৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ২য় সেশন : গত সেশনে আমরা প্রতিবেদন লিখে এনে তা সহপাঠীদের সঙ্জে বিনিময় করেছি এবং কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে যখন অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো লেখা/ছবি/তথ্য ব্যবহার করতে চাই তখন আমাদের উচিত তাদের নাম দেওয়া। এটি কিন্তু আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকা বানানোর সময়ও খেয়াল রাখতে হবে।
এই সেশনে আমরা যে বাড়ির কাজটি করেছি তা থেকে শিক্ষক অনেকের কাছ থেকে উত্তর শুনতে চাইবেন: অর্থাৎ কেন কারও তৈরি করা কিছু ব্যবহার করলে সঙ্গে ব্যক্তির নাম দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সে সম্পর্কে কিছু কারণ জানতে চাইবেন। আমাদের সহপাঠীরা যে কারণগুলো বলছে তা থেকে কয়েকটি কারণ আমরা নিচের ঘরে লিখতে পারি।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ২য় সেশন
এই সেশনে আমরা যে বাড়ির কাজটি করেছি তা থেকে শিক্ষক অনেকের কাছ থেকে উত্তর শুনতে চাইবেন; অর্থাৎ কেন কারও তৈরি করা কিছু ব্যবহার করলে সঙ্গে ব্যক্তির নাম দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে সম্পর্কে কিছু কারণ জানতে চাইবেন। আমাদের সহপাঠীরা যে কারণগুলো বলছে তা থেকে কয়েকটি কারণ আমরা নিচের ঘরে লিখতে পারি। (মূলবই পৃষ্ঠা নং – ৩১)
সহপাঠীদের বলা উত্তর :
১. লেখক উৎসাহিত হয়।
২. লেখক স্বত্ব ঠিক থাকে।
৩. তথ্যের নিশ্চয়তা দেয়।
৪. প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
এবার চলো আমরা কিছু অনুশীলন করি, আমরা কোনটিকে কার বৃদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলব আর কোনটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলব না তার অনুশীলন করা যাক। নিচে কিছু ছবি দেওয়া আছে। ছবির পাশে কিছু অনুমান দেওয়া আছে। আমাদের ছবি দেখে এবং অনুমান পড়ে, পাশের কলামে উত্তর দিতে হবে। এর জন্য আমরা সহপাঠীর সঙ্গে দুই মিনিট ছবি নিয়ে আলোচনা করি এবং তারপর কাজটি করি। (মূলবই পৃষ্ঠা নং – ৩২)
ছবি-১
এই ছবিটির নাম ‘মোনালিসা’
ছবিটি এঁকেছেন: লিওনার্দো দা ভিঞ্চি
ছবিটির একটি কপি ব্যবহার করছেন রহিম সাহেব। এখানে ছবিটি কি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ? হলে, কার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ?
উত্তর : এটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ এবং লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
ছবি-২
বইয়ের নাম ‘আমার বন্ধু রাশেদ’
বইটি পড়েছেন : আব্দুর রহমান
বইটি লিখেছেন: মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই বইটি কী বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ? হলে, কার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ?
বইটির প্রচ্ছদ কী বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ?
উত্তর : বইটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। হ্যাঁ, বইটির প্রচ্ছদটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
ছবি-৩
মোবাইল ফোন সেটটি প্রস্তুত করেছে একটি কোম্পানি। ফোনটি বিক্রি করে আলম মোবাইল ফোন স্টোর। এই মোবাইল ফোনটি কি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ? হলে, কার বৃদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ?
উত্তর : মোবাইল ফোনটির প্রস্তুতি ফর্মুলা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ এবং ফোনটি প্রস্তুতকারী কোম্পানির বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
ছবি-৪
একখণ্ড ফসলি জমির ছবি ধানের মৌসুমে একজন কৃষক এখানে ধান ফলান। এই জমির মালিক সুব্রত বড়ুয়া। এই ফসলি জমিটি কি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পন? হলে, কার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ?
উত্তর : ফসলি জমিটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ নয়। জমিতে ফসল ফলানো, এখানে ফসল কৃষকের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
মূল পাঠ্যবই থেকে
সহজ ভাষায় বলতে গেলে যখন কেউ বুদ্ধি খাটিয়ে কোনো কিছু তৈরি করে সেগুলোকে বলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। যেমন কারও লেখা কোনো গল্প, কারো আকা কোন ছবি, কারও তৈরি করা কোনো মোবাইল ফোনে অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি।
এখন আমাদের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা তো সম্পদ বলতে টাকাপয়সা, জায়গা-জমি, আসবাব ইত্যাদি বুঝি। তাহলে একটি গল্প, কবিতা বা ছবি কীভাবে সম্পদ হয়? কারণ, এগুলো একজন মানুষ বা একটি প্রতিষ্ঠান তার বুদ্ধি বা চিন্তা ব্যবহার করে তৈরি করেছে এবং এটি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা যায়। এখানে দুটি ধারণা পাওয়া আমাদের জানা প্রয়োজন।
১। কপিরাইট ২। পেটেন্ট
কপিরাইট হলো যিনি তৈরি করেছেন, তিনি ছাড়া আর কারও ওই বিষয়টি/বন্তুটি কপি করার অধিকার নেই। যেমন একজন লেখক কোনো গল্স লিখলেন, তিনি গল্পের কপিরাইট নিলেন মানে হচ্ছে, তিনি ছাড়া আর কেউ গল্পটি প্রকাশ করতে পারবেন না।
পেটেন্ট হলো যিনি তৈরি করেছেন, অন্যরাও এটি ব্যবহার করতে পারবেন; কিন্তু সেক্ষেত্রে যিনি তৈরি করেছেন। তার নাম ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবসার স্বার্থে হলে কিছু অর্থ প্রদান করতে হবে। যেমন একজন বিজ্ঞানী একটি ফর্মুলা বানালেন, যা দিয়ে মশা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এই ফমুলা তিনি ছাড়া অন্য কেউ ব্যবহার করতে চাইলে বিজ্ঞানীকে অর্থ প্রদান করতে হবে এবং ফর্মুলা ব্যবহারের জন্য তার নামও উল্লেখ করতে হবে।
এখন আমরা একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করি। ধরি, আমাদের মনে একটি মজার গল্পের ধারণা এল। এটি কিন্তু এখনও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদে পরিণত হয়নি। একটি ভাবনা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদে পরিণত হয় যখন সেটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত না হলে সেটি সমাজের অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে না কাজেই সেটি সমাজ বা অর্থনীতিতে কোনো মূল্য যোগ করতে পারে না।
তাই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলতে মানুষ তার চিন্তা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে যখন কোনো সম্পদ তৈরি করে এবং তা সমাজ ও সমাজের মানুষের উপকারের জন্য কোথাও প্রকাশ করে, সেটিই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
এবার চলো আমরা কিছু অনুশীলন করি, আমরা কোনটিকে কার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলব আর কোনটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলব না তার অনুশীলন করা যাক। নিচে কিছু হবি দেওয়া আছে। ছবির পাশে কিছু অনুমান দেওয়া আছে। আমাদের ছবি দেখে এবং অনুমান পড়ে, পাশের কলামে উত্তর দিতে হবে। এর জন্য আমরা সহপাঠীর সঙ্গে দুই মিনিট ছবি নিয়ে আলোচনা করি এবং তারপর কাজটি করি।
আমাদের দেওয়া উত্তরগুলো আমরা আমাদের বন্ধু বা সহপাঠীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারি। আমরা নিশ্চয়ই সব পেরে গিয়েছি! খুব ভালো! না পারলেও সমস্যা নেই। আমরা কাজটি ঠিকঠাক মতো করতে পারলে আমাদের নিজেদের নিজেকে অভিনন্দন জানানো উচিত। এখানে যে তারাটি দেওয়া আছে চলো তা আমরা পছন্দমতো রং দিয়ে রং করি এবং নিজেকে উপহার দিই।
আরো দেখো: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি সকল অধ্যায়ের সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ২য় সেশন সকল প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post