প্রতি বছরের মতো কোর্সটিকায় এবারও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আজকে ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৫ম অধ্যায় সেশন ২ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং, এই সেশনের নাম হচ্ছে — ডেটা কমিউনিকেশন। আলোচনা শেষে, ডেটা কমিউনিকেশন সেশনের সমস্যা সমাধান ও বইয়ে দেওয়া কাজগুলো সম্পর্কে একটি ক্লাসে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
ডেটা কমিউনিকেশন সেশনটি এখানে সহজ ও বিস্তরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে তোমরা পেয়ে যাচ্ছো সমস্যা সমাধান ক্লাস। যেখানে, তোমাদের মূল পড়াসহ বইয়ে দেওয়া কাজগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের প্রতিটি সেশন সমাধানসহ এভাবে পড়লে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল প্রযুক্তি বই সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ৫ম অধ্যায় সেশন ২
গত সেশনে আমরা কয়েক ধরনের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জেনেছি। এবার আমরা জানব নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করে। আমরা তো জানি নেটওয়ার্কের কাজ হল তথ্য আদান-প্রদান করা বা যোগাযোগ স্থাপন করা। কিন্তু এই কাজটি কীভাবে হয়? নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান বা যোগাযোগের কাজটিকে রাস্তা দিয়ে গাড়ি বা মানুষ চলাচলের সাথে তুলনা করা যায়। কীভাবে? এসো জেনে নেই।
আমরা তো প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাই, তাই না? আমাদের প্রত্যেকের বাড়ি থেকেই বিদ্যালয়ের যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তাগুলো বিভিন্ন বাড়িঘর এবং প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করেছে।
অর্থাৎ এই রাস্তাগুলো ধরেই এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়া যায়, আমাদের বাড়ি থেকে আমাদের বিদ্যালয়ে যাওয়া যায়, বাজারে যাওয়া যায়, আবার বন্ধুদের বাড়িতেও যাওয়া যায়। রাস্তাগুলো দিয়ে আবার গাড়িতে করে বিভিন্ন পণ্যও আনা-নেওয়া করা যায়। এই পুরো ঘটনাটি যদি আমরা নেটওয়ার্কিং এর সাথে তুলনা করি, তাহলে সহজেই নেটওয়ার্কে কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান বা যোগাযোগ হয় তা বুঝতে পারব।
উপরের বর্ণনায় বাড়ি, বাজার, বিদ্যালয় এগুলোকে আমরা এক একটি কম্পিউটার বা ডিভাইসের সাথে তুলনা করতে পারি। গাড়িগুলোকে কল্পনা করা যেতে পারে ডেটা বা তথ্য হিসেবে এবং রাস্তাগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সংযোগ প্রদানকারী তার বা ক্যাবলের সাথে।
রাস্তা যেমন সরু-প্রশস্ত, কাঁচা-পাকা এমন নানা ধরনের হয় তেমনি তারগুলোও নানা রকম হতে পারে যেমন- কপার ক্যাবল, কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি। আবার আমরা জানি, নেটওয়ার্কে যোগাযোগের ব্যাপারটি তারবিহীনও হতে পারে। তারবিহীন যোগাযোগের এই ব্যাপারটিকে আমরা উড়োজাহাজের মাধ্যমে মাধ্যমে চলাচলের সাথে তুলনা করতে পাবি।
উল্লেখ্য, নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় ডেটাকে (মূল ডেটা) নির্দিষ্ট আকারের ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়, যেটি ডেটা প্যাকেট নামে পরিচিত। প্যাকেটকে ফ্রেম, ব্লক, ডেটাগ্রাম, সেগমেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
এখন, রাস্তা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছি যে বেশিভাগ রাস্তা উভয়মুখি। অর্থাৎ রাস্তায় দুদিক দিয়েই গাড়ি চলাচল করতে পারে। কিন্তু কখনো কি দেখেছি যে কিছু কিছু রাস্তা থাকে যেগুলোতে দুদিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে না?
এমন কিন্তু অনেক রাস্তা আছে যেগুলো একমুখি অর্থাৎ রাস্তাটি দিয়ে কেবল একদিকেই চলাচল করা যায়, বিপরীত দিক দিয়ে কোনো গাড়ি রাস্তাটিতে প্রবেশ করতে পারে না। আবার কখনো কখনো কিছু কিছু রাস্তায় সাময়িকভাবে একদিক দিয়ে গাড়ি চলাচল থামিয়ে রাস্তাটিকে একমুখি করে দেওয়া হয়। ডিজিটাল নেটওয়ার্কে তথ্য চলাচল বা ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যাপারটিও অনেকটা এরকম।
চলো জেনে নেওয়া যাক ডেটা ট্রান্সমিশন সম্পর্কে
সিমপ্লেক্স : একজন প্রেরক শুধুমাত্র ডেটা পাঠাতে পারে কিন্তু তা গ্রহণ করতে পারে না। অথবা, একজন প্রাপক শুধুমাত্র ডেটা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু পাঠাতে পারে না।
হাফ ডুপ্লেক্স / সেমি-ডুপ্লেক্স : এক প্রান্ত থেকে ডেটা পাঠানোর সময় অন্য প্রান্ত অপেক্ষা করে। এ প্রান্তের ডেটা পাঠানো শেষ হলে, অন্য প্রান্ত ডেটা পাঠানো শুরু করতে পারে।
ফুল ডুপ্লেক্স : যোগাযোগের উভয় প্রান্ত একই সাথে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post