অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় আজ আমি ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় সেশন ২ নিয়ে আলোচনা করব। এই সেশনটির নাম হচ্ছে— আমার পরিবারের মুঠোফোন কতটুকু নিরাপদ। এই সেশনে যে কাজগুলো থাকবে, তা আমি তোমাদের সরাসরি ক্লাস নিয়ে বুঝিয়ে দেব। এই সেশনের আলোচনা শেষে তোমরা সমাধানের জন্য বিস্তারিত একটি ক্লাস পাবে।
বই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তোমাদের কাছে পাঠ্য বইকে সহজ করার উদ্দেশ্য আজকে ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির মতো ৮ম শ্রেণির প্রতিটি বইয়ের সমাধান মনোযোগ দিয়ে পড়লে তোমাদের পড়াশোনা হবে সহজ। সেই সাথে তোমরা সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তর ধারণা লাভ করতে পারবে।
৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় সেশন ২
বাংলাদেশে মুঠোফোনের গ্রাহকসংখ্যা আমাদের মোঢ জনসংখ্যারও বেশি। এর অর্থ হচ্ছে বয়স বা অন্য কোনো কারণে যদি আমরা এখনও মুঠোফোন নাও পাই, আমাদের আশে পাশে অনেকেই বা পরিবারের অনেক সদস্যই এই মুহূর্তে মুঠোফোন ব্যবহার করছে, তাও অনেকের একই সাথে একাধিক নম্বর রয়েছে। আমরাও হয়তো কিছুদিনের মধ্যে এটি ব্যবহারের সুযোগ পাব। কাজেই এখন থেকেই মুঠোফোনের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে সচেতন হওয়া দরকার।
একটি আধুনিক বা স্মার্ট মুঠোফোন, যেটি স্মার্টফোন নামেও পরিচিত, দেখতে নিচের মত। এর গঠন, কার্যকারিতা, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই একেক ব্র্যান্ডের একেক মডেল ও ভার্সনের মুঠোফোন বাজারে চলে আসে। যেটি আগের চেয়ে আরো বেশি গতির ও কার্যকরী হয়।
অসৎ উদ্দেশ্যে আমাদের মুঠোফোন যখন কেউ দখল করে তখন বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের আ্যাকাউন্টে সে প্রবেশ করে। এমনকি সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলোরও নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যায়। আমাদের আ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন জনকে বিভ্রান্তিমূলক বার্তা পাঠাতে থাকে।
কখনো কখনো আমাদের নাম নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কিছু দাবি করে বা আর্থিক সহায়তা চায়। তাছাড়া আমাদের জন্য অপমানজনক বা কোন নাশকতাজনক কাজে দায়ী হতে পারি এমন কার্যকলাপও তারা করতে পারে। আমাদের মুঠোফোন বা ডিভাইসে থাকা ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্যও তারা ফাঁস করে দিতে পারে যা আমাদের জন্য খুবই অপমানজনক হতে পারে।
মুঠোফোনের নিরাপদ ব্যবহারের প্রথম ধাপে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিত করতে হয় যে অনুমোদিত মানুষ ছাড়া আর কেউ যেন এটি ব্যবহার করতে না পারে। সাধারণত যে উপায়ে এটি করা হয় সেটি পাসওয়ার্ড, পাসকোড, পিনকোড, পিন নম্বর, পাস কি, এসব বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কেউ তার মুঠোফোন চালু করলে নিচের ছবির কাছাকাছি কিছু পর্দায় দেখবে। এখানে কি হচ্ছে? এখানে মুঠোফোনটি ব্যবহারকারীকে বলছে, “তুমি এখানে সঠিক পিনকোড দিয়ে নিশ্চিত কর যে তুমিই এর আসল ব্যবহারকারী”।
সাধারণত পিনকোড চার অঙ্কের হয়। তবে কখনও কখনও আরো বেশি অঙ্কেরও হতে পারে। আমরা আগের শ্রেণিতে ক্রেডিট কার্ডের পিনকোড সম্পর্কে জেনেছি। মুঠোফোনের পিনকোডও একইভাবে কাজ করে।
ইতোপূর্বে চুরি হওয়া ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বহুল ব্যবহৃত ও বিরল ব্যবহৃত পিনকোডের একটি তালিকা করেছেন (তথ্যসূত্র: ডেটা জেনেটিক্স)। সেখানে দেখা গিয়েছে বহুল ব্যবহৃত পিনকোড গুলো হলো ০০০০, ১১১১, ২২২২ ইত্যাদি।
পিনকোড যেন কেউ উদ্ধার করতে না পারে সেজন্য এর কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যেমন, পিনকোডটিতে যেন সবগুলো একই অঙ্ক না থাকে। আবার ১২৩৪ বা ৯৮৭৬ এই পিনকোডগুলোও সহজে অনুমান করে ফেলা যায়।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post