৪র্থ অধ্যায় ইতিহাস সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : ভারতের মৌর্য রাজবংশের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন অশোক (খ্রি. পূর্ব ৩০৪-২৩২)। তিনি বিন্দুসারের পর ২৬৯ খ্রি. পূর্বাব্দে সিংহাসন লাভ করেন। উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে। উত্তর বঙ্গ ছাড়াও মৌর্য শাসন কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ), তাম্রলিপ্ত (হুগলী) ও সমতট (দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা) অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক। মহান এ শাসক ২৩২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৪র্থ অধ্যায় ইতিহাস সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : জনাব রফিক সাহেব তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার পিতা জব্বার সাহেব ছিলেন এই ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা। অনেক অরাজকতার অবসান ঘটিয়ে তিনি ইউনিয়নে শান্তি আনেন। সবাই মিলে জব্বার সাহেবকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাই তিনি প্রথম নির্বাচিত প্রতিনিধি। রফিক সাহেবও পিতার যোগ্য উত্তরসুরি। তিনি প্রথমে একটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তবে পরবর্তীকালে সব কিছু সামলে নেন। তিনি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করেন এবং অন্য ধর্মের প্রতিও সহনশীল ছিলেন।
ক. মহাসামন্ত কাদের বলা হয়?
খ. প্রাচীন বাংলার শেষ রাজবংশ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
গ. উদ্দীপকে জনাব জব্বার সাহেবের সাথে প্রাচীন ইতিহাসের কোন রাজার মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে রফিক সাহেবের সাথে প্রাচীন বাংলার যে রাজার মিল রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়— বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : ইতিহাসের শিক্ষক হাবিবুর রহমান শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে গল্পের ছলে বললেন, সালিয়াকান্দি নামে এক অঞ্চলের মানুষ একজন অত্যাচারিত শাসকের অন্যায়-অবিচারে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। হঠাৎ একদিন কোথা থেকে এক ব্যক্তি সেখানে আগমন করে নিজেকে সে অঞ্চলের মোড়ল হিসেবে ঘোষণা করে। তার নাম শাহ আলম। সে সাহসের সাথে অত্যাচারী শাসককে বিতাড়িত করে এবং বেশ দক্ষতা ও দূরদর্শিতার সাথে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনে।
ক. বৌদ্ধ ধর্মের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন?
খ. তাম্রশাসন বলতে কী বোঝ?
গ. আগন্তুক শাহ আলমের সাথে তোমার পাঠ্যপুস্তকের কোন শাসকের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আগন্তুকের পুত্রও একজন সুযোগ্য শাসক ছিলো— উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : রসুলপুর এলাকার বিখ্যাত মাতব্বর জাভেদ মণ্ডলের মৃত্যুর পর তার অঞ্চলে দীর্ঘদিন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলতে থাকে। চরম দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ঐ অঞ্চলের প্রবীণ নেতাগণের পরামর্শে জনাব ইকবাল নামে এক ব্যক্তিকে মাতব্বর পদে নির্বাচিত করা হয় এবং দেশের জনসাধারণ সানন্দে জনাব ইকবালকে মেনে নেয়।
ক. শশাংক কোন ধর্মের উপাসক ছিলেন?
খ. সেনদের ‘ব্রহ্মক্ষত্রিয়’ বলা হয় কেন?
গ. প্রাচীন বাংলার কোন পাল রাজার নির্বাচন পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে জনাব ইকবালকে মাতব্বর পদে নির্বাচিত করা হয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, প্রাচীন বাংলার উক্ত পাল রাজার নির্বাচিত হওয়ার পদ্ধতি সঠিক ছিল? তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : হেরা টিভিতে একটি সিনেমায় দেখেছিল প্রাচীন কালের রবিন গুপ্ত নামে এক রাজাকে প্রতিহত করার জন্য পার্শ্ববর্তী দুইটি রাজবংশ বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ হন। যুদ্ধে উভয় পক্ষের লোকজন হতাহত হয়। তবে রবিন গুপ্তকে পরাজিত করতে পারেনি। কিন্তু রবিন গুপ্তের উত্তরাধিকারী না থাকায় তার মৃত্যুর পর রাজ্যে অরাজকতা দেখা দেয় এবং রাজ্য ভেঙ্গে ছোট ছোট স্বাধীন রাজ্যের সৃষ্টি হয়।
ক. বিজয় সেনের প্রথম রাজধানী কোথায় ছিল?
খ. ত্রিশক্তি সংঘর্ষ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে যুদ্ধের ঘটনা প্রাচীন বাংলার কোন যুদ্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত অরাজকতার ফলে প্রাচীন বাংলার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না- বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : শপথ নেওয়ার পরপরই রাজা রাধারমণকান্ত সরকারি কাজকে কতকগুলো বিভাগে ভাগ করেন এবং প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন মন্ত্রীকে। অপর রাজ্যের সঙ্গে সম্বন্ধ রক্ষা করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য নিয়োগ করা হয় রাষ্ট্রদূত। তার কাজে সাহায্যের জন্য তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। তবে তিনি সামরিক বাহিনী গঠনে মনোযোগী ছিলেন না।
ক. শ্রী শান্তিদেব কোন রাজবংশের রাজা ছিলেন?
খ. শশাংকের সময় উত্তর ভারতের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের গতি-প্রকৃতি কেমন ছিল?
গ. উদ্দীপকটি প্রাচীন বাংলার শাসনব্যবস্থার সাথে যে দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটিতে প্রাচীন বাংলার শাসন ব্যবস্থার পূর্ণ প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠেনি— বিশ্লেষণ করো।
এ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো
গুপ্ত যুগে বাংলা : ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২০ খ্রিষ্টাব্দে। তখন বাংলায় বেশ কিছু স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সমতট রাজ্য ও পশ্চিম বাংলার পুষ্করণ রাজ্য উল্লেখযোগ্য। গুপ্ত সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালেই উত্তর বঙ্গের কিছু অংশ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট একটি করদ রাজ্য ছিল। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকাল হতে ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনস্থ একটি ‘প্রদেশ’ বা ‘ভুক্তি’ হিসেবে পরিগণিত হতো। মৌর্যদের মতো এদেশে গুপ্তদের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়ের পুন্ড্রনগর।
গুপ্ত পরবর্তী বাংলা : পাঁচ শতকে দুর্ধর্ষ পাহাড়ি জাতি হুন ও ষষ্ঠ শতকে মালবের যশোবর্মণের আক্রমণের ফলে ষষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধেই গুপ্ত শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটে। বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর সারা উত্তর ভারতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজবংশের উদ্ভব হয়। এভাবে গুপ্তদের পর সমগ্র উত্তর ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। সে সুযোগে বাংলাদেশে দুটি স্বাধীন রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এর একটি হলো বঙ্গ। এর অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম-বাংলার দক্ষিণাঞ্চলে। দ্বিতীয় রাজ্যের নাম গৌড়। এর অবস্থান ছিল বাংলার পশ্চিম ও উত্তর বাংলা নিয়ে।
স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য : গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে বঙ্গ জনপদে একটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। তাম্র শাসন (তামার পাতে খোদাই করা রাজার বিভিন্ন ঘোষণা বা নির্দেশ) থেকে জানা যায় যে, গোচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদের নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করতেন। এঁরা সবাই ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের রাজত্বকাল ছিল ৫২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।
স্বাধীন গৌড় রাজ্য : গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর ছয় শতকে ‘পরবর্তী গুপ্ত বংশ’ বলে পরিচিত গুপ্ত উপাধিধারী রাজাগণ উত্তর বাংলা, পশ্চিম বাংলার উত্তরাংশ ও মগধে ক্ষমতা বিস্তার করেছিলেন। ছয় শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলই গৌড় জনপদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
মৌখরী ও পরবর্তী গুপ্তবংশীয় রাজাদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ বছর পুরুষানুক্রমিক সংঘর্ষ এবং উত্তর থেকে তিব্বতীয় ও দাক্ষিণাত্য থেকে চালুক্যরাজগণের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে বাংলায় গুপ্তবংশীয় রাজাগণ দুর্বল হয়ে পড়েন। এ অবস্থার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে শশাংক নামে জনৈক সামন্ত সাত শতকের গোড়ার দিকে গৌড় অঞ্চলে ক্ষমতা দখল করেন এবং স্বাধীন গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।
মাৎসান্যায় : শশাংকের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকারময় যুগের সূচনা হয়। দীর্ঘদিন বাংলায় কোনো যোগ্য শাসক ছিলেন না। ফলে, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেয়। একদিকে হর্ষবর্ধন ও ভাস্করবর্মণের হাতে গৌড় রাজ্য ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়, অন্যদিকে ভূস্বামীরা প্রত্যেকেই বাংলার রাজা হওয়ার কল্পনায় একে অন্যের সাথে সংঘাতে মেতে ওঠে। কেন্দ্রীয় শাসন শক্ত হাতে ধরার মতো তখন কেউ ছিলেন না। এ অরাজকতার সময়কালকে পাল তাম্রশাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলে। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে ‘মাৎস্যন্যায়’।
পাল বংশ : শশাংকের মৃত্যুর পর পাল শাসক গোপালের মাধ্যমে পাল রাজবংশের শাসনের সূচনা ঘটে। ৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দে গোপাল এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করলেও তিনি এখানে একটি স্থায়ী শাসনব্যবস্থার মজবুত ভিত্তি দিয়ে যেতে পারেননি। ৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে রাজা গোপালের মৃত্যুর পর তার পুত্র ধর্মপাল (৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলার শাসনক্ষমতায় বসেন। পিতা ধর্মপালের মৃত্যুর পর দেবপাল শাসন ক্ষমতায় (৮২১-৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ) বসেন। বুদ্ধি ও ক্ষমতায় তিনি পিতার যোগ্য ছিলেন।
দেবপালের মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের সংহতি বিনষ্ট হতে থাকলে দ্বিতীয় বিগ্রহপালের পুত্র প্রথম মহীপাল বাংলার শাসন ক্ষমতায় (৯৯৫-১০৪৩ খ্রিষ্টাব্দ) আসেন। তিনি বিদেশি শক্তির হাত থেকে উত্তর ও পশ্চিমবাংলা মুক্ত করে পতনোন্মুখ পাল সাম্রাজ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনেন।
কিন্তু মহীপাল কোনো যোগ্য উত্তরসূরি রেখে যেতে পারেন নি। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সাম্রাজ্য ভেঙে যেতে শুরু করে। তার পৌত্র দ্বিতীয় বিগ্রহপালের সময় সাম্রাজ্য বহু স্বাধীন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর কৈবর্ত বিদ্রোহ এবং পরবর্তীতে রামপাল সে বিদ্রোহ দমন করে পাল সাম্রাজ্য উদ্ধার করলেও পুরোনো সে গৌরব আর ফিরে আসেনি। অবশেষে বারো শতকের দ্বিতীয় ভাগে পাল সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পতন ঘটে।
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার স্বাধীন রাজ্য : পাল যুগের বেশির ভাগ সময়েই দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা স্বাধীন ছিল। তখন এ অঞ্চলটি ছিল বঙ্গ জনপদের অন্তর্ভুক্ত। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে বেশ কিছু রাজবংশের রাজারা কখনো পাল রাজাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনভাবে তাদের এলাকা শাসন করতেন, আবার কখনো পাল রাজাদের অধীনতা স্বীকার করে চলতেন। এ সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার উল্লেখযোগ্য স্বাধীন রাজবংশগুলো হলো খড়গ বংশ, দেববংশ, কান্তিদেবের রাজ্য, চন্দ্রবংশ, বর্ম রাজবংশ।
সেন বংশ : সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেন ছিলেন সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা। হেমন্ত সেনের মৃত্যুর পর তার পুত্র বিজয় সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার (১০৯৮-১১৬০ খ্রিষ্টাব্দ) সুদীর্ঘ রাজত্বকালেই সেন বংশের শাসন শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বিজয় সেনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন তার পুত্র বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)। বল্লাল সেন নিজের নামের সাথে ‘অরিরাজ নিঃশঙ্ক শঙ্কর’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। বল্লাল সেনের পর তার পুত্র লক্ষ্মণ সেন (১১৭৮-১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) প্রায় ৬০ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তেরো শতকের প্রথম দিকে মুসলিম সেনাপতি বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের মধ্য দিয়ে সেন রাজত্বের অবসান ঘটে।
SSC শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post