সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন : মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কারণ এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন এবং আনন্দদানের জন্যই সংঘটিত হয়। খেলা শুদ্ধ আনন্দ দেয়, যা শ্রেণি বা ভেদাভেদ ছাড়াই সবার জন্য সমান। এটি মানুষের মন ও দেহকে সতেজ রাখে এবং জীবনের চাপ থেকে মুক্তি দেয়। খেলায় কোনো স্বার্থ বা উপকারের আকাক্সক্ষা নেই, যা একে অন্য সব কার্য্যকলাপ থেকে আলাদা করে এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করে।
সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক। তিনি তাঁর মনের আনন্দের প্রকাশ ঘটান সাহিত্য। কোনো মানুষের দিকে তাকিয়ে নয়, তার চারপাশে যেসব মানুষকে তিনি দেখেন- তাদেরকেই ভিত্তি করে দাঁড় করান এক একটি বিখ্যাত চরিত্র। হিমু, মিসির আলী তাঁর অসম্ভব পাঠকনন্দিত চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। মনের আনন্দে তিনি এসব চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। পাঠকের কাছেও তাঁর চরিত্রগুলো ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
ক. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিখ্যাত ভাস্করের নাম কী?
খ. কাব্যরস নামক অমৃতে আমাদের অরুচি জন্মেছে কেন?
গ. উদ্দীপকের হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য রচনার সঙ্গে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাযুজ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মনের আনন্দে সাহিত্য সৃষ্টি করেন বলেই হুমায়ূন আহমেদ পাঠকনন্দিত হতে পেরেছিলেন।’—‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির সত্যতা যাচাই করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিখ্যাত ভাস্করের নাম—ফ্যাঁসোয়া অগুস্ত রোদ্যাঁ।
খ. বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাদান পদ্ধতির ত্রুটির কারণে কাব্যরস নামক অমৃতে আমাদের অরুচি জন্মেছে।
‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী শিক্ষা ও সাহিত্যের প্রভেদ স্পষ্ট করেছেন। শিক্ষা মানুষ গ্রহণ করে নিরানন্দভাবে ও অনেকটা বাধ্য হয়ে। অপরদিকে, সাহিত্যরস মানুষ গ্রহণ করে স্বেচ্ছায়। প্রাবন্ধিকের মতে, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কর্তৃক কাব্য পাঠদানের ফলে কাব্যসাহিত্য আনন্দের উৎস না হয়ে ভীতির বিষয় হয়ে পড়েছে। তাছাড়া কবি ও পাঠকের মাঝখানে শিক্ষক দেওয়ালরূপে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় কাব্যরস নামক অমৃতে আমাদের অরুচি জন্মেছে।
গ. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত আনন্দের জন্য সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্যের সঙ্গে উদ্দীপকের হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য রচনার সাযুজ্য রয়েছে। ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের মতে, সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া। সাহিত্য সৃজনের মূলে অভাব দূর করবার কোনো অভিপ্রায় নেই—সে সৃষ্টির মূল অন্তরাত্মা স্ফূর্তি আর তার ফল আনন্দ। এমনকি সাহিত্যের উদ্দেশ্য পাঠকের মনতুষ্টিও নয়। সাহিত্যে রাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনতুষ্টি হতে পারে, কিন্তু তা গড়ে লেখকের মনতুষ্টি হতে পারে না।
উদ্দীপকের লেখক হুমায়ূন আহমেদের কাছে সাহিত্য রচনা একধরনের খেলা। মনের অদৃশ্য প্রেরণা থেকে তিনি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন, লেখনী ধারণ করেছেন। মনের খেয়ালে ও আনন্দে তিনি সাহিত্যচর্চা করেছেন। ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের মূল চেতনাও সাহিত্যের মাধ্যমে। আনন্দদানের সাথে সম্পর্কিত। এমনকি সাহিত্যিকের নিজেরও আনন্দ প্রাপ্তির বিষয় প্রবন্ধে ফুটে উঠে এসেছে। তাই বলা যায়, ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের মূল ভাবনার সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যচর্চা সম্পর্কিত হয়ে উঠেছে। উভয় ক্ষেত্রেই আনন্দলাভের উপায় হিসেবে সাহিত্য রচনার কথা উঠে এসেছে।
ঘ. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সাহিত্য রচনার মাধ্যমে আনন্দ লাভ ও আনন্দ দানের বিষয়টির প্রেক্ষিতে বলা যায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ। ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, সাহিত্যজগতে যাঁদের খেলা করবার প্রবৃত্তি আছে, মানুষের নয়নমন আকর্ষণ করার সুযোগ কেবল তাদের কপালেই ঘটে। কারণ সাহিত্যের উদ্দেশ্য আনন্দ দেওয়া, কাউকে শিক্ষা দেওয়া, কারো মনোরঞ্জন করা সাহিত্যের উদ্দেশ্য নয়।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথা বলা হয়েছে। তিনি নিজ মনের আনন্দে সাহিত্য রচনা করেন। চারপাশের যেসব মানুষ বা ঘটনা তিনি দেখেছেন, যেসব তাঁকে আনন্দ দিয়েছে সেসবই তিনি সাহিত্যে তুলে ধরেছেন। ফলে তাঁর সৃষ্ট-অমর চরিত্রগুলো পেয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা।
উদ্দীপক ও আলোচ্য প্রবন্ধ উভয় জায়গায় মনের আনন্দে সাহিত্য রচনার-এ বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। মনের আনন্দে সাহিত্য রচনা করলে সাহিত্যে যে আনন্দরস সৃষ্টি হয় তা পাঠক-হৃদয়ে সাড়া জাগায়। তাই বলা যায় যে, আলোচ্য প্রবন্ধের সাহিত্য রচনার মাধ্যমে আনন্দলাভ ও আনন্দ দানের বিষয়টির প্রেক্ষিতে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মানুষের একটি চিরন্তন আকাক্সক্ষা হচ্ছে নিজের অনুভূতি ও উপলব্ধি অন্যের কাছে প্রকাশ করা। জয়নুল আবেদীনের মতো ছবি এঁকে, কিংবা রবীন্দ্রনাথের মতো কবিতা-গান লিখে নিজ হৃদয়ানুভূতি ও রূপচেতনা সে অন্য মনে ছড়িয়ে দিতে চায়। এভাবে সে জগতের সকল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। চায় লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকতে। এ কাজ তখনই সফল হয়, যখন রঙে, ঢঙে, আকারে-প্রকারে, ভাষায়-সুরে, ছন্দে, ইঙ্গিতে নিখুঁত রূপ বা অনুভূতি অন্য মনে প্রতিফলিত ও সঞ্চারিত করা যায়। এ কাজ যে পারে, শিল্পরাজ্যের সেই রাজা। ধর্মের জাতপাত, বর্ণভেদ সেখানে একাকার।
ক. রোদ্যার একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য্যরে নাম লেখো।
খ. ‘মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ।’—কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. প্রবন্ধে বর্ণিত ব্রাহ্মণশূদ্রের মানবাধিকার উপরের অনুচ্ছেদের কোন বক্তব্যে প্রতীয়মান হয়? আলোচনা কর।
ঘ. উপরের অনুচ্ছেদের ‘লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা’ বাক্যাংশ অবলম্বনে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত ‘বিশ্বমানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানোরই নামান্তর’ প্রসঙ্গে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ফরাসি ভাস্কর অগাস্ট রোদ্যার একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য্যরে নাম ‘নরকের দুয়ার।’
খ. মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কারণ এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন এবং আনন্দদানের জন্যই সংঘটিত হয়। খেলা শুদ্ধ আনন্দ দেয়, যা শ্রেণি বা ভেদাভেদ ছাড়াই সবার জন্য সমান। এটি মানুষের মন ও দেহকে সতেজ রাখে এবং জীবনের চাপ থেকে মুক্তি দেয়। খেলায় কোনো স্বার্থ বা উপকারের আকাক্সক্ষা নেই, যা একে অন্য সব কার্য্যকলাপ থেকে আলাদা করে এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করে।
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘ধর্মের জাতপাত, বর্ণভেদ সেখানে একাকার’ অংশটি প্রবন্ধে বর্ণিত ব্রাহ্মণশূদ্রের মানবাধিকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘এ পৃথিবীতে একমাত্র খেলার ময়দানে ব্রাহ্মণশূদ্রের প্রভেদ নেই। রাজার ছেলের সঙ্গে দরিদ্রের ছেলেরও খেলায় যোগ দেবার অধিকার আছে।’ এটি বোঝায় যে শিল্প এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে সামাজিক বৈষম্য, জাতপাত কিংবা আর্থিক পার্থক্য কোনো বাধা হতে পারে না।
উদ্দীপকে শিল্পের ক্ষেত্রে যে সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে, তা ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের বক্তব্যকে সমর্থন করে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, শিল্পের জগতে একজন সাধারণ মানুষও তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে। ধর্ম, জাতপাত, বা শ্রেণিগত ভেদাভেদ শিল্পের জগতে কোনো প্রভাব ফেলে না, কারণ সেখানে মানুষের অনুভূতি, রূপচেতনা এবং সৃষ্টিশীলতার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন হয়।
তাই, উদ্দীপকের বক্তব্য ও প্রবন্ধের ভাবনার মিল এই যে, খেলাধুলা ও শিল্প-উভয় ক্ষেত্রই বৈষম্যমুক্ত এবং সমতার একটি নিখুঁত উদাহরণ। এখানে সবাই সমান অধিকার নিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারে এবং তা মানুষের মন জয় করে। এটি প্রমাণ করে যে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে শিল্প ও খেলা সর্বজনীন।
ঘ. উদ্দীপকের ‘লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা’ বাক্যাংশ এবং ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত ‘বিশ্বমানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানোরই নামান্তর’ একটি অভিন্ন চেতনার বহিঃপ্রকাশ। উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের আকাক্সক্ষা নিজ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজস্ব অনুভূতি ও উপলব্ধিকে জগৎব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এবং সকলের সঙ্গে একটি সংযোগ স্থাপন করা।
উদ্দীপকের বিশ্লেষণ: জয়নুল আবেদীনের ছবি বা রবীন্দ্রনাথের কবিতা-গান মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে, তাদের অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে। এ সৃষ্টিকর্মগুলো শুধু শিল্পীর ব্যক্তিগত অনুভূতি নয়, এটি হয়ে ওঠে বিশ্বমানবের অভিজ্ঞতা। শিল্পী তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ ব্যক্তিসত্তা থেকে মুক্ত করে এবং বৃহৎ মানবিকতাবোধের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এর মাধ্যমে শিল্পীর সৃষ্টি মানবসমাজে চিরকাল বেঁচে থাকে।
প্রবন্ধের ভাবনার সঙ্গে সংযোগ: ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, খেলার জগৎ বা শিল্পের জগৎ সেই স্থান যেখানে ব্যক্তি বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বমানবের সঙ্গে একাত্ম হয়। এটি একধরনের সর্বজনীন আনন্দের সঞ্চার করে, যা জাত-ধর্ম-বর্ণের বাধা অতিক্রম করে। উদাহরণস্বরূপ, খেলার ময়দানে যেমন রাজা ও প্রজার সন্তান একসঙ্গে খেলায় মেতে ওঠে, তেমনি শিল্পের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমতা ও সংযোগ সৃষ্টি হয়।
মতামত উপস্থাপন: ‘লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা’ এবং ‘বিশ্বমানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানো’-এই দুইয়ের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। শিল্প, সাহিত্য বা খেলাধুলা, সব ক্ষেত্রেই মানুষের এই আকাক্সক্ষা প্রকাশ পায়। একক সত্তাকে ছাড়িয়ে বৃহত্তর মানবিক চেতনার সঙ্গে একীভূত হওয়ার মাধ্যমে মানুষ নিজের অস্তিত্বকে সার্থক মনে করে। এর ফলে সৃষ্টি বিশ্বমানবের মননে স্থান পায় এবং কালের সীমা অতিক্রম করে।
সুতরাং, লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকা মানে কেবল ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ নয়, এটি বৃহৎ মানব সমাজের সঙ্গে নিজের সত্তা ও সৃষ্টিকে মিলিয়ে দেওয়ার একটি সাধনা। প্রবন্ধের বিশ্বমানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানোর ধারণাটি এই চিরন্তন আকাক্সক্ষারই প্রতিফলন।
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
স্কুল মাঠে একদল শিশু আপন মনে খেলার ব্যাস্ত। মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পারার সকলের বেলুমামা। তিনি শিশুদের ডেকে বললেন, তোমরা এমন দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে হাত-পা ভাঙবে, ব্যথা পাবে। তার চেয়ে এসো সবাই বসে লেখাপড়া করি- জ্ঞান বাড়বে, বিদ্যাবুদ্ধি বাড়বে।’ একটি শিশু বলল, ‘মজাটা কমবে।’ সাথে সাথে সব শিশুরা হেসে উঠল। একে একে সবাই ছুটে পালাল, খেলার মাঠে মনের আনন্দে শুরু করল খেলা।
ক. ব্রাহ্মণশূদ্রের প্রভেদ নেই কোথায়?
খ. ‘যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরে পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বেলুমামা ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের কোন চরিত্রের সঙ্গে তুলনীয়? কেন?
ঘ. “সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত সাহিত্যের উদ্দেশ্যে এবং উদ্দীপকের শিশুদের খেলার উদ্দেশ্য অভিন্ন।”—এ বিষয়ে যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
প্রত্যক্ষভাবে কোন সামাজিক, নৈতিক বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষাদান বা মতবাদ প্রচার করা সাহিত্যের উদ্দেশ্য নয়। যে সাহিত্য মতবাদ প্রচার উগ্র হয়ে উঠেছে, তা সৃষ্টি বা শিল্পকর্ম হিসেবে ব্যর্থ হয়েছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলেন, জিনিসটা হচ্ছে সৃষ্টির ক্ষেত্রে জীবদেহের অন্তর্গত কঙ্কালের মতো। ওটা ভিতর থেকেই সাহিত্যকে জোগাবে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি, বাইরে থেকে প্রকাশ পাবে তার বিচিত্র দেহ-সৌষ্ঠব, তার লাবণ্য।
ক. শিব কে?
খ. ‘এই পুতুল করা হচ্ছে তার খেলা।’—কার এবং কেন?
গ. ‘যে সাহিত্য মতবাদ প্রচার উগ্র হয়ে উঠেছে,তার সৃষ্টি বা শিল্পকর্ম হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে।’—উক্তিটির সাথে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে বর্ণিত সাহিত্যর প্রকৃত উদ্দেশ্য মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল—৫: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
আসিফ ও নয়ন দুই ভাই। লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে আসিফ আনন্দ পায় সাহিত্য পড়ে আর নয়ন আনন্দ পায় ক্রিকেট খেলে। উপন্যাস আসিফের খুব পছন্দ। সে মনে করে, উপন্যাস পড়ার মত আনন্দ আর কিছুতেই পাওয়া যায় না। তাছাড়া মানুষের মন যে কত বিচিত্র হতে পারে তা উপন্যাস না পড়লে সে বুঝতে পারত না। অন্যদিকে, নয়নের প্রবল আগ্রহ কিক্রেট খেলার প্রতি। সে কিক্রেট খেলে যে আনন্দ পায় তা আর কোথাও পায় না। খেলার ফলে তার মন ও শরীর প্রফুল্ল থাকে।
ক. লেখকেরা দশের কাছে কীসের প্রত্যাশা রাখেন?
খ. ‘খেলা হচ্ছে জীবজগতে একমাত্র নিষ্কাম কর্ম।’—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দিপকের সঙ্গে ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের বক্তব্যর কোন সাদৃশ্য আছে কি? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের দুই ভাইয়ের আগ্রহের বিষয় ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য এক।’—‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
আরও দেখো: ১০০% কমন বাংলা সৃজনশীল এবং MCQ প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সাজেশন হিসেবে সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন আলোচনা করা হয়েছে। এখানে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post