৮ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যেসব ফসল লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল বলে। নারিকেল, সুপারি, সুপারবিট, তুলা ইত্যাদি লবণাক্ততা সহিষ্ণু বলে।
২. অনাবৃষ্টি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যদি শুষ্ক মৌসুমে একটানা ১৫ দিন বা এর বেশি না হয় তখন তাকে অনাবৃষ্টি বলে। অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয়। অনাবৃষ্টির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য সেচ দেওয়া হয়।
৩. ফসলের বিরূপ আবহাওয়ার একটি ক্ষতিকর দিক ব্যাখ্যা কর?
উত্তর: ফসলের বিরূপ আবহাওয়ার একটি ক্ষতিকর দিক হলো খরা অবস্থায় ফসল উৎপাদস ব্যাহত হয়। কারণ এ অবস্থায় মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দেয়। ফসল প্রয়োজনীয় পানি ও খনিজ পদার্থ উত্তোলনে ব্যর্থ হয়। এতে ফসলের শলীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্টভাবে সম্পাদিত হয় না।
৪. মাটিতে রসের ঘাটতি হলে কী সমস্যা হয়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মাটিতে রসের ঘাটতি হলে কী দেখা দিলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। যেমন: ১. ফসল বা উদ্ভি তার দেহের জন্য প্রযোজনীয পানি সংগ্রহ করতে পারে না। ফলে তারা নেতিয়ে পড়ে এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। ২. ফসল বা উদ্ভিদ মূল দিয়ে পানি সংগ্রহের সময় পুষ্টি উৎপাদন ও সংগ্রহ করে। মাটিতে রসের ঘাটতির ফলে উদ্ভিদ এসব পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করতে পারে না ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
৫. মাটির ছিদ্র নষ্টকরণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: খরাপ্রবণ এলাকায় বৃষ্টির মৌসুম শেষ হওয়ার পরমাটিতে জো আসার সাথে সাথে অগভীর চাষ দিয়ে রাখতে হবে। এতে মাটির উপরিভাগের সূক্ষè ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সূয়ের তাপে মাটির রস শুকিয়ে যাবে না। একে মাটির ছিদ্র নষ্টকরণ বলে।
৬. উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভেটকি, বাটা, পারশে চাষ করা হয় কেন?
উত্তর: উপকূলবর্তী অঞ্চলে পানি লবনাক্ত। এই অঞ্চলে লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় লবনাক্ততা সহনশীল মাছের পোনা চাষ করতে হয়। ভেটকি, বাটা, পারশে লবনাক্ততা সহনশীল মাছের পোনা। তাই এগুলোকে উপকূলবর্তী অঞ্চলে চাষ করা হয়।
৭. জাবড়া প্রয়োগে জমির আর্দ্রতা সংরক্ষণ হয় কেন?
উত্তর: শুকনা খর, লতাপাতা, কচুরিপানা দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে রস সংরক্ষিত করে। কারণ সূর্যের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হতে পারে না। ফলে মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষিত হয়।
৮. ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয় কেন?
উত্তর: বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ যেমন: খরা, লবনাক্ততা, বন্যা ইত্যাদি। এছাড়া বিরূপ আবহাওয়া, যেমন: জলাবদ্ধতা, অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
৯. অতিবৃষ্টি ফসলের জন্য ক্ষতিকর কেন?
উত্তর: অতিবৃষ্টি ফসলের জন্য ক্ষতিকর কারণ এর ফলে মাঠ- ঘাট, ফসলের জমিতে পানি জমে যায়। অনেক ফসলের গাছ গোড়া নড়ে নেতিয়ে বা হেলে পড়ে। এ সময় শাকসবজির মাঠ বেশি ক্ষতেগ্রস্থ হয়।
১০. শিলাবৃষ্টি ফসলের জন্য ক্ষতিকর কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শিলাবৃষ্টি হলে বৃষ্টির সাথে যে বড় বড় বরফ খন্ড পড়ে সেগুলো মাঠের ফসল বা চারাগাছ অথবা ফসলে আঘাত করে। এতে চারাগাছ বা ফসল ভেঙে যায়, ফল ঝড়ে যায় বা ফেটে যায় এবং আঘাতপ্রাপ্ত ফল অতি দ্রুত নষ্ট হযে যায়। এতে ফলন ব্যাপক কমে যায় অথবা কেনো ফলন পাওয়া যায় না।
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ৮ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post