কোর্সটিকায় আজকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় সেশন ১ আলোচনা করা হবে। কোর্সটিকায় আজকে আলোচনাকৃত সেশনটি হচ্ছে নাগরিক সেবার শ্রেণিবিন্যাস। এই সেশনে যে কাজগুলো করতে বলা হয়েছে সে কাজগুলো একটি ক্লাসের মাধ্যমে তোমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই সেশন আলোচনা শেষে, এই সেশনের উপর পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত একটি ক্লাস দেওয়া হবে তোমাদের।
শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে সহজ করার উদ্দেশ্য আজকে ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে। এখানে, ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রতিটি পড়াকে সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির মতো ৮ম শ্রেণির প্রতিটি বইয়ের সমাধান এভাবে পড়লে তোমরা সেই পড়া সহজে বুঝতে পারবে। সেই সাথে তোমাদের পাঠ্যবইয়ের পড়াগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তর ধারণা পাবে।
৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় সেশন ১
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা বিজ্ঞান বইটির একটি সফটকপি সে তার মায়ের মোবাইলে ডাউনলোড করতে চায়। সে এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই তা ডাউনলোড করে এখন যেকোন সময়ে বিজ্ঞান বিষয়ের পাঠগুলো পড়ে নিতে পারছে। এই যে অহনা একটি সেবা পেল সেটিকে আমরা বলি নাগরিক সেবা। এনসিটিবি সারা দেশের সকল শিক্ষার্থীর কাছে বই পৌঁছে দেয়ার সাথে সাথে ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এই নাগরিক সেবাটি দিচ্ছে।
নাগরিক সেবা সাধারণত সরকারি প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় সংস্থা থেকে পেয়ে থাকি। আবার আমরা নিজেরাও জনসাধারণের সুবিধার ও কল্যাণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তি পর্যায়েও সেবা দিতে পারি।
অহনা এনসিটিবির বই ডাউনলোড করে যেই সেবাটি পেয়েছে সেরকম আরো কয়েকটি সেবার নাম আমরা নিজের খাতায় লিখবো।
সংস্থা অনুযায়ী নাগরিক সেবার ধরন ভিন্ন ভিন্ন। একেক সংস্থার কাছ থেকে একেক ধরনের সেবা নিচ্ছি। খাতায় লেখা সেবাগুলো পর্যালোচনা করলেই আমরা নাগরিক সেবার শ্রেণিবিন্যাস করতে পারি। যেমন:
১. শিক্ষাসেবা
২. স্বাস্থ্যসেবা
৩. কৃষিসেবা
৪. আইন এবং বিচারসেবা
৫. সামাজিক সুরক্ষাসেবা
৬. নাগরিক নিরাপত্তাসেবা
৭. ভূমিসেবা ইত্যাদি
উপরের ধরনগুলো ছাড়াও কি আরো কোন সেবা আমরা শনাক্ত করতে পারি? এই সম্পর্কে খাতায় আরও লিখবো।
উপরে আমরা বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবা চিহ্নিত করেছি। এভাবে বিভিন্ন নাগরিক সেবাকে শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারি। এর সাথে কোন সেবা কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আমরা পাবো সেটি বের করতে পারি।
উপরে প্রাপ্ত নাগরিক সেবাগুলো পাওয়ার জন্য আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখনকার সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবা গ্রহণ করার সম্ভাবনা খুব বেশি হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিকরা বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারেন, যেমন শিক্ষাবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ , সরকারি দপ্তর থেকে সনদ গ্রহণ, পাসপোর্ট আবেদন ও ভিসা প্রসেসিং, ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া, ব্যাংকিং ইত্যাদি। নাগরিক সেবার সাথে সময়, যাতায়াত ও খরচ জড়িত।
এখন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে এই সকল নাগরিক সেবা গ্রহণ করায় একজন নাগরিকের সময়, যাতায়াত ও খরচ অনেকাংশে কমে গিয়েছে। নাগরিক সেবার কয়েকটি উদাহরণ হলো কিশোর বাতায়ন, ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ই-নথি, একশপ, এক পে, জাতীয় হেল্প লাইন-৩৩৩, মুক্তপাঠ, শিক্ষক বাতায়ন, মাইগভ আ্যাপ, ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব ও আই ল্যাব এবং ইনোভেশন ল্যাব ইত্যাদি। নাগরিক সেবাকে আরো সহজ করতে মোবাইল অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে।
আমাদের যেকোনো নাগরিক সেবাই এখন খুব সহজে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে শুরু করতে পারি। একটি সেবার জন্য আবেদন করার পর তা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানা যায় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের কাছে মেসেজ চলে আসে যার মাধ্যমে জানতে পারি যে আমরা সেবাটি কতদিনের মধ্যে পাব।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post