হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : উৎপাদন ব্যয় হিসাব আর্থিক হিসাব বিজ্ঞানের একটি শাখা। শিল্প-কারখানার বিকাশ এবং শিল্পে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিল্প-কারখানাগুলি টিকে থাকার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ উৎপাদন ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ, শ্রেণী বিন্যস্ত করণ এবং নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন অনুভব করেন। ফলে উৎপাদন হিসাব বিজ্ঞানের প্রযোজনীয়তা ও গুরুত্ব বেড়ে যায়।
হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
বিংশ শতাব্দীতে এফ. ডব্লিউ টেইলর এবং হেনরী ফেওল শিল্পের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেন এবং এরপর উৎপাদন ব্যয় হিসাবের কার্যক্রম ও পরিধি সম্প্রসারিত হয়। ক্রমে ব্যাংক, বীমা, যাতায়াত ব্যবস্থা, বিদ্যুত বণ্টনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ব্যয় হিসাবের বিভিনড়ব কলা কৌশল ব্যবহার করতে শুরু করে।
উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের সংজ্ঞা
উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান আর্থিক হিসাব বিজ্ঞানের একটি শাখা। কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য-সামগ্রী বা সেবার উৎপাদন ব্যয় নিরূপণ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিশেক্রষণ এবং প্রতিবেদন প্রণয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম ও পদ্ধতিকে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বলে। আমরা জানি, কোন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য প্রমে কাঁচামাল ক্রয় করতে হয়। এরপর প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে চূড়ান্ত পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা হয়। এ পণ্য বা সেবা ভোক্তার নিকট পৌঁছানো হয় বিক্রি করার লক্ষ্যে। এভাবে কাঁচামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর যাবতীয় ব্যয় নিরূপণ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াকে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বলা হয়ে থাকে।
নতুন নতুন শিল্পের বিকাশ, শিল্প-কারখানার মধ্যেকার তীব্র প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা, কারবার সম্প্রসারণ ইত্যাদি প্রেক্ষাপট চিন্তা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হিসাব বিজ্ঞানী উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমন: The Institute of Cost & Management Accountants (ICMA), London এর মতে, “ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, মুনাফা নির্ধারণ এবং ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে তথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণের নীতি, পদ্ধতি ও কৌশলের প্রয়োগকে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বলা হয়।”
জে. বেটি (J.Betty) র মতে, “পণ্য, শ্রম ও স্থায়ী সম্পদ রূপান্তরে যে ত্যাগ জড়িত থাকে তার পরিমাপ, লিপিবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পিত প্রণালীকে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বলে।”
এরিক এল. কোহলার (E.L. Kohler) এর মতে. “হিসাব বিজ্ঞানের যে শাখায় বর্তমান ও সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যয়ের শ্রেণী বিভাগকরণ, লিপিবদ্ধকরণ, বণ্টন, সংক্ষিপ্তকরণ এবং প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণের কার্যাবলী সম্পাদিত হয় সে শাখাকে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বলে।”
এইচ. জে. ওয়েলডন (H.J. Whelder) এর ভাষায়, “ঊৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বলতে উৎপাদন ও সেবার ব্যয় নির্ণয় এবং ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহকল্পে ব্যয়ের বিভক্তিকরণ, লিপিবদ্ধকরণ ও সুষ্ঠু বন্টকে বুঝায়।”
ICMA, London এর দেয়া সংজ্ঞাটিই একটি পূর্ণ সংজ্ঞা বলে মনে হয়। এসব আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, পণ্য বা সেবার ব্যয় ও মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে উৎপাদন ব্যয় লিপিবদ্ধকরণ, শ্রেণীবদ্ধকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উৎপাদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার কলা-কৌশল হিসাববিজ্ঞানের যে শাখার মাধ্যমে জানা যায় তাকে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বলা হয়।
উৎপাদন ব্যয় হিসাবের উদ্দেশ্য
শিল্প-কারখানার উৎপাদিত পণ্যের এককপ্রতি উৎপাদন ব্যয় নির্ণয় করার লক্ষ্যে উৎপাদন ব্যয় হিসাবের উন্মেষ ঘটেছিল। আধুনিককালে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান শুধু উৎপাদন ব্যয় নির্ণয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বায়নের যুগে নিজ দেশের এক প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতাই শুধু নয়, এখন এক দেশের সাখে অন্য দেশের প্রতিযোগিতাও বিবেচনায় আনতে হচ্ছে। এজন্য ব্যয় কমা, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, মুনাফা বৃদ্ধি ইত্যাদিও উৎপাদন হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে উৎপাদন হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
১. উৎপাদন ব্যয় নির্ণয়: পণ্য ও সেবার একক প্রতি উৎপাদন ব্যয় নির্ণয় করা উৎপাদন ব্যয়
হিসাব বিজ্ঞানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে কাঁচামাল, শ্রম এবং উপরিব্যয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খরচ নির্ণয় এবং চলতি কার্যের মূল্য নির্ণয় করা হয়। মনে করুন, কাঁচামাল ১০,০০০ টাকা, মজুরী ২,০০০ টাকা এবং অন্যান্য খরচ ২,০০০ টাকা ব্যয়ে মোট ১৪,০০০ একক পণ্য তৈরী করা হলো। এতে একক প্রতি ১০ টাকা খরচ হল। অন্য সময়ের সাথে তুলনা করে অভ্যন্তরীন ব্যবস্থাপণা শক্তিশালী করণে এ একক ব্যয় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মোট ব্যয় ও লাভ-ক্ষতি নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
২. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: আদর্শ মানের সাথে তুলনা করে বিচ্যূতি বা কম-বেশী ব্যয় নির্ণয় করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে নিয়ন্ত্রণ বলে। আদর্শমানের সাথে প্রকৃত ব্যয়ের তুলনা করে উৎপাদন ব্যয়, প্রশাসনিক ব্যয় এবং বিপণন ব্যয়কে নিয়ন্ত্রিত সীমার মধ্যে রাখা ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। সমজাতীয় শিল্প-কারখানার ব্যয়ের সাথে তুলনা করেও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে বেহুদা খরচ নিয়ন্ত্রিত হয় এবং উৎপাদন খাতে মিতব্যয়িতা অর্জন সম্ভব হয়।
৩. দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ: উৎপাদন খরচের সাথে প্রশাসনিক ও বিপণন ব্যয় যোগ করে প্রত্যাশিত মুনাফা যোগ করে দ্রব্যমূল্য নির্ণয় করতে হয়। এক্ষেত্রে চাহিদা এবং সরকারী বিধিনিষেধ বিবেচনায় আনতে হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার বিষয় বিবেচনায় এনে মূলতঃ দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করতে হয়। সুতরাং পণ্য ও সেবার যথার্থ প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করা ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য।
৪. মুনাফা নির্ধারণ: উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বিভাগভিত্তিক বা দ্রব্যভিত্তিক মোট ব্যয়, বিক্রয়, চলতি কার্য, সমাপনী মজুত প্রভৃতি নির্ণয় করে প্রত্যেক বিভাগ বা প্রতিটি দ্রব্যভিত্তিক লাভ-লোকসান নির্ণয় করতে পারে। সুতরাং একক বিভাগ বা প্রতিটি দ্রব্যভিত্তিক লাভ-লোকসান নির্ণয় করা উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ সহজতর হয়।
৫. দরপত্র মূল্য নির্ধারণ: অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা সরবরাহ করার জন্য সরকার বা
অন্য কোন বৃহৎ কোম্পানীর নিকট দরপত্র প্রেরণ করতে হয়। এ জন্য পণ্য তৈরী করার পূর্বেই অতীত ব্যয় বিশ্লেষণ করে মোট ব্যয় ও দরপত্র মূল্য নির্ণয় করতে হয়। উৎপাদন ব্যয় হিসাবের এ দরপত্র মূল্য নির্ধারণ করাও একটি উদ্দেশ্য।
৬. পরিকল্পনা প্রণয়ন: উৎপাদন সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে চলতি উৎপাদন, বিক্রয় এবং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যয় ও ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে ভবিষ্যৎ উৎপাদনের পূর্বাভাস ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনা তৈরী করতে হয়। এ পরিকল্পনা প্রণয়নও উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।
৭. প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করা: অন্যান্য প্রতিযোগী যারা কম দামে পণ্য বাজারে ছাড়ে বা ছাড়তে পারে তাদের মোকাবেলায় টিকে থাকতে প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব পণ্যের দাম হ্রাস, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বা প্রয়োজনে অলাভজনক পণ্য বন্ধ করতে হয়। এ সব ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য তথ্য সরবরাহ করে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান। এভাবে প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করাও উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের একটি উদ্দেশ্য।
উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের গুরুত্ব
আর্থিক লেনদেন লিপিবদ্ধ করা এবং এসব লেনদেনের আলোকে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ফলাফল নির্ধারণ আর্থিক হিসাব বিজ্ঞানের কাজ। পণ্য বা সেবার একক ব্যয় নির্ণয় ও এর ভিত্তিতে লাভ-ক্ষতি কি হলো তা আর্থিক হিসাব বিজ্ঞানের কাজ। পণ্য বা সেবার একক ব্যয় নির্ণয় ও এর ভিত্তিতে লাভ-ক্ষতি কি হলো তা আর্থিক হিসাব বিজ্ঞানের বিষয় নয়। এ সীমাবদ্ধতা দূর করতেই মূলতঃ উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের উৎপত্তি। উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের বা সামগ্রিক ব্যবসার উৎপাদন সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এখাতের মাধ্যমে লাভ-ক্ষতি নির্ণয়ে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বিরাট ভূমিকা রাখে।
১. উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ: উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান মোট উৎপাদন ব্যয় এবং একক ব্যয় নির্ভূলভাবে নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। উৎপাদনের সাথে জড়িত প্রতিটি বিভাগ, প্রকিয়া, জব সহ উৎপাদিত পণ্য বা সেবার মোট ব্যয় এবং একক প্রতি কত ব্যয় হয়েছে তা নির্ধারণের জন্য উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান অনন্য ভূমিকা রেখে থাকে। এজন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম।
২. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: ব্যয় নির্ণয় উৎপাদন ব্যয় হিসাবের উদ্দেশ্য হলেও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ একটি মৌলিক বিষয়। বাজেটে উলি−খিত ব্যয়ের সাথে প্রকৃত ব্যয় তূলনা করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কাঁচামাল, শ্রম ও উপরি ব্যয়ের অপচয় রোধ হয়, উৎপাদনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং মুনাফাও অধিক হয়। সুতরাং উৎপাদন ব্যয় হিসাবের গুরুত্ব অনন্য।
৩. পণ্য বা সেবার বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ: উৎপাদন ব্যয়ের সাথে মূলধনের সুদ ও লাভ যোগ করে পণ্য বা সেবামূল্য নির্ধারণ করা হয়। সুতরাং পণ্য বা সেবার বিক্রয় মূল্য নির্ধারণের জন্য উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে।
৪. ব্যবস্থাপনা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা: উৎপাদন ব্যয় হিসাবের বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে অলস সময়, যন্ত্রপাতির অদক্ষ ব্যবহার, অপচয়, কাঁচামালের বিনষ্টজনিত ক্ষতি ইত্যাদি হ্রাস করা
যায়। উৎপাদন ব্যয় হিসাবের মাধ্যমে লাভ-ক্ষতির কারণ নির্ণয় করে অলাভজনক পণ্য বা সেবা চিহ্নিত করা যায়। এভাবে বিভিন্ন অদক্ষতা ও ক্ষতি হ্রাস ও প্রয়োজনে অলাভজনক পণ্য বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় হিসাব তথ্য বিরাট ভূমিকা রাখে। সুতরাং ব্যবস্থাপকীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।
৫. বাজেট নির্ধারণ: বাজেট হলো ভবিষ্যতের কাজের পূর্বানুমানিক চিন্তার ফসল, উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বিভিনড়ব তথ্য দিয়ে ক্রয় বাজেট, বিক্রয় বাজেট, উৎপাদন বাজেট, মাষ্টার বাজেট ইত্যাদি প্রণয়নেস সহায়তা করে। সুতরাং ব্যবস্থাপনারবাজেট নির্ধারণের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান বিরাট ভূমিকা রাখে। এজন্য এর বিরাট গুরুত্ব রয়েছে।
৬. লাভ-ক্ষতির কারণ নির্ণয়: উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান নিয়ন্ত্রণ মূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি ও ক্ষতির কারণ নির্ণয় করে থাকে। ইহা কোন পণ্য বা সেবা ক্ষতির কারণ, কোন পণ্য বা সেবা অধিক লাভজনক ইত্যাদি তথ্য বা ব্যবস্থাপনাকে সরবরাহ করে। সুতরাং লাভ-ক্ষতির কারণ নির্ণয়ের জন্য উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ।
৭. দরপত্র মূল্য নির্ধারণ: কখনও কখনও সরকারী বা বৃহৎ কোন প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহের জন্য দরপত্র প্রেরণ করতে হয়। উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যয় বিবরণী তৈরী করে দরপত্র বা ফরমায়েশ মূল্য নির্ণয় করে। সুতরাং দরপত্র মূল্য নির্ধারণে উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের গুরুত্ব রয়েছে।
৮. দক্ষতা যাচাই: বিভিন্ন বিভাগ, প্রক্রিয়া ও জবের ক্ষেত্রে উৎপাদনের পরিমাণ ও ফলাফল নির্ণয়ের মাধ্যমে কর্মী ও যন্ত্রপাতির দক্ষতা যাচাই করা যায়। এ কাজ উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান করে থাকে। সুতরাং উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর্মী ও যন্ত্রপাতির দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।
৯. চূড়ান্ত হিসাব প্রণয়নে সহায়তা: উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান পণ্যের বিভিনড়ব স্তরের হিসাব সঠিকভাবে রাখতে সহায়তা করে। ফলে সঠিকভাবে মজুত পণ্যের হিসাব পাওয়া যায়। সুতরাং চূড়ান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রেও উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরো দেখো: HSC হিসাববিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে আমরা তোমাদের জন্য হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করেছি। তোমাদের পরীক্ষার যেমন হবে, এটি সেই আলোকেই তৈরি করা হয়েছে। উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে মডেল টেস্টের উত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post