প্রতিবছরের মতো কোর্সটিকায় এবারও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। কোর্সটিকায় আজকে আলোচনাকৃত বিষয়টি হচ্ছে ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় সেশন ৩ সমাধান। উক্ত সেশনের নাম হচ্ছে সাইবার অপরাধ ও মানুষের জীবনে তার প্রভাব। এই সেশনে অনেকগুলো কাজ করতে বলা হয়েছে। আলোচনা শেষে কাজগুলো একটি ক্লাসের মাধ্যমে তোমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
কোর্সটিকায় আজকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের একটি সেশন শেয়ার করা হলো। এখানে, এই সেশনটিকে সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের প্রতিটি সেশনের সমাধান এভাবে পড়লে তোমাদের পড়া হবে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক। পাশাপাশি, তোমরা তোমাদের পাঠ্যবই সম্পর্কে বিস্তর ধারণা অর্জন করতে পারবে।
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় সেশন ৩
আগের দুই সেশনে আমার বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জেনেছি। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য এই সকল অপরাধের ফলে মানুষের সমাজের এবং সংস্কৃতির ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সাইবার অপরাধে মানুষের জীবনে বহুমাত্রিক প্রভাবের মাত্রা নিরূপণ করে সঠিক গাইডলাইন প্রদান ও অনুসরণের মাধ্যমে জীবনকে স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়ে উঠে।
আমরা আমাদের চারপাশে ঘটা সাইবার অপরাধের কিছু ঘটনার মাধ্যমে, অপরাধের শিকার হওয়া মানুষের জীবনে এর বহুমাত্রিক প্রভাব খুঁজে দেখব। এসব অপরাধের শিকার হলে আমদের করণীয় সম্পর্কে সচেতন হব এবং আমাদের পরিবারকেও এ সম্পর্কে সচেতন করব।
এবার আমরা দুইটি ঘটনা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখব…
ঘটনা-১: মমো নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে আলাপ করছিল। ঐ সময় একটি একাউন্ট থেকে তার কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে, কিন্তু মমো রিকোয়েন্টটি ডিলিট করে দেয়। আবার একদিন আড্ডা দেওয়ার সময়, মমোকে তার এক বন্ধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টটিতে প্রবেশ করতে বলে। মমো ঐ ডিলিটকৃত একাউন্ট থেকে তার অন্য একাউন্টগুলোর দেওয়ালে বিভিন্ন আপত্তিকর কমেন্ট দেখতে পেয়ে, দ্রুত ঐ একাউন্টটিকে ব্লক করে দেয়। মমো বিষয়টি নিয়ে খুবই বিব্রত ও বিরক্ত হয় এবং একইসাথে ভীতও হয়ে পড়ে।
এই ঘটনাটি একটি ‘সাইবারস্টকিংয়ের’ ঘটনা। ‘সাইবারস্টকিং’ মানে কোনো মানুষ বা কোনো ধনপ বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বিরক্ত করা বা ভয় দেখানো বা হুমকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত বার্তা বা ছবি বা ডকুমেন্ট পাঠানো।
ঘটনা-২: বিশ্ববিদ্যালয়ের আফিফ নামের এক শিক্ষাথী ক্লাসে গিয়ে খেয়াল করল, তার বন্ধুরা তার সাথে কথা না বলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। সে তার এক বন্ধুকে কারণ জিজ্ঞাসা করে জানতে পারল, তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টটি থেকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। সে বুঝতে পারল কেউ তার একাউন্টটি-তে লগ ইন করে এই পোস্টটি করেছে। |
এই ঘটনার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা হলো “সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল হ্যাকিং”। সাধারণত “ফিশিং” এবং “সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” এর মাধ্যমে কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত একাউন্টকে হ্যাক করা হয়। এর ফলে ঐ ব্যক্তির অজান্তেই তার ব্যক্তিগত একাউন্টে অন্য কেউ প্রবেশ করে অনেক ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে পারে।
এবার চলো আমরা আরও একটি ঘটনা পড়ে দেখি…
ঘটনা-৩: একদিন তাপসী নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে প্রবেশ করে তার নিজের ছবি দিয়ে অন্য নামে আরেকটি একাউন্ট দেখতে পেল। একদিন তার এক সহকর্মীর কাছ থেকে সে জানতে পারল ঐ একাউন্ট থেকে পাবলিক গ্রুপে অশালীন পোস্ট করা হয়েছে এবং টাকা ধার চাওয়া হচ্ছে। তাপসী বুঝতে পারছে না তার এখন কী করা উচিত?
উপরের ঘটনাটি একটি “ফেইক সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট’’ এর ঘটনা। যখন কেউ অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি একাউন্ট খুলে আমরা তাকে “ফেইক সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট’’ বলি।
উপরে উল্লেখিত কেসস্টাডিতে দেখা যাচ্ছে, তাপসী সাইবার অপরাধের একজন ভিকটিম হওয়ার পর বুঝতে পারছে না তার কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং তার এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কী করা উচিত? চলো আমরা সবাই মিলে তাপসীকে সাহায্য করি। একটি প্রতিবেদন আকারে, তাপসীর সাথে ঘটে যাওয়া এই সাইবার অপরাধের জন্য সম্ভাব্য বিপদ চিহ্নিত করি এবং তার করণীয় সম্পর্কে আমরা লিখবো।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post