যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : নঞর্থক যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য (Subject) পদের সাথে বিধেয় (Predicate) পদের সম্পর্ককে অস্বীকার করা হয়। তাই এরূপ যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না। যেমন: ‘সকল ফুল নয় লাল’।
এখানে ফুলের সাথে লাল রঙের কোনো সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। আবার, যেসব যুক্তিবাক্যে বিধেয়টি ‘বিশিষ্ট পদ’ (Individual Term) সেখানে বিধেয়ক থাকে না। যেমন: জীবনানন্দ দাশ, সূর্য, ঢাকা ইত্যাদি।
যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. বিধেয় ও বিধেয়ক এক নয় কেন?
উত্তর : বিধেয় (Predicate) হচ্ছে একটি পদ এবং বিধেয়ক (Predicate) একটি সম্পর্কের নাম বিধায় এরা সমার্থক নয়।
যে পদ দ্বারা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকেই বলে বিধেয়। যেমন— মানুষ হয় দ্বিপদী। এ যুক্তিবাক্যে ‘দ্বিপদী’ কথাটি ‘মানুষ’ পদ সম্বন্ধে স্বীকার করা হয়েছে। কাজেই ‘দ্বিপদী’ পদটি বিধেয় পদ। কিন্তু এই যুক্তিবাক্যে মানুষ ও দ্বিপদী পদের মধ্যে যে বিশেষ সম্পর্ক বিদ্যমান তাকে বলা হয় বিধেয়ক। সুতরাং বিধেয় ও বিধেয়ক এক নয়। বিধেয় হচ্ছে একটি পদ। অপরদিকে, বিধেয়ক হলো একটি সম্পর্কের নাম।
২. ‘কোন যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না’?- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : নঞর্থক যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না।
বিধেয়ক হচ্ছে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যকার এক প্রকার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক কেবল সদর্থক যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে তৈরি হয়। তাই সদর্থক যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে। নঞর্থক যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করে। এজন্য নঞর্থক যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয় না। যেহেতু নঞর্থক যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় না, তাই নঞর্থক যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না।
৩. বিধেয়ক একটি সম্পর্কের নাম- বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : বিধেয়ক (Predicables) কোনো পদ নয় কারণ বিধেয়ক হলো একটি সম্পর্কের নাম।
যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যকার সম্পর্কের নাম বিধেয়ক। এ কারণেই বিধেয়ক কোনো পদ নয়। যেমন: ‘সকল দার্শনিক হন সৃজনশীল’। এখানে ‘দার্শনিক’ উদ্দেশ্য পদের সাথে ‘সৃজনশীল’ বিধেয় পদের যে সম্পর্ক তাই হলো বিধেয়ক।
৪. কোন ধরনের যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : নঞর্থক যুক্তিবাক্যে (Negative Proposition) ও বিশিষ্ট পদে (Individual Term) বিধেয়ক (Predicables) থাকে না।
নঞর্থক যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য (Subject) পদের সাথে বিধেয় (Predicate) পদের সম্পর্ককে অস্বীকার করা হয়। তাই এরূপ যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না। যেমন: ‘সকল ফুল নয় লাল’। এখানে ফুলের সাথে লাল রঙের কোনো সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। আবার, যেসব যুক্তিবাক্যে বিধেয়টি ‘বিশিষ্ট পদ’ (Individual Term) সেখানে বিধেয়ক থাকে না। যেমন: জীবনানন্দ দাশ, সূর্য, ঢাকা ইত্যাদি।
৫. জাতি ও উপজাতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : জাতি বলতে অধিক ব্যাপক শ্রেণিকে আর উপজাতি বলতে জাতির অন্তর্গত কম ব্যাপক শ্রেণিকে বোঝায়।
যদি দুটি শ্রেণিবাচক পদের সম্পর্ক এমন হয় যে ব্যক্ত্যর্থের দিক থেকে একটি ব্যাপক এবং অন্যটি কম ব্যাপক। এই অধিক ব্যাপক শ্রেণিটিই হলো জাতি। আর কম ব্যাপক শ্রেণিটি হলো উপজাতি। যেমন- জীবের সংখ্যা বেশি কিন্তু মানুষের সংখ্যা কম। অর্থাৎ ব্যাপকতার দিক দিয়ে জীব পদটি বড় আর মানুষ পদটি ছোট। জীব পদটি মানুষ পদকে অন্তর্ভুক্ত করে। অতএব বলা যায়, জীব হলো জাতি আর মানুষ হলো উপজাতি।
৬. বিধেয় কী?
উত্তর : যে পদ দ্বারা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কোনোকিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাই বিধেয়।
বিধেয় দ্বারা উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়। যেমন- মানুষ হয় দ্বিপদী। এ যুক্তিবাক্যে ‘দ্বিপদী’ কথাটি ‘মানুষ’ পদ সম্বন্ধে স্বীকার করা হয়েছে। কাজেই দ্বিপদী পদটি বিধেয় পদ।
৭. বিধেয়ক কোন পদ নয় কেন?
উত্তর : বিধেয়ক (Predicables) কোনো পদ নয়, কারণ বিধেয়ক হলো একটি সম্পর্কের নাম।
যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যকার সম্পর্কের নাম বিধেয়ক। এ কারণেই বিধেয়ক কোনো পদ নয়। যেমন: ‘সকল দার্শনিক হন সৃজনশীল’। এখানে ‘দার্শনিক’ উদ্দেশ্য পদের সাথে ‘সৃজনশীল’ বিধেয় পদের যে সম্পর্ক তাই হলো বিধেয়ক।
৮. বিভেদক লক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে গুণের কারণে একই জাতির অন্তর্ভুক্ত একটি উপজাতিকে তার সমজাতীয় অন্যান্য উপজাতি থেকে পৃথক করা হয়, তাকে বিভেদক লক্ষণ বলে।
বিভেদক লক্ষণ হলো জাত্যর্থের অপরিহার্য অংশ বিশেষ। যেমন- মানুষের মধ্যে রয়েছে ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ ও ‘জীববৃত্তি’ নামক গুণ। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রাণীর রয়েছে ‘জীববৃত্তি’ গুণ। এই ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ গুণের কারণে মানুষ তার সমজাতীয় অন্যান্য উপজাতি থেকে পৃথক হয়। এজন্য ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ গুণকে মানুষ পদের বিভেদক লক্ষণ বলে।
৯. উদ্দীপকে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে কোন প্রকার সম্বন্ধের ইঙ্গিত পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : যে গুণের কারণে একই জাতির অন্তর্ভুক্ত একটি উপজাতিকে তার সমজাতীয় অন্যান্য উপজাতি থেকে পৃথক করা হয়, তাকে বিভেদক লক্ষণ বলে।
বিভেদক লক্ষণ হলো জাত্যর্থের অপরিহার্য অংশ বিশেষ। যেমন- মানুষের মধ্যে রয়েছে ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ ও ‘জীববৃত্তি’ নামক গুণ। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রাণীর রয়েছে ‘জীববৃত্তি’ গুণ। এই ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ গুণের কারণে মানুষ তার সমজাতীয় অন্যান্য উপজাতি থেকে পৃথক হয়। এজন্য ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ গুণকে মানুষ পদের বিভেদক লক্ষণ বলে।
১০. নঞর্থক বাক্যে বিধেয়কের প্রশ্ন অবান্তর কেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : নঞর্থক যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না।
বিধেয়ক হচ্ছে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যকার এক প্রকার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক কেবল সদর্থক যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে তৈরি হয়। তাই সদর্থক যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে। নঞর্থক যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করে। এজন্য নঞর্থক যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয় না। যেহেতু নঞর্থক যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় না, তাই নঞর্থক যুক্তিবাক্যে বিধেয়ক থাকে না।
►► আরো দেখো: যুক্তিবিদ্যা ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post