খাবার খাওয়ার পরে তা সঠিকভাবে হজম করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না চললে পেটে পীড়া দেখা দেয়। যা থেকে তৈরি হয় আরো বড় সব রোগ। আজ আমরা খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট ও সিরাপ সম্পর্কে জানবো। পাশাপাশি কোন ঔষধটির দাম কত এবং কখন-কীভাবে খাবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পূর্বের লেখাতে আমরা হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলাম। উক্ত লেখায় আমরা আপনাদের এমন কিছু ঘরোয়া ও পাশ্বপ্রতিক্রিয়াহীন পদ্ধতি দেখিয়েছিলাম, যা অনুসরণের মাধ্যমে আপনি কোন ঔষধ ছাড়াই হজম সমস্যার সমাধান করতে পারেন। মূলত যেকোন শারীরিক সমস্যা বা রোগের জন্যই প্রাথমিক অবস্থায় প্রাকৃতিক প্রতিষেধক গ্রহণ করা উচিত।
খাবার হজম না হওয়ার কারণ কি?
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য সব বদ অভ্যাসের কারণেই আমাদেরকে খাবার বদ হজমের শিকার হতে হয়। এর জন্য অনেকাটা আমাদের কৃত কর্মকাণ্ডই দায়ী। খাবার হজম না হওয়ার কারণ কি তা নিচের তালিকায় দেওয়া হল।
- পানি কম পান করা: খাবার হজমে সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে পানি বা তরল জাতীয় খাবার। খাবারের সাথে পানি কম পান করা হলে উক্ত খাবার পরিপাক তন্ত্রে এসে হজমে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে বদ-হজমের সৃষ্টি হয়।
- উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার: আশঁযুক্ত খাবার খাবার অবশ্যই খাওয়া উচিত। তবে অতিমাত্রায় আঁশ রয়েছে এমন খাবার পরিমাণে অল্প খাওয়া উচিত। এই খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের তালিকায় আছে- মটরশুটি, ভুট্টা, উদ্ভিজ্জ চামড়া, গাজর, কিশমিশ, এবং বাদাম।
- খুব দ্রুত খাবার গ্রহণ: খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করা একমই উচিত নয়। যখন একজন ব্যক্তি খুব দ্রুত খাবার গ্রহণ করেন, তখন তিনি খাবারকে খুব ভালো চাবাতে পারেন না। ফলে খাবার অনেকটা শক্ত অবস্থাতেই তার পাকস্থলীতে চলে যায়। যা পরবর্তীতে অনেকটা সময় নিয়ে হজম হয়।
- তৈলাক্ত ভাজা-পোড়া: রাস্তার পাশের ভাসমান দোকান থেকে তৈলাক্ত ভাজা-পোড়া খাবার খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু এ ধরনের খাবার অতিরিক্ত খেলে তা বদ-হজমের সৃষ্টি করে। যা এক সময় গ্যাস্ট্রিকে রূপ নেয়।
- ধূমপান: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি জানেন কি, ধূমপানের ফলে বদ-হজমের সৃষ্টি হয়? আপনি যদি একজন চেইন-স্মোকার হয়ে থাকেন, তবে স্বাভাবিক একজন মানুষের তুলনায় আপনার খাবার দেরীতে হজম হবে।
উপরোক্ত খারাপ অভ্যাসের কারণে আমরা নিজেরাই নিজেদের পেটে বদ-হজমের সৃষ্টি করি। তাই বদ-হজম হওয়ার পূর্বেই এসব ক্ষতিকর অভ্যাস পুরোপুরি ত্যাগ করা অবশ্যই জরুরি।
হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর নাম
প্রাকৃতিক প্রতিষেধকের পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট রয়েছে, যা খেয়ে আপনি হজম সমস্যার সমাধান করতে পারেন। নিচে এ ধরনের ঔষধগুলো দামসহ নামের তালিকা তুলে ধরা হল। (ঔষধের নাম, ব্রাকেটে সিরাপ/ট্যাবলেট, কম্পানির নাম, দাম)
- Lysivin (Tablet) → Square → 120/-
- Neuro-B (Tablet) → Square → 240/-
- Bicozin (Tablet) → Square → 90/-
- Megenox (Syrup) → Acme → 500/-
- Neural gin (Tablet) → Ibn-Sina → 5/-
- Neobion (Tablet) → Aristopharma → 8/-
- Neucos-B (Tablet) → Radiant → 11/-
- TPC (Tablet) → Acme → 8/-
- Bost (Syrup) → General → 8/-
- B126 (Tablet) → Popular → 8/-
- Serobion (Syrup) → Leon → 5/-
- I-vita (Syrup) → Opsonin → 10/-
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর নাম এবং অন্যান্য ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উপরে উল্লেখিত ঔষধগুলো আপনাকে সাময়িক স্বস্তি দেবে। তাই এর জন্য আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা উচিত। যা হবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।
প্রিয় পাঠক, এই লেখাটি কি আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে? যদি হয়, তাহলে লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অন্যদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। এমনই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য টিপস পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আপডেট থাকুন।
Discussion about this post