কোর্সটিকায়, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। আজকে আমরা ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ১০ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। এই অধ্যায়ের নাম হচ্ছে– জীবের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি। এখানে এই অধ্যায়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এখানে, এই অধ্যায় আলোচনা শেষে তোমরা পেয়ে যাবে একটি ক্লাস। ক্লাসটিতে এই অধ্যায়টি সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ক্লাসটি করলে জীবের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি অধ্যায়ে তোমাদের যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমস্যা হয়ে যাবে। ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ প্রতিটি অধ্যায়ের সমাধান এভাবে পড়লে অনুসন্ধানী পাঠ বইটি তোমাদের কাছে সহজ হয়ে উঠবে।
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ১০ম অধ্যায় সমাধান
পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই জীবজগৎ বৈচিত্র্যময়। এই মুহূর্তে পৃথিবীতে প্রায় 87 লক্ষ প্রজাতির জীব বাস করে, শুধু তাই নয় প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন জীব আবিষ্কৃত হচ্ছে। নানা ধরনের জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে জীবজগতে বৈচিত্র্য দেখা যায় আবার সকল জীব নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই জীবজগতের অবদান অসীম।
এসব জীবে রয়েছে নানা ধরনের ভিন্নতা, এদের গঠন ভিন্ন, আবাসস্থল ভিন্ন, কেউ উপকারী আবার কেউ অপকারী ৷ এ কারণে জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে আমাদের সুসংবদ্ধ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
জীবের শ্রেণিবিন্যাস
বিজ্ঞানীরা এই বিশাল সংখ্যক জীবদের শত শত বৎসর থেকে শ্রেণিবিন্যাস করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সঠিকভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা থাকলে তার সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, স্বল্প পরিশ্রমে ও কম সময়ে পৃথিবীর সকল প্রজাতি সম্বন্ধে জানা যায়। নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতেও শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জীবের ভেতর পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন তথ্য এবং উপাত্ত পাওয়া যায় এবং ধীরে ধীরে তাদের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
একসময় ধারণা করা হতো পৃথিবীর জীবকুল উদ্ভিদ ও প্রাণী এই দুই রাজত্বে বিভক্ত ৷ কিন্তু যতই বিজ্ঞানের উন্নতি হতে থাকে বিজ্ঞানীরা ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করেন যে জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসের জন্য শুধু উদ্ভিদ ও প্রাণী এই দুইটি রাজত্ব যথেষ্ট নয়। যেমন : ছত্রাক উদ্ভিদ থেকে যথেষ্ট ভিন্ন, এর মাঝে ক্লোরোফিল নেই এবং উদ্ভিদের মতো নিজের খাবার নিজে তৈরি করতে পারে না, তাই ছত্রাককে
একটি আলাদা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কৃত হওয়ার পর অণুজীবের একটি বিশাল জগৎ আবিষ্কৃত হয় এবং বিজ্ঞানীরা কোষের গঠন সম্পর্কে জানতে পারেন। তাই এককোষী জীবের জন্য একটি ভিন্ন রাজ্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এককোষী জীবদের মাঝেও কোষের গঠনের উপর নির্ভর করে দুইটি সুস্পষ্ট ভাগ রয়েছে। একটি প্রোক্যারিওট (জীবকোষে অগঠিত নিউক্লিয়াস) এবং অন্যটি ইউক্যারিওট (জীবকোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস)।
সে কারণে প্রোক্যারিওট এককোষীদের জন্য মনেরা এবং ইউক্যারিওট এককোষীদের জন্য প্রোটিস্টা নামে দইটি ভিন্ন রাজ্যতে ভাগ করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন মনেরা রাজ্যের প্রোক্যারিওট এককোষী প্রাণীদের মাঝে আর্কিব্যাক্টেরিয়া এবং ইউব্যাক্টেরিয়া নামে দুইটি সুস্পষ্ট বিভাজন আছে এবং তারা এক রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।
তাই বর্তমানে মনেরার পরিবর্তে আর্কিব্যাক্টেরিয়া এবং ইউব্যাক্টেরিয়া নামে দুইটি ভিন্ন রাজ্যের কথা বলা হয়। কাজেই জীবজগতকে সব মিলিয়ে প্রাণী, উদ্ভিদ, ছত্রাক, প্রোটিস্টা, ইউব্যাক্টেরিয়া এবং আর্কিব্যাক্টেরিয়া এই ছয়টি রাজ্যে ভাগ করা হলে সকল জীবকে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিভুক্ত করা সম্ভব।
জীবজগতের শ্রেণিবিভাগের জন্য নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনা করা হয়।
1. কোষের সংখ্যা (এককোষী নাকি বহুকোষী)
2. কোষের ধরন (প্রোক্যারিওটিক নাকি ইউক্যারিওটিক)
3. পুষ্টির ধরন (স্বভোজী নাকি পরভোজী)
একইসঙ্গে জিনেটিকসের অগ্রগতি হতে থাকে এবং জীবদের জিনেটিক গঠন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ইউকেরিয়া, ব্যাকটেরিয়া এবং আর্কি এই তিনটি তিনটি ডোমেইন বা অধিজগতে ভাগ করা হয়। পাশের ছবিতে ছয়টি রাজ্য বিবর্তিত হয়ে তিনটি ডোমেইনে কীভাবে বিভক্ত করা হয়েছে সেটি দেখানো হয়েছে।
নিচে ছয়টি রাজ্যের সংক্ষিপ্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো। এখানে উল্লেখ্য যে জীবজগৎ এত বৈচিত্র্যময় যে উপরে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর মাঝে অনেক ব্যতিক্রম পাওয়া যায়। যেমন- প্লাটিপাস নামে একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে যেটি ডিম পারে, ঘোস্ট প্লান্ট নামে উদ্ভিদ আছে যেখানে ক্লোরোপ্লাস্ট নেই, কেল্প নামে প্রোটিস্টা আছে যেটি বিশাল এলাকা জুড়ে থাকে, সী শ্লাগ নামে প্রাণীর একধরণের প্রজাতি আছে যারা সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে-ইত্যাদি।
প্রাণী: এটি সর্ববৃহৎ রাজ্য, এখানে প্রায় 10 লক্ষ প্রজাতি রয়েছে। এটি বহুকোষী, ইউক্যারিওটিক, চলতে সক্ষম, পরভোজী এবং যৌন প্রজনন দিয়ে বংশ বৃদ্ধি করে।
উদ্ভিদ: উদ্ভিদের প্রায় 2.5 লক্ষ প্রজাতি রয়েছে। এটিও বহুকোষী, ইউক্যারিওটিক এবং স্বভোজী ৷ উদ্ভিদকোষে ক্লোরোপ্লাস্ট রয়েছে এবং সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজের খাবার তৈরি করে এবং জীবজগতের অন্যান্য প্রাণীদের খাদ্য সরবরাহ করে। শুধু তাই নয় উদ্ভিদ অক্সিজেন সৃষ্টি করে জীবজগৎকে বাঁচিয়ে রাখে।
ছত্রাক: ছত্রাকের প্রায় 1.5 লক্ষ প্রজাতি রয়েছে। এগুলো সাধারণত বহুকোষী, ইউক্যারিওটিক এবং পরভোজী জীব। পচনশীল জৈব পদার্থ থেকে ছত্রাক পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি করে পরিবেশ রক্ষা করে।
প্রোটিস্টা: বেশিরভাগ প্রোটিস্টা এককোষী, ইউক্যারিওটিক এবং পরভোজী। প্রোটিস্টা প্রাণী সদৃশ, উদ্ভিদ সদৃশ কিংবা ছত্রাক সদৃশ হতে পারে।
ইউব্যাক্টেরিয়া: ইউব্যাক্টেরিয়া প্রোক্যারিওট এককোষী এবং পরভোজী ৷ এরা বাইনারি ফিশান বা অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে অযৌন প্রজনন করে থাকে। এরা মানুষকে রোগাক্রান্ত করতে পারে।
আর্কিব্যাক্টেরিয়া: আর্কিব্যাক্টেরিয়া প্রোক্যারিওটক, এককোষী এবং আদিব্যাক্টেরিয়া। উষ্ণ প্রস্রবণ, সমুদ্রের গভীরে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, অতি লবণাক্ত স্থান এরকম প্রতিকূল পরিবেশেও আর্কিব্যাক্টেরিয়া পাওয়া গেছে। এরা মানুষকে রোগাক্রান্ত করতে পারে না। যেহেতু এগুলো ব্যাকটেরিয়া থেকে অনেক ভিন্ন সেজন্য অনেক সময় এদের শুধু আর্কিয়া বলা হয়।
তোমরা সবাই জানো , উপরে উল্লেখিত এই ছয়টি রাজ্য ছাড়াও অকোষীয় (noncellular) অণুজীবের আরেকটি বড়ো জগত রয়েছে। জীবজগতের বাইরে জীব ও জড়ের মাঝামাঝি এই অণুজীবের একটি উদাহরণ হচ্ছে ভাইরাস।
আগের শ্রেণিতে তোমরা ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক এবং প্রোটিস্টা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছ, এই অধ্যায়ে তোমরা উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎ সম্পর্কে জানবে।
প্রাণিজণতের শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি
প্রাণিজগৎ একটি সুবিশাল রাজ্য, এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এদেরকে বিভিন্ন পর্বে ভাগ করার চেষ্টা করা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবীর প্রাণিকুলের বৈশিষ্ট্যসমূহ নানাভাবে বিবর্তিত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা দিয়েছে।
আবার ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে বিভিন্নভাবে এই প্রাণীরা নিজেদের অভিযোজিত করেছে। ফলে অসম্ভব বৈচিত্র্যময় যে প্রাণিজগৎ আমরা এখন দেখতে পাই তাদেরকে হাতেগোনা কয়েকটা পর্বে ভাগ করা অত্যন্ত কঠিন। এই কারণে প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস নিয়ে অনেকক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদও আছে।
প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস বিষয়ক বৈশিষ্ট্য
পৃথিবীর এ পর্যন্ত শনাক্তকৃত সকল প্রাণীকে তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নয়টি বড়ো পর্বে ভাগ করা হয়েছে। যে সকল বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে প্রাণীর এই শ্রেণিবিন্যাস করা হয় তাকে প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস বিষয়ক বৈশিষ্ট্য (Taxonomic characteristics) বলা হয়। প্রথমেই এই বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে একটু জেনে নেয়া যাক।
কয়েকটি প্রধান শ্রেণিবিন্যাস বিষয়ক বৈশিষ্ট্য নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
1. কোষের বিন্যাস
বিভিন্ন প্রাণীর গঠনের বিন্যাস অনুযায়ী তাদের আলাদা করা যায়। অপেক্ষাকৃত আদিম ও সরল বহুকোষী প্রাণী, যেমন-স্পঞ্জের গঠন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এদের শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয় কোষীয় পর্যায়ে, অর্থাৎ কোষগুলো অবিন্যস্ত থাকে এবং আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে। এর চাইতে একটু জটিল প্রাণী, যেমন–জেলিফিশের ক্ষেত্রে কোষগুলো একত্র হয়ে কলা বা টিস্যু হিসেবে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেয়।
এর চেয়ে জটিলতর প্রাণীর ক্ষেত্রে একাধিক টিস্যু বা কলা মিলে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য অঙ্গ গঠন করে। মানুষ বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই কলা বা টিস্যুগুলো শুধু যে সুসংবদ্ধ হয়ে অঙ্গ তৈরি করে তাই নয়, একাধিক অঙ্গ আবার একসঙ্গে মিলে এক একটা তন্ত্র গঠন করে, যা আবার সুশৃঙ্খলভাবে নির্দিষ্ট কোনো কাজ সম্পন্ন করে।
2. দেহের প্রতিসাম্য
দেহের প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে প্রাণীদের আলাদা করা যায়। কোনো কোনো প্রাণী একেবারে অপ্রতিসম, যেমন স্পঞ্জ। এদের দেহকে হুবহু একই রকম একাধিক অংশে বিভক্ত করা সম্ভব নয়। আবার তেলাপোকা, পাখি বা মানুষকে লম্বালম্বি হুবহু একইরকম দুভাগে ভাগ করা সম্ভব। , এই প্রাণীরা দ্বি-পাশ্বীয় প্রতিসম। আবার তারামাছ, জেলিফিশ ইত্যাদি বেশ কিছু প্রাণী আছে যাদের দেহকে চার, পাঁচ বা আরও বেশি অভিন্ন অংশে বিভক্ত করা সম্ভব। এদের প্রতিসাম্যের ধরন হলো radial বা অরীয় প্রতিসাম্য।
3. দেহগহ্বর বা সিনোম
প্রাণিদেহে বিশেষভাগে গঠিত দেহগহ্বর আছে কি নেই, থাকলে এর গঠন কেমন সেটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এর ওপর ভিত্তি করেও বিভিন্ন প্রাণীর শ্রেণিবিভাগ করা হয়। প্রাণিদেহে এই বিশেষ দেহগহ্বরের ভূমিকা অনেক। এই গহ্বর বা সিলোমে দেহের বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ অঙ্গ (বিশেষ করে পরিপাকতন্ত্রের অঙ্গসমূহ) একত্র হয়ে আবদ্ধ থাকে।
এর ফলে এই অঙ্গসমূহ যেমন সুসংবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে। এই দেহগহ্বরের ভেতরে অঙ্গসমূহ এক ধরনের তরলে নিমজ্জিত থাকে বলে বাইরের চাপ বা ধাক্কা থেকেও সেগুলো সুরক্ষিত থাকে৷ প্রবাল বা ফিতাকৃমির মতো সরল জীবসমূহের শরীরে সুগঠিত দেহগহ্বর দেখা যায় না, অন্যদিকে মানুষসহ অন্য জটিলতর জীবে বা মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে সুগঠিত দেহগহ্বর থাকে।
4. দেহখণ্ডের উপস্থিতি
কোনো কোনো প্রাণীর দেহ একাধিক খণ্ডে বিভক্ত থাকে, যেমন-কীট পতঙ্গের দেহ তিন খণ্ডে বিভক্ত, কিন্তু মাকড়শার দেহ দুই খণ্ডে বিভক্ত। অনেক ক্ষেত্রে এরকম একাধিক খণ্ডে আবার একই অঙ্গের ধারাবাহিক পুনরাবৃত্তি লক্ষ করা যায়। প্রাণীর শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে এটাও গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
5. কঙ্কালতন্ত্রের ধরন
কোনো প্রাণীর কঙ্কালতন্ত্র আছে কি নেই, থাকলে তার ধরন কেমন-শ্রেণিবিন্যাস করার সময় এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। কোনো কোনো প্রাণীর দেহের ভেতরে সুগঠিত কঙ্কালতন্ত্র থাকে, যেমন-মানুষসহ সকল মেরুদণ্ডী প্রাণী।
আবার কোনো কোনো প্রাণীর দেহের ভেতরে এরকম কঙ্কাল না থাকলেও দেহের বাইরে বহিকঙ্কাল দেখা যায়, যেমন- শামুক বা কাকড়া জাতীয় প্রাণী। আবার কচ্ছপের মতো ব্যতিক্রমী উদাহরণও আছে যার অন্তঃকঙ্কাল, বহিকঙ্কাল দুটিই আছে।
উপরে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর বাইরে খাদ্য পরিপাকের প্রক্রিয়া, দেহের সংবহন প্রক্রিয়া, প্রজননের ধরন-ইত্যাদিও প্রাণিকুলের শ্রেণিবিন্যাস করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
শিক্ষার্থীরা, উপরে ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ১০ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে, এই অধ্যায়টিকে সহজভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পারো। সেই সাথে উপরে তোমাদের জন্য সমস্যা সমাধান ক্লাস দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায় সম্পর্কে অধিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ও এই অধ্যায়ভিত্তিক সকল সমস্যা সমাধানের জন্য ক্লাসটি করার পরামর্শ রইলো।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post