সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ছিলেন পরিশীলিত বাগবৈদগ্ধ্যময় রম্যরচনায় সিদ্ধহস্ত। তাঁর বহু রচনা প্রকাশিত হয়েছে ‘বীরবল’ ছদ্মনামে। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র ‘সবুজপত্র’ (প্রথম প্রকাশ: ১৯১৪) পত্রিকাটি ছিল তাঁরই সম্পাদিত। রবীন্দ্রনাথসহ সমকালীন বিখ্যাত মননশীল লেখকদের অনেকেই ছিলেন এই পত্রিকার লেখক।
সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
তাঁর গদ্যশৈলীর নিদর্শন রয়েছে ‘চার ইয়ারী কথা’ ‘বীরবলের হালখাতা’, ‘রায়তের কথা’, ‘তেল-নুন-লকড়ি’ ইত্যাদি গ্রন্থে। তাঁর গল্পগ্রন্থগুলো ও ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ কাব্যগ্রন্থ যথাক্রমে গল্পকার ও সনেটকার হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে তাঁকে বিশিষ্ট আসন দিয়েছে। প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে।
পাঠ-পরিচিতি
প্রমথ চৌধুরীর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার শ্রাবণ ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দ) সংখ্যায়। পরে তা তাঁর ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ (১৯৫২) বইয়ে সংকলিত হয়। এই প্রবন্ধে সাহিত্যচর্চার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখকের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট পরিচয় ফুটে উঠেছে। লেখাটি ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে এখানে মুদ্রিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর মতে, সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দান করা, কারও মনোরঞ্জন করা নয়। সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য হয়ে পড়বে স্বধর্মচ্যুত। অন্যদিকে সাহিত্যের উদ্দেশ্য শিক্ষা দান করাও নয়। কারণ পাঠ্যবিষয় মানুষ পড়ে অনিচ্ছায় এবং বাধ্য হয়ে। পক্ষান্তরে সাহিত্যের রসাস্বাদন করে মানুষ স্বেচ্ছায় ও আনন্দে। তাছাড়া শিক্ষার উদ্দেশ্য জ্ঞানের বিষয় জানানো; পক্ষান্তরে সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষের মনে সাড়া জাগানো।
লেখকের মতে, সাহিত্যের সঙ্গে তুলনা চলে খেলাধুলার। খেলাধুলায় যেমন নিছক আনন্দই প্রধান, সাহিত্যেও তাই। খেলাধুলায় যেমন আনন্দ ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই, সাহিত্যের উদ্দেশ্যও তেমনি- একমাত্র আনন্দ দান করা।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১: জ্ঞানের কথা জানা হয়ে গেলে আর জানতে ইচ্ছে করে না- তা জেনে মনে আনন্দও জন্মে না। সূর্য পূর্বাকালে ওঠে-এই তথ্য আমাদের মন টানে না। কিন্তু সূর্যোদয়ে যে সৌন্দর্য ও দেখার আনন্দ তা সৃষ্টিকাল থেকে আজও বিদ্যমান। এই সৌন্দর্য ও আনন্দানুভূতি পাঠক হৃদয়ে জাগিয়ে তোলাই সাহিত্যের কাজ। পাঠ ও অনুধাবনের মাধ্যমে রসিক পাঠকের হৃদয়ে তা সঞ্চারিত হয়। রস গ্রহণে অসমর্থ লোকই সাহিত্যের সৌন্দর্যও আনন্দানুভূতির পরিবর্তে আত্মহিত ও সন্তুষ্টি খোঁজে। সাহিত্যে নির্মিত সৌন্দর্য-অনুভূতি যদি লোকহিত সাধন করে, তাতে সাহিত্যের কুললক্ষণ নষ্ট হয় না। শুধু লোকহিত ও সন্তুষ্টির প্রচেষ্টা সাহিত্যকে কুলত্যাগী করে, সাহিত্যিক শিক্ষকে রূপান্তিরত হন।
ক. ‘রামায়ণ’ কে রচনা করেছেন?
খ. ‘অতি সস্তা খেলনা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘সাহিত্যের স্বধর্মচ্যুত’ হওয়ার বিষয়টি উপরের অনুচ্ছেদে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, বুঝিয়ে দাও।
ঘ. ‘শিক্ষা ও সাহিত্যের উদ্দেশ্য ভিন্নধর্মী’- বক্তব্যটি উপরের অনুচ্ছেদে কতখানি প্রতিফলিত হয়েছে বলে তুমি মনে কর। উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘রামায়ণ’ রচনা করেছেন মহর্ষি বাল্মীকি।
খ. প্রবন্ধে ‘অতি সস্তা খেলনা’ বলতে সেই সাহিত্যকর্মকে বোঝানো হয়েছে, যা পাঠকদের মনোরঞ্জনের জন্য খুবই নিম্নমানের ও অগভীর হয়ে থাকে। এটি এমনভাবে রচিত হয়, যাতে তা সহজেই জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বাজারে বিক্রি হয়। এ ধরনের রচনার মূল উদ্দেশ্য পাঠকদের সাময়িক বিনোদন দেওয়া, গভীর সাহিত্যিক মান বজায় রাখা নয়।
লেখক এর মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই ধরনের সস্তা সাহিত্য মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে রচিত হয় এবং তা দীর্ঘমেয়াদি মূল্য বা শিল্পের প্রকৃত আনন্দ দিতে ব্যর্থ। এর ফলে সাহিত্য তার স্বকীয়তা ও গুণগত মান হারায়, এবং লেখকের জন্য এটি মনস্তুষ্টির কারণ হয় না।
গ. উপরের অনুচ্ছেদে ‘সাহিত্যের স্বধর্মচ্যুত’ হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্য মূলত সৌন্দর্য ও আনন্দ সৃষ্টির মাধ্যম। এটি পাঠকের হৃদয়ে অনুভূতির জাগরণ ঘটায় এবং রসিক পাঠকের হৃদয়ে সেই সৌন্দর্য ও আনন্দ অনুভব করায়। কিন্তু যখন সাহিত্য তার প্রকৃত স্বভাব—সৌন্দর্য সৃষ্টি ও আনন্দদান—ত্যাগ করে কেবলমাত্র আত্মহিত বা লোকহিতের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তা স্বধর্মচ্যুত হয়।
‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধেও এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। লেখক উল্লেখ করেছেন যে, সাহিত্য যখন পাঠকদের কেবল মনোরঞ্জনের জন্য ‘অতি সস্তা খেলনা’ হয়ে ওঠে, তখন তা তার প্রকৃত উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, লেখক বলেছেন যে, সাহিত্য যদি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে তা আর সাহিত্য থাকে না; তা হয়ে ওঠে শিক্ষকের হাতের যন্ত্র। এ ক্ষেত্রে সাহিত্য তার আনন্দদানের ধর্মকে ত্যাগ করে পাঠকদের কেবল জ্ঞান বিতরণ বা মনোরঞ্জনের জন্য কাজ করে।
উপরের উদ্দীপকের কথা অনুযায়ী, সাহিত্যিক যদি পাঠকদের মনোরঞ্জন বা লোকহিতের জন্য বিশেষ করে লেখা শুরু করেন, তবে তিনি শিক্ষকের ভূমিকায় পরিণত হন। এতে সাহিত্যের আনন্দ ও সৌন্দর্যের প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থাৎ সাহিত্য তখন আর স্বতঃস্ফূর্ত রসসৃষ্টি নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণের মাধ্যম হয়ে ওঠে।
সুতরাং, সাহিত্যের প্রকৃত ধর্ম থেকে সরে গিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষাদান, মনোরঞ্জন বা লোকহিতের জন্য লেখা শুরু করলে সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত হয়। সাহিত্যের সৌন্দর্য ও আনন্দানুভূতির মধ্যেই তার প্রকৃত লীলা নিহিত, যা পাঠকের হৃদয়ে রসসঞ্চার করে। এই প্রকৃত ধর্ম থেকে বিচ্যুতি ঘটলে সাহিত্যের প্রকৃত মহিমা লুপ্ত হয়।
ঘ. উপরের অনুচ্ছেদে ‘শিক্ষা ও সাহিত্যের উদ্দেশ্য ভিন্নধর্মী’ এই বক্তব্যটি যথেষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এতে পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে যে, সাহিত্য মূলত সৌন্দর্য সৃষ্টি এবং পাঠকের হৃদয়ে আনন্দ জাগ্রত করার জন্য। অন্যদিকে, শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষের জ্ঞানচর্চা, উপদেশ বা বাস্তব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা।
‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে লেখক এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। শিক্ষার লক্ষ্য হলো মানুষের মনের অভাব পূরণ করা, তাকে কোনো বিশেষ জ্ঞান বা দক্ষতা প্রদান করা। এটি পাঠকের জন্য বাধ্যতামূলক এবং অনেক সময় আনন্দহীন। উদাহরণস্বরূপ, সূর্য পূর্বদিকে ওঠে—এই তথ্য জেনে মানুষ মুগ্ধ হয় না, কারণ এটি কেবল একটি বাস্তব জ্ঞান। কিন্তু সূর্যোদয়ের সৌন্দর্য, রঙের খেলা ও প্রকৃতির ছন্দ পাঠকের মনে যে আনন্দ সৃষ্টি করে, সেটিই সাহিত্য।
লেখক আরও উল্লেখ করেছেন, সাহিত্য কখনো শিক্ষকের মতো পাঠকের জন্য কিছু চাপিয়ে দেয় না। সাহিত্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয় এবং তা পাঠকের মনের গভীরে আনন্দের সঞ্চার করে। সাহিত্যের মূল লক্ষ্য হলো রসিক পাঠকের হৃদয়ে রসের উদ্রেক ঘটানো। এর বিপরীতে, শিক্ষার কাজ তথ্য সরবরাহ ও উপদেশ দেওয়া। যদি সাহিত্যকে শিক্ষার উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে সাহিত্য তার নিজস্ব ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়।
উদাহরণ হিসেবে, লেখক বলেছেন বাল্মীকি ‘রামায়ণ’ রচনা করেছিলেন মুনিঋষিদের আনন্দদানের জন্য, শিক্ষা দেওয়ার জন্য নয়। এটি সাহিত্য হিসেবে চিরকালীন এবং পাঠকের হৃদয়ে আনন্দের সঞ্চার করে। অপরদিকে, শিক্ষামূলক রচনাগুলি যেমন ‘যোগবাশিষ্ঠ’ জনসাধারণের মধ্যে খুব কমই আনন্দ সৃষ্টি করে, কারণ এটি লেখা হয়েছিল শিক্ষার উদ্দেশ্যে, সাহিত্যের আনন্দদানের জন্য নয়।
উত্তরের পক্ষে যুক্তি: সাহিত্যের মূল উদ্দেশ্য আনন্দ প্রদান ও সৌন্দর্যের সঞ্চার, যা পাঠকের মনের গভীর অনুভূতিকে জাগ্রত করে। অন্যদিকে, শিক্ষার কাজ মানুষের মনকে একটি নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করা। প্রবন্ধের ভাষ্য ও উদ্দীপক উভয়েই এই ভিন্নতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। সুতরাং, শিক্ষা ও সাহিত্যের উদ্দেশ্য ভিন্ন এবং সাহিত্যকে শিক্ষার মাধ্যম বানালে তার মৌলিকতা নষ্ট হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২: মানুষের একটি চিরন্তন আকাক্সক্ষা হচ্ছে নিজের অনুভূতি ও উপলব্ধি অন্যের কাছে প্রকাশ করা। জয়নুল আবেদীনের মতো ছবি এঁকে, কিংবা রবীন্দ্রনাথের মতো কবিতা-গান লিখে নিজ হৃদয়ানুভূতি ও রূপচেতনা সে অন্য মনে ছড়িয়ে দিতে চায়। এভাবে সে জগতের সকল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। চায় লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকতে। এ কাজ তখনই সফল হয়, যখন রঙে, ঢঙে, আকারে-প্রকারে, ভাষায়-সুরে, ছন্দে, ইঙ্গিতে নিখুঁত রূপ বা অনুভূতি অন্য মনে প্রতিফলিত ও সঞ্চারিত করা যায়। এ কাজ যে পারে, শিল্পরাজ্যের সেই রাজা। ধর্মের জাতপাত, বর্ণভেদ সেখানে একাকার।
ক. রোদ্যার একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য্যরে নাম লেখো।
খ. ‘মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ।’—কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. প্রবন্ধে বর্ণিত ব্রাহ্মণশূদ্রের মানবাধিকার উপরের অনুচ্ছেদের কোন বক্তব্যে প্রতীয়মান হয়? আলোচনা কর।
ঘ. উপরের অনুচ্ছেদের ‘লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা’ বাক্যাংশ অবলম্বনে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত ‘বিশ্বমানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানোরই নামান্তর’ প্রসঙ্গে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩: স্কুল মাঠে একদল শিশু আপন মনে খেলার ব্যাস্ত। মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পারার সকলের বেলুমামা। তিনি শিশুদের ডেকে বললেন, তোমরা এমন দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে হাত-পা ভাঙবে, ব্যথা পাবে। তার চেয়ে এসো সবাই বসে লেখাপড়া করি- জ্ঞান বাড়বে, বিদ্যাবুদ্ধি বাড়বে।’ একটি শিশু বলল, ‘মজাটা কমবে।’ সাথে সাথে সব শিশুরা হেসে উঠল। একে একে সবাই ছুটে পালাল, খেলার মাঠে মনের আনন্দে শুরু করল খেলা।
ক. ব্রাহ্মণশূদ্রের প্রভেদ নেই কোথায়?
খ. ‘যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরে পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বেলুমামা ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের কোন চরিত্রের সঙ্গে তুলনীয়? কেন?
ঘ. “সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত সাহিত্যের উদ্দেশ্যে এবং উদ্দীপকের শিশুদের খেলার উদ্দেশ্য অভিন্ন।”—এ বিষয়ে যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪: প্রত্যক্ষভাবে কোন সামাজিক, নৈতিক বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষাদান বা মতবাদ প্রচার করা সাহিত্যের উদ্দেশ্য নয়। যে সাহিত্য মতবাদ প্রচার উগ্র হয়ে উঠেছে, তা সৃষ্টি বা শিল্পকর্ম হিসেবে ব্যর্থ হয়েছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলেন, জিনিসটা হচ্ছে সৃষ্টির ক্ষেত্রে জীবদেহের অন্তর্গত কঙ্কালের মতো। ওটা ভিতর থেকেই সাহিত্যকে জোগাবে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি, বাইরে থেকে প্রকাশ পাবে তার বিচিত্র দেহ-সৌষ্ঠব, তার লাবণ্য।
ক. শিব কে?
খ. ‘এই পুতুল করা হচ্ছে তার খেলা।’—কার এবং কেন?
গ. ‘যে সাহিত্য মতবাদ প্রচার উগ্র হয়ে উঠেছে,তার সৃষ্টি বা শিল্পকর্ম হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে।’—উক্তিটির সাথে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে বর্ণিত সাহিত্যর প্রকৃত উদ্দেশ্য মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫: আসিফ ও নয়ন দুই ভাই। লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে আসিফ আনন্দ পায় সাহিত্য পড়ে আর নয়ন আনন্দ পায় ক্রিকেট খেলে। উপন্যাস আসিফের খুব পছন্দ। সে মনে করে, উপন্যাস পড়ার মত আনন্দ আর কিছুতেই পাওয়া যায় না। তাছাড়া মানুষের মন যে কত বিচিত্র হতে পারে তা উপন্যাস না পড়লে সে বুঝতে পারত না। অন্যদিকে, নয়নের প্রবল আগ্রহ কিক্রেট খেলার প্রতি। সে কিক্রেট খেলে যে আনন্দ পায় তা আর কোথাও পায় না। খেলার ফলে তার মন ও শরীর প্রফুল্ল থাকে।
ক. লেখকেরা দশের কাছে কীসের প্রত্যাশা রাখেন?
খ. ‘খেলা হচ্ছে জীবজগতে একমাত্র নিষ্কাম কর্ম।’—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দিপকের সঙ্গে ‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের বক্তব্যর কোন সাদৃশ্য আছে কি? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের দুই ভাইয়ের আগ্রহের বিষয় ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য এক।’—‘সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
◉ আরও দেখ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল গল্প-কবিতার CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা মূল বই থেকে সাহিত্যে খেলা প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। একই সাথে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য আরও অতিরিক্ত ৪টি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। সবগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post