সুখ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : আমরা সবাই জীবনে সুখী হতে চাই। কিন্তু কীভাবে সুখ আসতে পারে, ‘সুখ’ কবিতায় কবি সে সম্পর্কে তাঁর ধারণা তুলে ধরেছেন। জগতে যারা কেবল সুখ খোঁজেন তারা জীবনে দুঃখ-যন্ত্রণা দেখে ভাবেন মানুষের জীবন নিরর্থক। এ ধারণা ভুল। সকল সংকট মোকাবিলা করে জীবনসংগ্রামে সফলতা লাভের মাধ্যমেই সুখ অর্জিত হয়।
সমাজের অন্য সবার কথা ভুলে কেউ যদি কেবল নিজের স্বার্থ দেখে, সে হয়ে যায় আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। পক্ষান্তরে অন্যকে আপন ভেবে, অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে প্রীতি, ভালোবাসা, সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে যে অন্যের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করে সেই প্রকৃত সুখী । এ সমাজে প্রতিটি মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই অন্যকে বাদ দিয়ে সমাজে একা বাঁচার কথা কেউ ভাবতে পারে না, সুখী হওয়া তো দূরের কথা।
সুখ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
আলিম ও জামিল দুই ভাই। প্রবাসে গিয়ে আলিম প্রচুর সম্পদের মালিক হয়ে দেশে ফিরেছেন। বাড়ি-গাড়ি সবই করেছেন। নিজের সুখের সকল ব্যবস্থাই করেছেন। অপরদিকে জামিল কেবল নিজের সুখ নিয়েই ব্যস্ত নন। পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীর সুখে-দুঃখে তিনি এগিয়ে যান। অন্যের উপকার করার সুযোগ পেলে সুখী হন।
ক. ‘অবনী’ শব্দের অর্থ কী?
খ. সংসারকে সমর-অঙ্গন বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের জামিল ‘সুখ’ কবিতায় বর্ণিত সুখী হবার কোন প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেছে—ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘আলিমের সুখ প্রকৃত সুখ নয়।’—‘সুখ’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘অবনী’ শব্দের অর্থ পৃথিবী।
খ. সংসারকে ‘সমর-অঙ্গন’ বলা হয়েছে, কারণ জীবন এক কঠিন সংগ্রামের নাম। সুখ ও সাফল্য অর্জনের জন্য মানুষকে বাধা-বিপত্তি ও দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। ঠিক যেমন একজন যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়, তেমনই মানুষকে জীবনযুদ্ধে আত্মত্যাগ, পরিশ্রম ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে জয়ী হতে হয়। কবি মানুষকে বীরের মতো এ সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ প্রকৃত সুখ অর্জনের পথ কখনোই সহজ নয়, বরং তা কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমেই পাওয়া যায়।
গ. উদ্দীপকের জামিল ‘সুখ’ কবিতায় বর্ণিত সুখী হওয়ার যে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেছে, তা হলো পরের জন্য আত্মত্যাগ ও নিঃস্বার্থ সেবা। কবি বলেন, ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও, তার মতো সুখ কোথাও কি আছে? নিজের কথা ভুলিয়া যাও।’ অর্থাৎ, প্রকৃত সুখ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার মধ্যে নয়, বরং অপরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাতেই প্রকৃত সুখের আসল স্বাদ পাওয়া যায়।
জামিল কেবল নিজের সুখ নিয়েই ব্যস্ত নন, তিনি পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী ও সমাজের জন্য কাজ করেন। তিনি অন্যের দুঃখে ব্যথিত হন, প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ান, সহায়তা করেন। বিপরীতে, তার ভাই আলিম কেবল নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই ভাবেন এবং সম্পদ অর্জন করাকে জীবনের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু কবির দৃষ্টিতে এ ধরনের সুখ ক্ষণস্থায়ী ও আত্মকেন্দ্রিক। কবিতায় বলা হয়েছে, ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’
এই চরণ থেকে বোঝা যায়, মানুষ প্রকৃত সুখী হতে পারে তখনই, যখন সে নিজের স্বার্থকে বড় করে না দেখে সমাজ ও অন্যদের কল্যাণে নিয়োজিত হয়। জামিলের জীবনের মূলমন্ত্রও ঠিক তাই। তিনি নিজের স্বাচ্ছন্দ্যকে বড় করে না দেখে অন্যের উপকারে এগিয়ে যান। এই নিঃস্বার্থ সেবাই তাকে প্রকৃত সুখ এনে দিয়েছে, যা কবিতার মূল আদর্শের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়।
ঘ. আলিমের সুখ প্রকৃত সুখ নয়, কারণ তার সুখ কেবল ব্যক্তিস্বার্থে সীমাবদ্ধ, যা ‘সুখ’ কবিতার আদর্শের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। কবির মতে, প্রকৃত সুখের মূলমন্ত্র হলো পরের জন্য আত্মত্যাগ করা ও নিঃস্বার্থভাবে অন্যের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা।
আলিম অনেক সম্পদ অর্জন করেছেন, বিলাসী জীবনযাপন করছেন, কিন্তু তার এই সুখ একান্তই নিজস্ব, সমাজের জন্য তাতে কোনো উপকার নেই। কবিতায় কবি এমন আত্মকেন্দ্রিক জীবনকে নিরর্থক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’ এর অর্থ হলো, পৃথিবীতে কেউই শুধু নিজের জন্য জন্ম নেয়নি; প্রকৃত সুখ আসে তখনই, যখন মানুষ নিজেকে ভুলে গিয়ে অন্যের উপকারে আসে।
আলিম নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য যা কিছু করছেন, তা সাময়িক তৃপ্তি দিতে পারে, কিন্তু তা প্রকৃত সুখ নয়। প্রকৃত সুখ হলো অপরের জন্য কিছু করা, অন্যের দুঃখ-সুখে পাশে দাঁড়ানো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে জামিলের জীবন আলিমের তুলনায় বেশি অর্থবহ এবং প্রকৃত সুখের প্রতিনিধিত্ব করে। আলিমের সম্পদ, বিলাসবহুল জীবন, নিজের সুখের আয়োজন—এসবই স্বার্থপরতার প্রতিচিত্র, যা দীর্ঘমেয়াদে মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে না। তাই বলা যায়, আলিমের সুখ প্রকৃত সুখ নয়, বরং আত্মকেন্দ্রিক এক ধরনের মোহমাত্র।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে অনিমা হতাশ হয়ে পড়ে। অনিমার বান্ধবী শারমিন বলল, সোহেলি অন্যের বাড়িতে কাজ করে ফাঁকে ফাঁকে পড়ে ভালোভাবে বি এ পাস করেছে। সুতরাং মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। অনিমা, তুমি হাল ছেড়ে দিও না। আমার বিশ্বাস, চেষ্টা করলে তুমি ভালো ফল করতে পারবে।
ক. সংসারকে কবি কী বলেছেন?
খ. ‘তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?’—কবি এ চরণে কোন সুখের কথা বুঝিয়েছেন?
গ. অনিমার হতাশার মধ্যে ‘সুখ’ কবিতার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. ‘শারমিনের চিন্তা-ভাবনা কবির ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’—এ চরণের ভাবকেই যেন ধারণ করেছে।’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি সংসারকে সমর-অঙ্গন বলেছেন।
খ. কবি ‘তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?’ চরণটি দিয়ে পরের উপকার করার মধ্যেই প্রকৃত সুখ রয়েছে—এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
তিনি মনে করেন, নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করাই প্রকৃত আনন্দের উৎস। নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে যদি মানুষ পরের কল্যাণে কাজ করে, তবে সে আত্মিক প্রশান্তি লাভ করে, যা ভোগবিলাসে পাওয়া যায় না। তাই কবি পরার্থপরতার মধ্যেই প্রকৃত সুখের সন্ধান করেছেন এবং এটিকেই সর্বোচ্চ সুখ হিসেবে দেখিয়েছেন।
গ. অনিমার হতাশার মধ্যে ‘সুখ’ কবিতার সংগ্রামী চেতনার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। কবি বলেছেন, ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ; যে জিনিবে সুখ লভিবে সে-ই।’ অর্থাৎ, সুখ বা সাফল্য অর্জন করতে হলে মানুষকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং হাল ছাড়া যাবে না। অনিমা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে, কিন্তু শারমিন তাকে মনে করিয়ে দেয় যে চেষ্টা করলেই সফলতা সম্ভব।
কবিতায় কবি আরও বলেছেন, ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’ এই চরণে বোঝানো হয়েছে, ব্যক্তি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে বা শুধুই দুঃখ করলে সে কখনো সফল হতে পারবে না। শারমিন অনিমাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে বলছে, যা কবিতার মূল ভাবনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়, আর সেই সংগ্রামে যারা লড়ে যায় তারাই প্রকৃত সুখ ও সাফল্য লাভ করে। অনিমার উচিত হাল না ছেড়ে আবার নতুন উদ্যমে চেষ্টা করা, কারণ জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র, এখানে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ই সফলতার চাবিকাঠি।
ঘ. শারমিনের চিন্তা-ভাবনা ও উৎসাহদানের মধ্যে কবিতার ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’ চরণের ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। কবিতায় কবি বলেছেন, সুখ অর্জন সহজ নয়, এটি যুদ্ধের মতো কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে। যারা জীবনের প্রতিকূলতাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে, তারাই প্রকৃত সুখ ও সফলতা লাভ করে।
শারমিনও অনিমাকে সেই একই শিক্ষা দিতে চেয়েছে। সে অনিমাকে বলেছে, হতাশ না হয়ে আবার চেষ্টা করতে, কারণ অক্লান্ত পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। শারমিন অনিমাকে মনে করিয়ে দেয়, সোহেলি অনেক কষ্ট ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে, তাই অনিমাও পারবে। এটি কবিতার মূল দর্শনের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিল রাখে—পরিশ্রম, ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে যারা সংগ্রাম করে, তারাই সুখ লাভ করে।
সুতরাং, শারমিনের চিন্তা-ভাবনা কবির উক্ত চরণের ভাবনারই বাস্তব প্রতিফলন। জীবনের পথে জয়ী হতে হলে যুদ্ধের মতো সাহসিকতা নিয়ে পথ চলতে হয়, যা শারমিন তার কথার মাধ্যমে অনিমাকে বোঝাতে চেয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
সাম্প্রতিক বন্যায় কুড়িগ্রাম, বগুড়া ও চাঁদপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এতে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জিনিসপত্র উদ্ধার ও ত্রাণ দেয়ার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা বিশ্বাস করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে অন্যের কল্যাণে কাজ করাই মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা এবং এতেই সুখ নিহিত।
ক. ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থটি রচয়িতা কে?
খ. ‘এ ধরা কি শুধু বিষাদময়’—এ চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার কর্মীদের আচারণ ‘সুখ’ কবিতার কোন দিকটি ইঙ্গিত করেছে?
ঘ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘সুখ’ কবিতার মূল বক্তব্যকে সমর্থন করে কি? যুক্তিসহ তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৪—নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
কবির চৌধুরী উত্তরাধিকার সূত্রে বহু সম্পত্তির মালিক ছিলেন। গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার বিশেষ খাতির ছিল। গ্রামের যেসব কৃষক তার জমি চাষ করত তিনি তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। ফসল কম হলে তিনি তার নিজের ভাগটা ছেড়ে দিতেন। গ্রামের দরিদ্র মানুষরা তার কাছে এসে কখনো খালি হাতে ফেরেনি। তিনি নিজের কথা না ভেবে সমাজের অসহায় মানুষদের কথা ভাবতেন। অসহায় ও অসুস্থ মানুষদেরকে তিনি টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। তিনি প্রায় বলতেন, প্রাচুর্যের মাঝে সুখ নেই, মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাই প্রকৃত সুখ।
ক. ‘বলি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’—বুঝিয়ে লেখ।
গ. কবির চৌধুরীর চরিত্রে ‘সুখ’ কবিতার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সুখ’ কবিতার সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।”—মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
আরও দেখো—ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের চারুপাঠ বাংলা বই থেকে সুখ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। একইসাথে এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য মোট ৪টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post