SSC অর্থনীতি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর : জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অবিরাম অর্থনৈতিক সংগ্রাম করে। মানুষ আজীবন নানাবিধ বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলে । মানুষের চলার পথের অর্থনৈতিক সমস্যা বা বাধা অতিক্রম করতে অর্থনীতি বিষয় নানাভাবে সহায়তা করে।
মানুষ, সমাজ বা দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে অর্থনীতি বিষয় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অর্থনীতি বিষয় সম্পর্কে জানা বা শেখা সে জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যারে অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ; প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক সমস্যা; অর্থনীতির সংজ্ঞা ও নীতি; আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।
SSC অর্থনীতি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: অ্যাডাম স্মিথের একটি বিখ্যাত বই অর্থনীতির মূলভিত্তি, তাই অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়। প্রাচীন এবং মধ্যযুগে অর্থনীতিবিষয়ক আলোচনা ক্রমশ নানা বিষয়ের সমন্বয়ে জটিল হতে থাকে। রাজনৈতিক অর্থনীতি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যখন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে তার বিখ্যাত বই ‘An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations’ রচনা করেন। আধুনিক অর্থনীতির মূলভিত্তি হলো অ্যাডাম স্মিথের এ বইটি। আর তাই অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়।
২. সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনীতিতে সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা বলতে সম্পদের স্বল্পতা বা অভাব পূরণের সীমাবদ্ধতাকে বোঝানো হয়েছে। মানুষের জীবনে অভাবের শেষ নেই। কিন্তু অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সীমিত। এ কারণেই মানুষের অভাব পূরণের ক্ষেত্রে দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেয়। অর্থনীতিতে এটিকে সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা বলে।
৩. অর্থনীতিতে প্রণোদনা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনীতিতে প্রতিটি কাজের জন্য উৎসাহ প্রদানের নিমিত্তে কোনো কিছু প্রদান করাকে প্রণোদনা বলে। কোনো কাজে মানুষ প্রণোদনা পায় বলে কাজটি অধিকতর যত্নের সাথে করে। তখন কাজটি আরও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। অর্থনীতিতেও একই বিষয় প্রযোজ্য। শ্রমিক অধিক প্রণোদনা পেলে অধিক উৎপাদনে সমর্থ হবে। ফলে অর্থনীতির উন্নতি হবে।
৪. কখন মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে? বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর: মানুষ ভোগের ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে। যুক্তিশীল মানুষ ভোগের ক্ষেত্রে প্রাািন্তক পর্যায়ে চিন্তা করে। এক্ষেত্রে সে যে দ্রব্যটি ভোগ করে তা থেকে প্রাপ্ত প্রান্তিক উপযোগ তার ব্যয় অর্থাৎ দ্রব্যপির প্রান্তিক ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে। তাই বলা যায়, মানুষ ভোগের ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে।
৫. ‘সুযোগ ব্যয়’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একটি দ্রব্যের অতিরিক্ত উৎপাদন পাওয়ার জন্য অপর দ্রব্যের উৎপাদন যতটুকু ছেড়ে দিতে হয়, তাকে সুযোগ ব্যয় বলে। কোনো একটি জিনিস পাওয়াির জন্য অন্য একটিকে ত্যাগ করতে হয়। এ ত্যাগকৃত পরিমাণই হলো অন্য দ্রব্যটির সুযোগ ব্যয়। মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু সেই অভাব পূরণের সম্পদ সীমিত। এ সীমিত সম্পদ থেকে অসীম অভাব পূরণের ক্ষেত্রে মানুষকে নির্বাচন করতে হয়। এখান থেকেই সুযোগ ব্যয় ধারণাটির উদ্ভব।
৬. মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয় কেন?
উত্তর: প্রণোদনা পেলে মানুষের মন প্রফুল্ল হয়ে যায়, কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় বলে মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয়। অর্থনীতিতে প্রতিটি কাজের জন্য উৎসাহ বা প্রণোদনা খুবই গুরুত্বপূণূ ভূমিকা পালন করে। কোনো কাজে মানুষ প্রণোদনা পায় বলে কাজটি অধিকতর যত্নের সাথে করে। তখন কাজটি আরও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। প্রণোদনা হলো একটি অতিরিক্ত প্রাপ্তি। আর এ অতিরিক্ত প্রাপ্তির জন্য মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয়।
৭. অধ্যাপক এল. রবিন্সের অর্থনীতির সংজ্ঞাটি অধিক গ্রহণযোগ্য কেন? বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর: অধ্যাপক এল. রবিন্সের অর্থনীতির সংজ্ঞাটি সর্বাধিক বিজ্ঞাপনসম্মত হওয়াই এটি অধিক গ্রহণযোগ্য। অধ্যাপক এল. রবিন্স বলেন, ‘‘অর্থনীতি হলো এমন একটি বিজ্ঞান, যা মানুষের অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য দুষ্প্রাপ্য উপকরণের মধ্যে সমন্বয় সাধনকারী কার্যাবলি আলোচনা করে।’’ তিনি মানুষের অভাব পূরণের জন্য সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ জন্যই অর্থনীতিবিদগনণ তার সংজ্ঞাকে বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বলে অভিহিত করেছেন।
৮. ‘‘একটি দ্রব্য ভোগ করতে হলে আরেকটি দ্রব্য ত্যাগ করতে হয়”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একটি দ্রব্য ভোগ করতে হলে আরেকটি দ্রব্য ত্যাগ করতে হয়। বিষয়টিকে অর্থনীতিতে সুযোগ ব্যয় বলা হয়। কোনো একটি জিনিস পাওয়ার জন্য অন্য একটিকে ত্যাগ করতে হয়। এ ত্যাগকৃত ত্যাগই হলো অন্য দ্রব্যটির সুযোগ ব্যয়। মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু সেই অভাব পূরণের সম্পদ সীমিত। এ সীমিত সম্পদ থেকে অসীম অভাব পূরণের ক্ষেত্রে মানুষকে নির্বাচন করতে হয়। এখান থেকেই সুযোগ ব্যয় ধারণার সৃষ্টি।
৯. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফার অনুপস্থিতি কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যবসায় বাণিজ্যসহ সকল সম্পদের মালিক রাষ্ট্র। তাই এ অর্থব্যভস্থায় ব্যক্তিগত মুনায়া অনুপস্থিত। সমাজতন্ত্রে ব্যক্তিগত মুনাফার পরিবর্তে জাতীয় চাহিদা ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য উৎপাদন পরিচালিত হয়ে থাকে। ফলে এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্য সবই সরকারের এবং সামগ্রিক মালিকানার অধীনে থাকে বলে ব্যক্তিগত মুনাফা থাকে না।
১০. যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক পর্যায় নিয়ে চিন্তা করে কেন?
উত্তর: যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক ব্যয় থেকে প্রান্তিক উপযোগ বেশি লাভ করতে চায় বলে তারা প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে। কোনো দ্রব্যের প্রান্তিক উপযোগ প্রান্তিক ব্যয় থেকে বেশি থাকলে সে লাভবান হয়। ভোগ বাড়লে প্রান্তিক উপযোগ কমে। তবে ভোক্তার ততক্ষণ পর্যণÍ দ্রব্যের ভোগ অব্যাহত রাখে যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রান্তিক ব্যয় থেকে প্রান্তিক উপযোগ বেশি থাকে। তাই যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে।
১১. মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যভস্থা বলে। এ অর্থব্যভস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিত ভূমিকা পালন করে। সাধারণত মিশ্র অর্থব্যবস্থায় যেসব বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় সেগুলো হলো সম্পদের ব্যক্তিগত ও সরকারি মালিকানা, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সরকারি উদ্যোগ, মুনাফা অর্জন, ভোক্তার স্বাধীনতা ইত্যাদি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, বাংলাদেশ, ভারত ইত্যাদি। অনেকে এ অর্থব্যবস্থাকে একটি উন্নত অর্থব্যবস্থা বলে মনে করে।
১২. মানুষ কীভাবে অভাব নির্বাচন ও বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে?
উত্তর: মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু সম্পদ সীমিত। তাই এ সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের সকল অভাব পূরণ করা সম্ভব হয় না। মানুষের অনেক অভাবের মধ্য থেকে কয়েকটি অভাব পূরণ করে। অভাবের গুরুত্ব বিবেচনা করে মানুষ এ অভাবগুলো পূরণ করে। অতি প্রয়োজনীয় অভাবগুলো মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করে। এভাবেই মানুষ অভাব নির্বাচন ও বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
১৩. কীভাবে দুষ্প্রাপ্যতা ও নির্বাচন বিষয়ের উদ্ভব ঘটিয়েছে?
উত্তর: মানুষের জীবনে অভাবের শেষ নেই। কিন্তু সম্পদ সীমিত। এ কারণেই মানুষের অভাব পূরণের ক্ষেত্রে দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেয়। অর্থনীতিতে এটিকে সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা বলে। সম্পদের স্বল্পতা বা অভাব পূরণের সীমাবদ্ধতা থেকেই দুষ্প্রাপ্যতার উদ্ভব। মানুষের অভাব অসীম এবং সম্পদ সীমিত। মানুষ অনেক অভাব থেকে কয়েকটি অভাব পূরণ করে। অভাবের গুরুত্ব বিবেচনা করে মানুষ অভাব পূরণ করে। অতি প্রয়োজনীয় অভাব মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করে। আর এটিই হলো অভাব নির্বাচন বা বাছাই।
১৪. Oikonomia বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Economics’ গ্রিক শব্দ Oikonomia শব্দ থেকে উদ্ভূত। গ্রিক শব্দ ‘Oikos’ শব্দের অর্থ হলো গৃহ। অন্যদিকে ‘Nemein’’ শব্দের অর্থ হলো ব্যবস্থাপনা। এদুটি মিলে হলো গৃহ ব্যবস্থাপনা। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে দার্শনিক এরিস্টটল অর্থনীতিকে গৃহপরিচালনার বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করেন।
১৫. অর্থনীতি সম্পর্কে অ্যাডাম স্মিথের বক্তব্য কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে প্রখ্যাত ইংরেজ অর্থনীতিবিদ ও অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান নামে অভিহিত করেন। তার মতে, ‘‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান, যা জাতিসমূহের সম্পদের ধরন ও কারণ অনুসন্ধান করে।” অর্থাৎ সমাজে কীভাবে সম্পদ উৎপাদন হয় এবং কীভাবে তা ব্যবহৃত হয় তাই অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়। অ্যাডাম স্মিথই সর্বপ্রথম অর্থনীতিকে একটি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট শাস্ত্রের রূপদান করেন।
১৬. ‘‘বাণিজ্যে সবাই উপকৃত হয়।” বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাণিজ্যে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। মনে করি, আমেরিকার ফোর্ড এবং জাপানের টয়োটা বিশ্বে পরিচিত গাড়ি ব্যবসায়ী। কোম্পানি দুটি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দাম যথাসাধ্য কমিয়ে বাজার দখল করতে চায়। এতে আমেরিকা ও জাপান ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়। অন্যদিকে মানুষ কমদামে গাড়ি কেনার সুযোগ পায়। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই উপকৃত হয়।
১৭. দামব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় দামব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উৎপাদনকারীর উৎপাদন পরিমাণ ও ভোগকারীর ভোগের পরিমাণ দ্রব্যের দাম দ্বারা নির্ধারিত হয়। কোন দ্রব্য কী পরিমাণ উৎপাদিত হবে, কী পরিমাণ ভোগ হবে এসব ব্যাপারে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় এ সব অর্থনৈতিক কাজকর্ম আপাতদৃষ্টিতে শৃঙ্খলহীন মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা একটি অদৃশ্য শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। এ অদৃশ্য শক্তি হলো দামব্যবস্থা।
১৮. অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহ সমাধান করে দেশের কল্যাণ বাড়ানো বিশ্বের সব দেশের লক্ষ্য। অর্থনৈতিক বিধিবিধান, দর্শন, নিয়মকানুন ও পরিবেশে যে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়। পৃথিবীতে বিভিন্ন অর্থণৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। যেমন- ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, মিশ্র অর্থব্যবস্থা এবং ইসলামি অর্থব্যবস্থা।
১৯. ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ইসলামের মৌলিক নিয়মকানুনের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অর্থব্যবস্থাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলা হয়। ইসলামি অর্থব্যবস্থায় পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ মানব জাতির কল্যাণে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ প্রদত্ত কুরআন ও হাদিসের আলোকে সমুদয় জাগতিক সম্পদের সামগ্রিক ও কল্যাণমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলে। মানুষের কল্যাণের জন্য সম্পদের সর্বাধিক উৎপাদন, সুষ্ঠু বণ্টন ও ন্যায়সংগত ভোগ নিশ্চিত করাই হলো ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য।
২০. বাছাই বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু সম্পদ সীমিত। এ সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের সব অভাব পূরণ হয় না। মানুষ অনেক অভাবের মধ্যে কয়েকটি অভাব পূরণ করে। অভঅবের গুরুত্ব বিবেচনা করে মানুষ এ অভাবগুলো পূরণ করে। অতি প্রয়োজনীয় অভাবগুলো মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করে। এটাই হলো অভাব নির্বাচন বা বাছাই।
এসএসসি শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post