেলা করা।
‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে লেখক প্রমথ চৌধুরী মত প্রকাশ করেছেন মানুষের দেহমনের সকল ক্রিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো ক্রীড়া বা খেলা। কেননা, তাতে কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। নিছক আনন্দের জন্যই মানুষ খেলা করে। সাহিত্যের উদ্দেশ্যও একইভাবে মানুষকে নিবিড় আনন্দ প্রদান করা। সেইসাথে খেলার ময়দানে যেমন ধনী-গরিব বা ছোটো-বড়ো কোনো ভেদাভেদ নেই তেমনি সাহিত্যের অঙ্গনেও কারো প্রবেশাধিকারে বাধা নেই। লেখক তাই সাহিত্য রচনাকে খেলা করার সাথে তুলনা করেছেন।
১১. শাস্ত্রমতে সাহিত্যের রস অমৃত কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অমৃত পান করে এবং মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করার জন্য সাহিত্যের রস উপলব্ধি করে।
সাহিত্য মানুষকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখে। লেখক ‘কাব্যরস অনুধাবন করে কাব্য রচনা করলে তা লেখকের মৃত্যুর পরও রয়ে যায়, যা একজন লেখককে সারা জীবন পাঠকের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ সারা জীবন বাঁচার আকাক্সক্ষা নিয়ে অমৃত পান করে। মানুষ যদি সাহিত্যের রস উপলব্ধি করতে পারে তবে এর মাধ্যমে মানুষ হাজার বছর বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা পোষণ করে। সাহিত্যের মৃত্যু নেই। সাহিত্য আজীবন পাঠকের মনে রসের সঞ্চার করে। সেই রস উপলব্ধি করে মানুষ নিজের মধ্যে সেই লেখককে বাঁচিয়ে রাখে। তাই সাহিত্যের রস অমৃত।
১২. ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষের মনকে জাগানো।’—প্রাবন্ধিক কথাটি কেন বলেছেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সাহিত্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যক্ত করার জন্যই প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষকে শিক্ষা দেওয়া নয়। সাহিত্যের রস অমৃত সুধার মতো সঞ্জীবনী শক্তিসম্পন্ন। এর স্পর্শে মানুষের অন্তরাত্মা সজীব ও বিকশিত হয়। মানুষের মাঝে সত্যিকার অর্থে মানবিকতার জাগরণ ঘটায় সাহিত্য। শিক্ষাদানের মতো জোরপূর্বক প্রক্রিয়ায় নয় বরং আনন্দদানের মাধ্যমে মনকে জাগানোই সাহিত্যের উদ্দেশ্য।
১৩. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে কাব্য এবং সাংবাদপত্রের অবস্থান বিপরীতধর্মী কেন?
উত্তর: কাব্য সৃষ্টির মূলে রয়েছে অন্তরাত্মার স্ফূর্তি, অন্যদিকে সংবাদপত্রের কাজ সংবাদ সরবরাহ। ফলে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে এ দুটির অবস্থান বিপরীতধর্মী।
কবিমনের অনুভূতি থেকে কাব্যের উৎপত্তি। কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা জ্ঞান বিতরণ করা নয় বরং কবি তাঁর আপন প্রাণের আনন্দকে সবার করে তোলার জন্যই কাব্যকলা নির্মাণ করেন। অপরদিকে, সংবাদপত্রের কাজ নির্দিষ্ট, আর তা হলো প্রতিদিনের সংবাদ ও সংবাদযোগ্য তথ্য সকলের সামনে উপস্থাপন করা। কাব্যের সজো কোনোভাবেই সংবাদপত্রের উদ্দেশ্যকে মেলানো যায় না। তাই ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধে কাব্য এবং সংবাদপত্রের অবস্থান পরস্পরের বিপরীত মেরুতে।
১৪. শিল্পরাজ্যে বড়ো-ছোটো সকলের কী রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: শিল্পরাজ্যে বড়ো-ছোটো সকলের খেলা করবার অধিকার
রয়েস্কের মতে, সাহিত্য সৃষ্টি করার অধিকার সকলের আছে। বড়ো বড়ো সাহিত্যিক শুধু সাহিত্য রচনা করবেন তা নয়, সবাইকে কবিতা রাখার স্বাধীনতা দিতে হবে। সাহিত্য সৃষ্টির জন্য শুধু কবিরা সুযোগ পাবেন অন্যরা পাবেন না এটা হতে পারে না। সবারই শিল্পরাজ্যে বিচরণ ও খেলার অধিকার রয়েছে। ছোটো বা নবীন লেখকেরাও যেখানে অবাধে বিচরণ করতে পারবেন। সেখানে কোনো ভেদাভেদ করলে সাহিত্যের সত্যিকার অর্থে যে উদ্দেশ্য তা বিলীন হয়ে যাবে। সকল মানুষেরই গান গাওয়া, ছবি আঁকা, কবিতা লেখা ইত্যাদির অধিকার থাকা উচিত বলে লেখক মনে করেন। তাই লেখক বলেন, এই রাজ্যে সকলেরই স্বাধীনতা রয়েছে।
◉ আরও দেখ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল গল্প-কবিতার CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বই থেকে সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post