ভূগোল ও পরিবেশ ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : যে অদৃশ্য বায়ু পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাই বায়ুমণ্ডল। পৃথিবীর জীবকূলের জীবনধারণের জন্যে বায়ুমণ্ডল অপরিহার্য। বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণে এ বায়ুমণ্ডল গঠিত। বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন (N2) এর শতকরা হার ৭৮.০২ ভাগ, অক্সিজেন (O2) ২০.৭১ ভাগ এবং বাকি ১.২৭ ভাগ অন্যান্য গ্যাস।
ঘনত্ব ও উপাদানের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সোমণ্ডল। কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহের দৈনন্দিন সামগ্রিক অবস্থাকে সেই দিনের আবহাওয়া বলে। কোনো একটি অঞ্চলের সাধারণত ৩০-৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থাকে জলবায়ু বলে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলো হলো বায়ুর তাপ, বায়ুর চাপ, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতা ও বারিপাত।
ভূগোল ও পরিবেশ ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টি বন্ধ হলে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। অনিন্দিতা তার মাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করল। মা জবাবে বললেন, ‘এটি আবহাওয়া ও জলবায়ুর ব্যাপার’। ‘আবহাওয়া ও জলবায়ু কী পৃথক কোনো ব্যাপার?’ সে আরো জানতে চায়। মা বললেন, ‘আবহাওয়ার উপাদানগুলোই জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে’।
ক. CFC কী?
খ. ফেরেলের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ব্যাপার দুটির মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. শেষোক্ত লাইনে যে উপাদানগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মনির ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পৃথিবার বায়ুপ্রবাহ জানতে গিয়ে দেখল একটি বায়ু পৃথিবীর চাপবলয় গুলো দ্বারা নিয় হয়ে কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চল হতে বিষুবীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাি হচ্ছে। এ বিষয়ে সে তার শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলো- শিক্ষক বলেন গুরুত্বপূর্ণ এই বায়ুটি বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
ক. ‘খামসিন’ কোন দেশের স্থানীয় বায়ু?
খ. গর্জনশীল চল্লিশ কী? বুঝিয়ে লেখো। গ. মনিরের দেখা বায়ুপ্রবাহটির নাম কি? এর ৩টি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বায়ুটির প্রভাব সম্পর্কে তোমার মতামত ব্যক্ত করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে সুজন লক্ষ করল বিকালে সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু ভোরে স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে, এ নিয়ে তার মনে কৌতুহল জাগ্রত হলো।
ক. উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু ঘণ্টায় প্রায় কত কি.মি. বেগে প্রবাহিত হয়?
খ. বায়ুপ্রবাহ বলতে কী বোঝ?
গ. সুজন বিকালে যে বায়ুপ্রবাহ লক্ষ করল তার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বায়ুপ্রবাহের মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করো?
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : সম্প্রতি ‘X’ নামক একটি ঘূর্ণিঝড় যুক্তরাষ্ট্রে প্রচণ্ড বেগে আঘাত হানে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঞ্চলে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আগের তুলনায় বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। যা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলস্বরূপ।
ক. বৃষ্টিপাত কত প্রকার?
খ. ‘কপৎ বলতে কী বোঝ?’ ব্যখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে কোন ঘটনাটির প্রভাবে ‘x’ নামক ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশের উপর উক্ত ঘটনার প্রভাব-বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আশিক, তুষার ও রিপন তিন বন্ধু। আশিক বিভিন্ন ধরনের শস্য ও শাকসবজির চাষাবাদ করে। এই জন্য তাকে বায়ুমণ্ডলের একটি স্তরের উপর নির্ভর করতে হয়। তুষারের বৈমানিক মামা জেট বিমান চালনার জন্য বায়মুণ্ডলের একটি নির্দিষ্ট স্তর অনুসরণ করেন। রিপন এক রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল যে, একটি জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। অল্প সময়ের মধ্যে সেটি শূন্যে অদৃশ্য হয়ে গেল।
ক. বায়মুণ্ডল কাকে বলে?
খ. পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার জলবায়ু ভিন্ন কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. আশিক বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের উপর নির্ভর করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুষার ও রিপনের ঘটনা বায়ুমণ্ডলের যে স্তরদ্বয়কে ইঙ্গিত করে সেগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।
এ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো
বায়ুমণ্ডল : পৃথিবীর চারদিক নানা প্রকার গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা বেষ্টিত। অদৃশ্য এই গ্যাসীয় আবরণ যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাই বায়ুমণ্ডল। ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
বায়ুর উপাদান : বায়ু কতকগুলো গ্যাসের মিশ্রণ। এ গ্যাসগুলোর মধ্যে প্রধান হলো- নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন। এছাড়া বায়ুর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড, জলীয়বাষ্প, খুব সামান্য পরিমাণে আরগন, নিয়ন, হিলিয়াম, ক্রিপটন, জেনন, ওজোন, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড বর্তমান আছে।
বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস : বায়ুমণ্ডল যে সমস্ত উপাদানে গঠিত তাদের প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও উষ্ণতার পার্থক্য অনুসারে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে বায়ুমণ্ডলকে পর্যায়ক্রমে ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সোমণ্ডল এ পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়।
আবহাওয়া : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা, বায়ুপ্রবাহ, জলীয়বাষ্প ও বৃষ্টিপাতের একত্রিত অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।
জলবায়ু : কোনো বৃহৎ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অন্ততপক্ষে ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
জলবায়ুর নিয়ামক : পৃথিবীর সব অঞ্চলের জলবায়ু একই রকম নয়। কিছু ভৌগোলিক পার্থক্যের কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়গুলোকে জলবায়ুর নিয়ামক বলে।
পানিচক্র : সূর্যের তাপে সাগর-মহাসাগর, নদীনালা, পুকুর-জলাশয় ইত্যাদির পানি বাষ্প হয়ে বাতাসে মিশে যায়। ঐ পানি বৃষ্টি হয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে। একে পানি চক্র বলে।
বাষ্পীভবন : বাষ্পীভবনের দ্বারা জলীয়বাষ্পের সৃষ্টি হয়। সমুদ্র জলীয়বাষ্পের প্রধান উৎস। এছাড়া উদ্ভিদ জগৎ, নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পানি সূর্যের তাপে ক্রমাগত বাষ্পে পরিণত হয়ে ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। একে বাষ্পীভবন বলে।
ঘনীভবন : কোনো কারণে পরিপৃক্ত বায়ু শীতল হতে থাকলে পূর্বের মতো বেশি জলীয়বাষ্প ধরে রাখতে পারে না। তখন জলীয়বাষ্পের কিছুটা পানিতে পরিণত হয়। একে ঘনীভবন বলে।
বায়ুর আর্দ্রতা : বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
বৃষ্টিপাত : জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু উপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে মেঘে পরিণত হয় এবং তা ঊর্ধ্বাকাশে ভাসতে থাকে। মেঘের মধ্যে থাকা অসংখ্য পানির কণা পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। এরূপ একসাথে অসংখ্য জলকণা ভূপৃষ্ঠে পতিত হওয়াকে বৃষ্টিপাত বলে।
পরিচলন বৃষ্টি : দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ওই জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে।
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি : জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি গমনপথে কোনো উঁচু পর্বত শ্রেণিতে বাধা পায় তাহলে ওই বায়ু উপরের দিকে উঠে যায়। তখন জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয় এবং পর্বতের উঁচু অংশে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে।
বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি : শীতল ও উষ্ণ বায়ু মুখোমুখি উপস্থিত হলে উষ্ণ বায়ু এবং শীতল বায়ু একে অপরের সঙ্গে মিশে না গিয়ে তাদের মধ্যবর্তী এলাকায় অদৃশ্য বায়ু প্রাচীরের সৃষ্টি করে। এ বায়ু প্রাচীরের সংযোগস্থলে যে বৃষ্টিপাত হয়, তাকে বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি বলে।
ঘূর্ণি বৃষ্টি : ঘূর্ণিবাত কেন্দ্রের বায়ু উপরে উঠে যাওয়ায় এর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতল হয়। এ সময় বায়ুর অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে ঘূর্ণি বৃষ্টি বলে।
বায়ুপ্রবাহ : বায়ুর তাপ ও চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু এক জায়গায় নিশ্চল থাকে না। সর্বদা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়। একে বায়ুপ্রবাহ বলে।
নিয়ত বায়ুপ্রবাহ : যে বায়ু পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সারাবছর নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
অয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় হতে দুটি বায়ুপ্রবাহ নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সবসময় প্রবাহিত হয়। অয়ন বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের জন্য ফেরেলের সূত্র অনুসারে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ুকে বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়।
প্রত্যয়ন বা পশ্চিমা বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় হতে আরও দুটি বায়ুপ্রবাহ সুমেরু ও কুমেরুবৃত্তীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর মেরুর দিকে আসতে আসতে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য ডানদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুপ্রবাহ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরুবৃত্তের নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় বাম দিকে বেঁকে উত্তর-পশ্চিম বায়ুপ্রবাহে পরিণত হয়। এগুলোকে যথাক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম প্রত্যয়ন বায়ু বা পশ্চিমা বায়ু বলে।
মেরু বায়ু : সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় হতে নিয়মিতভাবে আরও দুটি বায়ুপ্রবাহ মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। একে উত্তর-পূর্ব মেরু বায়ু বা সুমেরু বায়ু এবং দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু বা কুমেরু বায়ু বলে।
সাময়িক বায়ু : দিনের বিভিন্ন সময়ে ও বছরের বিভিন্ন ঋতুতে জল ও স্থলভাগের তাপ গ্রহণ, সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে অসমতার জন্য যে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে সাময়িক বায়ু বলে।
সমুদ্র বায়ু : জল ও স্থলভাগের তাপ গ্রহণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা এক নয়। স্থলভাগ দ্রুত উত্তপ্ত ও শীতল হয়। জলভাগ দীর্ঘ সময়ে শীতল ও উত্তপ্ত হয়। দিনের বেলায় সূর্যকিরণে তীরবর্তী স্থলভাগ সমুদ্রের পানি অপেক্ষা অধিক উত্তপ্ত হয় এবং সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই সময় বায়ুর চাপের সমতা রক্ষার জন্য সমুদ্র থেকে শীতল ও উচ্চচাপ বিশিষ্ট বায়ু স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুই সমুদ্র বায়ু।
স্থলবায়ু : রাতে স্থলভাগ দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে পড়ে, কিন্তু জলভাগ অধিকক্ষণ তাপ সংরক্ষণ করে বলে ধীরে ধীরে শীতল হয়। ফলে স্থলভাগের শীতল বায়ু সমুদ্রে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। একে স্থলবায়ু বলে।
মৌসুমি বায়ু : আরবি ‘মওসুম’ শব্দের অর্থ ঋতু। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয় তাকে মৌসুমি বায়ু বলে।
স্থানীয় বায়ু : স্থানীয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য কিংবা তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে ভূপৃষ্ঠের স্থানে স্থানে স্থানীয় বায়ুর উৎপত্তি হয়। রকি পর্বতের চিনুক, ভারতীয় উপমহাদেশের লু স্থানীয় বায়ুর উদাহরণ।
বিশ্ব উষ্ণায়ন : বিশ্ব উষ্ণায়ন হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্ব উষ্ণতা বাড়ছে এবং জলবায়ুতে নানাবিধ পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
এছাড়াও এসএসসি অন্যান্য বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ সাজেশন রয়েছে কোর্সটিকায়। যা তোমরা বিনামূল্যে পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ভূগোল সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post