৭ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৩য় অধ্যায় : আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে সফল হবার উপায় জেনেছি। জেনেছি নিজের জীবনের প্রাত্যহিক কাজের কথা | তোমরা এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছ। এর পরে নিশ্চয়ই অষ্টম শ্রেণিতে পড়বে। এভাবে একদিন হয়তো বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে কেউ কলেজে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, কেউবা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করবে।
একসময় পড়া শেষে তোমরা হয়তো কোনো পেশায় অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। তোমরা কি কখনো চিন্তা করেছো কী ধরনের কাজ বা পেশা তোমাদের পছন্দ? এই পেশায় যেতে হলে তোমাদেরকে কী কী পড়তে হবে? কী কী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে? এবারে এসো আমরা দেখি পড়ালেখা শিখে কীভাবে আমরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারি । শুধু তা-ই নয়, আমরা আরও খুঁজে বের করবো কর্মক্ষেত্রে সফল হবার গুণগুলো ।
৭ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৩য় অধ্যায়
১. মিথুন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার ইচ্ছা বড় হয়ে সে ব্যাংকার হবে। তার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল বের হয়েছে। সে বিজ্ঞান বিষয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে। এখন তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে কোন শাখায় ভর্তি হবে।
ক. শিক্ষা জীবন কী?
খ. শিক্ষার্থীর শাখা নির্বাচনের আগে কোন বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত? ব্যাখ্যা কর।
গ. মিথুনের ভবিষ্যৎ পেশার কথা চিন্তা করলে তার জন্য উপযুক্ত শাখা কোনটি? বর্ণনা কর।
ঘ. মিথুন যদি বিজ্ঞান শাখা নির্বাচন করে তাহলে তার কী সুবিধা বা কী অসুবিধা হতে পারে তা বিশ্লেষণ কর।
২. শিলা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু শিলা বোঝে না কোন বিভাগে বা শাখায় পড়বে। সে এজন্য সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। শিক্ষক শিলাকে ভবিষ্যৎ পেশা নির্ধারণে পড়ালেখার বিভাগ বা শাখা নির্বাচনের প্রভাব সম্পর্কে বললেন। সর্বশেষে তিনি বললেন, “সফল পেশাজীবী হওয়ার পূর্বশর্ত হলো শিক্ষাক্ষেত্রে সঠিক শাখা নির্বাচন।”
ক. শিক্ষাক্ষেত্রে কয়টি শাখা আছে?
খ. শিক্ষাক্ষেত্রে শাখা নির্বাচন ব্যাখ্যা কর।
গ. শাখা নির্বাচনের জন্য শিলাকে কী কী বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে?
ঘ. শিক্ষকের উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৩. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অন্যায় ভৎসনা সহ্য করতে না পেরে মামুন চাকরি ছেড়ে দেয়। কিছুদিন পর সে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে অন্য একটি কোম্পানিতে চাকরি গ্রহণ করে। তার মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ফুটে ওঠে।
ক. সাধারণ শিক্ষাকে কয়টি শাখায় ভাগ করা হয়?
খ. চিন্তন দক্ষতাগুলো উল্লেখ কর।
গ. উদ্দীপকে মামুনের মধ্যে যে গুণগুলো বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মামুনের কার্যাবলি পরবর্তী জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে- উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৪. লিজার বান্ধবী তিশা অষ্টম শ্রেণি পড়া শেষ করে সাধারণ শিক্ষায় পড়তে চাচ্ছে না। কারণ তার হাতে কলমে কাজ করতে খুব ভালো লাগে। ভবিষ্যতে সে এমন কাজ করে টাকা রোজগার করতে চায়, যেখানে হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ আছে।
ক. শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য লাভের উপায় কী?
খ. পেশাগত সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক দক্ষতা ও ব্যক্তিগত গুণাবলি উল্লেখ কর।
গ. তিশা কোন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে? এর কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তিশার পেশাগত জীবনে সাফল্য লাভে এই শিক্ষা উপযোগী কিনাÑ বিশ্লেষণ কর।
৫. সুলাইমুর রহমান বড় হয়ে প্রকৌশলী হতে চায়। আর এজন্য সে ছোট থেকে বিজ্ঞান ও অংকে গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু তার বাবা চান সুলাইমুরকে আইনজীবী বানাতে। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর তার বাবা তাকে মানবিক বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেন। পরবর্তীতে তার লেখাপড়া নষ্ট হয়ে যায়।
ক. পেশাগত দক্ষতার ভিত্তি কয়টি?
খ. কর্মজীবনে চিন্তন দক্ষতা জরুরি কেন?
গ. সুলাইমুর রহমানের জন্য উপযুক্ত শাখা কোনটি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুলাইমুর রহমানের শাখা নির্বাচনের পদ্ধতি কি সঠিক ছিল? মতামত দাও।
৬. আশিক সাহেব দর্শন নিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেছেন। চাকরি না পেয়ে ঘুষ দিয়ে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে যোগ দেন। কিন্তু চাকরি ক্ষেত্রে গিয়ে তিনি নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরি নেওয়ার কথাও ভাবছেন, কিন্তু তাও করতে পারছেন না।
ক. ডাক্তার হওয়ার জন্য কোন শাখায় পড়তে হয়?
খ. শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শাখা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ. আশিক সাহেবের চাকরিক্ষেত্রে ভালো করতে না পারার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আশিক সাহেবের মতো ব্যক্তিদের পেশাজীবনে সফল হওয়ার জন্য কী ধরনের গুণাবলি দরকার বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও।
৭. শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান মোফাজ্জল হক ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছেন। অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় তিনি বললেন, ‘শিক্ষা মানবজীবনের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু কীভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা যায়, এ বিষয়ে তোমরা কখনো ভেবেছ কি? তোমরা প্রত্যেকে নিজস্ব চিন্তা-চেতনার আলোকে উপস্থাপন করবে। আর এগুলো নিয়ে শ্রেণির অন্যদের সাথে আলোচনা করবে। একপর্যায়ে শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা নির্বাচন করবে। আর এগুলো স্কুলের দেয়ালে বা বোর্ডে সবার জন্য টাঙিয়ে দেবে। এতে করে অনেকেই উপকৃত হবে।’ শিক্ষা দুবৃর্ত্তের বিরুদ্ধে হাতিয়ার, আর অসহায়ের একমাত্র সহায়।
ক. শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর কোনটি?
খ. ‘পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা পরস্পর নির্ভরশীল।’ ব্যাখ্যা কর।
গ. শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য লাভের উপায়গুলো নিজের অভিমতের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘শিক্ষা মানবজীবনের জন্য অপরিহার্য’-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৮. সোমা ও রুমা দুই বোন। সোমা কলেজে বাণিজ্য শাখায় পড়াশুনা করে। রুমা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। সোমার ইচ্ছা প্রকৌশলী হওয়া। রুমার ইচ্ছা শিক্ষক হওয়া। কিন্তু তাদের মায়ের ইচ্ছা বড় মেয়ে ডাক্তার ও ছোট মেয়ে ব্যাংকার হবে। মা রুমাকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখাতে পড়ার পরামর্শ দেন।
ক. শিক্ষার প্রাথমিক স্তর কোনটি?
খ. শিক্ষা জীবনে সফলতা আসে কীভাবে?
গ. “শাখা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সোমার সিদ্ধান্ত সঠিক”ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রুমার কোন ইচ্ছাটিকে বাস্তবায়ন করা যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে কর- নিজের নাকি মায়ের? মতামত দাও।
৯. জহির স্যার ক্লাসে আসলে অর্নি স্যারকে বললি, স্যার ‘শিক্ষা জীবনে শাখা নির্বাচনের গুরুত্ব কীরূপ’? স্যার বললেন, কোনো কারণে শাখা নির্বাচন ভুল করলে সারা জীবনে আর শোধরাতে পারবে না। তাই শাখা নির্বাচনের সময় কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখবে তোমার আগ্রহ, পছন্দ, অপছন্দ, কর্ম বা পেশা ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় জানা, কর্ম বা পেশা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি।
ক. শিক্ষার ধারা কয়টি?
খ. পেশাগত দক্ষতার ভিত্তিগুলোর ব্যাখ্যা দাও।
গ. স্যারের মন্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর স্যারের উক্তিটি সঠিক? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
১০. সুইটি ছাত্রাবস্থায় ভালো ছাত্রী হিসেবে শিক্ষক ও বান্ধবীদের নিকট খুবই প্রিয় ছিল। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে আজ সে একটি বেসরকাপরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কিন্তু চাকরি জীবনে আশানুরূপ পদোন্নতি পাচ্ছে না। ব্যাপারটা তাকে খুবই ভাবাত, সুইটি এক সময় বুঝতে পারে ছাত্রাবাস্থায় মুখস্থ বিদ্যার কারণে ভালো ফলাফল লাভ করত এবং সবাই প্রশংসা করত। কিন্তু মুখস্ত বিদ্যার চেয়েও বুঝে পড়ার গুরুত্ব পেশা জীবনে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
ক. শিক্ষা জীবনে কোন শ্রেনির পর একজন শিক্ষার্থী শাখা নির্বাচনের সুযোগ পায়?
খ. কেন লেখাপড়া ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা পরস্পর নির্ভরশীল।
গ. উদ্দীপকে সুইটির পেশাগত জীবনে কোনটির প্রভাব সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুইটির ছাত্রাবস্থায় খ্যাতি পাওয়া পেশাগত জীবনে ভালো ফল বয়ে এনেছে-পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১১. রাফাত অত্যন্ত চঞ্চল ছেলে। দুষ্টমিতে সারা বাড়ি ব্যস্ত রাখত। কিন্তু সে অত্যন্ত মা ভক্ত, মার প্রতি তার ভালবাসা আর শ্রদ্ধার কোন শেষ ছিল না। সে বড় হতে থাকে কিন্তু পড়ালেখায় তার কোন মনোযোগ ছিল না। হঠাৎ তার মায়ের ব্ল্যাডক্যান্সার রোগ ধরা পড়ল। অনেক চেষ্টার পরও তার মাকে বাঁচানো গেল না। সেই থেকে রাফাতের কী যে হলো। দুষ্টুমি বন্ধ, পড়ালেখায় খুব মন দিল। সে বললো, আমি ডাক্তার হব। অনেক মানুষের মাকে সুস্থ করে তুলবো।
ক. পেশা কী?
খ. পেশাগত দক্ষতার ভিত্তিগুলো ব্যাখ্যা কর।
গ. রাফাতের ক্ষেত্রে পেশা নির্বাচনের কোন বিষয়টি ভূমিকা রেখেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ লাইনটি কেন করার ইচ্ছা প্রকাশ করল, বিশ্লেষণ কর।
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ৭ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৩য় অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। এছাড়াও ৭ম শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ সাজেশন রয়েছে কোর্সটিকায়। যা তোমরা বিনামূল্যে পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post