শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান গাইড ২০২৩ যা তোমরা উত্তরসহ পাবে। তোমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী আমরা এই উত্তরপত্রটি তৈরি করেছি। প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও উত্তর এখানে সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ছকভিত্তিক কাজগুলোও দেখানো হয়েছে।
৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান গাইড ২০২৩
- ১ম অধ্যায়: হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় বাংলা অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু
- ২য় অধ্যায়: যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কীভাবে?
- ৩য় অধ্যায়: সম্প্রদায়
- ৪র্থ অধ্যায়: মুক্তিযুদ্ধে দেশি ও বিদেশি বন্ধুরা
- ৫ম অধ্যায়: সামাজিক মূল্যবোধ ও রীতিনীতি
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়: সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকা
- ৭ম অধ্যায়: টেকসই উন্নয়ন ও আমাদের ভূমিকা
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি হলো শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং দ্বিতীয়টি হল সামষ্টিক মূল্যায়ন। এছাড়াও আচরণভিত্তিক মূল্যায়ন নামে আরেকটি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া রয়েছে।
শিখনকালীন মূল্যায়ন
শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার সময় নিয়মিত ফিডব্যাক প্রদানের মাধ্যমে শিখনে সহায়তা করার যে পদ্ধতি তাই শিখনকালীন মূল্যায়ন নামে অভিহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ শিখনকালীন মূল্যায়ন হলো- শিখন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সন্নিবেশিত ধারাবাহিক মূল্যায়ন, যার উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীরা শিখন অবস্থা জেনে শিখনে সহায়তা প্রদান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ মূল্যায়নের তথ্য ও উপাত্ত যোগ্যতা বা পারদর্শিতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রমাণ দেয়।
এই কারণে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার সময় শিক্ষার্থীদের যেসব কাজ বা অভিজ্ঞতা বা কার্যক্রম করানো হবে সেগুলো অবশ্যই সম্মানিত শিক্ষক নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন এবং শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদানের জন্য মন্তব্য করবেন এবং এগুলোর প্রমাণাদি সংরক্ষণ করবেন।
এক্ষেত্রে পরবর্তীতে এ ফলাফল সামষ্টিক মূল্যায়নের সঙ্গে সমন্বিত করে সার্বিক মূল্যায়ন ও তার প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহৃত হবে। এ মূল্যায়ন পুরো শিক্ষাবর্ষ ব্যাপী শিখন-শিখানো প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলমান থাকবে।
সামষ্টিক মূল্যায়ন
একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে শিক্ষার্থীদের কতটুকু যোগ্যতা অর্জিত হয়েছে তা চিহ্নিত করার জন্য যে মূল্যায়ন ব্যবস্থা, তা-ই সামষ্টিক মূল্যায়ন। এ মূল্যায়ন শিক্ষাবর্ষের মধ্য সময়ে (অর্ধ-বার্ষিক) এবং বছরের শেষে (বার্ষিক) মোট দুইবার করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষে তার রেকর্ড, তথ্য, উপাত্ত বা প্রমাণাদির ভিত্তিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সামর্থকে মূল্যায়ন করবেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, সামষ্টিক মূল্যায়ন মানে শুধু কাগজ-কলম নির্ভর পরীক্ষা নয়, বরং যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মূল্যায়নের বহুমুখি পদ্ধতির (কাজ, অ্যসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, যোগাযোগ, কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন ইত্যাদি) সমন্বিত প্রয়োগের মাধ্যমে ঐ নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জনে শিক্ষার্থী কোন অবস্থানে আছে তা জানা।
শিক্ষার্থীর এ মূল্যায়ন শুধুমাত্র শিক্ষক নিজেই করবেন না। শিক্ষকের পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবক, সহপাঠি এবং এলাকার লোকজন/ কমিউনিটি/ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত কাজগুলোতে তাদের মূল্যায়নের সেই সুযোগ রয়েছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ছকম মতামত ও পরামর্শ প্রদানের ঘর/বক্স পাঠ্য বইয়ে রাখা হয়েছে, যা প্রমাণক হিসেবে কাজ করবে।
আচরণভিত্তিক মূল্যায়ন
বছরের মধ্য সময় বা শেষে একজন শিক্ষার্থীর আচার-আচরণ, শিষ্টাচার ইত্যাদির মূল্যায়ন করা হবে। এই মূল্যায়নই আচরণভিত্তিক মূল্যায়ন। যদি কোনো শিক্ষার্থীর আচার-আচরণ, ব্যবহার, শিষ্টাচারভিত্তিক কোনো সমস্যা থাকে তাহলে শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীর আচরণ সংশোধনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সাক্ষাৎকার, সাইকোমেট্রিক পরীক্ষা, সরাসরি তত্ত্বাবধান, স্ব-মূল্যায়ন, সতীর্থ মূল্যায়ন ইত্যাদির মাধ্যমে আচরণভিত্তিক মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
প্রয়োজনে তিনি অভিভাবক, এলাকার লোকজন/কমিউনিটি/ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নেবেন। উল্লেখ্যে যে, আচরণভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য কোনো নম্বর থাকবে না। আচরণভিত্তিক মূল্যায়নের উদ্দেশ্য হল উন্নত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সাহায্যে শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করা, ব্যাখ্যা করা এবং নির্ধারণ কর।
- ১ম অধ্যায়: হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় বাংলা অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু
- ২য় অধ্যায়: যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কীভাবে?
- ৩য় অধ্যায়: সম্প্রদায়
- ৪র্থ অধ্যায়: মুক্তিযুদ্ধে দেশি ও বিদেশি বন্ধুরা
- ৫ম অধ্যায়: সামাজিক মূল্যবোধ ও রীতিনীতি
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়: সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকা
- ৭ম অধ্যায়: টেকসই উন্নয়ন ও আমাদের ভূমিকা
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৩ সমাধান প্রতিটি অধ্যায়ের নাম উপস্থাপন করা হয়েছে। উপরে দেওয়া সমাধান অবশ্যনের উপর ক্লিক করলেই কাজগুলো এবং প্রশ্নগুলো সমাধানসহ পেয়ে যাবে। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post