৮ম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ২য় অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর : স্কাউটিং ও গার্ল গাইডিং বিশৃব্যাপী একটি অরাজনৈতিক সমাজসেবামুলক যুব আন্দোলন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই স্কাউটিং ও গার্ল গছিডের কার্যক্রম প্রচলিত। বৃটিশ সেনাবাহিনীর তহকালীন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রবার্ট স্টিফেনশন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল ১৯০৭ সালে স্কাউটটিং এবং ১৯১০ লালে গার্ল গাইড প্রবর্তন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বয়েজ স্কাউট গঠিত হয়।
বর্তমানে ছেলে মেয়ে ভাই অংশ গ্রহণ করে সেজন্য এর নাম হয়েছে বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক স্কাউট সমিতির অনুমোদন পায় । রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন একটি আন্তর্জাতিক মানবভাবাদী আন্দোলন । যার মাধামে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল কিছুর “উর্ধে থেকে মানুষের জীবন ও সুস্থাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। পূর্বের শ্রেণিতে স্কাউটিং ও গার্ণ গাইডিং কী? এর ইতিহাস, মূলমন্ত্র, প্রতিজ্ঞা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং এরর কর্মসূচি সম্পর্কে জালোচনা করা হয়েছে।
১. হাইকিং কোন ধরনের কর্মসূচি?
ক. রাজনৈতিক
খ. সামাজিক
গ. শিক্ষামূলক
ঘ. উন্নয়নমূলক
২. প্রাথমিক চিকিৎসার কথা সর্বপ্রথম কে বলেছেন?
ক. ডা. ফেড্রিক এজমার্ক
খ. ড. জেমস নেইসমিথ
গ. জিন হেনরি ডুনান্ট
ঘ. লর্ড র্বাডেন পাওয়েল
৩. হাতের কব্জি ঝুলিয়ে রাখতে কোন ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়?
ক. কলার এন্ড কাফ স্লিং
খ. আর্ম স্লি
গ. মান্টিটেইল
ঘ. ট্রায়াঙ্গুলার
৪. হাইকিংয়ের সফলতা নির্ভর করে কোনটির উপর?
ক. পরিকল্পনা
খ. তাবু জলসা
গ. কম্পাস
ঘ. মানচিত্র
৫. সাধারণত ক্ষতস্থানে কোনটি ব্যবহার ভালো?
ক. স্পিরিট
খ. পটাসিয়াম পারম্যাংগানেট
গ. টিংচার আয়োডিন
ঘ. অ্যান্টিসেপটিক পাউডার
৬. মাল্টিটেইল ব্যান্ডেজ-
i. সাধারণত চোয়ালের ক্ষতে ব্যবহৃত হয়
ii. কপালে ব্যবহার করা হয়
iii. বহু প্রান্তিক বা আকৃতির হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. ii
গ. i ও iii
ঘ. ii ও iii
রানু ছোটবেলা থেকেই পরোপকারী। মানুষের কষ্ট তার ভালো লাগে না। কীভাবে সে মানুষের বিপদে আপদে সাহায্য করবে প্রায়ই এ বিষয়ে বাবা মাকে প্রশ্ন করে। বাবা বললেন তোমাদের বিদ্যালয়েই অনেক সেবামূলক সংগঠন আছে। শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ নিয়ে যেকোনো একটির সদস্য হয়ে যায়।
৭. রানুর জন্য সুবিধাজনক সেবামূলক সংগঠন কোনটি?
ক. স্কাউট
খ. গার্ল গাইড
গ. রেডক্রস
ঘ. রেড ক্রিসেন্ট
৮. সেবামূলক সংগঠনের সদস্য হলে রানুর যা করার সম্ভাবনা তা হলো-
i. শিশু ও বয়স্কদে প্রয়োজনে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করা
ii. হারিয়ে যাওয়া শিশুদের বাড়ি পৌছে দেওয়া
iii. আহত কাউকে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক-
ক. i
খ. i ও ii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
আরিতা বিদ্যালয় থেকে বাড়ি আসার পর বিকেলে মাঠে খেলতে গিয়েছিল। খেলার সময় ইটের উপর পরে গিয়ে পা কেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আরিতার বন্ধুরাই তাকে সহযোগীতার জন্য দৌরে আসে এবং তাদের সঙ্গে যা ছিল তা দিয়েই আগে প্রথমে রক্ত পড়া বন্ধ করে তারপর তাকে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
৯. আরিতার বন্ধুদের সম্পাদিত কাজটি কী?
ক. হাতুরে চিকিৎসা
খ. প্রাথামিক চিকিৎসা
গ. পর্যবেক্ষণ
ঘ. চিকিৎসা
১০. আরিতার বন্ধুদের মতো সবার করণীয়-
i. রক্তস্থান থেকে বন্ধ করা
ii. ক্ষতস্থানে কিছু থাকলে তা বের করে দেওয়া
iii. ক্ষতস্থান ম্যাসেজ করা
নিচের কোনটি সঠিক-
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, iii ও iii
৮ম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ২য় অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর
১. হাইকিং পরিশ্রমের হলেও আনন্দদায়ক- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: হাইকিং শব্দের অর্থ উদ্দেশ্যমূলক ভ্রমণ। যে কোনো পথ নির্দেশিকা করে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্কাউট ও গার্ল গাইড পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করে। ভ্রমণকালে পথিমধ্যে আশপাশের পরিবেশ ও প্রকিতি পর্যবেক্ষণ করে। হাইকের মাঝে মাঝে প্রতিবন্ধকতা বা স্টেশন করে তারা প্রশিক্ষণ অনুশীলন করে।
হাইকিংয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে তাঁবু খাটানো, রান্না করা, খাওয়া, সামাজিক জরিপ, তাঁবু জলসা, নিদ্রা যাওয়া এবং হাইক শেষ করে জমির মালিক বা প্রতিষ্টান প্রধানের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে ক্যাম্পে পৌছে রিপোর্ট করতে হয়। যার ফলে তারা একাদকে প্ররিশ্রমী হয়ে ওঠে অন্যদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা মনকে উদার করে তোলে। এভাবে এক বা একাধিক রা তবাইরে কাটাতে পারে বলে হাইকিং তাদের কাছে পিকনিকের মতো মনে হয়। তাই বলা যায় হাইকিং পরিশ্রমের হলেও আনন্দদায়ক।
২. নির্ভুল পরিকল্পনার মাধ্যমে হাইকিং আনন্দদায়ক- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: হাইকিং শব্দের অর্থ উদ্দেশ্যমূলক ভ্রমণ। হাইকিংয়ের মান সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে। কারণ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানোর জন্য নির্দেশনা ও পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। তাই উপদল মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে হাইকিংয়ের আগের অবিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কর্মসূচি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত।
কেননা পরিকল্পনা ত্রুটিপূর্ণ হলে হাইকিংয়ের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ফলে ক্যাম্পে ফিরে পূর্বনির্ধারিত রিপোর্ট করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া হাইকিংয়ে অবস্থানগত ভোগান্তি বাড়বে। তাই বলা যায়, নির্ভুল পরিকল্পনার মাধ্যমে হাইকিং আনন্দদায়ক।
৩. স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের অবদান রাখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানুষ পৃথিবীর যেখানেই বাস করুক দলবদ্ধভাবে বাস করার চেষ্টা করে। এভাবে দলবদ্ধভাবে বসবাসের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে সমাজ। সমাজের পরিবেশ সুন্দর রাখা সকলের দায়িত্ব। সমাজের কল্যাণের জন্য অনেক ধরনের কাজ করা যায়। এসব কাজকে সেবামূলক কাজ বলে। স্কাউটিং এর মূল্যমন্ত্রই হচ্ছে ‘সেবা’ স্কাউট সেবা করার জন্য সদা প্রস্তুত থাকে। প্রত্যেক স্কাউট নিজের শ্রম, বুদ্ধিমত্তা ও চেষ্টায় নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত ও উপযুক্ত করে গড়ে তোলে। একজন স্কাউট সমাজের সাধারণ মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য আত্মনিয়োগ করতে পারে।
তাছাড়া সমাজের বৃদ্ধ, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, নারী, শিশু, অসুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে। বন্যা, ঝড় বিধ্বস্তবা আগুন লাগা এলাকায় ত্রাণকার্যে সহযোগিতার জন্য স্কাউট সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। এখানে যেকোনো ভালো উদ্দেশ্যে অসম সাহসিকতা নিয়ে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে, সহিষ্ণুতার সাথে, রন্ধুর মতো করে, অন্যের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে স্কাউটরা সমাজে অবদান রাখতে সম্ভবপর হয়।
৪. রেড ক্রিসেন্টর সদস্য হলে মানবসেবার সুযোগ পাওয়া যায়- মতামত দাও।
উত্তর: বিশ্বের দুঃস্থ মানবতার সেবায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম রেড ক্রস। বর্তমানে এ সংস্থাটি দুটি নামে বিভক্ত। মুসলিম বিশ্বে রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য দেশে রেড ক্রসনামে পরিচিত। মুসলিম এ বিশ্বে এর প্রতিক অর্ধাকৃতি চাঁদ। যুদ্ধবন্দী, যুদ্ধাহত, বাস্তুহারা, রুগ্ন ও যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিপর্যস্ত মানুষকে উদ্ধার করাই মুখ্য উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে।
এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট যুদ্ধাহত মানুষের সেবা ও প্রাথমিক চিকিৎসা, বাস্তুহারা মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, রুগ্ন ও আহত মানুষের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বাল্ড ব্যাংকের রক্ষণাবেক্ষণসহ পানির বিশুদ্ধতা রক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দান এ সংস্থার সেবার অন্তর্ভুক্ত। রেড ক্রিসেন্টের সদস্য হলে এসকল সেবামূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত থেকে মানবসেবার সুযোগ পাওয়া যায়।
৫. প্রাথমিক চিকিৎসা মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে, হঠাৎ দুর্ঘঠনায় আহত রোগীকে ডাক্তার আসার পূর্বে প্রাথমিক সাহায্য করা, যাতে জীবন রক্ষা পায়। প্রতিটি মানুষ জীবনে চলার পথে অনেক সময় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। এতে শরীরের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ সাধারণত হাত, পা, নাক, কান, চোখ, মাথা, গলা ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা জানা থাকলে ডাক্তার না আসা পর্যন্ত দুর্ঘটনার ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমানো যায়। কখনও কখনও রোগী জীবন রক্ষা করাও সম্ভব হয়। যেমন- কারো দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ তাহলে রোগীকে তাৎক্ষণিক নিশ্চলভাবে শুইয়ে রাখতে হবে। এতে রক্তপাত কম হবে। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের নিকট হতে হবে। নতুবা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগী মারাও যেতে পারে। এভাবেই প্রাথমিক চিকিৎসা অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে।
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ৮ম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post