ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর বাংলাদেশের পরিবেশ : মানুষ প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির মাধ্যমে প্রকৃতির ওপর আধিপত্য বাড়িয়েছে। কৃষি প্রযুক্তির উন্নতি, শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ করা, এবং পরিবহন ও চিকিৎসা খাতে নতুন উদ্ভাবন মানুষকে প্রকৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে। এছাড়া, প্রকৃতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে উন্নত ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেমন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সেচ ব্যবস্থা এবং বনভূমি রক্ষা কার্যক্রমও মানুষের আধিপত্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এইসব কারণে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়েছে এবং প্রকৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
১. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
চিত্র: একটি শিল্প-কারখানা, যেখানে বায়ু দূষণ হচ্ছে এবং বর্জ্র পদার্থ পানি দূষণ করছে।
ক. আলো ও তাপের প্রধান উৎস কোনটি?
খ. মানুষ কীভাবে প্রকৃতির উপর আধিপত্য বাড়িয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উপরের চিত্রে কোন সমস্যাটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত সমস্যা সমাধানে তোমাদের মতো শিশুদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. আলো ও তাপের প্রধান উৎস সূর্য।
খ. মানুষ প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির মাধ্যমে প্রকৃতির ওপর আধিপত্য বাড়িয়েছে। কৃষি প্রযুক্তির উন্নতি, শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ করা, এবং পরিবহন ও চিকিৎসা খাতে নতুন উদ্ভাবন মানুষকে প্রকৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে। এছাড়া, প্রকৃতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে উন্নত ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেমন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সেচ ব্যবস্থা এবং বনভূমি রক্ষা কার্যক্রমও মানুষের আধিপত্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এইসব কারণে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়েছে এবং প্রকৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের চিত্রে দেখা যাচ্ছে, একটি কারখানা থেকে কালো ধোয়া বাতাসে মিশে যাচ্ছে। অপরদিকে উক্ত কারাখানার তরল বর্জ্র নদীর পানিতে ফেলা হচ্ছে। যা মূলত বায়ু দূষণ এবং পানি দূষণকে তুলে ধরছে।
কলকারখানার কালো ধোঁয়া বাতাসে মিশে গিয়ে বায়ু দূষণের সৃষ্টি করছে, যা মানুষের শ্বাসযন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। এই দূষিত বাতাসে থাকা ক্ষতিকর গ্যাসগুলো যেমন কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড মানুষের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, পাশাপাশি এটি জলবায়ু পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একইভাবে, কলকারখানার বর্জ্য পাইপ দিয়ে নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা নদীর পানি দূষিত করছে। এই দূষিত পানি জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলে, কারণ মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী এতে আক্রান্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে, এই দূষিত পানি মানবদেহে প্রবাহিত হয়ে নানা রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
এ ধরনের পরিবেশ দূষণ সামগ্রিকভাবে মানুষের স্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং পরিবেশের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ঘ. উদ্দীপকে দৃশ্যমান সমস্যা সমাধানে শিশুদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত, শিশুদের পরিবেশ সচেতন করতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারে বায়ু ও পানি দূষণ মানবস্বাস্থ্য এবং প্রাকৃতিক জীববৈচির্ত্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর। কিছু করণীয় কাজ হতে পারে:
১. পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি: স্কুলে এবং সমাজে পরিবেশ সচেতনতার জন্য ক্যাম্পেইন চালানো। শিশুদের পরিবেশের সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া, যেমন বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, এবং তাদের ক্ষতিকর প্রভাব কী হতে পারে।
২. বর্জ্য অপসারণ: শিশুদের বর্জ্য অপসারণের গুরুত্ব শেখানো, যেমন কাগজ, প্লাস্টিক, কাঁচ, এবং অন্যান্য বর্জ্য সঠিকভাবে ফেলতে উৎসাহিত করা।
৩. গাছ লাগানো: পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য গাছ লাগানোর প্রচারে অংশগ্রহণ করা। গাছগুলো বায়ুতে থাকা ক্ষতিকর গ্যাস শুষে নিয়ে পরিবেশকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৪. নদী ও পরিবেশ রক্ষা: নদী ও পরিবেশকে পরিষ্কার রাখার জন্য সচেতনতা তৈরি করা এবং যে কোনো ধরনের দূষণ প্রতিরোধে অংশ নেওয়া। নদী, খাল বা সাগরকে পরিষ্কার রাখার জন্য স্থানীয় প্রচারণায় অংশ নেওয়া।
৫. প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ: শিশুদের শেখানো যে কিভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ করা যায়। যেমন, কম পানি ব্যবহার করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পদ্ধতি অবলম্বন করা, এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার করা।
৬. দূষণ বিরোধী আইন মেনে চলা: শিশুদের পরিবেশ আইন সম্পর্কে জানানো এবং তারা যেন বড় হয়ে পরিবেশবান্ধব আচরণ করতে পারে, সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা।
এভাবে শিশুদের এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সজাগ ও সচেতন করা গেলে, ভবিষ্যতে তারা আরও পরিবেশবান্ধব এবং সচেতন নাগরিক হয়ে উঠবে, যারা পৃথিবীকে নিরাপদ ও সুন্দর রাখার জন্য কাজ করবে।
২. বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেন ঢাকার অভিজাত এলাকায় একটি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তার ছেলে-মেয়েরা বিনোদনের জন্য উচ্চ আওয়াজে গান শোনে, যা প্রায়ই তাদের প্রতিবেশীদের অসুবিধার সৃষ্টি করে। তার এপার্টমেন্ট ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর।
ক. মানুষ কখন থেকে প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা চালিয়েছে?
খ. প্রকৃতির মূল উপাদান কীভাবে মানুষের উপর প্রভাব ফেলে?
গ. মনির হোসেনের ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি পরিবেশে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে? বর্ণনা কর।
ঘ. উক্ত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তোমার কি কোনো দায়িত্ব আছে বলে মনে কর? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামত দাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মানুষ যখন থেকে চাষাবাদ করে স্থিতিবস্থায় আসতে পেরেছে, তখন থেকেই প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা চালিয়েছে।
খ. প্রকৃতির মূল উপাদানগুলো, যেমন পানি, বায়ু, মাটি, এবং তাপমাত্রা, মানুষের জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। পানি সংকট বা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত কৃষি উৎপাদন কমাতে পারে, যা খাদ্যাভাব সৃষ্টি করে। দূষিত বায়ু শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, আর তাপমাত্রার পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের কারণ হতে পারে। মাটির গুণমান কৃষি উৎপাদন নির্ভর করে, এবং মাটি ক্ষয় বা দূষণ খাদ্য নিরাপত্তা সংকটে পরিণত হতে পারে। এভাবে প্রকৃতির উপাদানগুলো মানুষের জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক অবস্থা প্রভাবিত করে।
গ. উদ্দীপকের মনির হোসেনের ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি পরিবেশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সৃষ্টি করছে।
প্রথমত, তার এপার্টমেন্ট ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত জেনারেটরটি কালো ধোঁয়া উৎপন্ন করে, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। জেনারেটরের ফলে নির্গত হওয়া কালো ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাস থাকে, যা বাতাসে মিশে পরিবেশের বায়ু মানকে অবনতির দিকে ঠেলে দেয়। এই ধরনের দূষণ শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘসময় বায়ু দূষণের শিকার হওয়া মানুষ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, জেনারেটরের উচ্চ আওয়াজ শব্দদূষণের সৃষ্টি করে, যা প্রতিবেশীদের জন্য এক ধরনের মানসিক এবং শারীরিক অস্বস্তি তৈরি করে। অতিরিক্ত শব্দ মানুষের মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে উদ্বেগ, অনিদ্রা, মানসিক চাপ এবং শোনার সমস্যা হতে পারে। উচ্চ শব্দ রাতে বিশ্রামের সময় আরো বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে, যা প্রতিবেশীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।
এছাড়া, এই ধরনের শব্দ দূষণ পরিবেশের প্রতি মানুষের অস্বাভাবিক আচরণ এবং মনোযোগের অভাব সৃষ্টি করে, যা মানবজীবনে একে একে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সুতরাং, মনির হোসেনের ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি পরিবেশ এবং প্রতিবেশীদের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিকর, যা যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘ. হ্যাঁ, উক্ত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে, এবং পাঠ্যপুস্তকের আলোকে আমি মনে করি, পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
পরিবেশগত সমস্যা যেমন বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ এবং জলদূষণ আমাদের সবার জন্য একটি বড়ো উদ্বেগের বিষয়। আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপ, যেমন জেনারেটরের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা, শব্দের মাত্রা কমানো এবং দূষণ-প্রতিরোধী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি।
পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের উচিত পরিবেশের প্রতি সচেতনতা গড়ে তোলা এবং তা রক্ষা করার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেয়া। আমরা যদি পরিবেশ সচেতন না হই এবং দূষণ কমানোর জন্য প্রয়োগকৃত ব্যবস্থা না করি, তবে তা আমাদের স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
উদাহরণস্বরূপ, আমরা শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কম শক্তি ব্যয়কারী এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি, যাতে আমরা পরিবেশের ক্ষতি না করি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অবাধে দূষণকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য পণ্য ব্যবহার করা।
অতএব, আমার দায়িত্ব হলো, আমি যেন পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন করি, পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগী হই এবং পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করি। এভাবে, আমরা সবাই মিলে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে একটি সুস্থ পৃথিবী গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারব।
৩. জনাব আব্দুস সাত্তার বসবাসের উপযোগী একটি নতুন বাড়ি তৈরির জন্য জমি নির্বাচন করে। ঐ জমির মাটি সমতল, সেখানে প্রয়োজনীয় পানি, আলো ও বাতাসের পর্যাপ্ততা রয়েছে। এ সকল দিক বিবেচনায় রেখেই তিনি বাড়ি নির্মাণের জন্য স্থানটি নির্বাচন করেছেন। তার স্ত্রী বাড়ির সামনে ফুল বাগান এবং পেছনে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগাতে চান।
ক. পরিবেশ সংরক্ষণের প্রধান উপায় কী?
খ. ‘পরিবেশ দূষণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্বেগের কারণ।’—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে আব্দুস সাত্তার বাড়ি নির্মাণের স্থান নির্বাচন করেন কীসের ভিত্তিতে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত বিষয়ের সাথে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক মূল পাঠের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
আরও দেখো—ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য ৩টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক অনুধাবনমূলক, জ্ঞানমূলক এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post