৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ৩য় সেশন : গত সেশনে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধারণা পেলাম ও অনুশীলন করলাম। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের এই ধারণা আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করতে অনেক সহায়তা করবে।
এবার আমরা একটি খেলা খেলব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধরনগুলো বোঝার জন্য। শিক্ষকের কাছ থেকে খেলার নামটি ও কীভাবে খেলতে হবে তা জেনে নিই। (মূলবই পৃষ্ঠা নং – ৩৪)
৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ৩য় সেশন
খেলার নাম লিখি :
খেলার নাম : দেয়ালিকা প্রস্তুতকরণ
খেলার প্রক্রিয়া : শ্রেণির সবাই কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন গল্প, কবিতা, কাহিনী ও প্রতিবেদন লিখে এক দল অন্য দলের কাছে উপস্থাপন করবে। শিক্ষকরা খেলাটি পরিচালনা করবেন।
দেয়ালিকায় লেখা আহবান নামে একটি বক্স রাখা হয়েছিল।
যেখানে অনেকেই নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছে।
খেলাটি খেলতে গিয়ে আমরা কিছু চিরকুট খুঁজে পেয়েছি। আমরা সবাই মিলে কতগুলো ও কী কী চিরকুট খুঁজে বের করতে পেরেছি তা নিচের চিরকুটগুলোর পাশে লিখি। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাগজ সংযুক্ত করতে পারি। (মূলবই পৃষ্ঠা নং – ৩৫)
চিরকুটের বিস্তারিত তথ্য-
চিরকুট-১: তানিম চিরকুটে তার কক্সবাজার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিখেছে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ অখন্ড সাদা বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এর দৈর্ঘ্য ১২২ কি.মি.। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কক্সবাজার জেলায় যাতায়াত করেন।
চিরকুট-২: সূচনা বাবার স্বপ্ন নিয়ে গল্প লিখেছে সূচনার বাবার স্বপ্ন, তার মেয়ে একজন সচেতন ও আদর্শ নাগরিক হবে। সূচনা ও তার বাবা একদিন পার্কে বসে লক্ষ্য করল যন্ত্রতত্র ময়লা আবর্জনা। সূচনা বলে, স্যার বলেছেন ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলতে নেই, ময়লা ফেলতে হয় ডাস্টবিনে।
সূচনার বাবা বলেন, সবাই একটু সচেতন হলেই আমরা আমাদের চারপাশ বা পরিবেশকে কত সুন্দর রাখতে পারি। সূচনার বাবা বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবেন, সূচনা শিক্ষকের স্বপ্ন যেভাবে মনে ধারন করেছে, বাবার স্বপ্নও একদিন হয়তো বাস্তবে রূপায়িত হবে।
চিরকুট-৩: অর্পন বিজয় দিবস নিয়ে ছড়া লিখেছে:
ষোলোই ডিসেম্বর
দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ শেষে
স্বাধীন হলো দেশ
স্বাধীন হলো সাজানো এই
শ্যামল পরিবেশ
– লেখক মঈন মুসতাকিম
চিরকুট-৪: ছড়া লিখেছে:
সংখ্যাতত্ত্ব
– মানিক লাল ঘোষ
ওয়ান, টু, থ্রি
মানিক লাল ঘোষ
মায়ের হাতে ভাত খাই ফ্রি
ফোর, ফাইভ, সিক্স
রাতের বেলা বাইরে যাওয়া রিক্স
সেভেন, এইট, নাইন
ভালোভাবে বাঁচতে হলে মানতে হবে আইন।
চিরকুট-৫: জুনায়েদ করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছে:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদন
জানুয়ারি ৫, ২০২১ ইং
করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা :
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ও জটিল সমস্যাটি হচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, অতিমারি করোনা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। প্রতিদিনই বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল। বহিঃবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও আজ করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে করোনা ভাইরাসের ভয়ানক চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার জিনগত বৈশিষ্ট্য, সংক্রমণের ধরন, লক্ষণ ইত্যাদি পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এরকম পরিবর্তনের কারণে করোনার টিকা আবিষ্কারে গবেষকদের নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সম্প্রতি কার্যকরী টিকা আবিষ্কারের ফলে নতুন আশার আলো সারিত হয়েছে। এখন করোনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বিশেষজ্ঞগণের মতে, করোনা ভাইরাস প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। আর সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধের উত্তম পন্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, করোনা ভাইরাসের কার্যকর প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রথমেই জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হাঁচি-কাশি আছে এমন ব্যক্তিদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে। দেহে কার্যকর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে সুষম খাবার খেতে হবে।
আশার কথা এই যে, বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি চলমান আছে। মানুষ আগ্রহের সাথে টিকা গ্রহণ করছে। আশা করা যায়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং টিকা গ্রহণ করলে করোনার সর্বনাশা ধাবা থেকে আমরা আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে পারব।
চিরকুট-৬: আহসান হাবিব সম্পাদকীয় লিখেছে:
সম্পাদকীয়
পরিষ্কার থাকুন, সবুজে বাঁচুন, এই শ্লোগানে শিক্ষাঙ্গনে সুন্দর ও নির্মল পরিবেশ গড়তে বিদ্যালয় প্রাজ্ঞান ও শ্রেণিকক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করছে শিক্ষার্থীরা। গত ১৫-০১-২৩ তারিখ রোববার সকালে পুরোনো ঢাকায় কে.এল. জুবিলী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এমন কার্যক্রম করে। এ সময় তারা সচেতনতামূলক আলোচনা সভারও আয়োজন করে। আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষকবৃন্দ দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সুন্দর পরিবেশ শিক্ষাঙ্গনের পূর্বশর্ত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। আমরা যে পরিবেশে ভালোভাবে আনন্দ নিয়ে পড়াশুনা করবো, তা হতে হবে সুন্দর ও নির্মল পরিবেশ। আর এজন্যই প্রয়োজন সবসময় বিদ্যালয়কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। তাই আমরা পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু ও নির্মল পরিবেশ। শিক্ষাকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সবার। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এবার নিচের বইয়ে লিখি বৃদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের কয়টি ধরন আমাদের প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে। (মূলবই পৃষ্ঠা নং – ৩৬)
- সাহিত্যকর্ম ও শিল্পকর্ম সম্পর্কিত সম্পদ বা কপিরাইট : গল্প, নাটক, কবিতা, ছড়া, বই ইত্যাদি।
- বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করোনার টিকা আবিষ্কার।
- নির্দিষ্ট দেশের বা ভৌগোলিক নিজস্ব পরিচিতি : বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত (কক্সবাজার)।
মূল পাঠ্যবই থেকে
খেয়াল করে দেখি, খেলার মাধ্যমে চিরকুট বের করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এবং আমাদের সহপাঠীরা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কত ধরনের হতে পারে তার একটি ধারণা পেয়ে যাচ্ছি। এবার আমাদের প্রথম সেশনের জন্য তৈরি প্রতিবেদনটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি কত ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের প্রতিবেদনটি লিখেছিলাম।
আমাদের প্রতিবেদনের সাথে মেলানোর সুবিধার্থে নিচের বক্সে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধরনগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে। এই কাজটি যদি শ্রেণিতে করার সুযোগ না থাকে তাহলে আমরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবক বা বড় কারও সহায্য নিয়েও করতে পারি। আর শ্রেণিতে করতে গেলে আমরা সহপাঠী এবং শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারি।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধরনগুলোর ধারণা
১. সাহিত্য ও শিল্পকর্ম সম্পর্কিত সম্পদ বা কপিরাইট: গান, গল্প, কবিতা, নাটক, সিনেমা, বই ইত্যাদি।
২. শিল্পকারখানা সম্পর্কিত সম্পদ বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি কোম্পানির নাম, লোগো, মোড়কের
ডিজাইন, পণ্য তৈরির গোপন প্রক্রিয়া বা সিক্রেট ফর্মুলা ইত্যাদি।
৩. ভৌগোলিক পরিচিত কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক বা দেশের নিজন্ব পরিচিতি, যেমন বাংলাদেশের ইলিশ, বাংলাদেশের পাট ইত্যাদি।
৪. বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন: যে কোনো বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, যেমন করোনার টিকা, বিদ্যুতের আবিষ্কার ইত্যাদি।
আরো দেখো: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি সকল অধ্যায়ের সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ৩য় সেশন সকল প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post