কোর্সটিকায়, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। আজকে আমরা ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ৪র্থ অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। এই অধ্যায়ের নাম হচ্ছে– কোষ বিভাজন ও তার রকমভেদ। এখানে এই অধ্যায়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এখানে, এই অধ্যায় আলোচনা শেষে তোমরা পেয়ে যাবে একটি ক্লাস। ক্লাসটিতে এই অধ্যায়টি সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ক্লাসটি করলে কোষ বিভাজন ও তার রকমভেদ অধ্যায়ে তোমাদের যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমস্যা হয়ে যাবে। ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ প্রতিটি অধ্যায়ের সমাধান এভাবে পড়লে অনুসন্ধানী পাঠ বইটি তোমাদের কাছে সহজ হয়ে উঠবে।
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ৪র্থ অধ্যায় সমাধান
কোষ হলো জীবদেহের গঠনগত একক ৷ জীবদেহ ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমিডিয়াম এগুলোর মতো এককোষী হতে পারে আবার মানুষ, বটগাছ, তিমি এগুলোর মতো বহুকোষী হতে পারে। এককোষী জীব ছাড়া অন্য সকল জীবদেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি হয়। প্রতিটি জীব কোষ বিভাজনের মাধ্যমে তাদের বংশবৃদ্ধি ও কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি করে থাকে। যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় একটি থেকে একাধিক কোষ তৈরি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে।
কোষ বিভাজন একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে একটি কোষ বিভাজিত হয়ে অসংখ্য কোষ তৈরির মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবে পরিণত হয়। আদি এককোষী জীব সাধারণত যে প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় তাকে অ্যামাইটোসিস বলা হয়। বহুকোষী জীব যে দুটি প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় সেগুলো হচ্ছে মাইটোসিস এবং মিয়োসিস।
কোষ বিভাজনের গুরুত্ব
জীবদেহের দৈহিকবৃদ্ধি, জনন ও পরিস্ফুটনের জন্য কোষ বিভাজন প্রয়োজন । সকল প্রকার কোষ তার পূর্ববর্তী কোষ থেকে বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। জীবদেহ আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সারিয়ে নিতেও কোষ বিভাজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আবার জননকোষে কোষ বিভাজন জীবদেহের বংশবৃদ্ধির জন্য অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অপত্য (নতুন) কোষ তৈরি হয়, যা জীবের অভিযোজন, অভিব্যক্তি ও বংশপরম্পরা অব্যাহত রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কোষের গঠন
তোমরা সপ্তম শ্রেণিতে উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের গঠন সম্পর্কে পড়েছ। তোমরা তখন দেখেছ যে কোষ ঝিল্লি দিয়ে আবৃত কোষের মূল দুটি উপাদান হচ্ছে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। কোষের কেন্দ্রে ঘন অস্বচ্ছ অঙ্গাণুটি হচ্ছে নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত এবং কোষ ঝিল্লি দিয়ে আবৃত বাকি অংশটি সাইটোপ্লাজম।
নিউক্লিয়াসটি নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে এবং তার ভেতরে রয়েছে জীবের বংশগতি পদার্থ ডিএনএ দিয়ে তৈরি ক্রোমোজোম। সাধারণ অবস্থায় দীর্ঘ ক্রোমোজোম হিস্টোন নামে প্রোটিন কণার উপর পেঁচিয়ে ক্রোমাটিন হিসেবে উন্মুক্ত জালিকার মতো থাকে বলে এটি আলাদাভাবে বোঝা যায় না। শুধু কোষ বিভাজনের সময় এটি কুণ্ডলী পাকিয়ে সংকুচিত হয় বলে তখন এটি দৃশ্যমান হয়।
এককোষী জীবদেহের কোষ বিভাজন: অ্যাম্যাইটোসিস (amitosis)
এককোষী আদিকোষী জীবগুলো সরাসরি বিভাজনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে থাকে, এই প্রক্রিয়াটি আম্যাইটোসিস বা বাইনারি ফিশান নামে পরিচিত অ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া কিংবা নীলাভ সবুজ শৈবাল জাতীয় আদিকোষী জীবে এ ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়। এককোষী জীবের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য এ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত কার্যকর, বিভাজনের জন্য কোষের বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না এবং এই পদ্ধতিতে দ্রুত কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
আম্যাইটোসিস ধরনের কোষ বিভাজনে কোষটি পরিপক্ব হলে প্রথমে নিউক্লিয়াসের ভেতর ক্রোমোজমের ডিএনএ’র প্রতিলিপন হয়। কোষের নিউক্লিয়াসটির আকৃতি পরিবর্তন হয়ে ডাম্বেলের আকৃতি ধারণ করে এবং প্রায় মাঝ বরাবর সংকুচিত হতে শুরু করে। সংকোচন শেষে মাতৃকোষের মূল দীর্ঘাকৃতির নিউক্লিয়াসটি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় বিভাজিত দুইটি নিউক্লিয়াসে ডিএনএ সুনির্দিষ্ট এবং সমানভাবে বিভক্ত হওয়া পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, কাজেই দুটি ভিন্ন হতে পারে। নিউক্লিয়াসের সঙ্গে সঙ্গে সাইটোপ্লাজমও মাঝ বরাবর সংকুচিত হতে হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি কোষে পরিণত হয়। এ ধরনের ‘বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষ তৈরি করে, তাই একে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে।
বহুকোষী জীবদেহের কোষ বিভাজন
আমরা বহুকোষী প্রাণী। আমাদের শরীরে রয়েছে প্রায় এক ট্রিলিয়ন কোষ। আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষ রয়েছে, যেমন- রক্তের কোষ, পেশি কোষ, ত্বকের কোষ, পাকস্থলীর কোষ ইত্যাদি। প্রতিটি ভিন্ন ধরনের কোষের নিজস্ব গঠন এবং কাজ রয়েছে। এইসব কোষ এসেছে স্টেম সেল বা স্টেম কোষ নামক এক বিশেষ ধরনের কোষ থেকে ৷ সকল প্রাণীর ও উদ্ভিদের স্টেম কোষ প্রয়োজন। সম্পূর্ণরূপে বিকশিত না হওয়া প্রাণীকে ভ্রণ বলে, ভ্রণে স্টেম কোষগুলো বিভিন্ন ধরনের কোষে বিকশিত হতে পারে।
সমস্ত স্টেম কোষের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে: স্টেম কোষ বিভক্ত হয়ে আরও স্টেম কোষ তৈরি করে। স্টেম কোষের বিভিন্ন ধরনের কোষে বিকশিত হওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। একটি স্টেম কোষ দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয়, প্রতিটি অপত্য কোষ হুবহু মূল কোষের মতো। পরিপক্ক হলে, এই কোষগুলোও বিভাজিত হয়।
এভাবেই ভ্রণে স্টেম কোষের সরবরাহ নিশ্চিত হয়। একটি ক্রমবর্ধমান ভ্রণ এবং তার অঙ্গগুলোর বিকাশের জন্য প্রচুর স্টেম সেল প্রয়োজন গবেষণাগারে, কয়েকটি স্টেম সেল দিয়ে শুরু করে, কয়েক মাসের মধ্যে বিজ্ঞানীরা লক্ষ লক্ষ কোষ তৈরি করতে সক্ষম করেছেন। কীভাবে স্টেম কোষ অন্য ধরনের কোষে পরিবর্তিত হয় বিজ্ঞানীরা এই সমস্যা নিয়ে গবেষণা করছেন।
এই পর্যায়ে আমরা বহুকোষী জীবদেহের কোষ বিভাজন সম্পর্কে জানব।
বহুকোষী জীবদেহের দেহকোষ যে প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় তাকে মাইটোসিস বলে, আবার যৌন ‘জননকারী জীবের জনন মাতৃকোষ যে প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় তাকে মিয়োসিস বলে উদ্ভিদদেহের মূল ও কাণ্ডের অগ্রভাগ, ভ্রণমুকুল, ভ্রণমূল ও পাতা ইত্যাদি বর্ধনশীল অঞ্চলের টিস্যুতে মাইটোসিস ঘটে, আবার সপুষ্পক উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বকে মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজিত হয়।
মাইটোসিস
বহুকোষী জীবদেহ গঠনের জন্য একটি মাতৃকোষ থেকে দুটি অপত্য কোষ তৈরির প্রক্রিয়াকে মাইটোসিস ‘বলে। এ প্রক্রিয়ায় কোষের ভেতরের সাইটোগ্লাজম, নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজম উভয়ই সমানভাবে বিভক্ত হয় এবং ক্রোমোজমের সংখ্যা ও গুণাগুণ মাতৃকোষের অনুরূপ হয়।
অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন দেহকোষ বিভাজিত হয়ে হুবহু মাতৃকোষের অনুরূপ দুটি অপত্য কোষ তৈরি করে। এই বিভাজন প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত জীবের দেহকোষে হয়ে থাকে এবং বিভাজনের ফলে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণী ও উদ্ভিদ দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে বৃদ্ধি পায়।
তোমরা ইতোমধ্যে জেনেছ যে আদি-এককোষী জীবে মাইটোসিস হয় না।এছাড়াও বহুকোষী জীবের জনন মাতৃকোষ, প্রাণীর স্নায়ুকোষ, স্তন্যপায়ী প্রাণীর পরিণত লোহিত রক্তকণিকা, অণুচক্রিকা এবং উদ্ভিদের স্থায়ী টিস্যুর কোষে মাইটোসিস বিভাজন দেখা যায় না।
মাইটোসিসকোষ বিভাজনের ধাপসমূহ
মাইটোসিস কোষ বিভাজন একটি ধারাবাহিক পদ্ধতি । এই বিভাজন সাধারণত কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে৷ কোষচক্র পড়ার সময় তোমরা জেনেছ মাইটোসিস প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রস্তুতি হিসেবে ইন্টারফেজ পর্যায়ে কোষের প্রতিটি ক্রোমোজোমের একটি করে প্রতিলিপি তৈরি হয়। মাইটোসিস প্রক্রিয়ার ধাপগুলো হচ্ছে :
(ক) প্রোফেজ : মাইটোসিসের প্রথম ধাপ হলো প্রোফেজ, এই ধাপে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড়ো হয়, এই ধাপের শুরুতে কোষের প্রতিটি ক্রোমোজোমের সঙ্গে তার প্রতিলিপি সেন্ট্রোমিয়ারে যুক্ত থাকে এবং যেগুলোকে ক্রোমাটিড বলা হয়।
এই পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের দুই মেরুতে তন্তুযুক্ত স্পিন্ডল যন্ত্র (Spindle apparatus) গঠিত হতে শুরু করে। এদিকে নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে ক্রোমাটিডগুলো ক্রমাগত স্প্রিঙয়ের ন্যায় কুণ্ডলিত হয়ে খাটো ও মোটা হতে থাকে৷ এই পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ক্রমাগত বিলুপ্ত হতে থাকে ।
(খ) মেটাফেজ : এ পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের অভ্যস্তরে নির্মিত দুই মেরুবিশিষ্ট তন্তুযুক্ত স্পিন্ডল যন্ত্রের ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় (বিষুবীয় অঞ্চলে) ক্রোমোজমগুলো বিন্যস্ত হয়। প্রতিটি ক্রোমোজমের সেন্ট্রোমিয়ার বিষুবীয় অঞ্চলে এবং ক্রোমাটিড বাহু দুটি মেরুমুখী হয়ে অবস্থান করে।
এ পর্যায়েই ক্রোমোজমগুলোকে সবচেয়ে খাটো ও মোটা দেখায়। এ পর্যায়ের শেষদিকে সেন্ট্রোমিয়ার বিভাজন ঘটে দুটি অপত্য সেন্ট্রোমিয়ার সৃষ্টি হয় এবং নিউক্লিয়ার মেমব্রেন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
(গ) অ্যানাফেজ : কোষ বিভাজনের এ পর্যায়ে প্রতিটি ক্রোমোজমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত হওয়ার ফলে ক্রোমাটিড দুটি আলাদা হয়ে পড়ে। ক্রোমাটিড দুইটিকে অপত্য ক্রোমোজম বলে এবং দুটিতেই একটি করে সেন্ট্রোমিয়ার সংযুক্ত থাকে। অপত্য ক্রোমোজমদুটি কোষের মধ্যবর্তী বা বিষুবীয় অঞ্চল থেকে বিপরীত মেরুর দিকে যেতে থাকে।
মেরুর দিকে যাওয়ার সময় অপত্য ক্রোমোজমের সেস্ট্রোমিয়ার অগ্রগামী থাকে এবং ক্রোমাটিড বাহুগুলো তাদের পেছন দিকে থাকে৷ এ পর্যায়ে স্পিন্ডল তন্তু প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। অপত্য ক্রোমোজমগুলো মেরুর কাছাকাছি পৌঁছালেই এ পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
(ঘ) টেলোফেজ : মাইটোসিস কোষ বিভাজনের শেষ পর্যায় হলো টেলোফেজ। এই পর্যায়ে অপত্য ক্রোমোজমগুলো বিপরীত মেরুতে এসে পৌঁছায়। ক্রোমোজমগুলো ধীরে ধীরে আবার সরু ও লম্বা আকার ধারণ করে৷ নিউক্লিওলাস এবং নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের পুনরাবির্ভাব ঘটে, যার ফলে দুই মেরুতে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। স্পিন্ডলযন্ত্রের কাঠামো ধীরে ধীরে অদৃশ্য হতে থাকে এবং সবশেষে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
(ঙ) সাইটোকাইনেসিস : যে প্রক্রিয়ায় বিভাজনরত কোষের সাইটোগপ্লাজম দুভাগে বিভক্ত হয় তাকে সাইটোকাইনেসিস বলে। এই পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে কোষের মধ্যবর্তী অংশে নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের উভয়পাশ থেকে দুটি খাঁজ সৃষ্টি হয়। এ খাঁজ ক্রমান্বয়ে গভীর হয়ে মিলিত হয়ে দু’টি কোষে বিভক্ত হয়। সাইটোপ্লাজমিক অঙ্গাণুসমূহের সমবন্টন ঘটার ফলে দুটি পরিপূর্ণ অপত্য কোষ (daughter cell) সৃষ্টি হয়।
মাইটোসিস কোষ বিভাজনের নিয়ন্ত্রণ
মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি এভাবে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াটি জীবের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাবক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জীবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় অবস্থায় বিভিন্ন প্রভাবকের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির কারণে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের ফলে টিউমার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীকালে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রোগজীবাণু, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদি অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস কোষ বিভাজনে বাহ্যিক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। যকৃত, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, স্তন, ত্বক, কোলন এরকম প্রাণিদেহের প্রায় সকল অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে।
শিক্ষার্থীরা, উপরে ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ৪র্থ অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে, এই অধ্যায়টিকে সহজভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পারো। সেই সাথে উপরে তোমাদের জন্য সমস্যা সমাধান ক্লাস দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায় সম্পর্কে অধিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ও এই অধ্যায়ভিত্তিক সকল সমস্যা সমাধানের জন্য ক্লাসটি করার পরামর্শ রইলো।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post