হাতি আর শেয়ালের গল্প প্রশ্ন ও উত্তর : বনে এসেছে বদমেজাজি আর অহংকারী এক হাতি। হাতিটা দেখতে যেমন বিশাল তেমনি শক্তিশালী। বনে ঢুকেই সে রাজার মতো ভাব নিয়ে চলতে লাগল। তার অহংকারী মনোভাব আর অত্যাচারের ফলে প্রাণীরা ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগল।
অহংকারী আর অত্যাচারী হাতির হাত থেকে বনের সকল প্রাণী রেহাই পেতে চায়। এজন্য সকলে শলা-পরামর্শ করার জন্য সিংহের গুহায় জড়ো হয়ে যায়। শেয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয় হাতিকে শাস্তি প্রদানের। শেয়াল বুদ্ধি দিয়ে হাতিকে নদীর ধারে আনে এবং উচিত শিক্ষা দেয়।
হাতি আর শেয়ালের গল্প প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
দিগন্ত, অহংকার, তিরিক্ষি, তুলকালাম কাণ্ড, হুঙ্কার, মেদিনী, তটস্থ, শঙ্কিত, শক্তিধর, আস্তানা, উদগ্রীব, সমস্বরে।
দিগন্ত – প্রান্তরের শেষে আকাশ যেখানে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে বলে মনে হয়।
অহংকার – নিজে অনেক বড় কেউ – এ রকম মনে করা।
তিরিক্ষি – খারাপ মেজাজ।
তুলকালাম কাণ্ড – এলাহি কাণ্ড।
হুঙ্কার – চিৎকার।
মেদিনী – ভূপৃষ্ঠ।
তটস্থ – ব্যতিব্যস্ত।
শঙ্কিত – ভীত।
শক্তিধর – শক্তি আছে যার।
আস্তানা – বসবাসের জায়গা।
উদগ্রীব – প্রতিমুহূর্ত অপেক্ষা করা।
সমস্বরে – একসঙ্গে শব্দ করা বা কথা বলা।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. বিদ্যুৎ চমকালে ……. কেঁপে ওঠে বলে মনে হতে পারে।
খ. ……. পতনের মূল।
গ. কী হয়েছে, এত ……. হয়ে আছ কেন?
ঘ. বনের সিংহ ……. দিলে মানুষের মনে ভয় জাগে।
ঙ. নিজের কলমটা খুঁজে না পেয়ে সে ……. বাধিয়ে দিয়েছে।
চ. ……. ওপারে কী আছে কেউ জানে না।
ছ. মেজাজ ……. বলে তার কাছে কেউ ঘেঁষতে চায় না।
জ. তুমি এত ……. কেন? কী হয়েছে?
উত্তর : ক. মেদিনী; খ. অহংকার; গ. তটস্থ; ঘ. হুঙ্কার; ঙ. তুলকালাম কাণ্ড; চ. দিগন্তের; ছ. তিরিক্ষি; জ. শঙ্কিত
হাতি আর শেয়ালের গল্প প্রশ্ন ও উত্তর
ক) অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে অহংকারী হাতিটাকে।
খ) বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর : বনের পশুরা খুব সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। এমন সময় মস্ত এক হাতি তাড়া খেয়ে বনে এসে ঢোকে। অহংকারী সেই হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। তাই তাদের মন থেকে শান্তি হারিয়ে যায়।
গ) গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে বোঝানো হয়েছে অত্যাচারী হাতিটার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতিকে। হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এসেছিল। শেয়ালের বুদ্ধিতে হাতিটা চরম সাজা পায়। পশুরাও হাতির অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়।
ঘ) শেয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শেয়াল হাতিটাকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের মহাবিপদে পড়তে হতো। দিন দিন হাতিটার অহংকার বেড়েই চলত। একে একে সব পশুই তার অত্যাচারের শিকার হতো। অনেকেই জঙ্গল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতো।
ঙ) হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে কর?
উত্তর : হাতির এই শাস্তির জন্য দায়ী তার অহংকার ও নিষ্ঠুরতা।
চ) মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
উত্তর : মিলেমিশে থাকলে মানুষের মাঝে একতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের শক্তি বেড়ে যায়। মানুষ একা সব কাজ করতে পারে না। কিন্তু মিলেমিশে করলে অনেক কঠিন কাজও খুব সহজে করা যায়। মানুষ যখন সভ্য হচ্ছিল তখন তারা এ বিষয়টি বুঝতে পারে। তাই তারা মিলেমিশে থাকার নিয়ম শিখতে শুরু করে।
ছ) সবাই মিলে শেয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?
উত্তর : পশুদের মধ্যে শেয়াল সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তাই সবাই মিলে শেয়ালকে দায়িত্ব দিল।
জ) শেয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করলো?
উত্তর : শেয়াল নানা রকম মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে হাতিটাকে নদীর কিনারে নিয়ে এলো। শেয়ালের কথায় হাতিটা না বুঝেই নদী পার হওয়ার জন্য পানিতে নেমে গেল। কিন্তু সাথে সাথেই তার মস্ত, ভারী শরীরটা পানিতে একটু একটু করে তলিয়ে যেতে লাগল। এভাবেই শেয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে বনের পশুপাখিকে হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা করলো।
ঝ) অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর : অহংকারী ও অত্যাচারীকে শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। সে যাদের ওপর অত্যাচার চালায় তারা একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অহংকারী আর অত্যাচারীরা এভাবে নিজেদের পতন ডেকে আনে।
৪. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. আমরা ………. দেশের অধিবাসী।
খ. ………. পতনের মূল।
গ. চেহারা নয়, আসল ………. হলো মানুষের মন।
ঘ. মনে ………. থাকলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।
উত্তর : ক. স্বাধীন; খ. অহংকার; গ. সুন্দর; ঘ. ভয়।
৫. ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দিই।
ক. বনের সব প্রাণী কার কাছে এসে জড়ো হলো?
১. বাঘ
২. শেয়াল
৩. হাতি
৪. সিংহ✔
খ. কার জন্য বনে আবার শান্তি ফিরে আসল?
১. সিংহ
২. শেয়াল✔
৩. ভালুক
৪. বাঘ
গ. হাতির অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য কেন শেয়ালকে দায়িত্ব দেয়া হলো?
১. শেয়াল সাঁতার জানে বলে
২. শেয়াল খুব সাহসী বলে
৩. শেয়াল বুদ্ধিমান বলে✔
৪. শেয়াল হাতির বন্ধু বলে
ঘ. হাতির করুণ পরিণতির জন্য দায়ী কোনটি?
১. হাতির অহংকার✔
২. হাতির লম্বা শুঁড়
৩. হাতির ভারী শরীর
৪. হাতির বোকামি
ঙ. হাতিকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে এলো না কেন?
১. হাতির অত্যাচারের জন্য✔
২. হাতি খুব বড় বলে
৩. হাতির ভয়ে
৪. হাতি সাঁতার জানে বলে
৬. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি।
শান্তি: অশান্তি
অসৎ প্রতিবেশীর কারণে তার অশান্তি লেগেই আছে।
সভ্য: অসভ্য
লোকটির অসভ্য আচরণে সবাই অবাক হলো।
ধ্বনি:
প্রতিধ্বনি তার কথাটি দেয়ালে প্রতিধ্বনি তুলল।
শক্তিশালী :দুর্বল
পুষ্টির অভাবে মানুষ দুর্বল হয়ে যায়।
৭. নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লিখি।
দুষ্টু – বিশেষণ
হাতি – বিশেষ্য
বুদ্ধিমান – বিশেষণ
এবং – অব্যয়
আমি – সর্বনাম
চায় – ক্রিয়া
৮. যে কোনো একটা প্রাণী সম্পর্কে বলি এবং পাঁচটি বাক্যের একটা অনুচ্ছেদ রচনা করি।
উত্তর : জিরাফ
জিরাফ একটি বন্য প্রাণী। এটি স্থলভাগের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী হিসেবে পরিচিত। এরা প্রায় ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এরা বসতে বা শুতে পারে না। জিরাফ খুব নিরীহ স্বভাবের হয়ে থাকে।
৯. কর্ম-অনুশীলন।
একটি গল্প লেখার চেষ্টা করি। প্রথমে শিক্ষকের সহায়তায় ২/৩টি সাদা কাগজ নিই। সেগুলোকে একটি ভাঁজ করে নোটবুকের মতো তৈরি করি। এখন প্রত্যেকটি কাগজের এক পাশে নিচের দিকের অর্ধেক থেকে গল্প লেখা শুরু করি। আর উপরের অর্ধেকে নিজের খুশিমতো ছবি আঁকি। লেখা শেষে উপরে একটি কভার পৃষ্ঠা যোগ করি। সে-পৃষ্ঠায় গল্পের একটি নাম দিই ও লিখি, নিজের নাম লিখি এবং ইচ্ছামতো ছবি আঁকি। এভাবে নিজের লেখা একটি গল্পের বই তৈরি করি।
উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজে চেষ্টা কর।
অতিরিক্ত অনুশীলনীমূলক প্রশ্নের উত্তর
১) অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে অহংকারী হাতিটাকে।
২) বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর : বনের পশুরা খুব সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। এমন সময় মস্ত এক হাতি তাড়া খেয়ে বনে এসে ঢোকে। অহংকারী সেই হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। তাই তাদের মন থেকে শান্তি হারিয়ে যায়।
৩) গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে বোঝানো হয়েছে অত্যাচারী হাতিটার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতিকে। হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এসেছিল। শেয়ালের বুদ্ধিতে হাতিটা চরম সাজা পায়। পশুরাও হাতির অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়।
৪) শেয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শেয়াল হাতিটাকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের মহাবিপদে পড়তে হতো। দিন দিন হাতিটার অহংকার বেড়েই চলত। একে একে সব পশুই তার অত্যাচারের শিকার হতো। অনেকেই জঙ্গল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতো।
৫) হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে কর?
উত্তর : হাতির এই শাস্তির জন্য দায়ী তার অহংকার ও নিষ্ঠুরতা।
৬) মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
উত্তর : মিলেমিশে থাকলে মানুষের মাঝে একতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের শক্তি বেড়ে যায়। মানুষ একা সব কাজ করতে পারে না। কিন্তু মিলেমিশে করলে অনেক কঠিন কাজও খুব সহজে করা যায়। মানুষ যখন সভ্য হচ্ছিল তখন তারা এ বিষয়টি বুঝতে পারে। তাই তারা মিলেমিশে থাকার নিয়ম শিখতে শুরু করে।
৭) সবাই মিলে শেয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?
উত্তর : পশুদের মধ্যে শেয়াল সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তাই সবাই মিলে শেয়ালকে দায়িত্ব দিল।
৮) শেয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করলো?
উত্তর : শেয়াল নানা রকম মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে হাতিটাকে নদীর কিনারে নিয়ে এলো। শেয়ালের কথায় হাতিটা না বুঝেই নদী পার হওয়ার জন্য পানিতে নেমে গেল। কিন্তু সাথে সাথেই তার মস্ত, ভারী শরীরটা পানিতে একটু একটু করে তলিয়ে যেতে লাগল। এভাবেই শেয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে বনের পশুপাখিকে হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা করলো।
৯) অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর : অহংকারী ও অত্যাচারীকে শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। সে যাদের ওপর অত্যাচার চালায় তারা একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অহংকারী আর অত্যাচারীরা এভাবে নিজেদের পতন ডেকে আনে।
১০) হাতির ভাব দেখে কী মনে হলো?
উত্তর : হাতির ভাব দেখে মনে হলো সে-ই বুঝি বনের রাজা।
১১) হাতিটার অত্যাচারে বনের প্রাণীদের কী অবস্থা হলো?
উত্তর : হাতিটার অত্যাচারে বনের প্রাণীদের মনের শান্তি উধাও হলো। চোখের ঘুম হারিয়ে গেল। সব সময় হাতিটার অত্যাচারের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত সবাই।
১২) বনের প্রাণীরা কোথায়, কেন জড়ো হলো?
উত্তর : বনে প্রাণীরা হাতিটার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শলা-পরামর্শ করতে সিংহের গুহায় জড়ো হলো।
১৩) হাতিটার শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হলো?
উত্তর : হাতিটা শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করল। নদীতে ডুবে যেতে দেখেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে এলো না।
১৪) হাতিটাকে কেউ বাঁচাতে এলো না কেন?
উত্তর : হাতিটা ছিল খুব অহংকারী আর অত্যাচারী স্বভাবের। বনে আসার পর থেকেই হাতিটা প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতে লাগল। প্রাণীরা সব সময় তার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে থাকত। বনের প্রাণীরাই শেয়ালের মাধ্যমে হাতিটাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এ কারণেই তার বিপদে কেউ তাকে বাঁচাতে এলো না।
১৫) বাঘ আর সিংহ হাতিটার কাছে আসতে চায় না কেন?
উত্তর : হাতিটা ছিল বাঘ আর সিংহের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। আর সে ছিল খুব নিষ্ঠুর স্বভাবের। বনের পশুদের ওপর হাতিটা নির্মম অত্যাচার চালাত। এ কারণেই বাঘ আর সিংহ হাতিটার ধারে-কাছে যেতে সাহস পেত না।
১৬) বনের সবাই সিংহের গুহায় জড়ো হলো কেন?
উত্তর : অহংকারী হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের মনে শান্তি নেই। তারা এর একটা সমাধান চায়। সে ব্যাপারে শলা-পরামর্শ করতেই সবাই সিংহের গুহায় জড়ো হলো।
১৭) অনেক দিন আগে মানুষ কী শিখছিল?
উত্তর : অনেক দিন আগে মানুষ অল্প অল্প করে সভ্য হচ্ছিল। কীভাবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকা যায় সেসব নিয়মকানুন শিখছিল তারা।
১৮) হাতিটা দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর : হাতিটা দেখতে ছিল বিশাল আকৃতির। তার পা-গুলো ছিল বটপাকুড় গাছের মতো মোটা। শুঁড়টা এত লম্বা ছিল, মনে হতো আকাশের গায়ে গিয়ে বুঝি ঠেকবে। তার গায়ে ছিল অসীম শক্তি।
১৯) হাতিটা বনে ঢুকে কী ধরনের আচরণ করেছিল?
উত্তর : হাতিটা বনে ঢুকে শুরু করল তুলকালাম কাণ্ড। তার প্রচণ্ড হুঙ্কারে সমস্ত বন থরথর করে কেঁপে উঠল। হাতিটার ভাব দেখে মনে হলো সে-ই বুঝি বনের রাজা। নিরীহ প্রাণীদের ওপর সে বিনা কারণেই অত্যাচার শুরু করল।
২০) হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল হাতিটাকে কীভাবে, কী বলেছিল?
উত্তর : হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল প্রথমে লেজ গুটিয়ে হাতিকে লম্বা একটা সালাম দিল। তারপর বলল, ‘আপনিই তো বনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। আপনিই আমাদের রাজা। ঐ দেখুন, নদীর ওপারে সবাই উদগ্রীব হয়ে বসে আছে। আপনাকে রাজা হিসেবে বরণ করে নিতে চায় সবাই।’
২১) হাতিটার শুঁড় কেমন ছিল?
উত্তর : হাতিটার শুঁড় ছিল বিশাল লম্বা। যা দেখে মনে হতো সেটা বুঝি আকাশে গিয়ে ঠেকবে।
২২) কার বিশাল শরীর? তার স্বভাব কেমন ছিল?
উত্তর : বনের হাতিটার বিশাল শরীর।
হাতিটা ছিল খুব অহংকারী স্বভাবের। আর তার মেজাজও ছিল খুব তিরিক্ষি।
২৩) হরিণ ও পিঁপড়ের ওপর হাতিটা কীভাবে অত্যাচার করল?
উত্তর : নিরীহ হরিণকে হাতিটা শুঁড়ে জড়িয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে দিল। আর নিরপরাধ ক্ষুদ্র পিঁপড়েকে সে পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলল।
২৪) শেয়াল ভয়ে ভয়ে কোথায় হাজির হলো?
উত্তর : শেয়াল ভয়ে ভয়ে হাতির আস্তানায় হাজির হলো।
২৫) শেয়াল হাতিকে নদীর ধারে নিয়ে গেল কেন?
উত্তর : শেয়াল মনে মনে হাতিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। হাতিকে নদীর ধারে নিয়ে যাওয়া ছিল তার একটা কৌশল।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সবগুলো গল্প ও কবিতার উত্তর ডাউনলোড করতে পারবে। এই পোস্টে আলোচিত হাতি আর শেয়ালের গল্প প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করার জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। সকল বিষয়ের ওপর অনলাইন ক্লাস পেতে আজই আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post