সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : ‘সুখী মানুষ’ মমতাজউদদীন আহমদের একটি নাটিকা। এর দুটি মাত্র দৃশ্য। নাটিকাটির কাহিনিতে আছে, মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে, ধনী হওয়া এক মোড়লের জীবনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনো সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে মোড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না।
শেষে একজনকে পাওয়া গেল, যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করে সুখে দিন কাটাচ্ছে । তার কোনো সম্পদ নেই, ফলে চোরের ভয় নেই। সুতরাং শান্তিতে ঘুমোনোর ব্যাপারে তার কোনো দুশ্চিন্তাও নেই। শেষ পর্যন্ত সুখী মানুষ একজন পাওয়া গেলেও দেখা গেল তার কোনো জামা নেই। সুতরাং মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না।
সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল—১: জোবেদ আলী ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য। এই নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মত তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন। হবেনই-বা নয় কেন? এলাকার মানুষের অসুখ-বিসুখ হলে সুস্থ না হওয়া অবধি তিনি তার শয্যা ছাড়েন না। সমস্যায় পড়লে সমাধান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার মুখে অন্ন রোচে না। সেই তার অসুখ হলে গাঁয়ের লোক ভেঙে পড়ল। চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে প্রার্থনা করল- আল্লাহ, তুমি আমাদের জোবেদ ভাইকে সুস্থ করে দাও।
ক. আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে যারা চিকিৎসা করে তাদের কী বলে?
খ. হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করে কেন?
গ. জোবেদ আলীর সঙ্গে ‘সুখী মানুষে’র যে মিল আছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মোড়ল যদি জোবেদ আলীর মতো হতেন তাহলে তার চিকিৎসার জন্য সুখী মানুষের জামা তালাশ করতে হতো না’।—বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে যারা চিকিৎসা করে তাদের বলা হয় কবিরাজ।
খ. মোড়ল অত্যাচারী ও পাপী বলে হাসু মোড়লের মৃত্যুকামনা করে।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল একজন খারাপ লোক। কারো গরু কেড়ে নিয়ে, কারো ধান লুট করে মোড়ল আজ ধনী। মানুষের দুঃখকষ্ট দেখে মোড়ল হেসেছে। সে অত্যাচারী, পাপী। গ্রামের সব মানুষকে মোড়ল খুব জ্বালাতন করেছে। হাসুর মুরগি জবাই করে খেয়েছে মোড়ল। এসব অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করেছে।
গ. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার সুখী মানুষের সাথে উদ্দীপকের জোবেদ আলীর মানসিক প্রশান্তির মিল লক্ষণীয়।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকাটির সুখী মানুষ চরিত্রটি দীনহীন অবস্থার মধ্যেও সুখী। সে সারাদিন বনে কাঠ কাটে। সেই কাঠ বিক্রির টাকা দিয়ে খাবার কিনে খায়। তার ঘরে কোনো সম্পদ নেই, ফলে চোরের কোনো ভয় নেই। রাতে মনের সুখে ঘুমায়। তাই সে মহাসুখী, সুখের রাজা। অনুরূপভাবে উদ্দীপকের জোবেদ আলীর মধ্যেও লোভ-লালসা না থাকায় গ্রামের মানুষ তাকে পরপর পাঁচবার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করে। মানবসেবা করাই ছিল জোবেদ আলীর মূল লক্ষ্য।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকার সুখী মানুষ চরিত্রটি নিজের শ্রমে উপার্জিত অর্থে সুখে দিনাতিপাত করে। তেমনই উদ্দীপকের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জোবেদ আলী জনগণের ভালোবাসায় ধন্য। জোবেদ আলী অন্যায়, অনৈতিকতা থেকে বহুদূরে অবস্থান করেছেন সবসময়। সুখী মানুষের জীবন চলে কায়িক পরিশ্রমে, সৎ পথে। নির্লোভ ও সৎ জীবনাচরণে চরিত্র দুটি এক বিন্দুতে মিলে যায়।
ঘ. “মোড়ল যদি জোবেদ আলীর মতো হতেন তাহলে তার চিকিৎসার জন্য সুখী মানুষের জামা তালাশ করতে হতো না।”— এ উক্তিটি যথার্থ।
জোবেদ আলী ও মোড়ল দুজনেই গ্রামের কর্তাব্যক্তি হলেও জোবেদ আলী মানুষের কল্যাণ করে সবার ভালোবাসায় সিক্ত। সবার প্রার্থনা ও কল্যাণ কামনা তার সুস্থ-সুন্দর-সুখী জীবনের পথের প্রধান পথ্য। আর মোড়ল সকল প্রকার খারাপ কাজ করে গ্রামের মানুষের বিরাগের পাত্র। তাই মোড়ল অসুখী।
‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল চরিত্রটি সকল প্রকার অসৎ গুণের অধিকারী। গ্রামের সব মানুষকে সে জ্বালিয়েছে। কারো গরু, কারো ধান লুট করে মোড়ল আজ ধনী। মানুষের কষ্ট দেখলে সে হাসে, মোড়লের অন্যায়-অত্যাচারের কারণে সবাই তার প্রতি বিরক্ত। তার ফুফাতো ভাই হাসুর মুরগি খেয়েছে মোড়ল, সেও তার মৃত্যু কামনা করে। আর মোড়ল আজ অর্থবিত্তের অধিকারী হলেও বড়ই অসুখী। পক্ষান্তরে উদ্দীপকের জোবেদ আলী ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য।
জনগণের সেবার মাধ্যমে তিনি বারবার নির্বাচিত হন। দুঃখ-শোকে তিনি সর্বদা জনগণের পাশে থাকেন। তাই তার অসুখ হলে সবাই ভেঙে পড়ে। তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করে। মানুষকে সেবা করে এবং মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় তিনি সুখী।
সুতরাং, উল্লিখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায়, ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের লোভ-লালসা ত্যাগ করে জোবেদ আলীর মতো জীবনযাপন করলে তার চিকিৎসার জন্য সুখী মানুষের জামা তালাশ করতে হতো না।
সৃজনশীল—২: সেলিম সাহেব নানা উপায়ে, নানা পন্থায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। নদীর পাড় ভেঙে পড়ার মতো ইদানীং বিভিন্ন অজুহাতে সে পাহাড়ের বিরাট বিরাট অংশ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুম হয় না। তার মনে হচ্ছে যাকে তিনি এক সময় সুখের উৎস ভেবেছিলেন সেই হয়ে উঠেছে এখন অসুখের মূল কারণ। ভাঙন যেভাবে লেগেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তেই যাবে।
ক. নাট্যকার মমতাজ উদ্দীন আহমদের পেশাগত পরিচয় কী?
খ. হাসু মোড়লের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তার অকল্যাণ কামনা করে কেন?
গ. মোড়ল চরিত্রের সঙ্গে সেলিম সাহেবের চরিত্রের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মোড়ল আর সেলিম সাহেবের অসুখের মূল কারণ অভিন্ন সূত্রে গাঁথা’।—উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল—৩: জাবেদ সাহেব সৎ, কর্তব্যপরায়ণ ও পরোপকারী সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বিত্তবান নন তবে তাঁর জীবনে সুখ ও স্বস্তির অভাব নেই। তারই বন্ধু সাদমান সাহেব সেই অর্থে সুখী নন। তিনি বিত্তবান কিন্তু তার বিত্তের উৎস পুরোপুরি বৈধ নয়। সম্পদ রক্ষা ও অধিক সম্পদ লাভের আশায় তিনি সর্বদা ব্যস্ত। মানুষের হৃদয়ের নিবিড়তম অনুভূতির নাম সুখ। সাদমান সাহেবের জীবনে তা অধরাই রয়ে গেল।
ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার দৃশ্য কয়টি?
খ. মোড়লের প্রতি হাসুর সমবেদনা নেই কেন?
গ. উদ্দীপকের জাবেদ সাহেব এবং ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল কোন দিক থেকে ভিন্ন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সাদমান সাহেব কি ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়ল চরিত্রের প্রতিনিধি? উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল—৪: করিম সাহেব শেয়ারবাজারে সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করে অধিক লাভবান হন। পরে লাভের আশায় তিনি সম্পূর্ণ মূলধন বিনিয়োগ করে আর্থিক সচ্ছলতা আশা করেন। কিন্তু হঠাৎ শেয়ারবাজারে ধস নামলে লাভ তো দূরে থাক মূলধনও হারালেন। এখন করিম সাহেব অশান্তিতে ভুগছেন।
ক. মোড়লের বিশ্বাসী চাকরের নাম কী?
খ. সুখকে কঠিন জিনিস বলা হয়েছে কেন? বুঝিয়ে লেখ
গ. উদ্দীপকের করিম সাহেব ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় কার প্রতিবিম্ব? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘বেশি লাভের দিকে দৃষ্টি না দিলে করিম সাহেবকে অশান্তিতে ভুগতে হতো না’—মন্তব্যটি ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৫: কদমতলীর চেয়ারম্যান সাহেব খুবই অসুস্থ। এক চাকর নসু মিয়া আর চেয়ারম্যান সাহেবের চাচাতো ভাই কদম আলী তার দেখাশোনা করছে। ডাক্তার খুবই চেষ্টা করছেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এক ওষুধ বদলে আর এক ওষুধ দেয়া হচ্ছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এক রাতে কদম আলী স্বপ্নে দেখল, একজন কেউ জমি হারিয়ে কাঁদছে আর বলছে, ‘তোমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের অসুখ কোনোদিন ভালো হবে না। ও আমার সব কেড়ে নিয়েছে। খোদার বিচার সূক্ষ্ম।’ এরপর কদম আলীর ঘুম ভেঙে গেল।
ক. হাসুদের গ্রামের নাম কী?
খ. “মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না।”—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেয়ারম্যান সাহেবের চরিত্রের সঙ্গে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের চরিত্রের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল—৬: মিরাজের বাবার খুব অসুখ। মিরাজদের পাশের গ্রামে এক বিচক্ষণ কবিরাজ থাকেন। কবিরাজের কাছে গিয়ে সে তার বাবার কথা বলে কেঁদে ফেলল। বলল, ‘কবিরাজ মশায় আপনি আমার বাবাকে বাঁচান।’ কবিরাজ এ কথা শুনে উত্তর দিল, ‘কেউ কাউকে বাঁচাতে পারে না।’ কারণ বিচক্ষণ কবিরাজ জানতেন, মানুষের পক্ষে রোগ সারানো সম্ভব, কিন্তু মানুষের জীবনকে চিরদিন স্থায়ী করা সম্ভব নয়।
ক. মমতাজ উদ্দীন আহমদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ. ‘মানুষ এবং প্রাণী অমর নয়।’— এ কথাটির গভীরতা নির্দেশ কর।
গ. উদ্দীপকের কবিরাজ চরিত্রের সঙ্গে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কবিরাজের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার সমগ্র ভাব ধারণ করে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—৭: গ্রামের পাশে ছোট্ট একটা কুটির। সেই কুটিরে বাস করে এক গরিব জেলে। নদী থেকে মাছ ধরে আর সেই মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিন কিনে নিয়ে আসে। যেদিন মাছ পায় না সেদিন পানি খেয়েই দিন কাটিয়ে দেয়। এ নিয়ে তার দুঃখ তো নেই-ই বরং সে সুখী। কারণ অর্থই অর্থের মূল। জেলে নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করে।
ক. লোকটা কার মতো হাসছিল?
খ. ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’—এ কথাটি কেন বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের জেলে চরিত্রের সঙ্গে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অর্থই অনর্থের মূল’—‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে উদ্দীপকের এ মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
সৃজনশীল—৮: এলাকার চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই যদু আর মামাতো ভাই মধু। দুজনই তাদের ভাইকে বেশ ভালোবাসে। যদু মনে করে চেয়ারম্যানের চরিত্রে কোনো দোষ নেই। কিন্তু মধু জানে চেয়ারম্যান আসলে একজন লোভী মানুষ। সে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে। যদু একদিন মধুকে বলল, ভাইয়ের মতো লোকই হয় না। উত্তরে মধু হেসে দিল, ঠিকই বলেছ, ভাই যার শত্রু তার আর শত্রুর প্রয়োজন নেই।
ক. মোড়ল জোর করে হাসুর কী জবাই করেছিল?
খ. “ঐ কবিরাজ যতই নাড়ি দেখুক, তোমার মোড়লের নিস্তার নেই।”—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মধু চরিত্রের সঙ্গে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার হাসুর চরিত্রের মিল দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকের চেয়ারম্যানকে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের প্রতিনিধি বলা যায় কী? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—৯: পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধাতৃষ্ণা মেটাতেই বেশি মনোযোগী। তারা সারাক্ষণ অর্থচিন্তায় ব্যস্ত থাকে। অর্থচিন্তার যাতাকলে সবাই বন্দি। ধনী-দরিদ্র সবার অন্তরে একই ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে— চাই, চাই, আরো চাই। অন্নচিন্তা বা অর্থচিন্তা থেকে মানুষ মুক্তি না পেলে অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়, একথা মানুষকে বোঝাতে না পারলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না। অর্থচিন্তায় ব্যস্ত মানুষ প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জনে অক্ষম।
ক. বিছানায় শুয়ে কে ছটফট করছে?
খ. সুখী মানুষের প্রাণখোলা হাসির কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মূলভাবের সাথে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মূলবক্তব্যের সাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. ‘মোড়ল স্বার্থচিন্তায় ব্যস্ত একজন মনুষ্যত্বহীন মানুষের প্রতিচ্ছবি’—উক্তিটি উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—১০: রফিক সাহেব অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতেন এবং পরে তা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার খারাপ ব্যবহারের কারণে আশেপাশের মানুষের সাথে তার সম্পর্ক ভালো না।
সম্পদ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি সন্তানদেরও ভালোভাবে মানুষ করতে পারেননি। টাকা- পয়সা নিয়ে চিন্তিত, চোখে ঘুম নেই; ঠিকমতো খেতেও পারেন না তিনি। বাড়ির কাজের লোক নয়ন সারাদিন কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় খেয়েদেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে। এটা দেখে রফিক সাহেবের মনে হিংসা হয়।
ক. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় কয়টি দৃশ্য রয়েছে?
খ. হাসু মোড়লের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তার অকল্যাণ কামনা করে কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. নয়নকে কী ধরনের মানুষ বলা যায়? ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রফিক সাহেবকে ‘সুখী মানুষ’ হতে হলে কী কী করতে হবে? —‘সুখী মানুষ’ নাটিকার আলোকে লেখ।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে সুখী মানুষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post