স্মরণীয় যারা চিরদিন প্রশ্ন উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ রাত থেকে পাকিস্তানি বাহিনী এদেশে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। একে একে তারা হত্যা করে এদেশের মেধাবী ও বরেণ্য মানুষদের। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, যোগেশচন্দ্র ঘোষ, রণদাপ্রসাদ সাহা, নতুনচন্দ্র সিংহ, আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ ছিলেন তেমনই কিছু মানুষ। এ দেশের মানুষদের কল্যাণের জন্য তাঁরা আজীবন কাজ করে গেছেন।
স্মরণীয় যারা চিরদিন প্রশ্ন উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
অবরুদ্ধ – শত্রু দিয়ে বেষ্টিত, বন্দি।
অবধারিত – অনিবার্য, যা হবেই।
আত্মদানকারী – নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন যিনি।
নির্বিচারে – কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়া।
বরেণ্য – মান্য।
পাষণ্ড – নির্দয়।
মনস্বী – উদারমনা।
যশস্বী – বিখ্যাত, কীর্তিমান।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. তারা বুঝতে পারে যে, তাদের পরাজয় — ।
খ. দেশের ভেতরে — জীবনযাপন করতে করতে প্রাণ দেন এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ।
গ. পাকিস্তানিরা একে একে হত্যা করে এদেশের মেধাবী, আলোকিত ও — মানুষদের।
ঘ. মুক্তিযুদ্ধে শহিদরা মহান — হিসেবে চিরস্মরণীয়।
ঙ. পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা — হত্যা করে নিদ্রিত মানুষকে।
চ. অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব ছিলেন দর্শন শাস্ত্রের — শিক্ষক।
ছ. — কিছু লোকজন যোগ দেয় ওইসব বাহিনীতে।
জ. রাজাকার বাহিনী এদেশের অনেক — চিন্তাবিদদের হত্যা করে।
উত্তর : ক. অবধারিত; খ. অবরুদ্ধ; গ. বরেণ্য; ঘ. আত্মদানকারী; ঙ. নির্বিচারে; চ. যশস্বী; ছ. পাষণ্ড; জ. মনস্বী।
স্মরণীয় যারা চিরদিন প্রশ্ন উত্তর
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশে কী করেছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। গভীর রাতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিল ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে, ব্যারাকে ও নানা আবাসিক এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ খুন করে ছিল হানাদাররা।
খ) রাজাকার আলবদর কারা? তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলি ও লিখি।
উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নানা অপকর্মে সহযোগিতা করেছিল তারাই রাজাকার, আলবদর নামে পরিচিত। বাংলাদেশের বরেণ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বাহিনীগুলো গড়ে তোলে পাকিস্তানিরা। ঘৃণ্য, অসাধু, লোভী কিছু মানুষ বাহিনীগুলোতে যোগ দিয়ে পাকিস্তানিদের সেই বিশেষ হত্যা পরিকল্পনা সফল করতে সাহায্য করে।
গ) কোন শহিদ বুদ্ধিজীবী প্রথম পাকিস্তানি গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান? তাঁর সম্পর্কে বলি ও লিখি।
উত্তর : ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে কুমিল্লার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৫ বছর।
ঘ) শহিদ সাবের কে ছিলেন? তিনি কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : শহিদ সাবের ছিলেন একজন লেখক ও সাংবাদিক। ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ রাতে তিনি দেশের একটি প্রধান সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা ঐ অফিসে আগুন লাগিয়ে দিলে আগুনে দগ্ধ হয়ে শহিদ হন শহিদ সাবের।
ঙ) রণদাপ্রসাদ সাহাকে কেন দানবীর বলা হয়?
উত্তর : দানশীলতার জন্য রণদাপ্রসাদ সাহাকে ‘দানবীর’ বলা হয়। এ দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধনের জন্য তিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
চ) দুজন শহিদ সাংবাদিকের নাম বলি ও তাঁরা কোথায় কীভাবে শহিদ হন সে সম্পর্কে লিখি।
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ শহিদ হওয়া দুজন সাংবাদিকদের মাঝে ছিলেন শহিদ সাবের, মেহেরুন্নেসা প্রমুখ।
শহিদ সাবের ছিলেন মেধাবী লেখক ও সাংবাদিক। পঁচিশে মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্তানি সেনারা আগুন দেয় দেশের অন্যতম একটি সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে। সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন শহিদ সাবের। আগুনে পুড়ে শহিদ হন তিনি। কবি-সাংবাদিক মেহেরুন্নেসাকেও অল্প বয়সেই প্রাণ দিতে হয় হানাদারদের আক্রমণে।
ছ) আমরা কীভাবে শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারি?
উত্তর : শহিদদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। তাঁরা দেশ ও মাতৃভাষার জন্য ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। সেই আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারব।
জ) কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন?
উত্তর : ১৪ই ডিসেম্বরকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পরাজয় অবধারিত বুঝতে পেরে এ দেশকে গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তানিরা। এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে অপূরণীয় ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তারা। ১৪ই ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদর, আল-শাম্স্ বাহিনীর সহায়তায় নানা পেশার অনেক যশস্বী ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। সেই শহিদদের স্মরণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি আমরা।
ঝ) আমরা কেন চিরদিন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করব?
উত্তর : শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশ ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন তাঁরা। তাঁদের এ অবদান আমরা কোনো দিন ভুলব না।
৪. বাম পাশের বাক্যের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দ মিলিয়ে পড়ি ও লিখি।
বরণ করার যোগ্য – বরেণ্য
মেধা আছে এমন যে জন – মেধাবী
অহংকার নেই যার – নিরহংকার
বিচার-বিবেচনা ছাড়া যা – নির্বিচার
কোনোভাবেই পূরণ করা যায় না এমন – অপূরণীয়
৫. ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দিই।
ক. কোন তারিখে পাকিস্তানি সেনারা ঢাকার নিরস্ত্র, ঘুমন্ত মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে?
১. ১৯৭১ সালের সাতাশে মার্চ
২. ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ ✔
৩. ১৯৭১ সালের ঊনত্রিশে মার্চ
৪. ১৯৭১ সালের ছাব্বিশে মার্চ
খ. প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর পালন করা হয়-
১. ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে
২. ‘মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে
৩. ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে ✔
৪. ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে
গ. দেশ স্বাধীন হবার পর বুদ্ধিজীবীদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়-
১. মিরপুর ও রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে ✔
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
৩. ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে
৪. সংবাদপত্র অফিসে
৭. ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী’ সম্পর্কে আমার অনুভূতি লিখি।
উত্তর : শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশ ও মাতৃভাষার জন্য তাঁরা ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। আমি তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করে নিজেকে যোগ্য একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
অতিরিক্ত অনুশীলনীমূলক প্রশ্নের উত্তর
১) ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশে কী করেছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। গভীর রাতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিল ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে, ব্যারাকে ও নানা আবাসিক এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ খুন করে ছিল হানাদাররা।
২) রাজাকার আলবদর কারা? তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নানা অপকর্মে সহযোগিতা করেছিল তারাই রাজাকার, আলবদর নামে পরিচিত। বাংলাদেশের বরেণ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বাহিনীগুলো গড়ে তোলে পাকিস্তানিরা। ঘৃণ্য, অসাধু, লোভী কিছু মানুষ বাহিনীগুলোতে যোগ দিয়ে পাকিস্তানিদের সেই বিশেষ হত্যা পরিকল্পনা সফল করতে সাহায্য করে।
৩) কোন শহিদ বুদ্ধিজীবী প্রথম পাকিস্তানি গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান? তাঁর সম্পর্কে বল।
উত্তর : ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে কুমিল্লার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৫ বছর।
৪) শহিদ সাবের কে ছিলেন? তিনি কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : শহিদ সাবের ছিলেন একজন লেখক ও সাংবাদিক। ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ রাতে তিনি দেশের একটি প্রধান সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা ঐ অফিসে আগুন লাগিয়ে দিলে আগুনে দগ্ধ হয়ে শহিদ হন শহিদ সাবের।
৫) রণদাপ্রসাদ সাহাকে কেন দানবীর বলা হয়?
উত্তর : দানশীলতার জন্য রণদাপ্রসাদ সাহাকে ‘দানবীর’ বলা হয়। এ দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধনের জন্য তিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
৬) দুজন শহিদ সাংবাদিকের নাম বলি ও তাঁরা কোথায় কীভাবে শহিদ হন সে সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ শহিদ হওয়া দুজন সাংবাদিকদের মাঝে ছিলেন শহিদ সাবের, মেহেরুন্নেসা প্রমুখ।
শহিদ সাবের ছিলেন মেধাবী লেখক ও সাংবাদিক। পঁচিশে মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্তানি সেনারা আগুন দেয় দেশের অন্যতম একটি সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে। সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন শহিদ সাবের। আগুনে পুড়ে শহিদ হন তিনি। কবি-সাংবাদিক মেহেরুন্নেসাকেও অল্প বয়সেই প্রাণ দিতে হয় হানাদারদের আক্রমণে।
৭) আমরা কীভাবে শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারি?
উত্তর : শহিদদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। তাঁরা দেশ ও মাতৃভাষার জন্য ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। সেই আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারব।
৮) কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন?
উত্তর : ১৪ই ডিসেম্বরকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পরাজয় অবধারিত বুঝতে পেরে এ দেশকে গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তানিরা। এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে অপূরণীয় ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তারা। ১৪ই ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদর, আল-শাম্স্ বাহিনীর সহায়তায় নানা পেশার অনেক যশস্বী ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। সেই শহিদদের স্মরণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি আমরা।
৯) আমরা কেন চিরদিন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করব?
উত্তর : শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশ ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন তাঁরা। তাঁদের এ অবদান আমরা কোনো দিন ভুলব না।
১০) ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দিন কেন?
উত্তর : ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্তভাবে শত্রুমুক্ত হয়ে বিজয় অর্জন করি। তাই এ দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১১) মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষ কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের অসংখ্য মানুষ শহিদ হন। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শহিদ হন মুক্তিযোদ্ধারা। আর সাধারণ মানুষ দেশের ভেতর অবরুদ্ধ থাকতে থাকতে পাকবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ হারান।
১২) ২৫এ মার্চ রাতে পাকবাহিনী কীভাবে তাদের হত্যা পরিকল্পনা কার্যকর করে?
উত্তর : ২৫এ মার্চ রাতে পাকবাহিনী এদেশের মেধাবী, আলোকিত ও বরেণ্য মানুষদের হত্যা করার এক বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এদেশেরই কিছু বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে গড়ে তোলা হয় রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস বাহিনী। তাদের সাহায্য নিয়ে পাকবাহিনী তাদের বিশেষ হত্যা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করে।
১৩) অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামান ও অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : এম. মুনিরুজ্জামান ও অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ১৯৭১ সালে ২৫এ মার্চ রাতে পাকবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান। এ দুজন শিক্ষক থাকতেন একই বাড়িতে। ২৫এ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী তাঁদের দুজনকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে আনে। তারপর গুলি করে হত্যা করে।
১৪) অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব কেমন মানুষ ছিলেন?
উত্তর : দর্শনশাস্ত্রের খ্যাতিমান শিক্ষক অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল ও নিরহংকারী মানুষ।
১৫) একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে ও মুখে কোন গান বাজে? গানটির সুরকার কে?
উত্তর : একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে আর মুখে বাজে-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ – এ গানটি। গানটির সুরকার শহিদ আলতাফ মাহমুদ।
১৬) ‘তারা এদেশকে আরও গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় আসন্ন। তাই মেধা ধ্বংসের মাধ্যমে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ দেশের মনস্বী, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সৃষ্টিশীল সকল মানুষকে হত্যার উদ্যোগ নেয়। দেশদ্রোহী রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের সাহায্য নিয়ে এই দেশকে তারা আরও গভীরভাবে ধ্বংস করতে চায়।
১৭) ১৪ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবীদের কী পরিণতি হয়েছিল?
উত্তর : ১৪ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবীদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল। তাঁরা কেউই আর জীবিত ফিরে আসেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁদের অনেকের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়ের বাজারে বধ্যভূমিতে। আবার অনেকেরই সন্ধান মেলেনি।
১৮) রণদাপ্রসাদ সাহা কিসের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন?
উত্তর : রণদা প্রসাদ সাহা এদেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
১৯) ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কারা হত্যা করেছিল? তিনি কেন বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর : ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করেছিল।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। ১৯৪৮ সালে তিনিই প্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলেন।
২০) যোগেশচন্দ্র ঘোষ কোন উদ্দেশ্যে কী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর : যোগেশচন্দ্র ঘোষ এদেশের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাধনা ঔষধালয় নামক একটি আয়ুর্বেদীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন।
২১) অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
উত্তর : অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন।
২২) পাকিস্তানিদের বিশেষ পরিকল্পনা কী ছিল?
উত্তর : পাকিস্তানিরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাশূন্য করতে। তাই তারা এদেশের মেধাবী, আলোকিত ও বরেণ্য মানুষদের হত্যা করার একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
২৩) পাকিস্তানিরা তাদের বিশেষ পরিকল্পনা সফল করার জন্য কী কী করে?
উত্তর : পাকিস্তানিরা তাদের বিশেষ পরিকল্পনা সফল করার জন্য- ১. প্রথমে পুরো দেশের নানা পেশার মেধাবী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে। ২. রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস বাহিনীর সহায়তায় সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সবগুলো গল্প ও কবিতার উত্তর ডাউনলোড করতে পারবে। এই পোস্টে আলোচিত স্মরণীয় যারা চিরদিন প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করার জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। সকল বিষয়ের ওপর অনলাইন ক্লাস পেতে আজই আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post