সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এর প্রক্রিয়া এবং এর কার্যপ্রণালী কী? এ নিয়ে কখনো না কখনো আপনি নিশ্চয়ই ভেবেছেন। বর্তমানে অনলাইন জগতের ব্যপক বিস্তারের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এরও পরিধি বেড়েছে অনেকগুণ। আর তারই অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে।
পরিপূর্ণ গাইডলাইন যারা খুঁজছেন, তাদের জন্য আজ আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে লিখবো বিস্তারিত। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? এটি কেন করতে হয় এবং কিভাবে করতে হয়। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমরা কমবেশি হয়তো অনেকেই জানি। ডিজিটাল ডিভাইস এবং তথ্য ও প্রযুক্তিতে কাজে লাগিয়ে পণ্য বিপণনের জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা হয়, তাই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে সেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি অংশ।
► ► আরো দেখুন: ফেসবুক মার্কেটিং কি? কেন করবো ফেসবুক মার্কেটিং?
►► আরো দেখুন: ইনস্টাগ্রাম থেকে মাসে আয় করুন ৫০ হাজার টাকা
►► আরো দেখুন: শুধু ইমেইল পাঠিয়ে আয় করুন ঘরে বসে
►► আরো দেখুন: চাকরী পাচ্ছেন না? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে জীবন গড়ুন
আমরা সময় কাটানো, বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন কিংবা চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মার্কেটিং মূলত এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। কারণ এর মাধ্যম যেখানে আমরা ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা লোকেদের কাছে নিজের পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে পারি এবং তাদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে পারি।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এখন অনলাইনে সক্রিয় থাকা লোকেদের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। আর এই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব ইত্যাদির মত সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। তাই তাদেরকে টার্গেট করেই গড়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এক কথায় কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরম ব্যবহার করে অনলাইনে থাকা মানুষের কাছে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণার নামই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
কেন করবো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং?
বাংলাদেশে ব্যবহারের দিক থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার তালিকায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব অনেকাংশে এগিয়ে আছে। আর এ সকল প্লাটফরমকে কেন্দ্র করে পণ্য বা ব্যবসা প্রচার করাট এখন অনেক লাভজনক প্রমাণিত হচ্ছে। এর ফলে, ঘরে বসে থাকা লোকেরাও আপনার প্রচার ও মার্কেটিং করা প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস অনেক সহজেই দেখে নিতে পারে। আর এ সবকিছুই হবে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
সুতরাং এটা পরিস্কার যে, আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণার জন্য বাস্তব জীবনে কোন দোকান ভাড়া করতে হচ্ছে না এমনকি মানুষের দরজায়-দরজায়ও যেতে হচ্ছে না। সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল বিজনেস স্ট্রাটেজিকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যবসাকে শুধু দেশেই না বরং দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে পারছেন।
এখন বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে অনলাইন ভিত্তিক এই মার্কেটিং ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে পরছে। তারা তাদের সার্ভিসকে প্রোমোট করার লক্ষ্যে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউবের মত বড় বড় প্লাটফরমের দিক ধাবিত হচ্ছে। আর যারা তাদের হয়ে তাদের প্রোডাক্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছে, তাদের জন্য সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল এক কর্মসংস্থানের। যেহেতু কার্যকারীরা বাড়ার সাথে সাথে চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই প্রয়োজন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরিচালনা করার জন্য দক্ষ জনবলের।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনিও এই প্লাটফর্মটিতে উজ্জ্বল একটি ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
রিয়েল লাইফ মার্কেটিং এর তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যেকোনো ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিশ্বের যেকোনো জায়গায় অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রমোশন বা প্রচার করতে পারবেন। এর ধরনের মার্কেটিং এ খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনি ক্রেতার কাছে পৌঁছে যেতে পারেন। মুহুর্তের মধ্যেই ক্রেতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আপনার পণ্যের প্রচারণা বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পলিসি অনুসরণ করে আপনি আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের কাছেই পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন। যেমন আপনি যদি নারীদের পোশাক নিয়ে বিজনেস করেন, সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আপনাকে সুযোগ দেবে শুধুমাত্র নারীদের কাছেই আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে। একইভাবে আপনি যদি বই বিক্রি করতে চান, আপনার ডিসপ্লে করা বইগুলো বইপ্রেমীরাই দেখবে। ফলে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ওই সকল লোকদের কাছে পৌঁছানোর সম্ভবনা কম, যারা আপনার পণ্য সম্পর্কে আগ্রহী নয়।
কিভাবে করবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর পদ্ধিত খুবই সহজ। এটা জানতে আপনাকে খুব বেশি অভিজ্ঞ হবে না। কারণ, আপনাকে কি করতে হবে তার সম্পর্কে পর্যাপ্ত সাহায্য করবে সোশ্যাল মিডিয়া নিজেই। আপনার কাজ শুধু আপনার প্রোডাক্টের প্রচারণার জন্য পারফেক্ট প্লাটফরমটি বেছে নেয়া। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে অধিক সংখক ব্যবহারকারী একটিভ থাকেন। ফলে আপনি এগুলোর যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন। আবার চাইলে সবগুলোইর বিজ্ঞাপন সেবাই গ্রহণ করতে পারেন।
নিচে আমরা জানবো প্রত্যেকটি সোশ্যাল প্লাটফরমে মার্কেটিং এর বিস্তারিত। প্রাথমকি পর্যায়ে আপনি যেকোন একটি প্লাটফরমকে বেছে নিন এবং ভালো ফলাপল পেলে বাকী প্লাটফরমগুলোই চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটিং
ফেসবুক শুরু হয়েছিল বন্ধুদের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক এই মাধ্যমটি যতটা না ব্যাক্তিগত কারণে ব্যবহার করা হয়, তার চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। ফেসবুক পেইজ হতে শুরু করে গ্রুপ; সবকিছুই এখন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পূরণ করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এখন কেবল ফেসবুককে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হচ্ছে অনেক ব্যবসা।
পাশপাশি গড়ে উঠছে নতুন নতুন অনলাইন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যার পুরোটাই ফেসবুক ভিত্তিক। ফেসবুক মার্কেটিং এর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি ফেসবুক প্লাটফর্মটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যরিয়ার ডেভেলপ করা কথা চিন্তা করতে পারেন। এটা হতে পারে একজন ব্যক্তিগত ফেসবুক মার্কেটিং এর দক্ষতা কাজে লাগানো, অথবা নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য।
ফেসবুক বিজ্ঞাপনকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যক্তিগত বা কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন। ফেসবুকে কিছু পেইড বিজ্ঞপন সার্ভিস নিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্টির প্রচারণা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারেন। সব থেকে ভালো খবর হচ্ছে, ফেসবুকে আপনি নির্দিষ্ট শ্রেণীর ক্রেতাদের টার্গেট করতে পারেন। যেটা আগেই উল্লেখ করেছিলাম।
অর্থাৎ, আপনি যদি নারীদের পোশাক নিয়ে বিজনেস করেন, সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আপনাকে সুযোগ দেবে শুধুমাত্র নারীদের কাছেই আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে। একইভাবে আপনি যদি বই বিক্রি করতে চান, আপনার ডিসপ্লে করা বইগুলো বইপ্রেমীরাই দেখবে। ফলে আপনার পণ্যের বিজ্ঞপনটা তাদের কাছেই ফেসবুক পৌঁছে দিচ্ছে, যাদের ওই পণ্যটা সত্যিকার অর্থেই অনেক প্রয়োজন।
ইউটিউব মার্কেটিং
আমরা সাধারণত ইউটিউব ব্যবহার করি চিত্তবিনোদনের জন্য। তবে আপনি কি জানেন কি এই ইউটিউব ব্যবহার করেই আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রোমোশন করতে পারবেন অনেক সুন্দরভাবে। বর্তমানে গুগলের পরে ইউটিউব হচ্ছে সারাবিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহার হওয়া ওয়েবসাইট। আর ইউটিউবের এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে তাতে নিজের বিজনেস, প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের সাথে জড়িত বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও বানাতে পারবেন। এতে, অনেক সহজে ভিডিওর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন করে নিতে পারবেন। এছাড়াও ইউটিউবে যদি আপনার অনেক ভিউ থাকে, তবে অনেক স্থানীয় প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রোডাক্টের প্রচারণা করার জন্য আপনাকে স্পনসর করবে। ফলে সেখান থেকেও আপনি বড় অংকের অর্থ উপার্জনের সক্ষম হবেন।
ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
জনপ্রিয়তা, কার্যকারীতা এবং প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য ইনস্টাগ্রামের চাহিদা এখন অনেক বেশি। আর এজন্যই অনেক ফ্রিল্যান্সার ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংকে পুঁজি করে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করানো কথা ভাবছেন। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং আসলে ঠিক কতটা সহজ?
ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং সত্যিকার অর্থেই অনেক সহজ। যদি আপনি ইনস্টাগ্রামের প্রতিটি ফিচার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার এই প্লাটফরমটিতে মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করার সম্ভবনা শতভাগ নিশ্চিত। ইনস্টাগ্রাম একটি ফটো শেয়ারিং প্লাটফরম।
সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ ফটো শেয়ারিং এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করেন এবং ইন্সটাগ্রামে প্রতিদিন প্রায় ৯০ মিলিয়ন ফটো আপলোড করা হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এই প্লাটফরমটির।
ফেসবুকের মতোই আপনি ইনস্টাগ্রামেও পণ্য প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনের পণ্যর পারফেক্ট হ্যাশট্যাগ রিসার্চ করে তা কাস্টোমারের নিউজফীডে পৌঁছে দিতে পারবেন। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এ সুদক্ষ এমন ব্যক্তিদের চাহিদা অনেক। তাই আপনিও নাম লেখাতে পারেন তাদের সেই তালিকায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম এই তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং খুব বেশি জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত। এছাড়াও রয়েছে টুইটার ও লিংকডইন মার্কেটিং। তবে বাংলাদেশে এগুলোর ব্যবহারকারী যেহেতু কম, তাই প্লাটফরমগুলোতে মার্কেটিং পদ্ধতি খুব একটা আলোর মুখ দেখেনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে টুইটার ও লিংকডইনেরও বড় বিজ্ঞাপন মার্কেটপ্লেস তৈরি হবে বাংলাদেশে।
► ► আরো দেখুন: ফেসবুক মার্কেটিং কি? কেন করবো ফেসবুক মার্কেটিং?
►► আরো দেখুন: ইনস্টাগ্রাম থেকে মাসে আয় করুন ৫০ হাজার টাকা
►► আরো দেখুন: শুধু ইমেইল পাঠিয়ে আয় করুন ঘরে বসে
►► আরো দেখুন: চাকরী পাচ্ছেন না? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে জীবন গড়ুন
আজকের লেখাটি আর দীর্ঘায়িত করবো না। যে বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি তা অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে। এখানে আপনার সমস্যা সমাধানে আমরা আছি সবসময়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ আপনার বর্ণাঢ্য ক্যরিয়ার প্রত্যাশা করছি। আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।
Discussion about this post