৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ৫ম সেশন : এবার আমরা বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করব। পত্রিকাটি তৈরি করার জন্য এই অভিজ্ঞতার শুরুতে আমরা যে দলে ভাগ হয়ে থিম/বিষয় নির্ধারণ করেছিলাম, সে দলের সদস্যরা একসঙ্গে বসব এবং নিজেদের তৈরি করা প্রতিবেদন দিয়ে একটি বিদ্যালয় পত্রিকা বানাব। বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করতে হলে আমাদের যেসব নির্দেশনা মানতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো-
বিদ্যালয় পত্রিকা সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে তৈরি হবে। শ্রেণিতে ছেলে শিক্ষার্থী, মেয়ে শিক্ষার্থী অন্য লিঙ্গে শিক্ষার্থী এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী মিলে এই বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করা হবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ৫ম সেশন
প্রতিটি দল তাদের নির্ধারিত বিষয়/থিমের ওপর বিদ্যালয় পত্রিকার জন্য বিভিন্ন তথ্য, ছবি, গল্প, কবিতা, প্রতিবেদন সংবলিত উপকরণ বানাব।
- সব দলের কাজ যুক্ত করে একটি বিদ্যালয় পত্রিকা হবে।
- বিদ্যালয় পত্রিকার বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে একটি নাম বা শিরোনাম থাকবে।
- বিদ্যালয় পত্রিকার জন্য কিছু লেখা শিক্ষার্থীর নিজস্ব লেখা হবে, এবং কিছু লেখা/তথ্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হবে।
- উভয় লেখায় স্বত্বাধিকারীর নাম থাকবে।
- একটি আলাদা অংশপৃষ্ঠায় আবার সব স্বত্বাধিকারীর নাম দেওয়া হবে এবং সে অংশটিকে স্বত্বাধিকারীদের তালিকা বা পরিচিতি অংশ হিসেবে নামকরণ করা যেতে পারে।
যে বিদ্যালয় পত্রিকাটি বানানো হলো তার একটি ছবি তুলে এবং প্রিন্ট করে তা এখানে লাগাতে পারি, যদি এই সুবিধা না থাকে তাহলে পত্রিকার প্রথম পাতার একটি ছবি আঁকতে পারি। (মূলবই পৃষ্ঠা নং – ৪২)
মূল পাঠ্যবই থেকে
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে সকল নির্দেশনা মেনে বিদ্যালয় পত্রিকাটি তৈরি করার জন্য। তৈরি হয়ে যাওয়ার পর পত্রিকাটি আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রধান শিক্ষক অথবা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অথবা বিদ্যালয়ের পাশের বইয়ের দোকানের মালিককে আমাদের তৈরি বিদ্যালয় পত্রিকাটি উপহার হিসেবে দিতে পারি।
এই শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা দলে ভাগ হয়ে প্রতিবেদন লেখার জন্য একটি বিষয়/থিম নির্বাচন এবং দলের প্রত্যেক সদস্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ছবি দিয়ে নিজের মতামত দিয়ে নির্ধারিত থিমের ওপর একটি করে প্রতিবেদনটি লিখেছি। এরপর সবাই সবার প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে অনুধাবন করতে পেরেছি যে আরেকজনের তথ্য ব্যবহার করলে তার নাম উল্লেখ করতে হয়।
এরপর আমরা খেলার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ধারণা পাব এবং সব ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের জন্য যে স্বত্বাধিকারীর নাম ব্যবহার করতে হয় তা অনুধাব করেছি এবং নাম ব্যবহার না করলে স্বত্বাধিকারীর কী ক্ষতি হতে পারে তা-ও বুঝতে পেরেছি।
এবার নিজেদের লেখা প্রতিবেদনগুলো ঠিক করে যে ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ আমরা ব্যবহার করেছি সেসব ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বত্বাধিকারীর নাম দিয়েই প্রতিবেদনটি লিখেছি এবং থিম আকারে একটি বিদ্যালয় পত্রিকা বানিয়েছি। আমরা অনুধাবন করলাম যে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদে স্বত্বাধিকারীর অধিকার ভবিষ্যৎ জীবনে সব সময় নিশ্চিত করা আমাদের একটি দায়িত্ব।
আরো দেখো: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি সকল অধ্যায়ের সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় ৫ম সেশন সকল প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post