কোর্সটিকায়, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। আজকে আমরা ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ৭ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। এই অধ্যায়ের নাম হচ্ছে– সূর্য পৃথিবী ও চাঁদ। এখানে এই অধ্যায়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এখানে, এই অধ্যায় আলোচনা শেষে তোমরা পেয়ে যাবে একটি ক্লাস। ক্লাসটিতে এই অধ্যায়টি সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ক্লাসটি করলে সূর্য পৃথিবী ও চাঁদ অধ্যায়ে তোমাদের যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমস্যা হয়ে যাবে। ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ প্রতিটি অধ্যায়ের সমাধান এভাবে পড়লে অনুসন্ধানী পাঠ বইটি তোমাদের কাছে সহজ হয়ে উঠবে।
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ৭ম অধ্যায় সমাধান
আমরা আগের শ্রেণিতে সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণ সম্বন্ধে বেশ কিছু ধারণা পেয়েছি, এই অধ্যায়ে আমরা সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে আরও একটু বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করব । গ্রহণের সময় সূর্য অথবা চন্দ্র সাময়িকভাবে আকাশে ঢাকা পড়ে যায়। পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে যে কক্ষপথে ঘোরে তা ঠিক সুষম বৃত্তাকার নয়, বরং সামান্য চ্যাপ্টা বা উপবৃত্তাকার। ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় একইরকম থাকে না।
সূর্যের চারপাশে একটি পূর্ণ প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 47 সেকেন্ড ৷ এই সময়কে পৃথিবীর হিসেবে আমরা এক বছর বলি। পৃথিবী যেভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঠিক তেমনি পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদও পৃথিবীকে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। তবে চাদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে প্রায় 5 ডিগ্রি হেলানো অবস্থায় থাকে। চাদের ক্ষেত্রে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে 27 দিনের কিছু বেশি (27.3 দিন) সময় লাগে।
কিন্তু চান্দ্রমাস পূর্ণ হতে আরও দুইদিন বেশি প্রয়োজন হয়, কারণ 27.3 দিনে পৃথিবীটা সূর্যকে ঘিরে আরও খানিকটা দূরত্ব অতিক্রম করে। এই দূরত্ব অতিক্রম করে পৃথিবীকে তার নতুন অবস্থানে যাওয়ার জন্য চান্দ্রমাস শুরুর নতুন চাঁদ দেখার জন্য আরও বাড়তি দুইদিন অপেক্ষা করতে হয়। সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ এবং পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের প্রদক্ষিণ করার ফলে কিছু প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে যার কয়েকটি নিচে আলোচনা করা হলো।
চাঁদের উৎপত্তি
চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ থাকলেও বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মতবাদটি হচ্ছে ‘সংঘর্ষ’ মতবাদ ৷ চন্দ্রাভিযানের পর চাঁদ থেকে নিয়ে আসা চাদের মাটি বিশ্লেষণ করে তার সাথে পৃথিবীর মাটির বিস্ময়কর মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। সেজন্য অনুমান করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির প্রাথমিক সময়টিতে “থিয়া” নামের প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান একটি গ্রহের সাথে পৃথিবীর একটি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়।
সেই সংঘর্ষে পৃথিবীর একটি অংশ উৎক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে শুরু করে, যেটাকে আমরা এখন চাঁদ বলি। তোমরা যারা চাদের দিকে তাকিয়ে সেটিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছ তারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছ, চাদ সব সময় তার একটি পৃষ্ঠ পৃথিবীর দিকে মুখ করে প্রদক্ষিণ করে, সেজন্য আমরা সব সময় চাদের একটি পৃষ্ঠই দেখতে পাই, অন্য পৃষ্টটি কখনো দেখতে পাই না।
সূর্যগ্রহণ
যখন চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে ঠিক সূর্য ও পৃথিবীর মাঝামাঝি এসে পড়ে তখন সেটি সূর্যের আলোকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়- অর্থাৎ চাদের ছায়া পৃথিবীর কিছু অংশের উপরে পড়ে। এ ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলে।
এ সময় সূর্য, চাদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। সূর্যগ্রহণ বিভিন্ন রকম হতে পারে; যেমন-আংশিক, পূর্ণগ্রাস, বলয় এবং হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ। তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, সূর্যের ব্যাস চাদের ব্যাস থেকে 400 গুণ বড়ো, তারপরেও চাদ কীভাবে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলতে পারে? কারণটি সহজ, চাঁদ সূর্যের তুলনায় ছোট হলেও এটি পৃথিবীর 400 গুণ কাছে অবস্থান করে সেজন্য পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে চাঁদ ও সূর্যকে প্রায় একই আকারে দেখা যায়।
চাঁদের কক্ষপথ খানিকটা উপবৃত্তাকার, এটি যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে তখন পৃথিবী থেকে চাদের দূরত্ব হয় 3.63 লক্ষ কিমি, যখন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে তখন পৃথিবী থেকে চাদের দূরত্ব হয় 4.05 লক্ষ কিমি ৷ চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দূরত্ব সবচাইতে বেশি হলে তাকে বলে অপভূ (apogee) এবং চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব সবচাইতে কম হলে তাকে বলে অনুভূ (perigee)।
আশিক সূর্যগ্রহণ (Partial solar eclipse)
পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি অবস্থানকালে চাদ যদি সূর্যের খানিকটা অংশ ঢেকে ফেলে তবে আংশিক সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে যে স্থানে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায় সেখানে সূর্যকে চাদ দ্বারা আংশিক ঢাকা অবস্থায় দেখা যায়। আংশিক সূর্যগ্রহণের সময় মূলত উপছায়ার প্রাধান্য বেশি থাকে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ (Total solar eclipse)
গ্রহণের সময় সূর্য যদি চাঁদের দ্বারা সম্পূর্ণ ঢেকে যায় তবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। আমরা জানি, চাঁদ পৃথিবীকে উপবৃত্তাকার পথে পরিভ্রমণ করে। ফলে কখনো কখনো চাদ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে (অনুভূ) তখন চাঁদকে তুলনামূলকভাবে বড়ো দেখা যায়।
চাঁদ অনুভূ অবস্থানে থাকার সময় যদি সূর্যগ্রহণ হয় তবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়ে থাকে । এরকম সময়ে যে সকল স্থানে প্রচ্ছায়া পড়ে সেই সকল স্থান থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে তার করোনা দেখা যায়। শুধু এই সময়েই খালি চোখে সূর্যের করোনা দেখা সম্ভব হয় যেটি অন্য কখনো দেখার সৌভাগ্য হয় না।
প্রচ্ছায়া খুব সামান্য অংশ জুড়ে থাকে, আবার পৃথিবীও তার নিজ অক্ষে ঘরতে থাকে ৷ তার ফলে প্রচ্ছায়া একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থাকে না, এটি পৃথিবীপৃষ্ঠে একটি রেখাপথ (একে আমরা পূর্ণগ্রাস গ্রহণরেখা বলতে পারি) বরাবর সরতে থাকে। এই রেখাপথ ভূপৃষ্ঠের যে সকল স্থানে পড়ে সে সকল স্থানে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়া যায়।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের ঠিক শুরুর মুহূর্তে যখন পুরো সূর্যটা ঢেকে গিয়ে শুধু একটি ক্ষুদ্র অংশ ঢেকে যাওয়া বাকী থাকে এবং শেষ হওয়ার পরের মুহূর্তে যখন পুরোটা ঢেকে যাওয়ার পর ক্ষুদ্র একটা অংশ বের হয়ে আসে তখন সেই অংশে সূর্যের তীব্র আলো দৃশ্যমান হয় এবং সেটি দেখতে অনেকটা হীরার আংটির মতো দেখা যায় বলে তাকে ডায়মন্ড রিং বলে।
বলয় সূর্যগ্রহণ (Annular solar eclipse)
অনেক সময় উপবৃত্তাকার পথে ভ্রমণ কালে চাঁদ এমন অবস্থানে থাকে যে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সেটি সম্পূর্ণ সূর্যকে ঢেকে রাখতে পারে না। তখন চাদের চারপাশে সূর্যকে আংটির মতো দেখা যায়। এই ধরনের বলয় আকৃতির সূর্যগ্রহণকে বলয় সূর্যগ্রহণ বলে।
সূর্যগ্রহণের প্রভাব ও গুরুত্ব
সূর্যগ্রহণের সময় পরিবেশের উপর সাময়িক প্রভাব পড়ে। আংশিক গ্রহণ অনেকটা সময় জুড়ে চলতে পারে কিন্তু পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এর সময় সূর্য মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য সম্পূর্ণ ঢেকে যেতে পারে। পূর্ণগ্রাস গ্রহণকালীন সময়ে হঠাৎ চারদিক অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় পশুপাখিরা হতচকিত হয়ে যায়।
অসময়ে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় অনেক পাখি ভয় পেয়ে ডাকাডাকি বন্ধ করে দেয়, ঝিঁঝি পোকা শব্দ করা শুরু করতে পারে, উদ্ভিদে ফুল বুজে যাওয়া শুরু হতে পারে। কিছু কিছু স্থানে বায়ুর তাপমাত্রাও সামান্য কমে যেতে পারে।
তবে সূর্যগ্রহণ সূর্য সংক্রান্ত গবেষণার কিছু দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টি করে। যেমন সূর্যের করোনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহের সবচেয়ে ভালো সুযোগ সূর্যগ্রহণের সময় আসে । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে অবস্থিত হওয়ায় এবং চাঁদ দ্বারা সূর্য ঢেকে যাওয়ার ফলে তখন সূর্যের করোনা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকেই পর্যবেক্ষণ করা যায়।
গ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিশেষ করে বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশে কী ধরনের পরিবর্তন হয় তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের অংশে সূর্যের তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে বিভিন্ন ধরনের চার্জযুক্ত কণা তৈরি হয়। এই অংশে পৃথিবীর অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ অবস্থান করায় তা পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা
একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে যে সূর্য থেকে অনেক ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীতে আসে, যার একটি হচ্ছে অতিবেগুনি রশ্মি। আমরা যেহেতু অতিবেগুনি রশ্মি দেখতে পাই না, তাই না জেনে তার দিকে তাকিয়ে চোখের ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারি। সরাসরি সূর্যের দিকে তাকালে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
সূর্যগ্রহণের সময় সরাসরি সূর্যের দিকে না তাকিয়ে, কোথাও সূর্যের প্রতিচ্ছবি ফেলে সেটা দেখা সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি । পিনহোল ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা সহজ, একটি শক্ত কাগজে ছোট একটি ছিদ্র করে তার মধ্যে গ্রহণের সময় সূর্যের আলো অপর একটি পর্দায় ফেললে সেখানে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
চন্দ্রগ্রহণ
চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে এমন অবস্থানে চলে আসে যে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি পৃথিবী অবস্থান করে। এক্ষেত্রে সূর্য পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় থাকে, ফলে পৃথিবীর ছায়া চাদের উপরে পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়। চন্দ্রগ্রহণের সময় কখনো পৃথিবীর উপছায়া কখনো প্রচ্ছায়া কিংবা কখনো দুটিই চাদের উপর পড়ে। চন্দ্রগ্রহণ তিন রকম হতে পারে : পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, আংশিক চন্দ্রগ্রহণ এবং উপছায়া চন্দ্রগ্রহণ।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total lunar eclipse)
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাদ পৃথিবীর প্রচ্ছায়ার মাঝে অবস্থান করে। এ সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দ্বারা সূর্যের আলোর অপেক্ষাকৃত ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের রশ্মি (যেমন: বেগুনি, নীল ইত্যাদি রঙের আলো) বাইরের দিকে বিচ্ছুরিত হয়। অপরদিকে অপেক্ষাকৃত লম্বা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের লাল আলো ভিতরের দিকে প্রতিসরিত হয়ে চাদের উপরে পড়ে, ফলে চাঁদকে তার স্বাভাবিক সাদাটে ধূসর বর্ণের পরিবর্তে লাল বর্ণের দেখা যায়। শুধু পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে তবে চাদের কক্ষপথ প্রায় 5 ডিগ্রি বাঁকানো থাকায় প্রতি পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায় না। সূর্যগ্রহণের তুলনায় চন্দ্রগ্রহণ দীর্ঘ সময়ব্যাপী হয়ে থাকে৷
শিক্ষার্থীরা, উপরে ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী বই ৭ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে, এই অধ্যায়টিকে সহজভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পারো। সেই সাথে উপরে তোমাদের জন্য সমস্যা সমাধান ক্লাস দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায় সম্পর্কে অধিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ও এই অধ্যায়ভিত্তিক সকল সমস্যা সমাধানের জন্য ক্লাসটি করার পরামর্শ রইলো।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post