সেই ছেলেটি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর মামুনুর রশীদ : নাট্যকার মামুনুর রশীদ রচিত ‘সেই ছেলেটি’ একটি নাটিকা। এ নাটিকাটিতে একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। একই সাথে প্রকাশ পেয়েছে শিশুর প্রতি বড়ােদের দায়িত্ববােধ। আরজু, সােমেন ও সাবু তিন বন্ধু একই স্কুলে একই শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু স্কুলে হেটে আসতে আরজুর খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে তার পা অবশ হয়ে আসে। আরজু ছােটোবেলায় ভীষণ অসুখে পড়েছিল। এতে তার পা সরু হয়ে যায়।
শুধু তার মা জানেন আরজুর অসুখের কথা। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে পা অবশ হয়ে গেলে আরজু রাস্তার পাশে বসে থাকে। এদিকে শিক্ষক লতিফ স্যার আরজুকে ক্লাসে উপস্থিত হতে না দেখে তার খোঁজে রওনা হন। আরজুকে দেখে তিনি বুঝতে পারেন যে তার পা অবশ হয়ে আসা একটা রােগ। তখন লতিফ স্যারের কথায় সােমেনদের মনে সহানুভূতি জাগে। সবাই আরজুকে সহায়তার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়।
সেই ছেলেটি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
আবিদ স্যার ৭ম শ্রেণির ছাত্র রওশনের কাছে তার স্কুলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে সে কিছু না বলে চুপ থাকে। শ্রেণির অন্য শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করলে তারা প্রায় একযোগে বলে স্যার, রওশন প্রায়ই স্কুল কামাই করে। শিক্ষক রওশনকে বলেন—আর কামাই করবে? কোনো উত্তর দেয় না রওশন। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মেঝে খুঁড়তে থাকে। উত্তর না পেয়ে শিক্ষক রওশনকে অনেক বকা দেন। কয়েকদিন পর রওশনের বাবা আবিদ স্যারকে বলেন—স্যার, রওশনের স্নায়ু রোগ আছে। নিয়মিত স্কুল করলে ওর অসুখটা বেড়ে যায়। বকাঝকা করলে ওর স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
ক. মিঠু আরজুকে কোথায় বসে থাকতে দেখেছে?
খ. আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. রওশন ও আরজুর মধ্যকার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আবিদ স্যারের বিচার কাজটি লতিফ স্যারের তুলনায় কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে? তা মূল্যায়ন কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মিঠু আরজুকে আমবাগানে বসে থাকতে দেখেছে।
খ. আইসক্রিমওয়ালা নিজে স্কুল ফাঁকি দেওয়ার কুফল ভোগ করেছে, তাই সে চায় না যে আরজুও একই ভুল করুক। সে বুঝিয়েছে, যদি সে ঠিকমতো লেখাপড়া করত, তাহলে তাকে এখন আইসক্রিম ফেরি করতে হতো না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সে আরজুকে সতর্ক করে দেয় যে স্কুল ফাঁকি দেওয়া খারাপ অভ্যাস, যা ভবিষ্যতে দুঃখের কারণ হতে পারে। তাই, সে আরজুকে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে উৎসাহিত করে, যাতে সে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
গ. রওশন ও আরজুর মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে, যা তাদের জীবনসংগ্রাম ও শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।
প্রথমত, তারা দুজনেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছে, যা তাদের স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত হতে বাধা সৃষ্টি করে। রওশন স্নায়ু রোগে আক্রান্ত, যা অতিরিক্ত চাপ বা নিয়মিত স্কুলে যাওয়া-বসার কারণে বেড়ে যায়। অন্যদিকে, আরজুর পায়ের সমস্যা রয়েছে, যার ফলে বেশি দূর হাঁটতে গেলে তার পা অবশ হয়ে আসে। এই শারীরিক অসুবিধার কারণে দুজনেই মাঝে মাঝে স্কুল কামাই করতে বাধ্য হয়।
দ্বিতীয়ত, তাদের সমস্যাগুলো প্রথমে শিক্ষক ও সহপাঠীরা ঠিকমতো বোঝেনি। রওশন যখন স্কুল কামাই করত, শিক্ষক তাকে কোনো উত্তর না পেয়ে বকা দিতেন, আর সহপাঠীরাও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেয়নি। একইভাবে, আরজু যখন হাঁটতে কষ্ট পেত, তখন বন্ধুরা তাকে ফেলে রেখে যেত এবং শিক্ষকেরাও বিষয়টি বুঝতে পারতেন না।
তবে উভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষকেরা পরে তাদের সমস্যার গভীরতা বুঝতে পারেন। রওশনের বাবা যখন শিক্ষককে জানান যে তার ছেলে স্নায়ু রোগে ভুগছে, তখন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং ভবিষ্যতে আরও যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। অন্যদিকে, আরজুর সমস্যাটি যখন লতিফ স্যার বুঝতে পারেন, তখন তিনি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং সহপাঠীদেরও সচেতন করেন, যাতে তারা বন্ধুর প্রতি আরও সহানুভূতি দেখায় ও সহযোগিতা করে।
সুতরাং, রওশন ও আরজু উভয়েই এমন শিক্ষার্থী, যারা শারীরিক সমস্যার কারণে শিক্ষাজীবনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। প্রথমদিকে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাদের ভুল বুঝলেও পরে সহানুভূতির জায়গা তৈরি হয় এবং তাদের সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হয়।
ঘ. আবিদ স্যার ও লতিফ স্যারের বিচার কাজ তুলনা করলে দেখা যায় যে, লতিফ স্যারের বিচার বেশি যৌক্তিক, মানবিক ও সহানুভূতিশীল ছিল, যেখানে আবিদ স্যারের বিচার কিছুটা একপাক্ষিক ও হঠকারী ছিল।
আবিদ স্যার রওশনের স্কুল কামাইয়ের কারণ খুঁজতে চাইলেও তিনি বিষয়টিকে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করেননি। রওশন যখন চুপ ছিল, তখন তিনি ধৈর্য না রেখে তাকে বকা দেন, যা শিক্ষকের পক্ষ থেকে যথাযথ আচরণ ছিল না। তিনি যদি আগে রওশনকে আলাদাভাবে ডেকে কথা বলতেন বা তার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, তাহলে হয়তো তার আসল সমস্যাটি দ্রুতই বের হয়ে আসত। পরবর্তীতে যখন রওশনের বাবা তার স্নায়ু রোগের ব্যাপারে জানান, তখন বোঝা যায় যে, আবিদ স্যার তার সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেছিলেন।
অন্যদিকে, লতিফ স্যার শুরু থেকেই সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি আরজুর অনুপস্থিতির কারণ জানতে সহপাঠীদের প্রশ্ন করেন এবং তার আচরণের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করেন। তিনি যখন জানতে পারেন যে, আরজুর হাঁটার সমস্যা আছে, তখন তাকে সহানুভূতির সঙ্গে বোঝানোর পাশাপাশি সহপাঠীদেরও এ বিষয়ে সচেতন করেন। তিনি শুধুমাত্র শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে সমাধানের পথ খোঁজেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেও আগ্রহ দেখান।
সুতরাং, বিচার বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, লতিফ স্যারের বিচার শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক, মানবিক ও সহানুভূতিশীল ছিল, যা একজন প্রকৃত শিক্ষকের আদর্শ দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে, আবিদ স্যারের বিচার কিছুটা তাড়াহুড়া ও একপাক্ষিক ছিল, যা শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রাহির জন্মের পর কঠিন একটি অসুখ হয়। তারপর আস্তে আস্তে রাহি বড় হলে কথা বলায় তার কিছু সমস্যা হয়। বিশেষ বিশেষ কিছু শব্দ ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না। একদিন স্কুলে সমাবেশে রাহির মা জানতে পারে রাহিকে ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’ শিশুদের তালিকায় রাখা হয়েছে। রাহির মায়ের এতে মন খারাপ হয়ে যায়। এদিকে স্কুলের বন্ধুরা রাহির উচ্চারণ নিয়ে হাসাহাসি করলে সে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। শ্রেণিশিক্ষক আমিরুল ইসলাম রাহিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে স্কুলে আনে আর রাহির মাকে বলে, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ‘শিশু মানেই অবহেলার পাত্র নয়, তাদের প্রতি আমাদের সবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত’।
ক. আরজুর পায়ের সমস্যার ব্যাপারে তার বাবা কী বলেছিলেন?
খ. আপন মনে পাখিদের সঙ্গে আরজু কথা বলে কেন?
গ. ‘সেই ছেলেটি নাটিকার আরজুর সঙ্গে উদ্দীপকের রাহির বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত’—উদ্দীপক ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. আরজুর পায়ের সমস্যার ব্যাপারে তার বাবা বলেছিলেন, হাঁটাহাঁটি করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
খ. স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরজু পাখিদের সঙ্গে কথা বলছিল।
আরজু স্কুলে যাওয়ার পথে পায়ের ব্যথায় বসে পড়ে। বন্ধুরা তাকে ফেলে স্কুলে চলে যায়। তাই সে পাখিকে বলে তাকে যেন স্কুলে নিয়ে যায়। ডানায় ভর করে পাখির সঙ্গে সে স্কুলে যেতে চায়।
গ. উদ্দীপকের রাহি ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজু উভয়ই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হলেও দুজনের অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজু একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। আরজু মূলত শৈশবকালে বড় একটা অসুখে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে পা চিকন হয়ে আসে। তাই সে স্কুলে যাওয়ার পথে পায়ের ব্যথায় বসে পড়ে। তার পা অবশ হয়ে আসে।
উদ্দীপকের রাহির ক্ষেত্রে আমরা দেখি, রাহিও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। কিন্তু তার সমস্যা ও আরজুর সমস্যা এক নয়। রাহি ছোটবেলার একটি কঠিন অসুখের কারণে তার শব্দ উচ্চারণে কিছু সমস্যা হয়। সব শব্দ সে ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না। তারপরও সে স্কুলে যায়। রাহিকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর তালিকায় রাখা হয় কিন্তু নাটকে আরজু যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু তা প্রথমে বোঝা যায় না।
তাই বলা যায়, রাহি ও আরজু দুজনেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হলেও দুজনের অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত”—এ বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক।
আরজু স্কুলে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে আর স্কুলে যেতে পারে না। তার বন্ধুরা তাকে ফেলে স্কুলে চলে যায়। আরজুর এ রকম সমস্যা প্রায়ই হতো। আরজু স্কুলে না এলে লতিফ স্যার উদ্বিগ্ন হন, তার খোঁজখবর রাখেন। তার খোঁজে পলাশতলীর বাগানে গিয়ে যখন বুঝতে পারেন আরজুর সমস্যা তার পায়ে, তখন তিনি চিকিৎসার ব্যাপারে আরজুকে আশ্বস্ত করেন। আরজুর বন্ধুরাও তাদের ভুল বুঝতে পেরে আরজুর সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রাহির উচ্চারণের সমস্যা হওয়ার কারণে তাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর তালিকায় রাখায় তার মায়ের মন খারাপ হয়ে যায়। স্কুলের বন্ধুরা তার উচ্চারণের সমস্যার কারণে হাসাহাসি করলে রাহি স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। ফলে আমিরুল স্যার রাহিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে স্কুলে আনেন আর তার মাকে সন্তানের ব্যাপারে মন খারাপ না করতে বলেন। রাহির উচ্চারণের সমস্যার কারণে সে স্কুলে না এলে আমিরুল স্যার তার সহায়তায় এগিয়ে যান। আরজু ও রাহি স্বাভাবিক শিশুদের মতো না হওয়ায় তাদের জন্য দরকার বিশেষ যত্ন ও সহায়তা।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি আমাদের সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রমিজ মিঞার ছোট ছেলে শহিদ খুব ছোটবেলা থেকেই কানে কম শোনে। তাই বন্ধুরা তাকে বয়রা নামে ডাকে। এমনকি তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, বিদ্রূপ করে। কেউ তেমন মিশতে চায় না। যে দু-একজন মেশে, তারা শুধু ওর সাথে মজা করার জন্য মেশে। স্কুলের শিক্ষকরাও শহিদকে কটাক্ষ করে, বকাবকি করে। কারণ, তাকে একটা জিজ্ঞেস করা হলে সে উত্তর দেয় আরেকটা। তাই শিক্ষকদের অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে কষ্ট নিয়ে শহিদ কিছুদিন হলো স্কুলে যায় না। রমিজ মিঞার সাথে স্কুলের শিক্ষক সেলিম স্যারের দেখা হলে তাকে শহিদের বাবা রমিজ মিঞা সব খুলে বলে। সেদিনই সেলিম স্যার শহিদের বন্ধুদের নিয়ে তাদের বাড়িতে যান এবং আদর করে স্কুলে আসতে বলেন। এমনকি শহিদের বন্ধুদেরও তার প্রতি সহনশীল হতে বলেন।
ক. নাট্যকার মামুনুর রশীদের জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে?
খ. আরজু স্কুলে যায়নি কেন?
গ. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার কোন দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে? উপস্থাপন কর।
ঘ. “উদ্দীপকের সেলিম স্যার যেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারের আংশিক প্রতিনিধিত্ব করেন।” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শিশির তার টিউশন শিক্ষকের কাছে কিছুদিন হলো পড়তে যায় না। কারণ সে ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, তোতলায়। এজন্য বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি, উপহাস করে। সবার ধারণা, শিশির ইচ্ছে করে এভাবে কথা বলে। শিশির পড়তে আসছে না দেখে টিউশন শিক্ষক জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের কাছে কারণ জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু কেউ কোনো সঠিক কারণ বলতে পারে না। তাই জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের নিয়ে শিশিরের বাড়িতে যান এবং তার পড়তে না আসার কারণ জিজ্ঞাস করেন। শিশির স্যারকে দেখেই কেঁদে ফেলে এবং তার সমস্যার কথা বলে। তখন জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেন। ফলে শিশিরের বন্ধুরা শিশিরকে দুঃখ প্রকাশ করে এবং স্যারের বাড়িতে পড়তে নিয়ে যায়।
ক. ‘স্কুল ফাঁকি দেয়া কিন্তু খুব খারাপ’—কথাটি কার?
খ. আরজু কেন বাড়ি ফিরে যেতে চায় না? সংক্ষেপে লেখ।
গ. “উদ্দীপকের শিশিরের সাথে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাথে কোন দিকটি মিলে যায়? উপস্থাপন কর।
ঘ. “উদ্দীপকের জনাব রশিদ যেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারেরই প্রতিনিধি।” উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
আরও দেখো—সপ্তম শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সমাধান
সপ্তম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তবর্ণা বাংলা বই থেকে সেই ছেলেটি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য ৪টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক অনুধাবনমূলক, জ্ঞানমূলক এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post