৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩ : প্রিয় শিক্ষক, আপনি ইতোমধ্যেই জানেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বছরে দুইটি সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত রাখা হয়েছে, যার মধ্যে একটি ইতোমধ্যে বছরের শুরুর ছয় মাসের শিখন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বাংলা বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া আছে।
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩
শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে আপনারা মূল্যায়ন করেছেন। যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি এসাইনমেন্ট বা কাজ শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করতে হয়েছে, বাৎসরিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও অনুরূপ একটি নির্ধারিত কাজ/ এসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা সমাধান করবে। এই কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, কাজের প্রক্রিয়া, ফলাফল, ইত্যাদি সবকিছুই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে।
মূল্যায়নের নির্ধারিত কাজ/ এসাইনমেন্ট শুরু করে এই কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্নভাবে আপনি শিক্ষার্থীকে সহায়তা দেবেন, তবে কাজের প্রক্রিয়া কী হবে বা সমস্যা সমাধান কীভাবে করতে হবে তা শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। কাজের বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকে আপনি শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা কীভাবে নিরূপণ করবেন, তার বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তী অংশে দেয়া আছে।
শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই বাংলা বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন চলমান আছে, যা শিখন অভিজ্ঞতাসমূহের বিভিন্ন ধাপে আপনারা পরিচালনা করছেন। এই মূল্যায়নের একটা বড় অংশ হলো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ফিডব্যাক প্রদান, যার মূল উদ্দেশ্য তাদের শিখনে সহায়তা দেয়া।
এই চলমান মূল্যায়নের তথ্য শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই, তাদের করা বিভিন্ন কাজের নমুনা যেমন: পোস্টার, মডেল, প্রশ্নপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদির মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এর বাইরেও বছর জুড়ে প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা শেষে নির্ধারিত পারদর্শিতার নির্দেশক ব্যবহার করে আপনারা শিখনকালীন মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড রেখেছেন।
এছাড়া ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময় নির্ধারিত কাজের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকের সাহায্যে আপনারা মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করেছেন। পরবর্তীতে শিখ্যকালীন মূল্যায়নের চও ইনপুট এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের চও ইনপুট এর সমন্বয়ে আপনারা ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।
ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের মতোই বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে এবং তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকসমূহ ব্যবহার করে তার মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করতে হবে। এই মূল্যায়নের তথ্যের সাথে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং বাকি শিখন অভিজ্ঞতাগুলোর শিখনকালীন মূল্যায়নের PI ইনপুট এর সমন্বয় করে শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ট্রান্সক্রিপ্ট ও রেকর্ড প্রস্তুত করতে হবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির নির্দেশনা
শুরুতেই ষান্মাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালিত হবে তার নিয়মাবলি শিক্ষার্থীদের জানাবেন। এই মূল্যায়ন চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা কী সেটা যেন তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে। সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিন যাতে সবাই ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে।
শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য প্রদত্ত কাজটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে সর্বমোট তিনটি সেশন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দুইটি সেশনে ৯০ মিনিট করে, এবং শেষ সেশনে দুই ঘণ্টা (বা বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা অনুযায়ী) সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কাজগুলো শেষ করবেন। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হলে শিক্ষক শেষ সেশনে কিছুটা বেশি সময় ব্যবহার করতে পারেন। বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের প্রদত্ত রুটিন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ কাজ সেশন চলাকালেই করবে, বাড়িতে গিয়ে করার জন্য খুব বেশি কাজ না রাখা ভালো। মনে রাখতে হবে এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে এবং পুরো অভিজ্ঞতাটি যেন তাদের জন্য আনন্দময় হয়। উপস্থাপনে যথাসম্ভব বিনামূল্যের উপকরণ ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেবেন, উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকদের যাতে কোনো আর্থিক চাপের সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিন, মডেল/পোস্টার/ছবি ইত্যাদির চাকচিক্যে মূল্যায়নে হেরফের হবে না। বরং বিনামূল্যের বা স্বল্পমূল্যের উপকরণ, সম্ভব হলে ফেলনা জিনিস ব্যবহারে উৎসাহ দিন। বিষয়ভিত্তিক তথ্যের প্রয়োজনে পাঠ্যবই বা যেকোনো উৎস শিক্ষার্থী ব্যবহার করতে পারবে। তবে কোনো উৎস থেকেই হুবহু তথ্য তুলে দেয়ায় উৎসাহ দেবেন না, বরং তথ্য ব্যবহার করে সে নির্ধারিত সমস্যার সমাধান করতে পারছে কি না, এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারছে কি না তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করবেন।
বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত শিখন যোগ্যতাসমূহ
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালে ইতোমধ্যে এই শ্রেণির জন্য নির্ধারিত সকল যোগ্যতা চর্চা করার সুযোগ পেয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ নির্বাচন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অর্পিত কাজটি সাজানো হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ:
শিখন যোগ্যতা ৭.১: প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপযুক্ত তথ্য নির্বাচন, সংগ্রহ, ব্যবহার, সংরক্ষণ করা ও তথ্যের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে পারা।
শিখন যোগ্যতা ৭.২: অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত, কারিগরি ও ব্যবহারিক দিক বিবেচনা করে কোন বাস্তব সমস্যাকে বিশ্লেষণ পূর্বক তার সমাধানের জন্য অ্যলগরিদম ডিজাইন ও ডায়াগ্রামের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারা এবং তা প্রোগ্রামে রূপ দিতে পারা।
শিখন যোগ্যতা ৭.৩: বিভিন্ন ধরণের (তারযুক্ত, তারবিহীন ইত্যাদি) নেটওয়ার্কে তথ্যের আদান প্রদান ও সম্প্রচার কীভাবে হয় এবং তথ্যের সুরক্ষা কীভাবে হয় তা পর্যালোচনা করতে পারা।
শিখন যোগ্যতা ৭.৪: ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে নাগরিক সেবা ও ই-কমার্স সম্পর্কিত সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারা।
শিখন যোগ্যতা ৭.৫: সাইবার ক্রাইমের সামাজিক ও আইনগত দিক পর্যালোচনা করে নীতিগত অবস্থান নির্ধারণ করতে পারা।
শিখন যোগ্যতা ৭.৬: প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযুক্ত শিষ্টাচার বজায় রাখা।
কাজের সারসংক্ষেপ:
বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্পঃ ‘সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক’
প্রকল্প মূলভাবনা:
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে দুইটি সমস্যা সমাধানে দুটি হেল্প ডেস্ক তৈরি করবে
১। থিম ১ – সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক,
২। থিম ২ – নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে হেল্প ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দল তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং আশেপাশের মানুষজন সাইবার নিরাপত্তা জনিত কি কি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চিহ্নিত করবে। প্রয়োজনে শিক্ষক এবং অভিভাবকের সহায়তা নিয়ে ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করবে।
শিক্ষার্থীদের অন্য কয়েকটি দল তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষদের কী ধরনের নাগরিক সেবা প্রয়োজন হয় তা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চিহ্নিত করবে। এক্ষেত্রেও প্রয়োজনে তারা শিক্ষক এবং অভিভাবকের সহায়তা নিয়ে নাগরিক সেবার ধরনগুলো চিহ্নিত করবে।
প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা শিক্ষার্থীদের দলগুলো অনুসন্ধান করে নির্ণয় করবে। একই ভাবে প্রতিটি নাগরিক সেবা সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান শিক্ষার্থীদের অন্য দলগুলো অনুসন্ধান করে নির্ণয় করবে। অনুসন্ধান ও সমস্যা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই, অন্যান্য বই, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি এবং পরিবারের সদস্যদের সহায়তা নিতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের দলগুলো উল্লেখিত দুটি ক্ষেত্রের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দুটি হেল্প ডেস্ক তৈরি করবে। হেল্প ডেস্ক দুটিতে কোড অনুসরণ করে সমস্যার তালিকা থাকবে এবং সমস্যার সমাধানগুলোও কোড অনুসারে সাজাতে হবে। যে সকল সমস্যা তালিকায় থাকবে না সেগুলো সমাধানের জন্য আরেকটি হেল্প ডেস্ক থাকবে যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দল থেকে দুই জন করে সদস্য থাকবে সমস্যা সমাধানে সহায়তা প্রদানের জন্য।
এক দলের শিক্ষার্থীরা আরেক দলের হেল্প ডেস্ক থেকে নিজেদের সমস্যার সমাধান নিবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হেল্প ডেস্ক গুলো বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সকলে হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সেবা নিতে পারবে। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য যারা হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সেবা নিবে তারা সেবার মান সম্পর্কে ২/৩ লাইনে রিভিউ লিখবে কার্যক্রম শেষে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ৩০ মিনিট সময় পাবে যে সময় তারা তাদের এই পুরো অভিজ্ঞতাটি সম্পর্কে প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করবে। প্রতিবেদনে এই পুরো কাজটি কীভাবে হয়েছে তা ফ্লোচার্ট এঁকে প্রকাশ করে দেখাবে এবং হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া যদি তারযুক্ত বা তারবিহীন নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে করা হতো তাহলে কি করতে হতো তা লিখে প্রকাশ করবে।
ধাপ ১ (প্রথম কর্মদিবস : ৯০ মিনিট)
শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে জোড় সংখ্যক দলে ভাগ করে দিবেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন দলেই যেন ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী না থাকে। দলগুলোকে ১,২,৩, এভাবে নামকরণ (নম্বরিং) করবেন। থিম ১- সাইবার নিরাপত্তা হেল্প ডেস্ক বেজোড় নম্বর (১, ৩, ৫…) দলগুলো এটি তৈরির কাজ করবে।
থিম ২- নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক জোড় নম্বর ( ২, ৪, ৬…) দলগুলো এটি তৈরির কাজ করবে।
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে যে দলগুলো কাজ করবে তারা দলে বসে তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজন কী ধরনের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তার তালিকা তৈরি করবে।
একই ভাবে নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সব সদস্য দলে বসে তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের কী ধরনের নাগরিক সেবা প্রয়োজন হয় তার তালিকা তৈরি করবে।
দুই দলকেই শিক্ষক সমস্যা চিহ্নিতকরণে যথাযথ সহায়তা প্রদান করবেন। পাশাপাশি এক দল অন্য দলকেও সমস্যা চিহ্নিত করণে সহায়তা প্রদান করবে। সবগুলো সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবার শিক্ষার্থীরা মিলে একটি কাগজে লিখে ফেলবে। প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিকে আলাদা আলাদা কোডিং (নাম্বারিং) করবে। একই ভাবে সবগুলো নাগরিক সেবাকেও শিক্ষার্থীরা একটি কাগজে লিখে ফেলবে এবং আলাদা আলাদা কোডিং (নাম্বারিং ) করবে।
শিক্ষার্থীরা যেসকল সাইবার নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি / সমস্যা চিহ্নিত করেছে সেগুলোকে শিক্ষক বেজোড় নম্বর দলগুলোর মাঝে ভাগ করে দিবেন। প্রতিটি দল তাদের জন্য নির্ধারিত ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলার উপায় নির্ণয় করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.১ ও ৭.৮ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.১.১ ও
৭.৮.১ মূল্যায়ন করতে হবে। একইভাবে অন্যদলের শিক্ষার্থীরা যেসকল নাগরিক সেবা চিহ্নিত করেছে সেগুলোকে শিক্ষক জোড় নম্বর দলগুলোর মাঝে ভাগ করে দিবেন। প্রতিটি দল তাদের জন্য নির্ধারিত নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিগুলো নির্ণয় করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখবে। শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.১ ও ৭.৫ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.১.১ ও ৭.৫.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩
শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাঝে কাজগুলো এমনভাবে ভাগ করে নিবে যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই কোন না কোন সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বা নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি নিয়ে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের কাজটি শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে জিজ্ঞেস করে, বিভিন্ন বই পড়ে বা ইন্টারনেট থেকে সহায়তা নিয়ে করতে পারবে। কর্মদিবস ২ শুরুর আগেই তথ্যগুলো (সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি ও নাগরিক সেবার প্রাপ্তির পদ্ধতি) সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখে ফেলতে হবে।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে কর্মদিবস ২ এর কাজ বুঝিয়ে দিবেন। কর্মদিবস ২ এর কাজ হবে হেল্প ডেস্ক তৈরি কওে নিজেরা সেগুলো থেকে সাহায্য পাচ্ছে কিনা তা যাচাই করা। হেল্প ডেস্ক তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হল-
প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলার উপায়কে আলাদা খামে ভরে কোডিং করা। (বিজোড় নম্বর দলগুলোর কাজ) প্রতিটি নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিকে আলাদা খামে ভরে কোডিং করা। (জোড় নম্বর দলগুলোর কাজ) প্রতিটি সমাধানের কোডের সাথে পোস্টারে লেখা সমস্যার (প্রথম কর্মদিবসের কাজ ২) কোডিং এর যেন মিল থাকে তা নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানগুলো আলাদা আলাদা খামে ভরে সমস্যার তালিকা অনুসারে কোডিং করবে। কোডিং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছেমত সংখ্যা বা বর্ণ হেল্প ডেস্ক দুটি তৈরি করে সমস্যার তালিকাগুলো নিজ নিজ হেল্প ডেস্কের সামনে ঝুলিয়ে দিবে এবং ডেস্কের উপর সমাধানের খামগুলো সাজিয়ে রাখবে। শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.২ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.২.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের হেল্প ডেস্ক গুলো কাজ করছে কি না তা নিজেরা যাচাই করবে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সদস্যরা নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর হেল্প ডেস্কে যাবে এবং নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সদস্যরা সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর হেল্প ডেস্কে যাবে।
এভাবে দুটি হেল্প ডেস্ক থেকেই প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে কিনা তা শিক্ষার্থীরা নিজেরা যাচাই করে দেখবে। হেল্প ডেস্কগুলোতে কোন ধরনের সমস্যা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীরা একে অপরকে তা সমাধান করতে সহায়তা করবে।
মূল্যায়ন উৎসবের দিন শিক্ষার্থীদেরকে যে প্রতিফলনমূলকও প্রতিবেদনটি লিখতে হবে সেটি সম্পর্কে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ধারণা প্রদান করবেন।
প্রতিবেদনের কিছু কাজ শিক্ষার্থীরা এই সেশনে করবে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ দলের কাজগুলো কীভাবে করেছে তা ফ্লোচার্ট এঁকে প্রকাশ করবে। একই সাথে এই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করেছে তাও শিক্ষার্থীরা নির্ণয় করবে।
অর্থ্যাৎ দুইটি দলেরই শিক্ষার্থীর পুরো কার্যক্রমের মধ্যে নেটওয়ার্ক এর বিভিন্ন উপাদান কিভাবে কাজ করেছে তা লিখবে। শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.২ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.২.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ভাবে তাদের প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদনটি তৈরি করবে। প্রতিবেদনে শিক্ষার্থী পুরো কাজটি করতে গিয়ে নিজেদের অনুভূতি লিখবে, নতুন কি জানতে পারল তা লিখবে। প্রতিবেদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই পুরো কাজটি যদি তারা তারবিহীন এবং তারযুক্ত নেটওয়ার্কের সাহায্য করত তাহলে তারা কীভাবে করত বলে সে মনে করে। (এখানে শিক্ষার্থী বন্ধু নেটওয়ার্কে ভাব বিনিময়’ অভিজ্ঞতাটি থেকে যা নতুন যা জেনেছে বা অভিজ্ঞতা করেছে তার ভিত্তিতে লিখবে)
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.৩ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.৩.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
আরো দেখো: ৭ম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়নের সমাধান
শিক্ষার্থীরা, তোমাদের ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩ উপরের ‘নির্দেশিকা PDF’ অপশনে ক্লিক করে সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post