হিসাববিজ্ঞান ৯ম অধ্যায় : খতিয়ানের হিসাবগুলোর নির্ভুলতা যাচাই করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনে একটি পৃথক খাতায় বা কাগজে সকল হিসাবের উদ্বৃত্তগুলোকে ডেবিট ও ক্রেডিট এই দুই ভাগে বিভক্ত করে যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকেই রেওয়ামিল বলে। রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের যোগফলের সমান হলে সাধারণত ধরে নেয়া হয় যে, খতিয়ানে কোনো গাণিতিক ভুল নেই। অপরপক্ষে দুই দিকের যোগফল সমান না হলে বুঝতে হবে দু’তরফা দাখিলা অনুসারে হিসাব সংরক্ষণে কোনো ভুল-ত্রুটি আছে।
রেওয়ামিলের উদ্দেশ্য
- জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেনগুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কিনা তা রেওয়ামিলের মাধ্যমে গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা হয়।
- এর মাধ্যমে বিশদ আয় বিবরণী ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রস্তুতকরণ সহজতর হয়।
জাবেদা ও খতিয়ানে ভুলত্রুটি থাকলে তা উদঘাটন ও সংশোধন করা হয়। - দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি মোতাবেক জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা তা রেওয়ামিল প্রস্তুতের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।
- এর মাধ্যমে আর্থিক অবস্থায় বিবরণী প্রস্তুতে সময় ও শ্রমের অপচয়রোধ হয়।
- রেওয়ামিলের মাধ্যমে ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
হিসাববিজ্ঞান ৯ম অধ্যায়
খতিয়ানের জের নিয়ে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়। খতিয়ানের ডেবিট ব্যালেন্স ডেবিট দিকে এবং ক্রেডিট ব্যালেন্স ক্রেডিট দিকে লেখা হয়। যদি উভয় দিকের যোগফল মিলে যায় তবে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয় হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা সঠিক আছে।
১. ক্রমিক/ কোড নং : হিসাবের কোড নং না থাকলে ধারাবাহিকভাবে ক্রমিক নং বসাতে হবে।
২. হিসাবের শিরোনাম : খতিয়ান থেকে যে সমস্ত হিসাবের উদ্বৃত্ত আনা হয় সেগুলোর শিরোনাম বসাতে হয়। যেমন : মূলধন হিসাব, আসবাবপত্র হিসাব, বেতন হিসাব ইত্যাদি।
৩. খতিয়ান পৃষ্ঠা : খতিয়ানের যে পৃষ্ঠা হতে হিসাবের উদ্বৃত্ত রেওয়ামিলে স্থানান্তর করা হয়েছে, এই ঘরে সেই পৃষ্ঠা নং লিখতে হয়। ফলে ভুলত্রুটি হলে খুব সহজেই উদঘাটন করা যায়।
৪. ডেবিট উদ্বৃত্ত টাকা : খতিয়ানের বিভিন্ন হিসাবের ডেবিট উদ্বৃত্তগুলোর টাকার পরিমাণ এ ঘরে লিখতে হয়।
৫. ক্রেডিট উদ্বৃত্ত টাকা : খতিয়ানের বিভিন্ন হিসাবের ক্রেডিট উদ্বৃত্তগুলোর টাকার পরিমাণ এ ঘরে লিখতে হয়।
রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
১. প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য ও সমাপনী মজুদ পণ্য দুটি দেওয়া থাকলে সাধারণত প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য রেওয়ামিলে ডেবিট দিকে দেখানো হয়। সমাপনী মজুদ পণ্য সাধারণত হিসাব কাল শেষ হওয়ার পর গণনা করা হয়। তাই সমাপনী মজুদ পণ্য রেওয়ামিলে দেখানো হয় না। কিন্তু যদি সমন্বিত ক্রয় অথবা বিক্রীত দ্রব্যের ব্যয় দেওয়া থাকে তাহলে সমাপনী মজুদ পণ্যকে রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে দেখাতে হবে। তখন প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য রেওয়ামিলে আসবে না।
২. প্রারম্ভিক হাতে নগদ এবং প্রারম্ভিক ব্যাংক জমা রেওয়ামিলে আসবে না। কারণ সমাপনী হাতে নগদ ও সমাপনী ব্যাংক জমার মধ্যেই প্রারম্ভিক জের অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণত যে তারিখের রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয় সে তারিখের জেরই দেখানো হয়।
৩. সম্ভাব্য দায় ও সম্ভাব্য সম্পদ রেওয়ামিলের অন্তর্ভুক্ত হবে না। কারণ এগুলো নিশ্চিত দায় বা সম্পদ নয়। সম্ভাব্য দায় ও সম্পদকে পাদটীকা হিসাবে রেওয়ামিলের নিচে দেখাতে হয়।
৪. যে হিসাবগুলোতে প্রদত্ত না প্রাপ্ত উল্লেখ থাকে না, সে হিসাবগুলোকে প্রদত্ত ধরে রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে লিখতে হয়। যেমন : ভাড়া, বাট্টা, কমিশন, সুদ ইত্যাদি।
৫. বিক্রয় খতিয়ানের উদ্বৃত্তকে দেনাদার হিসাব ধরে ডেবিট করতে হয়।
৬. ক্রয় খতিয়ানের উদ্বৃত্তকে পাওনাদার হিসাব ধরে ক্রেডিট করতে হয়।
৭. সাধারণত শিক্ষানবিস ভাতা একটি ব্যয় ও প্রতিষ্ঠান প্রদান করে থাকে বলে একে ডেবিট করতে হয় এবং শিক্ষানবিস সেলামি প্রতিষ্ঠান পেয়ে থাকে বলে এটিকে আয় ধরে ক্রেডিট করতে হয়।
৮. রেওয়ামিলে যদি গরমিল হয় এবং উক্ত গরমিলের ফলে যদি ক্রেডিট পাশ ছোট হয় এবং ক্রেডিট পাশে যদি মূলধন দেওয়া না থাকে তবে উক্ত গরমিল উদ্বৃত্তকে অনিশ্চিত হিসাব না লিখে মূলধন হিসাবে লেখা যেতে পারে। কারণ প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেই মূলধন থাকে।
৯. সকল প্রকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরও যদি রেওয়ামিলের দুই পাশে মিলে সেক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য গরমিলের পরিমাণকে অনিশ্চিত হিসাব ধরে রেওয়ামিলের উভয় পার্শ্ব/দিক সমান করা হয়।
অশুদ্ধ রেওয়ামিল শুদ্ধ করার পদ্ধতি সাতটি। যথা :
১. রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট দিকের যোগফল পুনঃপরীক্ষা করা।
২. খতিয়ানের প্রতিটি হিসাবের জের রেওয়ামিলে তোলা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
৩. হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট উদ্বৃত্তগুলো যথাক্রমে রেওয়ামিলে ডেবিট ও ক্রেডিট দিকে লেখা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
৪. জাবেদা হতে সকল লেনদেন খতিয়ানের সংশ্লিষ্ট হিসাবে স্থানান্তর হয়েছে কিনা তা যাচাই করা।
৫. খতিয়ানের উদ্বৃত্ত রেওয়ামিলে সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা।
৬. রেওয়ামিলে ডেবিট ও ক্রেডিট পার্থক্য রাশিটাকে ২ দ্বারা ভাগ করে অত:পর নির্মীত রাশির কোনো উদ্বৃত্ত থাকলে তা সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
৭. পূর্ববর্তী বছরের হিসাবের জের সমূহ চলতি বছরে খতিয়ানে ঠিকমতো তোলা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
অনিশ্চিত হিসাব
অনেক সময় রেওয়ামিলের দুই পক্ষ না মিললে ঐ ভুল খুঁজে বের করা কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। তাই কাজ বাদ না রেখে সাময়িকভাবে ঐ ঘাটতিকে অনিশ্চিত নামে দেখানো হয়। মূলত এ হিসাবটি একটি অস্থায়ী বা সাময়িক হিসাব।
গাণিতিক সূত্রাবলি
১. মালিকানা স্বত্ব বা ঊ-এর পরিমাণ = মূলধন + অতিরিক্ত মূলধন + সাধারণ সঞ্চিতি – উত্তোলন (আয়কর, জীবন বিমা প্রিমিয়াম)।
২. ক্রয়/ নিট ক্রয়/ প্রকৃত ক্রয় = মোট ক্রয় – ক্রয় ফেরত – ক্রয় হ্রাস করে এমন লেনদেন।
৩. নিট বিক্রয় = বিক্রয় – বিক্রয় ফেরত – বিক্রয় হ্রাস করে এমন লেনদেন।
৪. প্রত্যক্ষ খরচসমূহ = প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য + নিট ক্রয় + ক্রয় পরিবহন + আমদানি শুল্ক + মজুরি + মজুরি ও বেতন + কয়লা ও গ্যাস + জলযান ভাড়া + জ্বালানি খরচ + কারখানা সংক্রান্ত খরচ + ডক চার্জ + নগর শুল্ক / রাজসেলামি + ড্রইং অফিস বেতন + গুদাম ভাড়া + কুলি খরচ।
৫. পরোক্ষ খরচসমূহ = বেতন / বেতন ও মজুরি + রপ্তানি শুল্ক + ভাড়া / অফিস ভাড়া + কারবারি খরচ + দফতর খরচ + নিরীক্ষা খরচ + অডিট ফি + কমিশন/ প্রদত্ত কমিশন + সুদ / প্রদত্ত সুদ + বাট্টা / প্রদত্ত বাট্টা + শিক্ষানবিস ভাতা + খাজনা ও কর + সাধারণ খরচ + বিমা প্রিমিয়াম / বিমা সেলামি + উপযোগ খরচ + আপ্যায়ন খরচ + কুঋণ/ অনাদায়ী পাওনা + অবচয় + অবলোপন + দস্তুরি + ব্যাংক চার্জ।
৬. পরোক্ষ আয়সমূহ = শিক্ষানবিস সেলামি + উপভাড়া + প্রাপ্ত ভাড়া + প্রাপ্ত সুদ + প্রাপ্ত বাট্টা + প্রাপ্ত কমিশন + আদায়কৃত অনাদায়ী পাওনা ইত্যাদি।
৭. মোট ব্যয়/ খরচের পরিমাণ = (প্রত্যক্ষ খরচ / ব্যয় + পরোক্ষ খরচ/ব্যয়) বা সকল প্রকার মুনাফা জাতীয় ব্যয়।
৮. মুনাফা জাতীয় ব্যয় = (প্রত্যক্ষ খরচ + পরোক্ষ খরচ) বা মোট খরচ। ক্রয় ফেরত বা বহিঃফেরত / ক্রয় বাট্টাকে মুনাফা জাতীয় আয় ধরা যায় না। কারণ এর দ্বারা ব্যবসায়ের খরচ বা ক্রয়ের পরিমাণ হ্রাস পায়।
৯. মুনাফা জাতীয় আয় = বিক্রয় + শিক্ষানবিস সেলামি + উপভাড়া + প্রাপ্ত ভাড়া বা মোট আয় + প্রাপ্ত সুদ + প্রাপ্ত বাট্টা + প্রাপ্ত কমিশন + বিনিয়োগের সুদ + ব্যাংক জমার সুদ + প্রদত্ত ঋণের সুদ + উত্তোলনের সুদ + পুরাতন খবরের কাগজ বিক্রয় + লভ্যাংশ প্রাপ্তি + অনাদায়ী দেনা আদায় + অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি।
বিক্রয় ফেরত বা অন্তর্মুখী ফেরত / বিক্রয় বাট্টাকে মুনাফা জাতীয় ব্যয় ধরা যায় না। কারণ এর দ্বারা ব্যবসায়ের আয় বা বিক্রয়ের পরিমাণ হ্রাস পায়।
১০. মুনাফা জাতীয় আয় / মোট আয় = (প্রত্যক্ষ আয় + পরোক্ষ আয়) বা সকল প্রকার মুনাফা জাতীয় আয়।
১১. চলতি দায় = বিবিধ পাওনাদার + প্রদেয় বিল + বকেয়া খরচ + অগ্রিম আয় + ব্যাংক জমাতিরিক্ত + দায়ের বকেয়া সুদ + প্রদেয় ভাড়া + প্রদেয় কমিশন + বকেয়া মনিহারি ইত্যাদি।
১২. দীর্ঘমেয়াদি দায় = ঋণপত্র + ১০% ব্যাংক ঋণ + বন্ধকি ঋণ।
১৩. মোট দায় = মূলধন + দীর্ঘমেয়াদি দায় + চলতি দায়।
১৪. মূলধন জাতীয় ব্যয় = স্থায়ী সম্পদ ক্রয় + টেলিফোন / বৈদ্যুতিক সংস্থাপন ব্যয় + নতুন সম্পত্তির সংস্থাপন ব্যয় + ক্রীত যন্ত্রপাতি কার্যোপযোগ করার মেরামত খরচ ইত্যাদি।
১৫. মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি = মালিক কর্তৃক ব্যবসায়ের প্রদত্ত মূলধন, ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণ, সরকারি অনুদান, স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ।
১৬. মোট চলতি সম্পত্তি = হাতে নগদ + ব্যাংক জমা + প্রাপ্য বিল + বকেয়া আয় + অগ্রিম ব্যয় + সমাপনী মজুদ পণ্য + দেনাদার + অব্যবহৃত মনিহারি + প্রাপ্য কমিশন + প্রাপ্য বিমা দাবি + প্রাপ্য ভাড়া + প্রাপ্য সুদ + সুদমুক্ত বিনিয়োগ বা প্রদত্ত ঋণ ইত্যাদি।
১৭. মোট স্থায়ী সম্পদ = অবচয়যোগ্য সম্পত্তি + অবলোপনযোগ্য সম্পত্তি + সুদযুক্ত বিনিয়োগ।
১৮. মোট সম্পত্তি = মোট স্থায়ী সম্পদ + মোট চলতি সম্পদ + অসমন্বিত ব্যয়।
১৯. মোট অস্পর্শনীয় / অদৃশ্যমান সম্পদ = সুনাম + প্যাটেন্ট + ট্রেডমার্ক + কপিরাইট ইত্যাদি।
২০. সমন্বিত ক্রয় = নিট ক্রয় + প্রারম্ভিক মজুদ সমাপনী মজুদ।
২১. বিক্রিত পণ্যের ব্যয় = ক্রয় + প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য + প্রত্যক্ষ খরচসমূহ সমাপনী মজুদ পণ্য।
গাণিতিক নিয়মাবলি
- আর্থিক অবস্থার বিবরণী সম্পর্কিত দফাসমূহ
- সম্পদ (চলতি সম্পদ, স্থায়ী সম্পদ, বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ, অগ্রিম প্রদত্তসমূহ ও বকেয়া প্রাপ্য এর দফাসমূহ রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে বসবে।)
- দায় (চলতি দায়, দীর্ঘমেয়াদি দায়, বকেয়া খরচাবলি, অগ্রিম প্রাপ্তি এবং সঞ্চিতি ও তহবিলের দফাসমূহ রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে বসবে।)
- মূলধন (প্রতিষ্ঠানের আন্তঃদায় নামে পরিচিত। তাই এটি রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে বসবে।)
- উত্তোলন (উত্তোলন, আয়কর, জীবন বিমা প্রিমিয়াম এগুলো মূলধন থেকে সমন্বিত হবে তাই এগুলো রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের দফা।)
বিশদ আয় বিবরণী সম্পর্কিত দফাসমূহ
- আয় (সকল আয়ের দফা রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে বসবে।)
- খরচ/ব্যয় সংক্রান্ত (ব্যয় বা খরচসমূহ রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে বসবে।)
সকল সুদ এর আসলের বিপরীত দিকে
ক. মূলধন ক্রেডিট – কিন্তু মূলধনের সুদ ডেবিট।
খ. বিনিয়োগ ডেবিট – কিন্তু বিনিয়োগের সুদ ক্রেডিট।
গ. উত্তোলন ডেবিট – কিন্তু উত্তোলনের সুদ ক্রেডিট।
ঘ. ব্যাংক জমাতিরিক্ত ক্রেডিট – কিন্তু ব্যাংক জমাতিরিক্তের সুদ ডেবিট।
ঙ. ঋণ ক্রেডিট – কিন্তু ঋণের সুদ ডেবিট।
সকল ফেরত এর সংশ্লিষ্ট হিসাবের বিপরীত
ক. ক্রয় ডেবিট – কিন্তু ক্রয় ফেরত ক্রেডিট।
খ. বিক্রয় ক্রেডিট – কিন্তু বিক্রয় ফেরত ডেবিট।
সমাপনী মজুদ পণ্য সাধারণত রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হয় না। কারণ প্রারম্ভিক মজুদ ও ক্রয়কৃত পণ্যের অবিক্রিত অংশ হলো সমাপনী মজুদ। কিন্তু যদি সমন্বিত ক্রয় রেওয়ামিলে থাকে তাহলে সমাপনী মজুদ পণ্য রেওয়ামিলে ডেবিট দিকে যাবে। কারণ সমন্বিত ক্রয় প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য ও ক্রয়কৃত পণ্যের সমষ্টি থেকে সমাপনী মজুদ ব্যতীত অবশিষ্ট অংশটুকু বোঝায়।
►► আরো দেখো: হিসাববিজ্ঞান বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post