৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১ম অধ্যায় : এই অধ্যায় পাঠ করলে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী তা বর্ণনা করতে পারব। উপাত্ত আর তখ্যের মধ্যে পার্থক্য কী তা উদাহরণসহ বর্ণনা করতে পারব। কোথায় কোথায় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে তা বর্ণনা করতে পারব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারব। নিজের স্কুলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে একটা পোস্টার তৈরি করতে পারব।
৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১ম অধ্যায়
প্রশ্ন ১ : প্রসেসরের উপর ফ্যান লাগানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রসেসর প্রতি মুহূর্তে লক্ষ কোটি হিসাব-নিকাশ করে বলে প্রসেসরের মধ্যে দিয়ে অনেক বিদ্যুৎ প্রাবহিত হয়। ফলে প্রসেসর এত গরম হয়ে ওঠে যে তাকে আলাদাভাবে ফ্যান দিয়ে ঠাণ্ডা না করলে সেটা জ্বলে পুড়ে যেতে পারে। তাই প্রসেসরের উপরে ফ্যান লাগানো থাকে।
প্রশ্ন ২ : প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কেন?
উত্তর : কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় বা মূল অংশ হলো প্রসেসর। কখন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, কোন কাজটি আগে বা পরে করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশ প্রসেসর কম্পিউটারকে দিয়ে থাকে। কম্পিউটারের প্রসেসর মেমোরি থেকে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করে এবং সেগুলো প্রক্রিয়া করে। এটি প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য হিসাব-নিকাশ করে থাকে। প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কম্পিউটারের পরিচালক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়।
প্রশ্ন ৩ : মাদারবোর্ড সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : আমরা যদি একটা কম্পিউটারকে খুলে ফেলি তাহলে সাধারণত একটা বোর্ডকে দেখতে পাব যেখানে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স খুঁটিনাটি লাগানো আছে। এই বোর্ডটার নাম মাদারবোর্ড এবং এটি কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মা যেভাবে সবাইকে বুকে আগলে রাখে, এই বোর্ডটাও কম্পিউটারের সবকিছু সেভাবে বুকে আগলে রাখে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডের সবগুলো ডিভাইসের মাঝে একটা বেশ বড় ডিভাইস থাকে। সেটি হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর ছাড়াও র্যাম, বিভিন্ন ডিস্ক ড্রাইভ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্ড মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ৪ : ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?
উত্তর : যে ডিভাইসগুলো দিয়ে কম্পিউটারে ইনপুট দেওয়া হয় তাদেরকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন : কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি। আর যে সমস্ত ডিভাইসগুলো কম্পিউটারের কাজ শেষ হলে তার ফলাফল প্রদর্শন করে তাদেরকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন: মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫ : গ্লোবাল ভিলেজ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : একটা গ্রামে যে রকম একজন মানুষ আরেকজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে, ঠিক সে রকম তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে পুরো পৃথিবীটাই যেন একটা গ্রামে পরিণত হয়েছে। সবাই সবার সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারছে। আর এটা বোঝাবার জন্যেই নতুন একটি শব্দের জন্ম হয়েছে আর তা হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রাম। সত্যিকার অর্থেই আমরা এখন বৈশ্বিক গ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করছি। কারণ তথ্য ও যোগাযোগে প্রযুক্তি সব মানুষকে বাস্তবে না হলেও ‘কার্যত’ (Virtually) কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
প্রশ্ন ৬ : “বাস্তবে পাশাপাশি না থাকলেও কার্যত আমরা সবাই পাশাপাশি”— কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভার্চুয়ালী পাশাপাশি বলতে আমরা বুঝি সার্বক্ষণিক একজন অন্যজনের সাথে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারা। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের কল্যাণে পৃথিবী যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সমগ্র পৃথিবীটা এখন আমাদের কাছে একটি গ্রামের মতো পরিণত হয়েছে। একটি গ্রামে একজন মানুষ যে রকম অন্যজনের সাথে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারে, ঠিক সেরকম তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে ভার্চুয়ালী জগতের মাধ্যমে পৃথিবীটাও আমাদের কাছে একটি গ্রামের মতো হয়ে উঠেছে। এখন চোখের পলকে মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে চিঠি পাঠাতে পারে। চিঠির সাথে ছবি, কথা, ভিডিও সবকিছু পাঠানো সম্ভব। ফলে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। আর এই গ্রামে বাস্তবে পাশাপাশি না হলেও ‘কার্যত’ এখন আমরা সবাই পাশাপাশি।
প্রশ্ন ৭ : বর্তমান যুগকে ডিজিটাল যুগ বলা হয় কেন?
উত্তর : বর্তমানে প্রযুক্তি সকল মানুষের হাতে পৌছে গেছে। সর্বস্তরের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি, অপটিক্যাল ফাইবার, ইন্টারনেট ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি সকল ক্ষেত্রের কাজগুলো এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে এখন শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব লক্ষ করার মতো। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, সরকারি ও আধা সরকারি সব অফিসেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা পৃথিবীটাই মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসতে শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য। এসব কারণে বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল যুগ।
উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post