৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৫ম অধ্যায় ৪র্থ পরিচ্ছেদ : যেসব লেখায় তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয় সেগুলো বিশ্লেষণমূলক লেখা। বিশ্লেষণমূলক লেখা দুই ধরনের হয়ে থাকে; যথা- তথ্য বিশ্লেষণমূলক লেখা ও উপাত্ত বিশ্লেষণমূলক লেখা।
আবদুল্লাহ আল-মুতী রচিত ‘কীটপতঙ্গের সঙ্গে বসবাস’ রচনাটি তথ্য বিশ্লেষণমূলক লেখা। এ লেখায় লেখক ফসলের সাথে কীটপতঙ্গের সম্পর্ক বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন। ফসলের জন্য কীটপতঙ্গের উপকারিতা ও কীটপতঙ্গের বিলুপ্তির তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তমূলক তথ্যও বর্ণনা করেছেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৫ম অধ্যায় ৪র্থ পরিচ্ছেদ
বলি ও লিখি- কীটপতঙ্গের সঙ্গে বসবাস’ রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৮০)
উত্তর: পোকামাকড় পরাগযোগ ঘটায় বলে ফল ও ফসল হয়। পোকামাকড় কমে গেলে ফসলের ফলন কম হয়। পোকামাকড় খেয়ে বহু প্রাণী বাঁচে। পোকামাকড় নির্বিচারে মারা ঠিক নয়। তাছাড়া বিজ্ঞানীরা যে ভয়াবহ বিপদের কথা জানতে পেরেছেন তা হলো অনেক কীটনাশক পানি বা খাদ্যের মধ্য দিয়ে প্রাণী বা মানুষের দেহে সঞ্চিত হতে পারে এবং এর বিষক্রিয়ায় মারাত্মক রোগ বা মৃত্যুও হতে পারে।
কীটনাশকের প্রভাবে উপকারী পোকা, পাখি ও মাছ মরে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কীটনাশকের প্রভাবে আমাদের পরিবেশ মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। তাই বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক উপায়ে পোকামাকড় দমনে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকলে স্বাভাবিকভাবে কীটপতঙ্গ দমন হয়।
কাজ-১ : নিচের ছকে একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে দিবা শাখা ও প্রভাতী শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা দেওয়া আছে। তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে ছকটির উপর একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর: (বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
একটি বিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে প্রভাতী শাখায় ভর্তি হয়েছিল ৬৫ জন এবং দিবা শাখায় ৬৩ জন শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রভাতী শাখায় ৭০ জন এবং দিবা শাখায় ৭৮ জন ভর্তি হয়। ২০১৮ সালে মারাত্মকভাবে প্রভাতী শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি কমে যায়। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রভাতী শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি বেশি হয় ২০২২ সালে এবং সবচেয়ে কম ২০১৮ সালে আর দিবা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি বেশি হয় ২০২২ সালে এবং সবচেয়ে কম ২০২১ সালে। তবে ২০১৬ সালের পর ২০২২ সালে প্রভাতী এবং দিবা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাজ-২ : নিচের ছকে বিভিন্ন খাতে ৪ সদস্যের একটি পরিবারের মাসিক ব্যয়ের হার দেওয়া হলো। তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে ছকটির ওপর একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর: (বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
চার সদস্যের একটি পরিবারের মোট আয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৭% খরচ হয় খাদ্য খাতে। তারপর আবাসন খাতে বা যারা ভাড়া থাকেন তাদের বাসা ভাড়া বাবদ ব্যয় হয় ২২%। তৃতীয় অবস্থানের ব্যয় খাত হলো শিক্ষা। শিক্ষাখাতে ব্যয় হয় মোট আয়ের ১৫%। চিকিৎসা খাতে বায় হয় ১১% এবং যাতায়াত খাতে ৭%। গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল বাবদ ব্যয় হয় মোট আয়ের ৫% এবং মোবাইল বিল বাবদ ব্যয় হয় ৩%।
কাজ ৩ : দুটি দলে ভাগ হও। ‘পরিবেশ দূষণে পলিথিন’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণমূলক লেখা লেখো।
উত্তর: দল-১ : পলিখিন এক প্রকার জৈব রাসায়নিক বন্ধু। পলিখিন নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বর্তমানে পলিখিন মানবজীবনের জন্য একটি বিপজ্জনক বস্তুতে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ১৯৮২ সাল থেকে এ দেশে পলিথিন বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। পলিদিন নমনীয় পদার্থ।
নমনীয় হলেও এটি একধরনের শক্ত প্লাস্টিক। বহুসংখ্যক ইথিন অণুর রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পলিখিন উৎপন্ন হয়। পলিথিনের রাসায়নিক কখন অত্যন্ত দৃঢ়। ফলে এই কখন বাতাসে ও জলীয় আবহাওয়ায় ভাঙে না। এমনকি এটি মাটিতেও পচে না। কারণ এটি পানি ও বায়ুনিরোধক বলে মাটিতে মেশে না। পলিথিন সহজে বহন ও ব্যবহারযোগ্য হলেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ এটি পরিবেশের মারাত্তক ক্ষতির মাধ্যমে আমাদের জীবনযাপনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
পলিথিনের ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পলিথিনকে কঠোরভাবে ‘না’ বলতে হবে। পলিথিন উৎপাদনকারীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পলিখিন ব্যবহারবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এটির ব্যবহাকারীদের সজাগ এবং এটি উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দল-২: হাট-বাজার করতে পলিথিন ব্যাগ মানুষের নিত্যসঙ্গী। তরিতরকারি, মাছ, মাংস, ডিম, চাল-ডাল ইত্যাদি বাড়িতে নিয়ে আসার কাজে পলিখিন ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কসমেটিক, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিকস, কাপড়-চোপড় ইত্যাদি পণ্য বহনেও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহারের পর সেগুলো মাঠে-ময়দানে, পুকুরে, নদীতে যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। এর ফলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়। পলিখিন পানি নিরোধক বলে পানির স্বাভাবিক নিঃসরণে বাধা দেয়। তাই পানি জমে রাস্তা-ঘাট ও নদী-নালায় জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়। পলিথিন শহরের নর্দমা পয়ঃনিষ্কাশন প্রণালিকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
পলিথিন মাটির উর্বরতাশক্তি নষ্ট করে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে, নাফ-নদী, পুকুর ও জলাশয়ে মাছের উৎপাদন হ্রাস করে। এভাবে পলিথিন পরিবেশের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই যেকোনো মূল্যে পলিদিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
কাজ-৪ : দুটি দলে ভাগ হয়ে ছবি দেখে বিশ্লেষণমূলক অনুচ্ছেদ লেখো। লেখাটি ১০০ – ২০০ শব্দের মধ্যে লিখবে। লেখা শেষে অন্য দলের সাথে মিলিয়ে নাও।
উত্তর: দল-১: সপ্তমধুকর নিয়ে সাগর পাড়ি দেবে সওদাগর। সাতটি বাণিজ্য তরীর মধ্যে সবচেয়ে যেটি বড় সেটির সামনের দিকটা ময়ূরের আকৃতিযুক্ত। এটির নাম ময়ূরপঙ্খি বজরা। বইয়ের ৯০ পৃষ্ঠায় এটির একটি ছবি রয়েছে, যা আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতার অনুষঙ্গ হিসেবে সংযোজিত হয়েছে। সাগরের ঢেউয়ের ওপর বড় হাঁসের মতো দুলে দুলে এটি এগিয়ে যাচ্ছে।
লাল রঙের বড় একটি পালে বাতাস লেগে মাঝখানটা ফুলে আছে। এই পালই নৌকাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সামনে এবং পাশে রয়েছে আরো ছয়টি ছোটো-বড়ো বজরা। তবে কোনোটিই ময়ূরপঙ্খির মতো বড়ো ও সুসজ্জিত নয়। রংবেরঙের পালে সেগুলোও চমৎকার লাগছে। এসব নিয়েই বাণিজ্যযাত্রা হয়ে উঠবে আনন্দময়।
দল-২: সপ্তমধুকরের তরিগুলো এক হাট বা গঞ্জ থেকে পণ্যসামগ্রী কিনে অন্য হাটে বা গঞ্জে বিক্রি করবে। এভাবেই এগিয়ে চলবে ব্যবসায়-বাণিজ্য অর্থাৎ বেচাকেনা। তাতে কম ও বেশি লাভ তো হবেই। তাতেই কর দেওয়া, খাদ্যসামগ্রী কেনা ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে।
সপ্তমধুকরকে যেমন ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করতে হয়, তেমনই হাজার কুমির বা অলদস্যুর সাথেও যুদ্ধ করতে হয়। কাজেই বাণিজ্যযাত্রা আনন্দময় হলেও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। এর বাইরে আছে ঝড়-ঝঞ্ঝার আকস্মিক আঘাত। তাতেও জীবনের ঝুঁকি একেবারে কম নয়। হীরা-জহরত, পান্না-চুনি, মুক্তামালা উপহার যেমন নজরানা আসবে, তেমনই দিতেও হবে। এসবের মধ্যেই বাণিজ্যযাত্রাকে সুখকর করে তুলতে হবে।
কাজ-৫ : দুটি দলে ভাগ হয়ে ছবি দেখে বিশ্লেষণমূলক অনুচ্ছেদ লেখো। লেখাটি ১০০ – ২০০ শব্দের মধ্যে লিখবে। লেখা শেষে অন্য দলের সাথে মিলিয়ে নাও।
উত্তর: দল-১: বাঁচার জন্য প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে একটা শিশু। ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে কেউ তাকে তাড়া করেছে। অথবা তার কাছে কোনো কিছু চাইছে, কিন্তু না দিয়ে খেলাচ্ছলে দৌড়াচ্ছে। আবার নিছক আনন্দের জন্য মাঠের মধ্য দিয়ে ফুল, ঘাস বা ছোট গাছ মাড়িয়ে দৌড়াচ্ছে। সুস্থ থাকার জন্য দৌড়- ঝাঁপ করছে এমনও হতে পারে।
সবাই নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। তাদেরকে স্বাধীন ও স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দিতে হবে। ফুলবাগানে গোলাপের মতো সব রকম ফুলকেই ফুটতে দিতে হবে। নীল আকাশে সোনালি চিল ডানা মেলবে, জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলবে, মধ্য দিনে ঘুঘু ডাকবে, কাজলবিলে পানকৌড়ি নাইবে, সুজন মাঝি নাও বাইবে। এভাবে সবাইকে যার যার মতো কাজ করে বাঁচতে দিতে হবে। কারণ বাঁচার অধিকার সবারই সমান।
দল-২: ছবির বালকটা আসলে রঙিন কাটা ঘুড়ির পেছনে ছুটছে ঘুড়িটা ধরার জন্য। রঙিন ঘুড়ি উড়ানোর মধ্যেই তার আনন্দ। কিন্তু হঠাৎ সুতো কেটে উড়তে উড়তে আপন মনে চলে যাচ্ছে মুড়িটি। বালকটিও পেছনে পেছনে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে। সামনে কী আছে, আঘাত পাবে কি-না এসব ভাবার সময় নেই তার।
ঘুড়িটা ধরতে হবে এবং প্রিয় ঘুড়িটা তার চাই। এটা না পেলে বাঁচতে তার কষ্ট হবে। শ্যামাপাখি যেমন আপন মনে নাচছে, পাখি, শিশু, ফুলের কুঁড়ি যেমন বাঁচতে চায়, ছবির বালকটাও তেমনি স্বচ্ছন্দে আপনমনে বাঁচতে চায়। তাই ঘুড়িটা পাইয়ে দিয়ে ওকে বাঁচতে দিতে হবে।
কাজ-৬ : দুটি দলে ভাগ হয়ে ছবি দেখে বিশ্লেষণমূলক অনুচ্ছেদ দেখো। লেখাটি ১০০- ২০০ শব্দের মধ্যে লিখবে। লেখা শেষ হলে অন্য দলের সাথে মিলিয়ে নাও।
উত্তর: দল-১: কুটিরশিল্পের শিল্পগুণসমৃদ্ধ রূপই লোকশিল্প। বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লোকশিল্পের নানা উপকরণ। বিয়ে, জন্মদিন, নববর্ষ, পুজোয় ঘরে ঘরে আলপনা আঁকার হিড়িক পড়ে যায়। আলপনার বৈচিত্র্য হৃদয়কে আনন্দময় করে তোলে।
নানা রকম নকশা আঁকা বা নকশা করা শাড়ি তীব্র আকর্ষণ তৈরি করে। তা সুতি বা জামদানি যা-ই হোক। মাটির কলস, হাঁড়ি-পাতিল, সানকি, ফুলদানি, টেপাপুতুল, হাতি-ঘোড়া, ছাইদানি, ফুলদানি এখনো আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে কাজে লাগে। এসবের বাহারি রং-রূপও আমাদের চোখে মুগ্ধতা আনে।
দল-২ : গ্রামের কারিগররা সাধারণ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আমাদের জন্য যেসব শোভন জিনিসপত্র তৈরি করেন সেগুলোর তুলনা নেই। ঘর সাজানোর জন্য নানা ধরনের শৌখিন সামগ্রী এখন মাটি দিয়েই তৈরি হয়। কাঁসার থালা-বাসন, বাটি-গ্লাস ব্যবহার করে এখনও অনেকে তৃপ্তি পায়। গ্রামে গ্রামে তৈরি হয় নকশিকাঁথা, তার নকশা দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
খদ্দর কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবি, চাদর, বেডশিট এখন গ্রাম-শহর সর্বত্র সমাদৃত। শীতলপাটি, শিকা, হাতপাখা এখনও আমরা ব্যবহার করে আনন্দ পাই। বাঁশ-বেতের নানা সামগ্রী খুবই দরকারি। এসব লোকশিল্প শুধু দেশে নয়, বিদেশেও সমাদৃত।
আরো দেখো: ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সকল অধ্যায়ের সমাধান
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমার ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৫ম অধ্যায় ৪র্থ পরিচ্ছেদ সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post