এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে বাঙালির সার্বিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে কারাবরণ করেন।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে নিরঙ্কুশ বিজয়। তবুও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) প্রায় দশ লক্ষ লোকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল—১: গণতন্ত্র যা অহিংসার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে সবারই সমান স্বাধীনতা থাকে। যেখানে প্রত্যেকেই হবে তার জগৎ-নিয়ন্তা। এটাই সেই গণতন্ত্র যাতে আপনাদের আজ অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। একদিন আপনারা বুঝতে পারবেন, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে পার্থক্য ভুলে যাওয়া এবং আপনারা আপনাদের শুধু মানুষ মনে করবেন এবং সবাই একত্র হয়ে স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্রতী হবেন।
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত তারিখে?
খ. ‘বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে—ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণভাব ধারণ করে’—মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ।
খ. আলোচ্য অংশে বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অধিকার আদায়ের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলার জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা নানাভাবে শোষিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছিল। এদেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয় রাজপথে। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ধাপে ধাপে বাঙালি আদায় করে তার ন্যায্য অধিকার। তাই বাংলার ইতিহাসকে রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস বলা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের জাতীয়তাবোধের চেতনা ও স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বানের দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় দেখা যায় বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণ দেন। তাঁর এ ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির দিকনির্দেশনামূলক। এ ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ও স্বাধিকার চেতনার প্রেরণার দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণেও সবার এক সঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তিনিও ধর্মের বিভেদ ভুলে সবাইকে শুধু মানুষ পরিচয়ে দেশ স্বাধীন করার আন্দোলনে ব্রতী হওয়ার কথা বলেছেন। যেকোনো দেশকে শত্রুমুক্ত করতে হলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সবাইকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহ্বান করা হয়েছে। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সবার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের যে আহ্বান জানান তা উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণেও ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে’ মন্তব্যটি যথার্থ নয়।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমের চেতনার কথা ফুটে উঠেছে এ ভাষণ ছিল বাঙালির দাবি আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করার মূলমন্ত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে, শত্রুপক্ষকে পরাজিত করতে এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ভাষণটিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সাধনার কথা স্থান পেয়েছে।
উদ্দীপকে শুধু মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ ভুলে স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাধীন বাঙালি জাতি ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণ ছিল দিকনির্দেশনাপূর্ণ যা মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্যের চেয়েও সুস্পষ্ট। উদ্দীপকে জাতীয়তাবোধের ব্যাপারটি আলোচ্য ভাষণটিতে প্রকাশ পেলেও অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণভাব ধারণ করে না।
সৃজনশীল—২: টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ নূপুরের বাবা মনোযোগের সাথে শুনছিলেন। এদিকে নূপুরের মা ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন হিন্দি সিরিয়ালের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বলে। বাবা তখন সবার সামনে ভাষণটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার শিকল ভাঙার মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল ঐ ভাষণে। আজকের বাংলাদেশ ঐ ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ক. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে?
খ. “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”—উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে যে ভাষণের কথা বলা হয়েছে “এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”—তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ভাষণ সম্পর্কে নূপুরের বাবার মন্তব্য কতটা সমর্থনযোগ্য? “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”—এ উক্তির আলোকে তা মূল্যায়ন কর।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল—৩:
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন
সকল দুয়ার খোলা, কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার
অমর কবিতাখানি।
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক. ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কত লোক উপস্থিত হয়েছিল?
খ. ‘আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।’—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথাটি কেন বলেছিলেন?
গ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের কতটুকু ফুটে উঠেছে? —ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের অনেকাংশ অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।—উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল—৪:
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে;
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
কে রোধে তাঁর বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি;
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক. কত সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল?
খ. ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’—এ আহ্বান করা হয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটির সাথে কিভাবে সম্পর্কিত—বিশ্লেষণ কর।
ঘ. ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই মূলত স্বাধীনতার আহ্বান’—উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল—৫: দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা সারাজীবনই সংগ্রাম করেছেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। এ কারণে তিনি জেল, জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। সাতাশটি বছর তিনি ছিলেন কারা অভ্যন্তরে। কিন্তু, শেষাবধি তিনি বিজয়ী হন। মানবতা ও স্বাধীনতার কেতন উড়িয়ে দেন স্বদেশের আকাশে।
ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?
খ. ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়েছে কেন?
গ. নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে বঙ্গবন্ধুর কোন কোন গুণের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়, তা উদ্দীপকটির ভাব অনুসারে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মানবতা ও স্বাধীনতার কেতন উড়িয়ে দেয় স্বদেশের আকাশে’—এ বাক্যটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির আলোকে বিশ্লেষণ কর।
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল—৬: ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদ সবার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণে বলেন, আমার একার পক্ষে এ ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে কেউ আমাদের উন্নয়ন রুখতে পারবে না। তাঁর এ ভাষণে ইউনিয়নের মানুষগুলো একটি আদর্শ ইউনিয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
ক. ৭ই মার্চের ভাষণটির স্থান কোথায় ছিল?
খ. ৭ই মার্চের ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকে চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদের ভাষণের সাথে ৭ই মার্চের ভাষণের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’ চেয়ারম্যান সাহেবের উক্তিটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৭: বিশ্বের ইতিহাসে অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়। সহ্য করতে হয় সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু মাথানত করেননি তিনি। ক্রমান্বয়ে তার আদর্শে উজ্জীবিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক সময় অবসান ঘটে বর্ণবাদের, জয় হয় মানবতার।
ক. কে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন?
খ. তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ম্যান্ডেলার চরিত্রের কোন গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়? বুঝিয়ে লেখ।
ঘ. ‘নেলসন ম্যান্ডেলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়ই চিরন্তন প্রেরণার আদর্শ’—উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৮: প্রতিরাতে অস্ত্রধারী কিছু ডাকাত সোনাতলা গ্রামের মানুষের অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মুরব্বি মোবারক মাস্টার সবাইকে একটি মাঠে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সবাইকে লক্ষ করে বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি, কিন্তু আর না। আসুন আমরা একতাবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি।’ তার এ সংক্ষিপ্ত ভাষণে সবার মনোবল সুদৃঢ় হয়। যেন রক্তে আগুন ধরিয়ে দেয় শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
ক. ‘ব্যারাক’ শব্দের অর্থ কী?
খ. শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের ভাষণটির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটির সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে মোবারক মাস্টারের ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৯:
বিদেশি সেনার কামানে—বুলেটে বিদ্ধ
নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ
শত্রু সেনারা হত্যার অভিযানে
মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।
ক. বঙ্গবন্ধু কত সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন?
খ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাঙালিরা কোন প্রেরণা পেয়েছিল?
গ. উদ্দীপকটির বিষয় তোমার পাঠ্য কোন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি প্রতিফলিত রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—১০:
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি :
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’—উক্তিটি কার?
খ. বঙ্গবন্ধু কেন প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি—সংক্ষেপে লেখ।
গ. উদ্দীপকের কবি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—রচনায় বর্ণিত কোন ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন কর।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post