৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২০২৩ ১ম অধ্যায় ফসলের ডাক প্রশ্ন উত্তর : চাষাবাদযোগ্য উদ্ভিদ অথবা কৃষিজাত উৎপাদিত পণ্যই হলো ফসল। যেমন- ধান, গম, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি। এ শিখন অভিজ্ঞতার প্রথমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে কোন কোন ধরনের ফসল উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তা অনুসন্ধান করবে।
এই জন্য তারা সরাসরি কৃষিক্ষেত্র পরিদর্শন করতে পারে, এছাড়া বাবা-মা, প্রতিবেশী, বা কমিউনিটির সংশ্লিষ্ট মানুষ যেমন এলাকার কৃষিজীবী মানুষ বা নার্সারিতে কর্মরত আছেন এমন কারো কাছ থেকে তথ্য নিতে পারে। এরপর তারা ঐ এলাকার মাটি বা পরিবেশের কোনো বৈশিষ্ট্যের জন্য নির্দিষ্ট ধরনের ফসল বা উদ্ভিদ এই এলাকায় বেশি জন্মে সে সম্পর্কে অনুসন্ধান করবে।
৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২০২৩ ১ম অধ্যায় ফসলের ডাক প্রশ্ন উত্তর
এছাড়া কীভাবে ভাল চারা নির্বাচন করতে হয়, পরিচর্যা করতে হয় সে বিষয়েও তথ্য অনুসন্ধান করবে। এই ধাপে এলাকার কোন কৃষিজীবীকে ক্লাসে আমন্ত্রণ জানানো হবে যিনি অতিথি শিক্ষক হিসেবে তার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের ব্যাখ্যা করবেন। এই সকল আলোচনার মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থী কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে কীভাবে ফসল/উদ্ভিদের নতুন জাত সৃষ্টি হয় বা অধিক উৎপাদনশীল জাতের ফলন বাড়ানো হয় এই বিষয়গুলো জানবে।
এই আলোচনার সূত্র ধরে উদ্ভিদের প্রজাতির বৈচিত্র্য কীভাবে সৃষ্টি হয় সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং তার প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবর্তন ও অভিযোজন বিষয়ে ধারণা তৈরি করবে। সবশেষে শিক্ষার্থীর কাজ হবে সরাসরি কৃষিকাজে অংশ নিয়ে নিজেদের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানো।
এই শিখন অভিজ্ঞতা শেষ হয়ে গেলেও তার এই কর্মকা- চালু থাকবে এবং শিক্ষক বছরের বিভিন্ন সময়ে তাদের নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দেবেন।
সেশন শুরুর আগে
বাংলাদেশের এলাকা/অঞ্চলভিত্তিক ফসলের তালিকা:
উত্তর : বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ। এই দেশের সব এলাকায় সব ধরনের ফসল ভালো ফলে না, আবার একই ফলের স্বাদ সব এলাকার মাটিতে একই রকম হয় না। বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া ও মাটির কিছু বিশেষ গুণাগুণ থাকে, যার ফলে সেখানে কোন নির্দিষ্ট ফসল/উদ্ভিদ ভালো জন্মে। নিম্নে বাংলাদেশের কিছু এলাকাভিত্তিক ফসল/উদ্ভিদের তালিকা দেওয়া হলো :
১. রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা:
আম, লিচু, গম, ধান।
২. রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও:
লিচু, আম, গম, আখ।
৩. ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর:
কাঁঠাল, আনারস, ধান।
৪. ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী:
আলু, কলা, লটকন।
৫. ফরিদপুর, মাদারিপুর, শরিয়তপুর, কুষ্টিয়া, যশোর:
খেজুর, ধান, পাট, আখ, সরিষা।
৬. কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী:
সুপারি, নারিকেল।
৭. সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার:
চা, আনারস।
৮. চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান:
চা, আনারস, কলা।
৯. বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা:
নারিকেল, সুপারি, ধান, বাদাম, তরমুজ, পান পাতা।
১০. খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট:
বড়ই, সুপারি, তরমুজ।
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
সেশনের শুরুতে তোমরা তোমাদের এলাকায় কোন কোন ফসল বা উদ্ভিদ ভালো হয় এই সম্পর্কে যা যা তথ্য পেয়েছ, তা ক্লাসের সবার সাথে আলোচনা করো। নতুন কোনো উদ্ভিদের নাম কি কেউ বলেছে যা সম্পর্কে তুমি আগে জানতে না? নিচে তোমার পাওয়া তথ্য এবং বন্ধুদের কাছ থেকে যা শুনলে তা টুকে রাখো- (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৭)
উত্তর : আমাদের এলাকায় (রাজশাহী) যেসব ফসল বা উদ্ভিদ ভালো জন্মায় তাদের নাম :
আমার পাওয়া তথ্য-
আম, লিচু, ধান, পাট, গম, মরিচ, সরিষা, পান, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা।
বন্ধুদের কাছ থেকে নতুন যা জানলাম-
বোনা আমন, রোপা ধান, আখ, কলা, টমেটো, পেঁয়াজ।
অতিথি শিক্ষকের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নিচের ছক পূরণ করো- (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
উত্তর : (বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
অতিথি শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচে নোট করে রাখতে পারো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৯)
১. ভালো ও অধিক ফলনশীল জাত বাছাই করতে হবে।
২. প্রয়োজনে বীজ/কলম শোধন করে নিতে হবে।
৩. ইউরিয়া সার কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৪. ফল গাছ লাগানোর পর খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পানি আটকে গেলে দ্রুত নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. মাধ্যমিক পরিচর্যামূলক কাজ করতে হবে।
৭. ফল গাছের ক্ষেত্রে ফল ছাঁটাই করতে হবে।
৮. সঠিক সময়ে ফল/ফসল আহরণ করতে হবে।
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন
Quick Notes
১. একটা নতুন জাতের ফল বা ফসলের উদ্ভব হয় কীভাবে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১০)
উত্তর : নির্দিষ্ট কিছু বৈজ্ঞানিক কর্মপদ্ধতির ধাপ বা প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে একটা নতুন জাতের ফল বা ফসলের উদ্ভব হয়।
২. হরিপদ কাপালী কীভাবে নতুন ধানের জাত খুঁজে পেলেন? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১০)
উত্তর : হরিপদ কাপালী ছিলেন একজন সাধারণ চাষি। তিনি তার ক্ষেতে ইরি ধান লাগিয়েছিলেন, সেই ক্ষেতের ধান পরীক্ষা করতে করতে হঠাৎ করে দেখলেন কিছু গাছ তুলনামূলকভাবে বড় এবং সেখানে ধানের ফলন হয়েছে বেশি । তিনি সেগুলো অন্য ধানের সাথে না মিশিয়ে আলাদা করে রাখলেন। পরবর্তীতে তিনি এ ধানের বীজগুলো আলাদাভাবে চাষ করেন ও যতœ নেন। এইভাবে হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত খুঁজে পেলেন।
৩. যে প্রক্রিয়ায় হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত আবিষ্কার করলেন তার ধাপগুলো কী কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১০)
উত্তর : হরিপদ কাপালীর ধানের জাত আবিষ্কারের ধাপগুলো হলো-
পর্যবেক্ষণ: ক্ষেতের কিছু গাছ তুলনামূলকভাবে বড় এবং সেখানে ধানের ফলন বেশি হয়েছে।
প্রশ্ন করা: পর্যবেক্ষণকৃত ধান বীজগুলো উচ্চ ফলনশীল জাতের কিনা?
সম্ভাব্য ব্যাখ্যা: পর্যবেক্ষণকৃত ধান বীজগুলো উচ্চফলনশীল জাতের হওয়ায় ফলন বেশি হয়েছে।
পরীক্ষা করা: পর্যবেক্ষণকৃত বীজগুলো আলাদা করে সেগুলো আবার নতুন করে লাগালেন। দেখা গেল সেগুলো বেশ বড় হয়েছে এবং অনেক বেশি ফলন পাওয়া গেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ: পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিলেন- ধান বীজগুলো উচ্চ ফলনশীল জাতের।
৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২০২৩ ১ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
৪. জীববৈচিতত্র্যের স্বরূপ কেমন? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১১)
উত্তর : পৃথিবীতে উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীবসহ সকল জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকেই জীববৈচিত্র্য বলা হয়। পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জীব ঐ অঞ্চলের পরিবেশ অনুযায়ী অভিযোজিত হয়। কোন অঞ্চলের জীবগোষ্ঠী এবং পরিবেশের জড় উপাদান নিয়ে যে সিস্টেম তৈরি হয়, তাকে ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র বলে। এই বায়ুতন্ত্রকে “বায়োম”ও বলা হয়।
পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তুতন্ত্র গড়ে ওঠে। যেমন- সবুজ বনভূমিতে, বরফে ঢাকা তুন্দ্রা অঞ্চলে কিংবা পুকুর, হ্রদ বা সাগরের পানির নিচে বাস্তুতন্ত্রের ধরন একে অপরের চেয়ে আলাদা। অর্থাৎ, বায়োম হলো একটি বিশাল এলাকা যা এই এলাকার গাছপালা, মাটি, জলবায়ু এবং বন্যপ্রাণী দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
৫. বিভিন্ন জীবের মধ্যকার জীব বৈচিতত্র্যের উদ্ভব ঘটে কীভাবে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১১)
উত্তর : নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই জীবের এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যাবার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে। যে কারণে আমরা দেখতে হুবহু আমাদের মা বাবার মতো না হয়ে একটু হলেও আলাদা হই। এভাবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে এই ছোট পরিবর্তনগুলো ঘটতে ঘটতে এক পর্যায়ে এমন বৈশিষ্ট্যের নতুন জীব দেখা দেয় যা সেগুলোর আদি পূর্বপুরুষ থেকে অনেক আলাদা।
এইভাবে দীর্ঘ সময় ধরে জীবের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার যে প্রক্রিয়া, তাকে বলা হয় বিবর্তন। বিবর্তন এবং অভিযোজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যই জীবজগতের সদস্যদের একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা করে তুলেছে। যে জীবগুলো সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত ও অভিযোজিত হয়ে এক অপরের থেকে এতটাই আলাদা হয়ে গেছে যে, সেগুলোর আর একে অপরের সঙ্গে প্রজননে অংশ নিতে পারে না, সেগুলো আলাদা প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেসব জীব একে অপরের সাথে প্রজনন করতে পারে, সেগুলোকে সাধারণত একই প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৬. আমাদের চারপাশে যে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীব আছে এদের বৈশিষ্ট্য কেন আলাদা হয়? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১১)
উত্তর : পরিবেশগত এবং জিনগত উপাদানের পার্থক্য জীবের আলাদা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী। এছাড়া বিবর্তন এবং অভিযোজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যের কারণেও জীবের মধ্যে আলাদা বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব ঘটে।
৭. জীববৈচিত্র্য কখন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১১)
উত্তর : মানুষ যখন নিজের প্রয়োজনে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে বাস্তুতন্ত্রকে বিশৃঙ্খল করে তোলে তখনই জীববৈচিত্র্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। পৃথিবীর বেশির ভাগ জীববৈচিত্র্যই মানুষের ব্যবহার এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
৮. জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি হ্রাসের উপায় কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১১)
উত্তর : জীববৈচিত্র্যে ঝুঁকি হ্রাসের উপায়গুলো হলো-
১. প্রাকৃতিক পরিবেশের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা অর্থাৎ সেখানে যেমন অবস্থায় আছে তেমন অবস্থায় রাখা।
২. বেশি করে বৃক্ষ রোপণ করা।
৩. জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা।
৪. রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া।
৫. প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলা।
৬. বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার রোধ করা।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন
তোমাদের এলাকার যেসব ফসল বা উদ্ভিদের কথা তোমরা আগে আলোচনা করেছ, সেগুলোর বৈশিষ্ট্য আবার ভেবে দেখো। তোমাদের মাটি বা পরিবেশের কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য এসব উদ্ভিদকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে? দলে আলোচনা করে তার ভিত্তিতে নোট করে নাও। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১১ ও ১২)
● আম:
১. গভীর, সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআশ মাটি।
২. বর্ষায় পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু, মাঝারি উঁচু জমি।
৩. উপযোগী তাপমাত্রা।
● লিচু:
১. গভীর, সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআঁশ মাটি।
২. বর্ষায় পানি দাঁড়ায় না এমন জমি।
৩. উপযোগী তাপমাত্রা।
● ধান:
১. মাঝারি উঁচু, মাঝারি নিচু জমি।
২. পলি, দোআঁশ ও এটেল দোআঁশ মাটি।
৩. সূর্যালোক পড়ে এমন জমি
● গম:
১. উঁচু ও মধ্যম উঁচু জমি।
২. পলি দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি।
৩. শীত প্রধান আবহাওয়া।
● টমেটো:
১. আলো-বাতাসযুক্ত উর্বর দোআঁশ মাটি।
২. বর্ষায় পানি দাঁড়ায় না এমন জমি।
● মরিচ:
১. সুনিষ্কাশিত দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ মাটি।
২. প্রচুর আলো-বাতাসপূর্ণ পরিবেশ।
প্রশ্ন: তোমার দলের সদস্যদের নাম নিচে লেখো- (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৩)
উত্তর : আমার দলের নাম: পদ্ম ফুল।
দলের সদস্যদের নাম : ১. রাকিব, ২. স্বপন, ৩. মীনা, ৪. সোনালি, ৫. রূপক।
প্রতি সপ্তাহে একবার তোমার পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিচের ছকে নোট নাও। যে অভিজ্ঞ পেশাজীবীর কাছ থেকে কাজ শিখবে ছকের নিচে তার স্বাক্ষরও নেবে। মাসে একবার সেশনের ফাঁকে শিক্ষকসহ অন্যান্য দলের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৩)
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২০২৩ ১ম অধ্যায় ফসলের ডাক প্রশ্ন উত্তর
ফিরে দেখা
১. ফসলের মাঠ/নার্সারি/ছাদ বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেছে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৬)
উত্তর : ফসলের মাঠ/নার্সারি/ছাদ বাগানে কাজ করতে আমাদের ভালো লেগেছে। এই কাজ করার সময় আমরা নতুন নতুন জিনিস শিখেছি। আমরা কাজ করার সময় গাছ-পালা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কে অনেক নতুন ধারণা লাভ করেছি, কাজ করার শুরুতে বিভিন্ন প্রকার মাটি ও আবহাওয়া সম্পর্কে জেনেছি।
এরপর বিভিন্ন উদ্ভিদ ও এদের রোপণ করার সময় সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছি। তারপর নিজ হাতে গাছের চারা লাগিয়েছি, যা ছিল খুবই আনন্দদায়ক। আমরা গাছে নিয়মিত পানি ও প্রয়োজনমতো সার দিয়েছি। গাছগুলো যখন বেড়ে উঠছিল তখন এক অনন্য অনুভূতিতে আমাদের মন-প্রাণ ভরে গিয়েছিল।
২. এ কাজে তোমরা নতুন কী কী শিখেছ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৬)
উত্তর : ফসলের মাঠ/নার্সারি/ছাদ বাগানে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখেছি। যেমন-
১. মাটির প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছি। কোন ফসলের জন্য কোন মাটি ভালো তা জেনেছি।
২. কোন আবহাওয়া বা কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে তার ধারণা পেয়েছি।
৩. ফসলের বীজতলা প্রস্তুতি ও জমি প্রস্তুতি কীভাবে করতে হয় তা শিখেছি।
৪. কিভাবে ভালো বীজ ও ভালো চারা বাছাই করতে হবে তার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছি।
৫. বিভিন্ন প্রকার সার ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছি।
৬. ফসলের পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি।
৭. কীটনাশক, জৈব সার এর ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করেছি।
৮. ফসল তোলার সঠিক সময় সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছি।
আরো দেখো: ৭ম শ্রেণির বাংলা সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, উপরে আমরা তোমাদের ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২০২৩ ১ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করেছি। তোমাদের মূল বইতে যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা ঠিক সেভাবেই উত্তরগুলো তৈরি করেছি। উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post