৭ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : কৃষির সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্ক রয়েছে। মানব সমাজের ইতিহাস এগিয়েছে মানুষের কৃষিকাজ শুরু করার মাধ্যমে। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন ইত্যাদি মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য কৃষিকে প্রধান উৎপাদন ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। জীবনকে নিরাপদ ও আনন্দঘন করার জন্য মানুষের হাজার বছরের ক্রমাগত প্রচেষ্টা চলেছে।
এর মধ্য দিয়েই নানা পরিবেশে নানা আঞ্চলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে। উৎপাদন কর্মকাণ্ডের সঙ্গো সম্পর্কিত মানুষের এই অর্জনগুলোই ক্রমে মানবগোষ্ঠীর সংস্কৃতি হিসেবে গণ্য হয়েছে। কৃষি ও সংস্কৃতির এই আন্তঃসম্পর্কই এই অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।
৭ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১. ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রফিক ব্যবসায় লোকসান করে শহর থেকে গ্রামে ফিরে আসেন। ছয় সদস্যের পরিবারের দৈনিক চাহিদা পূরণে রফিকের হিমশিম অবস্থা। গ্রামে কৃষিজ সম্পদের মধ্যে তাঁর ছোট্ট একটি বসতবাড়ি ছাড়া মাঝারি একটি পুকুর ও ৫০ শতাংশ ফসলি জমি আছে। এ অবস্থায় চাচা আলতাফ মাস্টারের পরামর্শমতো তিনি তার একটি কৃষিজ সম্পদ ব্যবহারের উদ্যোগ নেন। এতে তিনি পরিবারের দৈনন্দিন প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হন। পরবর্তী সময়ে তিনি তাঁর অন্যান্য কৃষিজ সম্পদ ব্যবহারেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ক. কৃষিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার আগে মানুষ কয়টি উপায়ে খাদ্য সংগ্রহ করত?
খ. কলাকে ঋতু নিরপেক্ষ ফল বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. রফিক যে উপায়ে তাঁর কৃষিজ সম্পদ ব্যবহার করে লাভবান হয়েছিলেন তা বর্ণনা কর।
ঘ. রফিক কৃষিজ সম্পদ ব্যবহারের যে উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেন তা আমাদের খাদ্য চাহিদার প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন কর।
২. রহিম মিয়া তাঁর জমিতে বিভিন্ন প্রকার মাঠ ফসল ও উদ্যান ফসলের চাষ করেছেন। নতুন ধান উঠায় তার পরিবারসহ সবাই নবান্ন উৎসবে মেতে উঠল।
ক. মানুষ কখন আগুনের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ শিখেছিল?
খ. পরিবারের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।
গ. রহিম মিয়ার কার্যক্রম কীভাবে খাদ্য চাহিদা মিটাতে সাহায্য করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উল্লিখিত উৎসবের সাথে রহিম মিয়ার কৃষি কাজের সংশ্লিষ্টতা বিশ্লেষণ কর।
৩. অর্চিতা ও স্পর্শিয়া দুই বোন নববর্ষের দিন সকালে মা-বাবার সাথে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল। সেখানে তারা নানা আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয়। সেখানকার বর্ণিল আয়োজন ও মেলার বিভিন্ন বাহারী জিনিসপত্র তাদের মন কেড়ে নেয়।
ক. ভেড়ার লোম থেকে কী তৈরি হয়?
খ. কৃষিক্ষেত্রে থেকে কীভাবে বাংলাদেশে জ্বালানির যোগান হয়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উৎসবটি তোমাদের এলাকায় কীভাবে পালন করা হয়? বর্ণনা কর।
ঘ. গ্রাম্য মেলা ও শহুরে মেলার তুলনামূলক বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর।
৪. আলম মিয়া একজন ক্ষুদ্র কৃষক তার একটি বসতবাড়ি, একটি পুকুর এবং কিছু কৃষিজমি আছে। তিনি কেবল তার কৃষিজমিতে ফসল চাষ করেন। তাই পরিবারের খরচ চালানো তার জন্য বেশ কষ্টকর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে তিনি তার সবগুলো কৃষিজ সম্পদ ব্যবহারের উদ্যোগ নিলেন এবং লাভবান হলেন।
ক. কারা কৃষি কাজের সূচনা করেছিলেন?
খ. সমাজ গঠনে শ্রম বিভাজনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. কীভাবে আলম মিয়া লাভবান হলেন? বর্ণনা কর।
ঘ. আমাদের খাদ্য চাহিদা মেটাতে আলম মিয়ার উদ্যোগটি মূল্যায়ন কর।
৫. নিশ্চিন্তপুর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম। গ্রামের অধিবাসীদের জীবন জীবিকা সবকিছু তাদের ফসল উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। এ বছর মাঠে বেশ ভাল ফসল হয়েছে। তথাপি গ্রামবাসীরা বেশ উদ্বিগ্ন ছিল। ফসল ঘরে তুলতে পেরে তারা বেশ আনন্দিত।
ক. বাঙালির পরিচয়টি কী?
খ. মহিষের দুধের কদর বেশি কেন?
গ. গ্রামবাসীদের উদ্বিগ্ন থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. গ্রামবাসীরা কি কী উৎসবে মেতে উঠতে পারে? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
৬. আফ্রিকার বিশাল বনভূমি অঞ্চলের গভীর অরণ্যের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও কিছু কিছুলোক বাস করে। সভ্য দুনিয়ার ছোঁয়া তাদের কাছে আজও পৌঁছেনি। তারা শিকার ও ফলমূল খেয়ে জীবনধারণ করে।
ক. কোন কাজকে কেন্দ্র করে পরিবার গঠিত হয়েছিল?
খ. আদিমকালে লোকজন ফলমূল খেয়ে জীবনধারণ করত কেন?
গ. উদ্দীপকের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আমাদের সভ্য দুনিয়াও এক সময় তাদের মতোই ছিল।” উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
৭. বাংলাদেশ বিচিত্র ফসলের দেশ। এদেশে এমনও ফসল আছে যা থেকে কখনো সুস্বাদু শাক, কখনো আঁশ এবং জ্বালানি পাওয়া যায়। এক সময় বিশ্বে এ ফসলের মান ও উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম ছিল এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছিল।
ক. মাঠ ফসল কাকে বলে?
খ. পাটকে সোনালি আঁশ বলা হতো কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ফসল দিয়ে উৎপন্ন দ্রব্যের একটি তালিকা তৈরি কর।
ঘ. তুমি কী মনে কর, উদ্দীপকে উল্লিখিত ফসলের হারানো গৌরব ও অবস্থান ফিরিয়ে আনা সম্ভব? যুক্তি দাও।
৮. গণি মিয়া তার বাড়ির পাশেই ফুল, ফল, শাকসবজি ও মসলাজাতীয় ফসলের চাষ করেন। ঋতুভেদে প্রায় সব ফসলই তার বাগানে আছে। প্রকৃত পরিচর্যার মাধ্যমে তিনি তার সব ফসলই তরতাজা ও আকর্ষণীয় করে তোলেন। অবসরে তিনি তার বাগানে গিয়ে সময় কাটান। একদিন শিশির ভেজা সকালে তিনি তার সবজি বাগানের সৌন্দর্য দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন।
ক. কোন মাসকে মধু মাস বলা হয়?
খ. নবান্ন উৎসব কীভাবে পালন করা হয়?
গ. গণি মিয়া যে মৌসুমে তার সবজি বাগানের দিকে তাকিয়ে ছিল সেই মৌসুমে বাজারে যেসব শাকসবজি পাওয়া যায় তার একটি ছোট তালিকা তৈরি কর।
ঘ. গণি মিয়ার চাষকৃত ফসলগুলোর মধ্যে কোন জাতীয় ফসল মানুষের সবচেয়ে বেশি মনের খোরাক জোগায় তার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
৯. রায়হান সাহেব কাঁঠাল, আম, আনারস, কমলা, কলা, কুল ও কদবেলের বাগান করেছেন। এছাড়া তিনি বাগানে পেঁপে, লেবু ও স্ট্রবেরির চাষও করেছেন। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে এমন কিছু প্রাণীও তিনি বাড়িতে পালন করেন।
ক. ঔষধি গাছ কাকে বলে?
খ. শ্রম বিভাজন বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
গ. রায়হান সাহেবের বাগান যে উদ্যান ফসলকে নির্দেশ করে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. রায়হান সাহেবের পালনকৃত প্রাণীগুলোর গুরুত্ব তুলে ধর।
১০. নাঈম তারা দাদা বাড়ি টাঙ্গাইলে বেড়াতে গেল যখন কৃষকদের ধান কাটা মাত্র শেষ হয়েছে। তখন তারা একটি উৎসবে মেতেছিল। নাঈমের দাদা তাকে বললেন এই উৎসব আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ। তিনি আরও বললেন, বাঙালি সংস্কৃতি কৃষিকাজের দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত।
ক. নবান্ন উৎসব কী?
খ. হালখাতা কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উৎসবটি বর্ণনা কর।
ঘ. নাঈমের দাদার শেষ উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
১১. বাংলাদেশের বিভিন্ন শাক-সবজি যেমন লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি কোন বিশেষ কৃষি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। আবার ঐ একই মৌসুমে নতুন মাঠ ফসল পাওয়ার আমেজে নেচে উঠে কৃষকের মন।
ক. অতীতে কার্পাস তুলা হতে কী উৎপাদন হতো?
খ. ফসল বৈচিত্র্য কমার জন্য কৃষির আধুনিকায়নের ভূমিকা আছে- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত উৎসবটি পালনের পূর্বে কৃষক/কৃষাণি যেসব কাজের ব্যস্ত থাকেন তা উপস্থাপন কর।
ঘ. উল্লিখিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে বাংলার কৃষক/কৃষাণির স্নেহ-ভালবাসা ও উদারতার তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
১২. সপ্তম শ্রেণির পাঠদানকালে শিক্ষক জনাব মোহাম্মদ আসলাম কার্ডবোর্ড, ফোম ইত্যাদির তৈরি একটি মডেলের সাহায্য নিলেন। মডেলটিতে ধানক্ষেত, ফুল-ফলের বাগান, পুকুর, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি যেমন ছিল খামার বাড়ি, কুমোর বাড়ি ইত্যাদি। শিক্ষকের পাঠদানে ছাত্রছাত্রীরা যেমন খুশি হলো তেমনি তিনি নিজ উদ্দেশ্য তথা সমাজ গঠনে কৃষির ভূমিকা বোঝাতে সক্ষম হলেন।
ক. আদি কৃষি সমাজ কী?
খ. গ্রামীণ শ্রম বিভাজন বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের মডেলের সাহায্যে সামাজিক শ্রম বিভাজন বুঝাতে পারা যায় বর্ণনা কর।
ঘ. সমাজ গঠনে কৃষির ভূমিকা উদ্দীপকের আলোকে বর্ণনা কর।
১৩. রানী সাহা নানা জাতের শীতকালীন লাউয়ের গাছ লাগিয়েছিলেন, এদের কোনটি আকারে ছোট আবার কোনটি আকারে বড়। কেননা কোনো গাছে প্রচুর লাউ ধরেছিল আবার কোনো কোন গাছে এ সংখ্যা অনেক কম।
ক. সামন্ত প্রভু বলতে কাদের বোঝানো হয়?
খ. আঁশ ফসল উৎপাদনে কৃষকের কীরূপ ভূমিকা রয়েছে?
গ. রীনা সাহার মতো নারীরা কীভাবে কৃষির সূচনা করেছিল? বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে “কৃষি ও নারী একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ” উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
১৪. প্রাচীনকালে মানুষ গুহায় বাস করত। তখন তারা কৃষিকাজ করতে জানত না। কিন্তু কালের পরিক্রমায় নারীরা প্রথম কৃষির সূচনা করেছিলেন। ভিন্ন ভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষ মিলে সমাজ গঠন করে। অর্থা উপার্জনের জন্য বেশির ভাগ মানুষ কৃষিকে অবলম্বন হিসেবে মেনে নেয়। কোন ঋতুতে কোন ফসল উৎপাদন করা যায় মানুষ তা বুঝল, ফলে উৎপাদন দ্রুতই বাড়তে লাগল। এভাবেই মানুষ বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে কৃষিকে উন্নত থেকে উন্নততর করেছে।
ক. কৃষিকাজ গুরুর আগে মানুষ কয়টি উপায়ে খাদ্য সংগ্রহ করত?
খ. নারীরাই প্রথম কৃষির সূচনা করেছিলেন। ব্যাখ্যা কর।
গ. সমাজ বিবর্তনে কৃষি কিরূপ ভূমিকা রেখেছে উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর।
ঘ. “মানুষ বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে কৃষিকে উন্নত থেকে উন্নততর করেছে”- বিশ্লেষণ কর।
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ৭ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। এছাড়াও ৭ম শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ সাজেশন রয়েছে কোর্সটিকায়। যা তোমরা বিনামূল্যে পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post