সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ‘সুভা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গল্পগুচ্ছ থেকে সংকলিত হয়েছে। বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরী সুভার প্রতি লেখকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমত্ববোধে গল্পটি অমর হয়ে আছে। সুভা কথা বলতে পারে না।
মা মনে করেন, এ-তার নিয়তির দোষ, কিন্তু বাবা তাকে ভালোবাসেন। আর কেউ তার সঙ্গে মেশে না-খেলে না। কিন্তু তার বিশাল একটি আশ্রয়ের জগৎ আছে। যারা কথা বলতে পারে না সেই পোষা প্রাণীদের কাছে সে মুখর। তাদের সে খুবই কাছের জন। আর বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে সে পায় মুক্তির সনদ।
‘সুভা গল্পের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মন ও চিন্তা, আবেগ ও অনুভূতির সূক্ষ্মতর দিকগুলো উপস্থাপন করেছেন । সমাজে বিকশিত সেসব শিশুর প্রতি সকলের মমত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রস্তুতে সহায়তা করে এ গল্প ।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: দুই পুত্রসন্তানের পর কন্যাসন্তান পলাশ জিমর পরিবারে আনন্দের বন্যা নিয়ে এল। নাম রাখা হলো ‘কল্যাণী’। সকলের চোখের মণি কল্যাণী বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পলাশ জিম বুঝতে পারলেন, বয়সের তুলনায় কল্যাণীর মানসিক বিকাশ ঘটেনি।
কিছু বললে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। কল্যাণীর বিয়ের কথাবার্তা চলছে। পলাশজিম কল্যাণীর অবস্থা বরপক্ষকে খুলে বললেন। সব শুনে বরের বাবা সুবোধ জিম বললেন, ‘পলাশ জিম কল্যাণীর মতো আমার ছেলেও তো হতে পারত, কাজেই কল্যাণীমাকে ঘরে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
ক. সুভার গ্রামের নাম কী?
খ. ‘পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভার’ কথাটি দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার যে বিশেষ দিকটির সঙ্গতি দেখানো হয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘কল্যাণী ও সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন।’ বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘সুভা’ গল্পে সুভার গ্রামের নাম চণ্ডীপুর।
খ. ‘পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভার’ কথাটি দ্বারা লেখক বোঝাতে চেয়েছেন, সুভার বোবা হওয়ার কারণে তার পিতা-মাতা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সুভার শারীরিক ত্রুটির জন্য সমাজে তাকে বিবাহযোগ্য কন্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা কঠিন ছিল।
এই দুশ্চিন্তা প্রকাশ না করলেও, তা তাদের মনে সর্বদা একটি ভার হয়ে ছিল। বিশেষত, সমাজের চাপ এবং সুভার প্রতি মায়ের বিরক্তি এই মানসিক বোঝাকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। সুভা নিজেও তাদের এই চাপ এবং লজ্জার অনুভূতি উপলব্ধি করত, যা তাকে আরও নিঃসঙ্গ এবং নির্লিপ্ত করে তুলেছিল।
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশে কল্যাণীকে পরিবারের ‘চোখের মণি’ বলা হলেও, তার মানসিক বিকাশজনিত সীমাবদ্ধতা তাকে পিতা-মাতার চিন্তার কারণ করে তুলেছে। একইভাবে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ গল্পে সুভার বোবা হওয়াটা তার পিতা-মাতার জন্য এক গভীর দুশ্চিন্তার বিষয়।
এই দুই চরিত্রের বিশেষ দিক হলো, উভয়ের শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা পিতা-মাতার মনের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যদিও তারা সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধে আবদ্ধ।
উদ্দীপকে যেমন কল্যাণীকে ঘিরে পরিবারের আনন্দ ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়, তেমনই সুভার বোবা হয়ে জন্মানো তাকে তার পিতা-মাতার জন্য একটি নীরব হৃদয়ভারে পরিণত করে। দুটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানদের সীমাবদ্ধতা পিতা-মাতার জন্য সামাজিক এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
সুভার ক্ষেত্রে যেমন সমাজের বিয়ের প্রশ্ন ছিল, কল্যাণীর ক্ষেত্রেও তার বিয়ের প্রসঙ্গে পিতা পলাশ জিম এই সমস্যার মুখোমুখি হন। উভয় ক্ষেত্রেই পিতা-মাতার দুশ্চিন্তা তাদের সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা এবং সমাজের বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রতিফলন।
ঘ. ‘কল্যাণী ও সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন’—এই উক্তির মধ্যে দুটি চরিত্রের জীবনযাত্রা, পরিস্থিতি এবং সামাজিক অবস্থান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দুই চরিত্রই শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার কারণে পিতা-মাতার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ, তবে তাদের পরিপ্রেক্ষিত ও পরিণতি একে অপর থেকে আলাদা।
কল্যাণী: কল্যাণী একটি শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার শিকার, যা তাকে সমাজের মূল স্রোত থেকে কিছুটা আলাদা করে রাখে। তবে তার পরিবার তাকে ভালোবাসে এবং সমাজের প্রতি তার এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, বিশেষ করে বরপক্ষ যখন তাকে গ্রহণ করে।
কল্যাণীর জীবন এবং বিয়ের বিষয়টি সমাজের অনেকটা সাধারণ নিয়মের মধ্যে থাকে। তার পরিবার কল্যাণীকে অস্বাভাবিক না ভাবলেও, তার ভবিষ্যৎকে কিছুটা সামাজিক প্রভাবের মধ্যে দৃষ্টিপাত করা হয়।
সুভা: সুভা একটি ভিন্ন পরিস্থিতির শিকার। সে জন্ম থেকেই বোবা, যা তার জন্য সামাজিক এবং পারিবারিক চাপের সৃষ্টি করে। সুভার পিতা-মাতা তাকে ত্রুটির চোখে দেখেন, বিশেষত তার মা। তার মা সুভাকে নিজের অংশ হিসেবে নয়, বরং যেন কিছু কম, কিছু অসম্পূর্ণ মনে করেন।
সুভার জীবন, কল্যাণীর মতো সাধারণ পরিবারের এবং সমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। সে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে নিঃসঙ্গভাবে বড় হয়ে ওঠে, যেখানে তার একমাত্র সঙ্গী হলো পশুপাখি এবং প্রকৃতি। তার পরিস্থিতি আরও কঠিন, কারণ তাকে পুরোপুরি বয়ঃসন্ধির পরে সমাজের সাথে মেলামেশা করতে হবে—যেটি তাকে নির্জনতা এবং বিষাদের দিকে ঠেলে দেয়।
এভাবে, কল্যাণী ও সুভার জীবনযাত্রা ও পরিণতির মধ্যে গভীর পার্থক্য রয়েছে। কল্যাণী যেখানে কিছুটা সমাজে স্থান করে নেয়, সুভা সেখানে পুরোপুরি একাকী ও নির্জন থাকে, যা তাদের পরিণতির মধ্যে মূল পার্থক্য সৃষ্টি করে।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নয়ন বেশ মেধাবী ও নম্র-ভদ্র এক কিশোর। কিন্তু তার একটি পা খোঁড়া। র্ক্যাচে ভর দিয়ে স্কুলে যায়। নয়নের বাবা রোজ স্কুলের গেটে তাকে দিয়ে আসেন আবার ছুটির সময় এসে নিয়ে যান। বাবা নয়নকে খুব ভালোবাসেন; তার সব বায়না মিটিয়ে দেন।
স্কুলের শিক্ষকগণ ও ছাত্ররা তাকে সহযোগিতা করে। আবার কেউ কেউ খোঁড়া বলে বিরক্ত করে। তখন তার মন খারাপ হয়ে যায়। বাবা তাকে সান্তনা দিয়ে বলে ‘তুমি অনেক বড় হয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দেবে জীবনে সফল হবার ক্ষেত্রে পঙ্গু হওয়াটা কোনো বাধা নয়।
ক. প্রতাপ সুভাকে কী বলে ডাকত?
খ. মা সুভাকে নিজের গর্ভের কলঙ্ক মনে করত কেন?
গ. উদ্দীপকের ভাববস্তু ‘সুভা’ গল্পের কোন দিক নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মাহফুজের বাবা কী গল্পের সুভার বাবার সম্পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করে? তোমার সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: চঞ্চল স্বভাবের সাবিনা দেখতে যেমন সুন্দরী, তেমনি বুদ্ধিতে প্রখর। কিন্তু জন্ম থেকেই সে বাক-প্রতিবন্ধী। কথা না বললেও সব কথা বুঝতে পারে সে। সে যখন বাইরে আসে প্রতিবেশী ছেলে মেয়েরা তাকে বিরক্ত করে।
বড়রাও আড়ালে আবডালে তাকে নিয়ে কুৎসা রটনা করে। এতে সাবিনা খুব কষ্ট পায় তাই মানুষের সামনে সে যেতে ভয় পায়। মায়ের কাছেও সে প্রশ্রয় পায় না মা বিরক্ত হয়। এভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে একটু একটু করে সবার কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে নেয়।
ক. কে সুভার মর্যাদা বুঝত?
খ. সুভা নিজেকে বিধাতার অভিশাপ মনে করত কেন?
গ. উদ্দীপকে গাবিনার যে সংবেদনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায় তার প্রতিফলন ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সুভা ও গাবিনার মত বাক-প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের কী দায়িত্ব রয়েছে? বিশ্লেষণসহ মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৪: জিম চোখে দেখতে পায় না। পরিবারের অনেকে তাকে ‘কানা’ মনে করে তার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করে। জিম নিজেকে বড় একা মনে করে। সংসারে সে যেন একটা জীবন্ত অভিশাপ। নিজের মাও তাকে তিরস্কার, গঞ্জনা করতে ছাড়ে না। কিন্তু বাবা মাহমুদ সাহেব জিমকে খুব ভালোবাসেন। তাকে সারাক্ষণ আগলে রাখার চেষ্টা করেন। তার অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টা করেন।
ক. কিশলয় শব্দের অর্থ কী?
খ. গোসাইদের ছোট ছেলেটির পরিচয় দাও।
গ. উদ্দীপকের জিম ‘সুভা’ গল্পের যে চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের মাহমুদ সাহেব ‘সুভা’ গল্পের বাণীকন্ঠেরই প্রতিরূপ”—উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৫: সাবিনা ও শাকিলের সুখের সংসার। ঘরে তাদের দুই পুত্র সন্তান। স্বামী-স্ত্রীর খুব শখ একটা কন্যা সন্তানের। বছর দুয়েক পর তাদের ঘরে ফর্সা ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সাবিনার কী যে আনন্দ! কিন্তু দশবছর বয়সেও মেয়েটি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সাবিনার বুঝতে বাকি থাকেনা মেয়ে প্রত্যাশা প্রতিবন্ধী। মেয়ের এ অবস্থায় সাবিনার দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না, সে ভাবে এ তার পাপের ফসল। ভবিষ্যতে মেয়েকে পাত্রস্থ করবে কীভাবে এ ভাবনায় নানা উদ্বেগের সাথে তার দিন কাটে।
ক. ‘সুভা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
খ. সুভা নিজেকে সর্বদা গোপন রাখার চেষ্টা করত কেন?
গ. উদ্দীপকের প্রত্যাশা চরিত্রটি ‘সুভা’ গল্পের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানকে ঘিরে সুভার মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি ও সাবিনার দুশ্চিন্তার বিষয়টি বর্তমান সমাজ প্রেক্ষাপটের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল প্রশ্ন—৬: মায়ের কোল আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যা সন্তান সাবিন। কিছুটা বড় হতেই দেখা গেল সাবিনা কথা বলতে পারে না। নানা অঙ্গ-ভঙ্গি ও ইশারা ইঙ্গিতে সে মনোভাব প্রকাশ করতে চায়। সবার মনের ভাষা সে বুঝতে পারে তার প্রখর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর বাড়ির বাইরে বেরুলেই ছেলেমেয়েরা তাকে ভেংচি কাটে। সে দুর্বোধ্য চিৎকারে তাদেরকে নিবৃত্ত করতে চায়। ব্যর্থ হয়ে মায়ের কাছে এসে কান্না জুড়ে দেয়। বিরক্ত হয় মা। এভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে একটু একটু করে সবার কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে নেয়। বেশিরভাগ সময় দরজা বন্ধ করে বিষন্ন মনে বসে থাকে।
ক. সুভার মা সুভাকে কীসের কলঙ্ক মনে করেন?
খ. সুভা নিজেকে বিধাতার অভিশাপ মনে করত কেন?
গ. উদ্দীপকে গাবিনার যে সংবেদনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায় সুভার মধ্যে তার প্রতিফলন ঘটেছে, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মানবিক অনুভূতির অন্তরায় নয়’—উদ্দীপক ও ‘সুভা’ গল্পের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৭: জবা শুধু বোবা নয়, ঈষৎ কালাও। অনেক চেঁচিয়ে বললে তবে শুনতে পায়। সব কথা শোনার দরকারও হয় না তার। নাড়া আর মুখের ভাব দেখেই সব বুঝতে পারে। এ ছাড়া তার আর একটি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আছে যার সাহায্যে সে এমন সব জিনিস বুঝতে পারে, এমন সব জিনিস মনে মনে সৃষ্টি করে, সাধারণ বুদ্ধিতে যার মানে হয় না। জবার জগৎ চোখের জগৎ, দৃষ্টির ভিতর দিয়েই সৃষ্টিকে গ্রহণ করেছে সে। শুধু গ্রহণ করে নি, নতুন রূপে নতুন রং আরোপ করেছে তাতে।
ক. সুভার পুরো নাম কী?
খ. সুভার মুখে ভাষা না থাকলেও ভাবের স্ফুরণ ঘটেছে কীভাবে? বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের জবার নিজস্ব জগৎটির সঙ্গে ভাষাহীন সুভার নিভৃত জগতের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মুখের ভাব বৈ আজন্মকাল যাহার অন্য ভাষা নেই তাহার চোখের ভাষা অসীম উদার এবং অতলস্পর্শ গভীর’-সুভার পর্যবেক্ষণ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৮: জুঁই ফুটফুটে এক শিশু, কিন্তু জন্ম থেকেই সে বাকপ্রতিবন্ধী। কথা না বললেও সব বুঝতে পারে সে। জুইয়ের অন্তর্দৃষ্টি খুবই প্রখর। সে যখন বাড়ির বাইরে আসে প্রতিবেশী ছেলেমেয়েরা তাকে বিরক্ত করে। জুঁই এ্যা এ্যা বলে চিৎকার করে। সবাই এতে আরও মজা পায়। বড়রাও তাকে এভাবে বিরক্ত করে। জুঁই এতে খুব কষ্ট পায়; মানুষের সামনে যেতে ভয় পায়। সে অন্য শিশুদের মতো বাঁচতে চায়, কিন্তু প্রতিবন্ধিতার কারণে তা পারে না।
ক. কে সুভার মর্যাদা বুঝত?
খ. সুভাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো কেন?
গ. উদ্দীপকের জুঁই ‘সুভা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ সুভা ও জুঁইয়ের মতো সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য আমাদের কী দায়িত্ব রয়েছে? বিশ্লেষণী মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৯: সীমা পাল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। জন্ম থেকেই সে অন্ধ। মায়ের ইচ্ছে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার, প্রতিবেশীরা নিন্দা করছে বিয়ে না দেওয়ায়। কিন্তু সীমার বাবা নিতাই এ কথা সহ্যই করতে পারে না। তার ইচ্ছে মেয়েকে অনেকদূর পর্যন্ত পড়াবে। পাড়াপ্রতিবেশীদের নিন্দা অপবাদের তোয়াক্কা সে করে না। সে জানে এটা মেয়েদের বিয়ের বয়স নয়। সে মনে মনে ভাবে তার অন্ধ মেয়েই একদিন জগৎ আলো করবে।
ক. কোন কাব্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান?
খ. মেয়েকে সান্ত¡না দিতে গিয়ে বাণীকন্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কেন?
গ. উদ্দীপকের নিতাইয়ের সঙ্গে ‘সুভা’ গল্পের বাণীকণ্ঠের কী ধরনের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘বাণীকণ্ঠ যদি নিতাই এর মতো মনোভাব পোষণ করত তবে সুভার পরিণতি অন্যরকম হত।’- উক্তিটির যথার্থতা যাচাই করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—১০: অভাবের সংসার ধলা মিয়ার। সব কিছু হারিয়ে এখন একটি গাভীই তার শেষ সম্বল। সংসারের চাহিদা মেটাতে তিনি তার গাভীকে বিক্রির জন্য গোয়ালঘরে যান। তিনি দেখতে পান দশ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে লতা গাভীর গলা জড়িয়ে ধরে অ্যাঁ অ্যাঁ করে কী যেন বলছে। ধলা মিয়া এ দৃশ্য দেখে অবাক হন এবং তাদের ভাষা বুঝতে পারেন। তাই তিনি গাভীকে বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেন।
ক. সুভার বাবাকে সবাই কী নামে ডাকতে?
খ. সুভা কলকাতার যেতে চায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের লতার সঙ্গে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্য নির্ণয় করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের মূলভাব ‘সুভা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না’—উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post