অতিথির স্মৃতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেওঘরের স্মৃতি’ গল্পটির নাম পাল্টে এবং ঈষৎ পরিমার্জনা করে এখানে ‘অতিথির স্মৃতি’ হিসেবে সংকলন করা হয়েছে। একটি প্রাণীর সঙ্গে একজন অসুস্থ মানুষের কয়েকদিনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা মমত্বের সম্পর্কই এ গল্পের বিষয়।
লেখক দেখিয়েছেন, মানুষে-মানুষে যেমন স্নেহ-প্রীতির সম্পর্ক অন্য জীবের সঙ্গেও মানুষের তেমন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে । কিন্তু সেই সম্পর্ক নানা প্রতিকূল কারণে স্থায়ীরূপ পেতে বাধাগ্রস্ত হয়। আবার এই সম্পর্কের সূত্র ধরে একটি মানুষ ওই জীবের প্রতি যখন মমতায় সিক্ত হয় তখন অন্য মানুষের আচরণ নির্মম হয়ে উঠতে পারে । এ গল্পে সম্পর্কের এই বিচিত্র রূপই প্রকাশ করা হয়েছে।
অতিথির স্মৃতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল—১: মহেশ। দরিদ্র বর্গাচাষি গফুরের অতি আদরের একমাত্র ষাঁড়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে ওকে ঠিকমতো খড়-বিচুলি খেতে দিতে পারে না। জমিদারের কাছে সামান্য খড় ধার চেয়েও পায় না। নিজে না খেয়ে থাকলেও গফুরের দুঃখ নেই।
কিন্তু মহেশকে খাবার দিতে না পেরে তার বুক ফেটে যায়। সে মহেশের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে- মহেশ, তুই আমার ছেলে। তুই আমাদের আট সন প্রতিপালন করে বুড়ো হয়েছিস। তোকে আমি পেট পুরে খেতে দিতে পারিনে, কিন্তু তুইতো জানিস আমি তোকে কত ভালোবাসি। মহেশ প্রত্যুত্তরে গলা বাড়িয়ে আরামে চোখ বুজে থাকে।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেওঘরে গিয়েছিলেন কেন?
খ. অতিথি কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন?
গ. উদ্দীপকে মহেশের প্রতি গফুরের আচরণে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের গফুরের সাথে লেখকের চেতনাগত মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে গিয়েছিলেন।
খ. নতুন পরিচয়ের সংকোচে অতিথি কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না।
হাওয়া বদলের জন্য দেওঘরে গিয়ে পথে এক কুকুরের সঙ্গে লেখকের পরিচয় হয়। পথ চলতে চলতে কুকুরের সঙ্গে লেখকের হৃদ্যতা সৃষ্টি হলেও লেখক বাড়িতে পৌঁছে গেট খুলে দিলে সে ভেতরে ঢুকতে ভয় পায়। কারণ অচেনা কুকুর বাড়ির ভেতরে ঢুকলে অনেক সময় তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। তাই ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে লেখকের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও অতিথি কুকুরটি ভেতরে ঢোকার সাহস পায়নি।
গ. উদ্দীপকে মহেশের প্রতি গফুরের আচরণে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির প্রতি লেখকের ভালোবাসার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
শুধু মানুষের সঙ্গে মানুষেরই যে মমতার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে এমন নয় বরং অন্য জীবের সঙ্গেও মানুষের মমতার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। পশুর প্রতি মানুষের এ মমত্ববোধের বিষয়টিই ফুটে উঠেছে উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথি হলো একটি কুকুর। সে লেখকের বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গী। লেখক কুকুরটিকে যে বাড়িতে অবস্থান করছেন সে বাড়ির মালিকে খাবার দিতে বলেছেন। কিন্তু কুকুরটিকে খাবার দেয়া হয়নি বলে তারও খুব কষ্ট হয়। অতিথির চোখের জল দেখে লেখকের বুকে হাহাকার ওঠে। অন্যদিকে উদ্দীপকের মহেশ একটি ষাঁড়।
মহেশের মালিক গফুর তাকে নিয়মিত যত্ন করে, তাকে ভালোবাসে। দারিদ্র্যের কারণে নিজে খেতে না পারলেও সে মহেশকে ঠিকই খাওয়ায়। মহেশের প্রতি গফুরের এ মমতার অশ্রু ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কুকুরের প্রতি লেখকের মমত্ববোধকেই ইঙ্গিত করে।
ঘ. ‘উদ্দীপকের গফুরের সাথে লেখকের চেতনাগত মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন’ মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে জীবের প্রতি মানুষের স্নেহ-ভালোবাসার বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠলেও উদ্দীপকের পটভূমিতে কিছুটা ভিন্নতা উঠে এসেছে। এখানে জমিদারের অন্যায় শোষণে শোষিত দরিদ্র বর্গাচাষি গফুরের অসহায় জীবনের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে অসুস্থ লেখকের সাথে অতিথি কুকুরের সখ্যের সম্পর্ক নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে যায়। মালি-বৌয়ের নির্মমতার পরাজয় ঘটে তাদের সখ্যের কাছে। কিন্তু বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায় তাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত আবার বিচ্ছেদ ঘটে। নির্দিষ্ট সময় শেষে অতিথি কুকুরের স্মৃতি পেছনে ফেলে লেখক ফিরে আসেন তার পুরনো আস্তানায়। এভাবেই ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি লেখকের অসুস্থতার প্রেক্ষাপটে শেষ হয়েছে।
উদ্দীপকে অভাবক্লিষ্ট গফুর জীবনের কাছে পরাজিত এক অসহায় সৈনিক। যেখানে দারিদ্র্যের সাথে প্রতিনিয়ত তার যুদ্ধ। এর মধ্যেও পোষা ষাঁড় মহেশের প্রতি তার ভালোবাসার কমতি নেই। প্রভাবশালী জমিদারের রাজত্বে নিজে দু’মুঠো খেতে না পারলেও মহেশের জন্য খাবারের চিন্তায় সে ব্যাকুল হয়। তার এ ব্যাকুলতার মধ্যে অভাবক্লিষ্ট জীবনের প্রতিচ্ছবিই ভেসে ওঠে, যা ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের ভিন্নতা তৈরি করেছে।
সৃজনশীল—২: লালমনিরহাটের যুবায়ের প্রায় ১০ বছর ধরে তার পোষাহাতি কালাপাহাড়কে দিয়ে লাকড়ি টানা, চাষ করা, সার্কাস দেখানো ইত্যাদি কাজ করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে দারিদ্র্যের কারণে হাতির খোরাক জোগাড় করতে না পেরে একদিন সে কালাপাহাড়কে বিক্রি করে দিল।
ক্রেতা কালাপাহাড়কে নিতে এসে ওর পায়ে বাঁধা রশি ধরে হাজার টানাটানি করে একচুলও নাড়াতে পারল না। কালাপাহাড়ের দুচোখ বেয়ে শুধু টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে। পরদিন খদ্দের আরও বেশি লোকজন সাথে করে এসে কালাপাহাড়কে নিয়ে যাবে বলে চলে যায়। কিন্তু ভোরবেলা যুবায়ের দেখে কালাপাহাড় মরে পড়ে আছে। হাউমাউ করে সে চিৎকার করে আর বলে- ‘ওরে আমার কালাপাহাড়, অভিমান করে তুই চলে গেলি!’
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন পদক লাভ করেন?
খ. লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নিতে নানা অজুহাতে দিন দুই দেরি করলেন কেন?
গ. কালাপাহাড়ের আচরণ ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথির আচরণ কীভাবে ভিন্ন? বর্ণনা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের যুবায়েররের অনুভূতি আর ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের অনুভূতি একই ধারায় উৎসারিত’-মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
অতিথির স্মৃতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল—৩: ভার্সিটির ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ায় ফারহান ঢাকা চলে যাচ্ছে। ট্রেন ছেড়ে দেয়ার মুহূর্তেও সে দেখে টমি তার বগির জানালার দিকে তাকিয়ে আছে। মাত্র মাস খানেক আগে এ কুকুরটা তাদের বাড়িতে আসে। অত্যন্ত ক্ষুধার্ত মনে হওয়ায় ফারহান কুকুরটাকে খাবার দিয়েছিল। আর সেই থেকেই কুকুরটা সারাক্ষণ তার আশেপাশে ঘুর ঘুর করে। ফারহানের কেমন মায়া পড়ে যায় কুকুরটার উপর। সে নিয়মিত ওকে খাবার দিতে যায়। আর আদর করে ওর নাম দেয় টমি।
ক. ‘বড়দিদি’ উপন্যাস কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
খ. চাকরদের দরজা খোলার শব্দ শুনে অতিথি ছুটে পালিয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল—৪: লোপা কবুতর খুব ভালোবাসে। তার দুটো কবুতর আছে। একটির নাম হীরা, অন্যটির নাম মানিক। হীরা-মানিক বলে ডাকলেই উড়ে অতিথির স্মৃতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এসে লোপার ঘাড়ে-মাথায় বসে ‘বাক-বাকুম’ ‘বাক-বাকুম’ শব্দ করে। নিজের হাতে ওদের খাইয়ে দেয় লোপা। লোপার মা বলে, “কবুতর নিয়ে এত বাড়াবাড়ি আমার ভালো লাগে না।” মার কথা শুনে চুপ করে থাকে লোপা।
ক. পান্ডুর শব্দের অর্থ কী?
খ. লেখক দেওঘরে গিয়েছিলেন কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে লোপার মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন চরিত্রটি খুঁজে পাওয়া যায়? -ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাব একই।” -উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৫: জামাল একটি ছাগল পোষে, তার নাম পুটু। জামাল তার নিজের খাবার এবং বাজার থেকে ভালো ভালো খাবার কিনে এনে খাইয়ে তাকে নাদুস-নুদুস করে তুলেছে। সে পুটুকে খুবই ভালোবাসে। চোরেরা একদিন পুটুকে চুরি করে নিয়ে গেলে পুটুর শোকে জামাল অসুস্থ হয়ে যায়।
ক. ভজন শুরু হয় কখন?
খ. কুকুরটি ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটির সাদৃশ্য আছে তা বর্ণনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সামগ্রিক দিকটি তুলে ধরেনি” -বিশ্লেষণ কর।
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল—৬: নানাবাড়ি থেকে সাদা রঙের ছাগলের বাচ্চা উপহার হিসেবে পায় সাকিব। বাচ্চাটি পেয়ে সে খুব খুশি হয়। সারাক্ষণ সে বাচ্চাটিকে যত্নে রাখে। ছাগল ছানাটিও সাকিবের পিছু ছাড়ে না। দেখতে দেখতে ছানাটি হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠল। একদিন ভোরবেলা দেখা গেল ছাগল ছানাটি মরে পড়ে আছে। বিষাক্ত সাপের কামড়ে ছানাটির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সাকিব খুব মুষড়ে পড়ে।
ক. কত সালে ‘বড়দিদি’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়।
খ. লেখকের সত্যিকার ভাবনা ঘুচে গেল কীভাবে?
গ. উদ্দীপকে ছাগল ছানাটির ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে অতিথির মধ্যে বিদ্যমান সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যগুলো চিহ্নিত কর।
ঘ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে অতিথি উদ্দীপকের ছাগল ছানাটির মতো ততটা জীবনঘনিষ্ঠ নয়- মন্তব্যটি গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৭: গাড়িটা থামতেই লোকটা ছুটে এলো। যেন এক্ষুণি কেঁদে ফেলবে, এমন একটা ভাব। ছুটে এসে কেমন করুণ গলায় বলল, আপনাদের কাছে স্যার রক্ত বন্ধ করার কোনো ওষুধ আছে? রীতিমতো অবাক হবার পালা। মেজদা জিজ্ঞেস করলেন, কেন, কী দরকার? স্যার, একটা খরগোশ মানে একটা খরগোশ খুব আঘাত পেয়েছে। খুব রক্ত পড়ছে ওটার পা থেকে। আমি খরগোশটাকে ওখানে রেখে এসেছি, স্যার। ওষুধ লাগাতে পারলে হয়তো বাঁচাতে পারতাম।
ক. সবচেয়ে ভোরে ওঠে কোন পাখি?
খ. লেখকের অতিথির চোখ দুটো ভিজে ভিজে দেখাচ্ছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের লোকটির আকুতি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কার অনুভূতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূল সুরই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল—৮: রতন প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসে তার পোষা ময়নাটিকে। ময়নার প্রতি রতনের এমন দরদ দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে তারই প্রতিবেশী রানা। একসময় রানা রাতের আঁধারে ময়নাকে মেরে ফেলে। ময়নার শোকে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেল রতন। তার অজান্তেই অশ্রু গড়িয়ে পড়ে দুচোখ বেয়ে।
ক. প্রাচীরের ধারের গাছটির নাম কী?
খ. ‘সত্যিকারের একটা ভাবনা ঘুচে গেল’ কীভাবে?
গ. রানার সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে কাকে মেলানো যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের রতনের মাঝে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখককে খুঁজে পাওয়া যায়।” উক্তিটি বিচার কর।
সৃজনশীল—৯: রুবা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সে ঢাকায় থাকে। মাঝে মধ্যে গ্রামে যায়। ঢাকার যানজট পেরিয়ে গ্রামের শ্যামল প্রান্তরে গেলেই তার মন ভালো হয়ে যায়। গ্রামের প্রত্যেকটি জিনিস সে উপভোগ করে। গাছপালা, নদী, বন-জঙ্গল সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখে আর সৌন্দর্য উপভোগ করে। তার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে পাখিদের কলকাকলি। পাখিদের জন্য তার খুব মায়া। প্রতিদিন চড়ুই পাখির ডাকে তার ঘুম ভাঙে। চড়ুই পাখির বাসাটি ছিল ঘরের চালের কোণে। একদিন চড়ুই পাখিকে না দেখলে তার মন খারাপ লাগে।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি কে লিখেছেন?
খ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে নালিশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. রুবার মন খারাপের সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কী মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘রুবার সৌন্দর্য চেতনা আর লেখকের সৌন্দর্য চেতনা একই সূত্রে গাঁথা’-মন্তব্যটি বিচার কর।
সৃজনশীল—১০: দীর্ঘদিন রোগভোগের কারণে সিয়ামের স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে। ডাক্তারের নির্দেশে তখন সিয়ামকে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান এলাকায় পাঠানো হয়। কিছুদিন থাকার ব্যবস্থা করা হয় মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে। সেখানে বিচিত্র পাখির কলকাকলি, প্রকৃতির সবুজ পরিবেশ ও ভিন্ন আবহাওয়ায় সিয়াম বেশ সুস্থবোধ করে।
ক. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক বায়ু পরিবর্তনের জন্য কোথায় গিয়েছিলেন।
খ. ‘পাখি চালান দেয়াই তাদের ব্যবসা’ কোন প্রসঙ্গে এ কথাটি বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সিয়ামের সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. মানুষের ওপর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে অতিথির স্মৃতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post