গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা pdf প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই ছুটির তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা অফিসিয়ালি প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ২০২৩ সালে সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাগুলোতে এ ছুটি পালিত হবে।
২০২৩ সালের সরকারি ছুটির এ আদেশে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি পাবেন। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।
তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা pdf
তবে সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী বছরের ১৯ মার্চ শবে বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২৯ এপ্রিল শবে কদর, ২ ও ৪ মে ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ৯ ও ১১ জুলাই ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ৯ আগস্ট আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
সাধারণ ছুটিগুলো
সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে- ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৯ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ১ মে মে দিবস, ৩ মে ঈদুল ফিতর, ১৫ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ১০ জুলাই ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৮ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
ঐচ্ছিক ছুটি
ঐচ্ছিক ছুটির তালিকায় যে দিনগুলো রয়েছে তা মূলত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে থাকে। অর্থাৎ যে যে ধর্মের অনুসারী তিনি তার ধর্মের আচার বা অনুষ্ঠানের তারিখের সাথে মিল রেখে এই ছুটিগুলো ভোগ করবেন।
- মুসলিম পর্ব: ১ মার্চ শবে মেরাজ, ৫ মে ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ১২ জুলাই ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন, ২১ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।
- হিন্দু পর্ব: ৫ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত, ১৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৩০ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ২৪ অক্টোবর শ্যামাপূজা।
- খ্রিস্টান পর্ব: ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ২ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৪ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ১৭ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।
- বৌদ্ধ পর্ব: ১৬ জানুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ১২ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ৯ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ৯ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
Discussion about this post